লীলাবতী
-এই যে, আপনি আমার ডাক নামটা কেনো লিখলেন?
-কোথায় লিখছি?
-ঐযে আমার স্ট্যাটাসে।
-তো কি হইছে? ঐটা তো তোমারই নাম।
-হ্যা, তবুও প্লিজ ঐটা এডিট করে ফেবুতে যেটা আছে এটা দেন।
৫ মিনিট পর..…
-আপনার খুব ভাব না?
-হঠাৎ ভাব কোথায় দেখলেন?
-আমি শুধু এডিট করতে বলেছিলাম। কমেনটটা ডিলিট করতে বলিনি।
-না, ভাবলাম এরপর আবার কি ভুল ধরেন তাই গোড়াটাই কেটে দিলাম।
-নো আনসার।
২ দিন পর.…
-সকাল ৬ টায় ফেবু তে কি মিষ্টার?
-ফেবুর সকালটা কেমন দেখতে এলাম।
-কেমন দেখলেন?
-নীল, কালো। হাহা।
-ফাইজলামী করেন?
-যা বাবা! কি ফাইজলামী করলাম?
-নো আনসার।
তার দুই দিন পর আসিফ ফেবুতে এলো, অফিসে বেশ চাপ। নতুন জয়েন, বেকারত্বের একটা হেস্ত ন্যাস্ত হল। বাবা আর এখন কথায় কথায় বলেনা "আসিফ, মাস্টার্স শেষ করে এভাবে ঘরে বসে থাকবে জানতাম না তাহলে এত টাকা খরচা করে পড়াতাম না, পাশের বাসার রনিকেই দেখ। বি এ পাশ করেও একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর ম্যানেজার পদে আছে। বেতন ও ভাল। অন্তত বাবার হোটেলে খায়না।"
-এইযে! কই ছিলেন এতদিন?
-কর্মজীবী মানুষ, ব্যাস্ত থাকি।
-তাই বলে কি ফেবুতে আসা যায়না?
-যেত, ইচ্ছে করেই আসিনি।
-কেনো?
-প্রতিটা কথার জবাব আপনাকে দিতে হবে নাকি?
-দিবেন।
-হুকুম খাটাচ্ছেন দেখি।
-খাটাচ্ছি, তো?
-তো আমি আপনার হুকুম তামিলের ধার ধারিনা।
-হুহ।
আসিফ অফলাইন চলে গেল। হাতে কফির মগটা নিয়ে বারান্দায় গেল। সারা সপ্তাহ কাজ করে একটা দিনের ছুটিতে যে কি সুখ তা আসিফ বেকার থাকতে বুঝেনি। এই ছুটির দিনের প্রতিটা মুহুর্তকে যেন উপভোগ করতে চায় মন।
বিকেলের দিকে পিসিতে বসলো আসিফ। অনলাইনে সেই মেয়েটি। এবার আসিফ ই নক করল।
-আপনার আসল নাম কি?
-নাম কি নকল হয় মিস্টার?
-যেটা দিয়ে রেখেছেন সেটা তো নকল।
-জিনা এটাই আমার নাম।
-লীলাবতি? এমন নাম আজকালকার মেয়েরা রাখে?
-আমি কি তাহলে আদিম যুগের?
-না, তানা! হূমায়ুন স্যারের মেয়ের নাম ছিল এমন। কিন্তু মেয়েটা মারা যায়।
-হুম, আমার বাবা ওখান থেকেই নামটা রেখেছেন।
-আপনার বাবা খুব সাহিত্যিক টাইপের কেউ?
-পোকা, সাহিত্যের পোকা।
-হাহাহা।
একদিন শুক্রবারের সকালে.…
মিসেস আলীম অর্থাৎ আসিফের মা এসে আসিফকে জাগিয়ে দিয়ে গেলেন, আসিফ সময় দেখে নিল। সকাল ৮ টা আঠারো। ১৭ টা মিসকল আর ২ টা ম্যাসেজ লীলাবতীর নম্বর থেকে। আজ দেখা হবার কথা লীলাবতীর সাথে আসিফের। ম্যাসেজ খুললো আসিফ। প্রথমটা ভোর সাড়ে ৫ টা। "মিষ্টার আপনার সাথে দেখা করার এক্সাইটমেন্ট কিছুতেই কমছে না, ঘুম ও আসেনাই আজ" ২ য় ম্যাসেজ সকাল ৭ টায়। "আচ্ছা শুনুন ১০ টার যায়গায় আমরা ২ টা ৩০ এ দেখা করি? আমি এক কাজিনের বাসায় যাব।
ঢাকায় ওরাই থাকে কেবল আমাদের নিকট আত্মীয় বলে। সেই ছোট থাকতে গিয়েছিলাম এখন খালাম্মা আমাকে নিয়ে যেতে বলছেন তাই যেতে হচ্ছে।ঠিক যায়গায় দেখা হবে তবে সময় পরিবর্তন হল, বাই" আসিফ ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে পিসিতে গান চালিয়ে খাটের উপর শুয়ে রইল।
-আসিফ ভাইয়া?
