সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
বাংলাদেশে বেশ কিছুকাল ধরিয়া ধর্ম সংক্রান্ত বিষয় বুদ্ধিজীবী হইবার এক এবং একমাত্র আলোচ্য বিষয় বলিয়া গণ্য হইতেছে।অনেকে সাহিত্যিক, দার্শণিক কিংবা সুশীল হিসাবে জাতে উঠিবার জন্যেও প্রগতিশীলতার নামে ধর্ম বিরোধী কথাবার্তা বলা আবশ্যক বলিয়া মনে করিতেছেন।এই সুযোগে কতিপয় ধর্ম ব্যবসায়ীর মহাসমারোহ উত্থান পরিলক্ষিত হইতেছে। যাহা হউক, এই দুই দলই চরমভাবে সাম্প্রদায়িক বলিয়া প্রতীয়মান হয়। বাংলাদেশের শান্তি বিনষ্ট করিবার জন্য এই দুই দল যেভাবে উঠিয়া পড়িয়া লাগিতেছে, ভবিষ্যতে শান্তি বজায় রাখা সম্ভব হইবে কিনা তাহা বড় আশংকার বিষয় হইতে পারে। আমাদিগের তরুণ সমাজের মধ্যে একটা দলের ধর্ম সংক্রান্ত উন্মাদনা একটু বেশিই। ইহাদিগের অধিকাংশই বই পড়ে না, মুক্তবুদ্ধির চর্চা করে না।ইহারা বর্তমানে ঘটিয়া যাওয়া কোন চটকদার বিষয়ের অনুসরণ করে মাত্র। ইহারা চিন্তা করে না বরং ঘটিত বিষয়ের গভীরে না গিয়া পক্ষে বিপক্ষে ভাসমান কিংবা স্থুল যুক্তিতর্কের অবতারণা ঘটায় যাহা তাহাদিগের এক ধরণের ফ্যান্টাসি; ফ্যাশান।ইহাদিগের বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, সংস্কৃতি এবং প্রযুক্তিগত গভীর দর্শণ চর্চায় যারপরনাই অনীহা। অথচ ইহারা নিজদিগকে মহাপন্ডিত ভাবিতে কার্পণ্য করিতেছে না।ইহাদিগের মধ্যে একপক্ষ ধর্মীয় সংস্কৃতির খুত ধরাকে প্রগতিশীলতা বলিয়া ভাবিতেছে, অন্যপক্ষ ধর্মীয় অতিচর্চাকে ধর্ম পালন বলিয়া গণ্য করিতেছে। এই দুই দলকে সুপথে আনিতে না পারিলে ভবিষ্যতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভয়ানকরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হইবার ভয় কিন্তু থাকিয়াই যাইবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোনালিসা ০১/০৬/২০১৭ভাল লিকেছেন