ধর্ষণ
হাটতে হাটতে পা টা ঝিম ধরে যায় রুপার ।প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিদিনই যেন এক শিকলে পা টা আটকে যায় তার । মনে হয় হাটতে গেলেই হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবে মুখ থুবড়ে । বড় অস্বস্তি বোধ করে রুপা ।প্রতিদিন সকাল হলেই আড়াই কিলোমিটার হেঁটে স্কুলে যায় আবার স্কুল থেকে হেঁটেই বাড়ি ফিরে আসে রুপা । এতে অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে যায় সে । তারপর যখন বিকেল বেলা আবারও হেঁটে প্রাইভেটে যেতে হয় তখন অনেকটাই অনীহা জন্মে যায় তার । তবু সবার সাথে প্রতিযোগিতার জন্য কোনদিন লেখাপড়ায় অন্যমনস্ক হয়না রুপা । যার ফলাফল হিসেবে অষ্টম শ্রেণীতে সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে সে । ক্লাসের সেকেন্ড গার্ল হল রুপা । অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি পরীক্ষায় যাতে সফলতা অর্জন করতে পারে এবং নবম শ্রেণীতে যেন ফার্স্ট গার্ল হিসেবে আত্নপ্রকাশ করতে পারে সেজন্য বছরের শুরুতেই লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করে রুপা । কোনরকম ঢিলেমিকে প্রশ্রয় দেয়না সে । কিন্তু প্রতিদিন ১০ কিমি হাঁটার পর রাত্রিবেলা অনেক ক্লান্তবোধের জন্য লেখাপড়ায় কিছুটা ক্ষতি হয় । এতে সে অনেকটা চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে ।
অনেক সময় রুপা ভাবতে থাকে যদি কোন যানবাহনে করে স্কুলে যাওয়া-আসা করা যেত তবে হয়ত অনেক ভাল হত । কিন্তু পরক্ষণেই ভাবে রাস্তার যে বেহাল দশা কোন যানবাহন তো দূরে থাক সাইকেল চলতেই অনেক কষ্ট হয় । গ্রীষ্মের দিনে ধূলাবালি আর বর্ষায় কাদামাটিতে গোসল করাটা সব মানুষের নিত্যকর্ম । শুধু শীতকাল টাই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে এলাকার মানুষ ।এসব মানুষের এত কষ্ট দেখার কোন লোক নেই । যারা আছে তারাও শুধু নিজের আখের গোছাতেই ব্যস্ত । তাই রাস্তার এই বেহাল দশা দেখে রুপার মনে হয় রাস্তাটি যেন পিতাহীন কোন জারজ সন্তান । যার ঠিকানা ডাস্টবিনে । রাস্তাটিকে পোশাক-আশাকহীন উস্কোখুস্কো চুলো মলিন মুখের সুবোধ বালক মনে হয় তার কাছে ।
হাটতে হাটতে ভাবনায় গুম হয়ে যায় রুপা ।সেই সাথে বেশ খানিক পথ অতিক্রম করে চলে আসে ক্লান্তি ছাড়াই । বাড়ি থেকে স্কুল পর্যন্ত প্রায় এক কিমি মত ফাঁকা জায়গা আছে ।রাস্তার পাশে কোন বাড়িঘর নেই জারগাটুকুই ।সেই জায়গায় এসে রুপা বুঝতে পারে দুইজন যুবক ছেলে তার পিছু পিছু হাঁটছে । কিছুক্ষণের মধ্যেই ছেলে দুটি তার পাশে চলে আসে আর এসেই একজন বলে উঠে "তোমার নাম কি সুন্দরী? বাড়ি কোথায়?" রুপা আড়চোখে দেখেই মুখ ফিরিয়ে নেয় তাদের দিক থেকে । হঠাত্ পাশের ছেলেটি বলে উঠে "দোস্ত, খাসা মাল মাইরি ! কি সুন্দর চিবুক, বুক, চোখ ! দেখেই যেন ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল ।ঠোঁট দুইটা যেন অমৃতের পেয়ালা, দেখেই চুমুক দিয়ে খেতে ইচ্ছে করে । আর পিছনটা না হয় নাই বললাম ।" এই বলে হো হো করে হাসতে শুরু করল । অন্য ছেলেটি রুপার দিকে লোলুপ দৃষ্টি হেনে বলে উঠে "তাইতো দোস্ত, একদম খাসা ।" এই বলে ছেলেটি জিহ্বা বের করে নিজের ঠোঁটদুটি ভিজিয়ে নেয় ।