আসিফ ধরফর করে উঠে বসল, চশমাটা পরে নিল।
-তুমি ই তো আসিফ ভাইয়া তাইনা?
-আমি আসিফ, আপনি কে? বাসায় কিভাবে ধুকলেন?
-আরে আমাকে চিনোনি?
-ও! তুই পাকু না? কিরে, তুই তো খুব বড় হয়ে গেছিস।
-তুমি ও।
-আমি তো তোর বড়ই।
-দেখ ভাইয়া আমি কিন্তু পাকু না, আমার একটা নাম আছে।
-হাহা! কি নাম? পাকুটাই তো ছোট থাকতে বলতাম।
-আর বলবানা.…
-তুই তো খুব সুন্দরী হইছিস!
-তাই? আচ্ছা তোমাদের এখানে গ্রীন হ্যাভেন গার্ডেন টা কতদূর?
-বেশিক্ষণ লাগেনা, ৫ মিনিট হেটে গেলেই হবে।
-চল, ঐখানে যাব।
-এই দুপুরে? কখন আসলি?
-আসছি তো সেই সকালে কিন্তু আমি তো জানিনা তুমি ঘুমাচ্ছ তাই ডাকিনি। এখন চল।
বেলা ২টা ১৫ মিনিট। গ্রীণ হ্যাভেন গার্ডেন এ…
-পাকু একটু দাড়া আমি একটা সিগারেট নিয়ে আসি।
-ছি, তুমি সিগারেট খাও?
-হুম, এখানেই থাক।
-ওকে…
আসিফ দোকানের কাছে যেতেই লীলাবতির কল এলো।
-হ্যালো।
-হ্যা বলুন।
-কোথায় আপনি? আমি তো গার্ডেনে চলে এসেছি।
-আমিও এখানেই আছি।
-আপনাকে চিনব কিভাবে? আর এখন তো নামটা বলুন, "নাগরিক" ছদ্মনাম আর ডাকতে ইচ্ছে করছেনা।
আসিফ সিগারেটে টান দিতে দিতে পাকুর কাছে এসে মোবাইলে অপরপ্রান্তের রমণীকে বলল
-আমি আসিফ
পাকু সাথে সাথে আসিফের দিকে ফিরে বলল!
-কি! আসিফ ভাইয়া?
আসিফ আর লীলাবতী বিস্ময় নিয়ে দুজন দুজনের দিকে কয়েক ন্যানো সেকেন্ড তাকিয়ে রইল, তার পর এক সাথে হেসে উঠলো।
আসিফ হাতটা বাড়িয়ে দিল লীলাবতীর দিকে " হাত ধর পাকু"
লীলাবতী দাত কটমট করে বলল, "আমি পাকু না মিষ্টার" তারপর হাতটা তুলে দিল আসিফের হাতে!
"ামি এই নাগরিকের একজন লীলাবতী হতে চাই!"
শত আশা আর বিস্ময় নিয়ে লীলাবতী আসিফ্র দিকে তাকালো।
"ওনেক আগে থেকেই লীলাবতী এই নাগরিকের, হারিয়ে গিয়েছিল আর সময় আজ তা ফিরিয়ে দিল নাগরিককে" আসিফ হেসে বলল।
-আসিফ, তুমি এতো লম্বু কেন?
-ঐ আমি তোর বড় না? ভাইয়া বল।
-ভাগো.… :v
-কোথায় লিখছি?
-ঐযে আমার স্ট্যাটাসে।
-তো কি হইছে? ঐটা তো তোমারই নাম।
-হ্যা, তবুও প্লিজ ঐটা এডিট করে ফেবুতে যেটা আছে এটা দেন।
৫ মিনিট পর..…
-আপনার খুব ভাব না?
-হঠাৎ ভাব কোথায় দেখলেন?
