ছিঁচকাঁদুনে ভালবাসা
রাত ২ টা ।এখনো ঘুমায়নি মেয়েটা ।বিছানায় শুইয়ে ছটফট করছে।।কাহিনি হল অর্কর সাথে ঝগড়া করেছে।।এই stupid ছেলের প্রেমে সে কিভাবে পড়লো, চিন্তা করে নিজের উপরই রাগ লাগছে।কত্ত বড় সাহস।তাকে বলে সে নাকি ছিচকাদুনে মেয়ে্ । ইচ্ছে করছে অর্কর সব চুল ছিড়ে দিয়ে আসে।
যার কথা বলছি তার নাম মউমি।এতটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে আছে।অসম্ভব রকমের বাচ্চামো করতে পারে।কথায় কথায় রাগ করে আর রাগ ভাঙ্গে।।
এইতো একটু আগে অর্কর উপর রাগ লাগছিল এখন আবার মায়া লাগতে শুরু করেছে কে জানে খেয়ে ঘুমাইছে কিনা?মশারি টানাইছে কিনা।
পরক্ষনেই আবার দাত কিড়মি্র করে বলে উঠল , ভাল হইছে।মশার কামড় খাক।১০০০ টা মশা কামড়াক।কামড়ে খেয়ে ফেলুক একেবারে।তাতে তার কি?
রাত ৩ টা।নিজের সাথে যুদ্ধ করতে করতে ব্যর্থ মউমি ফোন দিল অরককে।সাথে সাথেই রিসিভ করল অর্ক
-হ্যালো
-ওই stupid.খেয়ে ঘুমাইছিস?
-
না,খাইনি্ ।বুয়া আসেনি আজ । রান্না হয়নি । ফ্রিজে কিছু খাবার ছিল। খেতে ইচ্ছে করছেনা।তুমি খাইছ?
-ও....আমি ত ভুলেই গেছিলাম তোর তো খাওয়া লাগেনা।তুইতো অতিমানব।।পরে না খাইতে খাইতে মরে যাবি আর মানুষ আমাকে দোষ দিবে । বলবে আমার জন্য তুই না খেয়ে মরে গেছিস...
-মানুষ তোমায় কেন দোষ দিবে? মানুষ কি তোমায় চিনে? তুমি কে হও আমার?
-ও আচ্ছা ।তাই ।মানুষ কেন?তুইও তো আমাকে চিনিস না।আমি হলাম ছিচকাদুনে মেয়ে।আমাকে দুনিয়ার কোনও মানুষ ই চিনেনা এখন যা।।ফ্রিজে যা আছে তাই খেয়ে নে।আমার কালকে সকালে ক্লাস আছে।।ঘুমাতে হবে
-ঘুমাস নি কেন? যা ঘুমিয়ে পড়।।
-খিদের জালায় ঘুমা আস্ছেনা।।আমি তো তোর মত অতিমানব না।আমার খেতে হয়।।
-খাস্ নি কেন?
মউমি চিৎকার দেয় এবার।
-তুই না খেলে আমি কিভাবে খাব?
-কেন? আমি তো তোর কেউ না
নিজেকে আর সাম্লাতে পারেনা সে।।গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠে।
-কারন i love you stupid .
-i love you too...
কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকল দুজন।।ফুপিয়ে কান্নার আওয়াজ শুনা যাচ্ছে । এবার ছিচকাদুনে মউমি কাদছেনা ।। কাদছে অর্ক ।
আস্তে করে অর্ক । বলল
- তুমার হাতটা একটু দিবে?
এটা হচ্ছে ওদের একটা খেলা।খেলাটার নাম imagination।ফোনের দুপাশে দুজন থেকেও কাছাকাছি চলে আসা।
মউমি -হুম।এবার বল, কাদছ কেন? তোমাকে দেখতে মেয়েদের মতো লাগছে।
-না।সারা জীবন তো ছিচকাদুনের সাথে থাকতে হবে তাই আর কি? adjust করার চেষ্টা ।
এবার ফোন কেটে দিল মউমি।
পরের দিন সকালে দেখা হল অর্কর সাথে
-মউমি হাটছে আর বকবক করছে।
-।তুমি কি করে আমাকে ছিচকাদুনে বললে? এইটা বলতে পারলে তুমি?