ছেলেগুলোর আজেবাজে কথায় রুপার মনে তখন তোলপাড় চলছে পুরোদমে । মাথাটা ঘুরতে শুরু করেছে অনায়াসে । তার মনে হতে থাকে ছেলেগুলোর লোলুপ দৃষ্টি তাকে উলঙ্গ করে ফেলেছে । মনে হয় তাদের লালায়িত জিহ্বার লালাতার ঠোঁটে-মুখে লেগে তার পুরো মুখমন্ডল দূষিত করে ফেলেছে । সে ভাবে রাস্তায় চলমান কোন লোককে দাঁড় করে সবকিছু বলে আচ্ছা করে ছেলে দুটিকে শায়েস্তা করবে । কিন্তু সে কিছুই করতে পারেনা । নীরবে ধর্ষিত হতে থাকে তাদের লোলুপ দৃষ্টিতে । হঠাত্ নিজের অজান্তেই হাত দিয়ে সমস্ত মুখমন্ডল একবার মোছার চেষ্টা করে সে । এতে রুপার মনে হয় "তার সমস্ত মুখমন্ডল যেন তাদের জিহ্বার লালায় চ্যাট চ্যাট করছে ।"
অনেক সময় রুপা ভাবতে থাকে যদি কোন যানবাহনে করে স্কুলে যাওয়া-আসা করা যেত তবে হয়ত অনেক ভাল হত । কিন্তু পরক্ষণেই ভাবে রাস্তার যে বেহাল দশা কোন যানবাহন তো দূরে থাক সাইকেল চলতেই অনেক কষ্ট হয় । গ্রীষ্মের দিনে ধূলাবালি আর বর্ষায় কাদামাটিতে গোসল করাটা সব মানুষের নিত্যকর্ম । শুধু শীতকাল টাই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে এলাকার মানুষ ।এসব মানুষের এত কষ্ট দেখার কোন লোক নেই । যারা আছে তারাও শুধু নিজের আখের গোছাতেই ব্যস্ত । তাই রাস্তার এই বেহাল দশা দেখে রুপার মনে হয় রাস্তাটি যেন পিতাহীন কোন জারজ সন্তান । যার ঠিকানা ডাস্টবিনে । রাস্তাটিকে পোশাক-আশাকহীন উস্কোখুস্কো চুলো মলিন মুখের সুবোধ বালক মনে হয় তার কাছে ।
হাটতে হাটতে ভাবনায় গুম হয়ে যায় রুপা ।সেই সাথে বেশ খানিক পথ অতিক্রম করে চলে আসে ক্লান্তি ছাড়াই । বাড়ি থেকে স্কুল পর্যন্ত প্রায় এক কিমি মত ফাঁকা জায়গা আছে ।রাস্তার পাশে কোন বাড়িঘর নেই জারগাটুকুই ।সেই জায়গায় এসে রুপা বুঝতে পারে দুইজন যুবক ছেলে তার পিছু পিছু হাঁটছে । কিছুক্ষণের মধ্যেই ছেলে দুটি তার পাশে চলে আসে আর এসেই একজন বলে উঠে "তোমার নাম কি সুন্দরী? বাড়ি কোথায়?" রুপা আড়চোখে দেখেই মুখ ফিরিয়ে নেয় তাদের দিক থেকে । হঠাত্ পাশের ছেলেটি বলে উঠে "দোস্ত, খাসা মাল মাইরি ! কি সুন্দর চিবুক, বুক, চোখ ! দেখেই যেন ভেতরটা মোচড় দিয়ে উঠল ।ঠোঁট দুইটা যেন অমৃতের পেয়ালা, দেখেই চুমুক দিয়ে খেতে ইচ্ছে করে । আর পিছনটা না হয় নাই বললাম ।" এই বলে হো হো করে হাসতে শুরু করল । অন্য ছেলেটি রুপার দিকে লোলুপ দৃষ্টি হেনে বলে উঠে "তাইতো দোস্ত, একদম খাসা ।" এই বলে ছেলেটি জিহ্বা বের করে নিজের ঠোঁটদুটি ভিজিয়ে নেয় ।
ছেলেগুলোর আজেবাজে কথায় রুপার মনে তখন তোলপাড় চলছে পুরোদমে । মাথাটা ঘুরতে শুরু করেছে অনায়াসে । তার মনে হতে থাকে ছেলেগুলোর লোলুপ দৃষ্টি তাকে উলঙ্গ করে ফেলেছে । মনে হয় তাদের লালায়িত জিহ্বার লালাতার ঠোঁটে-মুখে লেগে তার পুরো মুখমন্ডল দূষিত করে ফেলেছে । সে ভাবে রাস্তায় চলমান কোন লোককে দাঁড় করে সবকিছু বলে আচ্ছা করে ছেলে দুটিকে শায়েস্তা করবে । কিন্তু সে কিছুই করতে পারেনা । নীরবে ধর্ষিত হতে থাকে তাদের লোলুপ দৃষ্টিতে । হঠাত্ নিজের অজান্তেই হাত দিয়ে সমস্ত মুখমন্ডল একবার মোছার চেষ্টা করে সে । এতে রুপার মনে হয় "তার সমস্ত মুখমন্ডল যেন তাদের জিহ্বার লালায় চ্যাট চ্যাট করছে ।"
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।