-আমি শুধু এডিট করতে বলেছিলাম। কমেনটটা ডিলিট করতে বলিনি।
-না, ভাবলাম এরপর আবার কি ভুল ধরেন তাই গোড়াটাই কেটে দিলাম।
-নো আনসার।
২ দিন পর.…
-সকাল ৬ টায় ফেবু তে কি মিষ্টার?
-ফেবুর সকালটা কেমন দেখতে এলাম।
-কেমন দেখলেন?
-নীল, কালো। হাহা।
-ফাইজলামী করেন?
-যা বাবা! কি ফাইজলামী করলাম?
-নো আনসার।
তার দুই দিন পর আসিফ ফেবুতে এলো, অফিসে বেশ চাপ। নতুন জয়েন, বেকারত্বের একটা হেস্ত ন্যাস্ত হল। বাবা আর এখন কথায় কথায় বলেনা "আসিফ, মাস্টার্স শেষ করে এভাবে ঘরে বসে থাকবে জানতাম না তাহলে এত টাকা খরচা করে পড়াতাম না, পাশের বাসার রনিকেই দেখ। বি এ পাশ করেও একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর ম্যানেজার পদে আছে। বেতন ও ভাল। অন্তত বাবার হোটেলে খায়না।"
-এইযে! কই ছিলেন এতদিন?
-কর্মজীবী মানুষ, ব্যাস্ত থাকি।
-তাই বলে কি ফেবুতে আসা যায়না?
-যেত, ইচ্ছে করেই আসিনি।
-কেনো?
-প্রতিটা কথার জবাব আপনাকে দিতে হবে নাকি?
-দিবেন।
-হুকুম খাটাচ্ছেন দেখি।
-খাটাচ্ছি, তো?
-তো আমি আপনার হুকুম তামিলের ধার ধারিনা।
-হুহ।
আসিফ অফলাইন চলে গেল। হাতে কফির মগটা নিয়ে বারান্দায় গেল। সারা সপ্তাহ কাজ করে একটা দিনের ছুটিতে যে কি সুখ তা আসিফ বেকার থাকতে বুঝেনি। এই ছুটির দিনের প্রতিটা মুহুর্তকে যেন উপভোগ করতে চায় মন।
বিকেলের দিকে পিসিতে বসলো আসিফ। অনলাইনে সেই মেয়েটি। এবার আসিফ ই নক করল।
-আপনার আসল নাম কি?
-নাম কি নকল হয় মিস্টার?
-যেটা দিয়ে রেখেছেন সেটা তো নকল।
-জিনা এটাই আমার নাম।
-লীলাবতি? এমন নাম আজকালকার মেয়েরা রাখে?
-আমি কি তাহলে আদিম যুগের?
-না, তানা! হূমায়ুন স্যারের মেয়ের নাম ছিল এমন। কিন্তু মেয়েটা মারা যায়।
-হুম, আমার বাবা ওখান থেকেই নামটা রেখেছেন।
-আপনার বাবা খুব সাহিত্যিক টাইপের কেউ?
-পোকা, সাহিত্যের পোকা।
-হাহাহা।
একদিন শুক্রবারের সকালে.…
মিসেস আলীম অর্থাৎ আসিফের মা এসে আসিফকে জাগিয়ে দিয়ে গেলেন, আসিফ সময় দেখে নিল। সকাল ৮ টা আঠারো। ১৭ টা মিসকল আর ২ টা ম্যাসেজ লীলাবতীর নম্বর থেকে। আজ দেখা হবার কথা লীলাবতীর সাথে আসিফের। ম্যাসেজ খুললো আসিফ। প্রথমটা ভোর সাড়ে ৫ টা। "মিষ্টার আপনার সাথে দেখা করার এক্সাইটমেন্ট কিছুতেই কমছে না, ঘুম ও আসেনাই আজ" ২ য় ম্যাসেজ সকাল ৭ টায়। "আচ্ছা শুনুন ১০ টার যায়গায় আমরা ২ টা ৩০ এ দেখা করি? আমি এক কাজিনের বাসায় যাব।
ঢাকায় ওরাই থাকে কেবল আমাদের নিকট আত্মীয় বলে। সেই ছোট থাকতে গিয়েছিলাম এখন খালাম্মা আমাকে নিয়ে যেতে বলছেন তাই যেতে হচ্ছে।ঠিক যায়গায় দেখা হবে তবে সময় পরিবর্তন হল, বাই" আসিফ ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে পিসিতে গান চালিয়ে খাটের উপর শুয়ে রইল।
-আসিফ ভাইয়া?
