বায়োস্কোপের শহরে (প্রথম পর্ব)
-এইসব কি?
-কি?
-তুমি আবারো আওয়াজ করে চা খাচ্ছো?
-কি করব পুরনো অভ্যাস, বললেই ত বদলানো যায়না।
-আওয়াজ না করে ত চা খাওয়া যায়,
কি যায়না?
-যায় কিন্তু প্রতিটা চুমুকে আওয়াজ করে খাওয়ার যে মজা ঐটা পাওয়া যাবেনা।
-উফফ তোমাকে manner শেখাতে শেখাতে ই বিয়ের ৩ বছর কেটে গেল।
-হেহেহে।
-হাসবানা বলে দিলাম।
-আচ্ছা ঠিকাছে। তুমি আমাকে দুইটা বিস্কিট
দিয়ে যাও চায়ে চুবিয়ে চুবিয়ে খাই।
-কিচ্ছু পাবানা, এই চা টা শেষ
করে বাজারে যাও। অফিস বন্ধ পেলেই হল সারাদিন
একেক ফরমায়েশ থাকে তোমার।
রাতুল চা টা শেষ করে বাজারের লিষ্ট টা পকেটে ঢুকিয়ে হাটা দিল। শ্রাবন্তী আর রাতুল ভালবেসে ৩ বছর আগে বিয়ে করে যদিও দুই পরিবারের সম্মতিক্রমেই বিয়ে টা হয়।
তবে ৩ বছরেও রাতুল আর শ্রাবন্তীর কোন বাচ্চা হয়নি। শত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে রাতুল আর শ্রাবন্তীর অবশেষে রাতুল আর শ্রাবন্তী মেডিক্যাল চেকআপ করায়।
সমস্যাটা শ্রাবন্তীর। ও কখনো মা হতে পারবেনা। রাতুল এর জগৎ সংসারটা এই কথা শুনে নিমিষেই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। কত স্বপ্ন এঁকেছিল ওরা দুজন ওদের বাচ্চা নিয়ে। এমনকি শ্রাবন্তী ছেলে হবে ভেবে রাতুলের নামের সাথে মিল করে নামও ঠিক করে রেখেছিল, প্রতুল। আর রাতুল চেয়েছিল শ্রাবন্তীর
মতো মিষ্টি একটা মেয়ে আর নামটাও মিষ্টি, অবন্তী।
সেই দিন থেকে আজ অবদি এক নির্মম
সত্যকে একলা বুকে বয়ে বেরাচ্ছে রাতুল। রিপোর্ট
সম্পর্কে সবাইকে বলেছে কোন সমস্যা নেই কিছু কিছু
দম্পতি মা বা একটু দেরিতে হয়।
-হ্যালো।
-হ্যা বলো।
-কই তুমি?
-বাজারে আসলাম ত।
-ও শোন সাবধানে থেকো, রাস্তা ঘাটের
অবস্থা ভালো না।
-হাহাহা আচ্ছা মালকিন।
-তাড়াতাড়ি এসো।
-জো হুকুম মালকিন ।
মোবাইলে এলার্ম বেজে উঠল। "আজ কত তারিখ ?
ইশ!!!!! আজ ৩ রা ফেব্রুয়ারি। শীট ভুলেই গিয়েছে,
আজ ত আমি প্রথম শ্রাবন্তী কে প্রোপোজ
করেছিলাম।"
মনে মনে রাতুল বলতে লাগলো। বাজার
থেকে বেড়িয়ে মেইন রোডটার বিপরীতে ফুলের
দোকানে ঢুকল। এক তোড়া রজনীগন্ধা আর ৪
টা গোলাপ নিল রাতুল। দোকান থেকে বেড়োতেই একটা মিছিল থেকে ককটেল মারা হল ফুলের দোকানটায়, মুহূর্তেই চারপাশ ধোয়ায় অন্ধকার নেমে এলো।
সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত সাড়ে ৮ টা, রাতুলের
অপেক্ষায় শ্রাবন্তী বেলাকনি টাতে বসে আছে।
উকি দিয়ে গলির মাথায় বারবার তাকাচ্ছে রাতুল
এলো কিনা দেখতে। শ্রাবন্তী আজ নীল রঙের
শাড়ি পড়েছে, এই শাড়িটা রাতুলের দেয়া বিয়ের
পরের প্রথম গিফট। রাতুল প্রতিবছর এই
দিনে শাড়িটা পড়তে বলেছে শ্রাবন্তীকে।
অসম্ভব রূপবতী লাগছে শ্রাবন্তী কে। কিন্তু যার
জন্য এই আয়োজন সেই মানুষটার আসার নাম নেই।
মোবাইলের কলটাও রিসিভ করছে না।
শ্রাবন্তী বাসা থেকে নেমে গলির মাথায় গেল,
দুশ্চিন্তা যেন ঝাক বেধেঁ ধরেছে শ্রাবন্তী কে।
গলির মাথায় যেতেই পাশের ফ্ল্যাটের ছোট
ছেলেটাকে দেখল শ্রাবন্তী।
ওকে ডাক দিল।
-তুষার এদিকে আসো ত।
-জি আপু?
-তোমার ভাইয়াকে দেখছো তুমি?
-বিকেলে দেখেছিলাম।
-কোথায়?
-মেইন রোডের বিপরীতে থাকা ফুলের
দোকানে ডুকতেছে, ভাইয়া আসেনাই আপু?
-নাহ, তুমি একটু আমার সাথে যাবে? ওকে একটু
খুঁজবো।
-ফোন দিয়েছেন?