ও কারো হাত না ধরে হা্টতে পারেনা।। হাত ধরেই এতক্ষন হাটছিল ।। ।অর্ক হঠাত আলতো করে হাত সরি্যে নিল।।এবার খেয়াল করল মউমি।।পকেট থেকে চকলেট এর একটা বক্স বের করে এগিয়ে দিল মউমির দিকে।।
-এই যে ছিচকাদুনে ।। আমায় বিয়ে করবে ? তোমার কাছ থেকে কান্না শিখব।।
মউমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষন।তারপর আবার চিৎকার।।
-মানুষ কত সুন্দর করে জান বলে আর উনি বলে ছিচকাদুনে।।কত ফুল টুল দেয় আর উনি দিচ্ছে চকলেট
-চকলেট দিয়ে দাও তাহলে?
-নাআআআআআ......চিৎকার দিয়ে উঠল মউমি।।এইটা আমার।।
-হুম । আর ছিচকাদুনে পাগ্লি মউমি আমার।।
মনে হচছে মউমি এবার হাত ধরবে।।?
না, আমাদের ছিচকাদুনে মউমি এখন বক্স থেকে একটা চক্লেট বের করে মাথা নিচু করে বলছে--- চকলেট খাবে?
এই চকলেট ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা নেই অর্কর। চিৎকারের ভয়ে না।এই বাচ্চা পাগ্লি মেয়েটাকে অনেক বেশি ভালবাসে সে।। ওর নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে পৃথিবীর সব কিচু ভুলে থাকতে পারে ...ওর এলোমেলো জীবনে পরীর মত মেয়েটা কিভাবে এলো ভাবতে চায়না ,শুধু চায় পাগলি এই মেয়েটা সবসময় তার পাশে থাকুক।।রাত বিরাতে বলে উঠুক চক্লেট খাব..
যার কথা বলছি তার নাম মউমি।এতটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে আছে।অসম্ভব রকমের বাচ্চামো করতে পারে।কথায় কথায় রাগ করে আর রাগ ভাঙ্গে।।
এইতো একটু আগে অর্কর উপর রাগ লাগছিল এখন আবার মায়া লাগতে শুরু করেছে কে জানে খেয়ে ঘুমাইছে কিনা?মশারি টানাইছে কিনা।
পরক্ষনেই আবার দাত কিড়মি্র করে বলে উঠল , ভাল হইছে।মশার কামড় খাক।১০০০ টা মশা কামড়াক।কামড়ে খেয়ে ফেলুক একেবারে।তাতে তার কি?
রাত ৩ টা।নিজের সাথে যুদ্ধ করতে করতে ব্যর্থ মউমি ফোন দিল অরককে।সাথে সাথেই রিসিভ করল অর্ক
-হ্যালো
-ওই stupid.খেয়ে ঘুমাইছিস?
-
না,খাইনি্ ।বুয়া আসেনি আজ । রান্না হয়নি । ফ্রিজে কিছু খাবার ছিল। খেতে ইচ্ছে করছেনা।তুমি খাইছ?
-ও....আমি ত ভুলেই গেছিলাম তোর তো খাওয়া লাগেনা।তুইতো অতিমানব।।পরে না খাইতে খাইতে মরে যাবি আর মানুষ আমাকে দোষ দিবে । বলবে আমার জন্য তুই না খেয়ে মরে গেছিস...
-মানুষ তোমায় কেন দোষ দিবে? মানুষ কি তোমায় চিনে? তুমি কে হও আমার?
-ও আচ্ছা ।তাই ।মানুষ কেন?তুইও তো আমাকে চিনিস না।আমি হলাম ছিচকাদুনে মেয়ে।আমাকে দুনিয়ার কোনও মানুষ ই চিনেনা এখন যা।।ফ্রিজে যা আছে তাই খেয়ে নে।আমার কালকে সকালে ক্লাস আছে।।ঘুমাতে হবে
-ঘুমাস নি কেন? যা ঘুমিয়ে পড়।।
-খিদের জালায় ঘুমা আস্ছেনা।।আমি তো তোর মত অতিমানব না।আমার খেতে হয়।।
-খাস্ নি কেন?