আসিফ ধরফর করে উঠে বসল, চশমাটা পরে নিল।
-তুমি ই তো আসিফ ভাইয়া তাইনা?
-আমি আসিফ, আপনি কে? বাসায় কিভাবে ধুকলেন?
-আরে আমাকে চিনোনি?
-ও! তুই পাকু না? কিরে, তুই তো খুব বড় হয়ে গেছিস।
-তুমি ও।
-আমি তো তোর বড়ই।
-দেখ ভাইয়া আমি কিন্তু পাকু না, আমার একটা নাম আছে।
-হাহা! কি নাম? পাকুটাই তো ছোট থাকতে বলতাম।
-আর বলবানা.…
-তুই তো খুব সুন্দরী হইছিস!
-তাই? আচ্ছা তোমাদের এখানে গ্রীন হ্যাভেন গার্ডেন টা কতদূর?
-বেশিক্ষণ লাগেনা, ৫ মিনিট হেটে গেলেই হবে।
-চল, ঐখানে যাব।
-এই দুপুরে? কখন আসলি?
-আসছি তো সেই সকালে কিন্তু আমি তো জানিনা তুমি ঘুমাচ্ছ তাই ডাকিনি। এখন চল।
বেলা ২টা ১৫ মিনিট। গ্রীণ হ্যাভেন গার্ডেন এ…
-পাকু একটু দাড়া আমি একটা সিগারেট নিয়ে আসি।
-ছি, তুমি সিগারেট খাও?
-হুম, এখানেই থাক।
-ওকে…
আসিফ দোকানের কাছে যেতেই লীলাবতির কল এলো।
-হ্যালো।
-হ্যা বলুন।
-কোথায় আপনি? আমি তো গার্ডেনে চলে এসেছি।
-আমিও এখানেই আছি।
-আপনাকে চিনব কিভাবে? আর এখন তো নামটা বলুন, "নাগরিক" ছদ্মনাম আর ডাকতে ইচ্ছে করছেনা।
আসিফ সিগারেটে টান দিতে দিতে পাকুর কাছে এসে মোবাইলে অপরপ্রান্তের রমণীকে বলল
-আমি আসিফ
পাকু সাথে সাথে আসিফের দিকে ফিরে বলল!
-কি! আসিফ ভাইয়া?
আসিফ আর লীলাবতী বিস্ময় নিয়ে দুজন দুজনের দিকে কয়েক ন্যানো সেকেন্ড তাকিয়ে রইল, তার পর এক সাথে হেসে উঠলো।
আসিফ হাতটা বাড়িয়ে দিল লীলাবতীর দিকে " হাত ধর পাকু"
লীলাবতী দাত কটমট করে বলল, "আমি পাকু না মিষ্টার" তারপর হাতটা তুলে দিল আসিফের হাতে!
"ামি এই নাগরিকের একজন লীলাবতী হতে চাই!"
শত আশা আর বিস্ময় নিয়ে লীলাবতী আসিফ্র দিকে তাকালো।
"ওনেক আগে থেকেই লীলাবতী এই নাগরিকের, হারিয়ে গিয়েছিল আর সময় আজ তা ফিরিয়ে দিল নাগরিককে" আসিফ হেসে বলল।
-আসিফ, তুমি এতো লম্বু কেন?
-ঐ আমি তোর বড় না? ভাইয়া বল।
-ভাগো.… :v
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
তুষার রায় ২৩/০৩/২০১৫কথোপকথন......আহা চলুক......
-
হৃদয় ২০/০৩/২০১৫ভালো লাগছে... বেপুক ভালো লাগছে...
-
রূপক বিধৌত সাধু ০৬/০৩/২০১৫বেশ তো! মিলন হয়ে গেলো ।
-
সবুজ আহমেদ কক্স ০৬/০৩/২০১৫ভালো লাগলো,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
-
সুব্রত সামন্ত (বুবাই) ০৬/০৩/২০১৫:v এটা কি ?
-
অভিজিৎ ব্ড়ুয়া ০৫/০৩/২০১৫বেশ ভাল লেগেছে।
-
হোসাইন ফরহাদ ০৫/০৩/২০১৫ভাল লাগসে।
-
মাসুম আহমেদ ০৫/০৩/২০১৫ভাল হয়েছে ...
-
জাহিদুর রহমান ০৫/০৩/২০১৫বেশ বেশ ভাল।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০৫/০৩/২০১৫হাহাহহ। দারুন। শুভ সকাল।