মউমি চিৎকার দেয় এবার।
-তুই না খেলে আমি কিভাবে খাব?
-কেন? আমি তো তোর কেউ না
নিজেকে আর সাম্লাতে পারেনা সে।।গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠে।
-কারন i love you stupid .
-i love you too...
কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকল দুজন।।ফুপিয়ে কান্নার আওয়াজ শুনা যাচ্ছে । এবার ছিচকাদুনে মউমি কাদছেনা ।। কাদছে অর্ক ।
আস্তে করে অর্ক । বলল
- তুমার হাতটা একটু দিবে?
এটা হচ্ছে ওদের একটা খেলা।খেলাটার নাম imagination।ফোনের দুপাশে দুজন থেকেও কাছাকাছি চলে আসা।
মউমি -হুম।এবার বল, কাদছ কেন? তোমাকে দেখতে মেয়েদের মতো লাগছে।
-না।সারা জীবন তো ছিচকাদুনের সাথে থাকতে হবে তাই আর কি? adjust করার চেষ্টা ।
এবার ফোন কেটে দিল মউমি।
পরের দিন সকালে দেখা হল অর্কর সাথে
-মউমি হাটছে আর বকবক করছে।
-।তুমি কি করে আমাকে ছিচকাদুনে বললে? এইটা বলতে পারলে তুমি?
ও কারো হাত না ধরে হা্টতে পারেনা।। হাত ধরেই এতক্ষন হাটছিল ।। ।অর্ক হঠাত আলতো করে হাত সরি্যে নিল।।এবার খেয়াল করল মউমি।।পকেট থেকে চকলেট এর একটা বক্স বের করে এগিয়ে দিল মউমির দিকে।।
-এই যে ছিচকাদুনে ।। আমায় বিয়ে করবে ? তোমার কাছ থেকে কান্না শিখব।।
মউমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষন।তারপর আবার চিৎকার।।
-মানুষ কত সুন্দর করে জান বলে আর উনি বলে ছিচকাদুনে।।কত ফুল টুল দেয় আর উনি দিচ্ছে চকলেট
-চকলেট দিয়ে দাও তাহলে?
-নাআআআআআ......চিৎকার দিয়ে উঠল মউমি।।এইটা আমার।।
-হুম । আর ছিচকাদুনে পাগ্লি মউমি আমার।।
মনে হচছে মউমি এবার হাত ধরবে।।?
না, আমাদের ছিচকাদুনে মউমি এখন বক্স থেকে একটা চক্লেট বের করে মাথা নিচু করে বলছে--- চকলেট খাবে?
এই চকলেট ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা নেই অর্কর। চিৎকারের ভয়ে না।এই বাচ্চা পাগ্লি মেয়েটাকে অনেক বেশি ভালবাসে সে।। ওর নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে পৃথিবীর সব কিচু ভুলে থাকতে পারে ...ওর এলোমেলো জীবনে পরীর মত মেয়েটা কিভাবে এলো ভাবতে চায়না ,শুধু চায় পাগলি এই মেয়েটা সবসময় তার পাশে থাকুক।।রাত বিরাতে বলে উঠুক চক্লেট খাব..
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এস,বি, (পিটুল) ৩০/০৪/২০১৪এক কথায় ভালো
-
বক্তিয়ার হোসাইন ০৫/০৩/২০১৪অনেক ভাল।
-
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ১৩/০২/২০১৪খুব ভাল লাগল
-
মারজানা মৌরি ০৬/০২/২০১৪heart touching.
-
দাদা মুহাইমিন চৌধূরী ০৬/০২/২০১৪আবেগে কাইন্দালাইচি
-
আফসানা সিদ্দিকি মিমি ০৬/০২/২০১৪ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যের জন্য
-
প্রবাসী পাঠক ০৫/০২/২০১৪ছিচকাঁদুনে ভালবাসার গল্পের সহজ সরল বর্ণনা ভাল লাগল।