-হ্যাঁ, রিং হয় কেউ ধরেনা।
-আচ্ছা চলেন।
চলবে…
-কি?
-তুমি আবারো আওয়াজ করে চা খাচ্ছো?
-কি করব পুরনো অভ্যাস, বললেই ত বদলানো যায়না।
-আওয়াজ না করে ত চা খাওয়া যায়,
কি যায়না?
-যায় কিন্তু প্রতিটা চুমুকে আওয়াজ করে খাওয়ার যে মজা ঐটা পাওয়া যাবেনা।
-উফফ তোমাকে manner শেখাতে শেখাতে ই বিয়ের ৩ বছর কেটে গেল।
-হেহেহে।
-হাসবানা বলে দিলাম।
-আচ্ছা ঠিকাছে। তুমি আমাকে দুইটা বিস্কিট
দিয়ে যাও চায়ে চুবিয়ে চুবিয়ে খাই।
-কিচ্ছু পাবানা, এই চা টা শেষ
করে বাজারে যাও। অফিস বন্ধ পেলেই হল সারাদিন
একেক ফরমায়েশ থাকে তোমার।
রাতুল চা টা শেষ করে বাজারের লিষ্ট টা পকেটে ঢুকিয়ে হাটা দিল। শ্রাবন্তী আর রাতুল ভালবেসে ৩ বছর আগে বিয়ে করে যদিও দুই পরিবারের সম্মতিক্রমেই বিয়ে টা হয়।
তবে ৩ বছরেও রাতুল আর শ্রাবন্তীর কোন বাচ্চা হয়নি। শত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে রাতুল আর শ্রাবন্তীর অবশেষে রাতুল আর শ্রাবন্তী মেডিক্যাল চেকআপ করায়।
সমস্যাটা শ্রাবন্তীর। ও কখনো মা হতে পারবেনা। রাতুল এর জগৎ সংসারটা এই কথা শুনে নিমিষেই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। কত স্বপ্ন এঁকেছিল ওরা দুজন ওদের বাচ্চা নিয়ে। এমনকি শ্রাবন্তী ছেলে হবে ভেবে রাতুলের নামের সাথে মিল করে নামও ঠিক করে রেখেছিল, প্রতুল। আর রাতুল চেয়েছিল শ্রাবন্তীর
মতো মিষ্টি একটা মেয়ে আর নামটাও মিষ্টি, অবন্তী।
সেই দিন থেকে আজ অবদি এক নির্মম
সত্যকে একলা বুকে বয়ে বেরাচ্ছে রাতুল। রিপোর্ট
সম্পর্কে সবাইকে বলেছে কোন সমস্যা নেই কিছু কিছু
দম্পতি মা বা একটু দেরিতে হয়।
-হ্যালো।
-হ্যা বলো।
-কই তুমি?
-বাজারে আসলাম ত।
-ও শোন সাবধানে থেকো, রাস্তা ঘাটের
অবস্থা ভালো না।
-হাহাহা আচ্ছা মালকিন।
-তাড়াতাড়ি এসো।
-জো হুকুম মালকিন ।
মোবাইলে এলার্ম বেজে উঠল। "আজ কত তারিখ ?
ইশ!!!!! আজ ৩ রা ফেব্রুয়ারি। শীট ভুলেই গিয়েছে,
আজ ত আমি প্রথম শ্রাবন্তী কে প্রোপোজ
করেছিলাম।"
মনে মনে রাতুল বলতে লাগলো। বাজার
থেকে বেড়িয়ে মেইন রোডটার বিপরীতে ফুলের
দোকানে ঢুকল। এক তোড়া রজনীগন্ধা আর ৪
টা গোলাপ নিল রাতুল। দোকান থেকে বেড়োতেই একটা মিছিল থেকে ককটেল মারা হল ফুলের দোকানটায়, মুহূর্তেই চারপাশ ধোয়ায় অন্ধকার নেমে এলো।
সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত সাড়ে ৮ টা, রাতুলের
অপেক্ষায় শ্রাবন্তী বেলাকনি টাতে বসে আছে।
উকি দিয়ে গলির মাথায় বারবার তাকাচ্ছে রাতুল
এলো কিনা দেখতে। শ্রাবন্তী আজ নীল রঙের
শাড়ি পড়েছে, এই শাড়িটা রাতুলের দেয়া বিয়ের
পরের প্রথম গিফট। রাতুল প্রতিবছর এই
দিনে শাড়িটা পড়তে বলেছে শ্রাবন্তীকে।
অসম্ভব রূপবতী লাগছে শ্রাবন্তী কে। কিন্তু যার
জন্য এই আয়োজন সেই মানুষটার আসার নাম নেই।
মোবাইলের কলটাও রিসিভ করছে না।
শ্রাবন্তী বাসা থেকে নেমে গলির মাথায় গেল,
দুশ্চিন্তা যেন ঝাক বেধেঁ ধরেছে শ্রাবন্তী কে।
গলির মাথায় যেতেই পাশের ফ্ল্যাটের ছোট
ছেলেটাকে দেখল শ্রাবন্তী।
ওকে ডাক দিল।
-তুষার এদিকে আসো ত।
-জি আপু?
-তোমার ভাইয়াকে দেখছো তুমি?
-বিকেলে দেখেছিলাম।
-কোথায়?
-মেইন রোডের বিপরীতে থাকা ফুলের
দোকানে ডুকতেছে, ভাইয়া আসেনাই আপু?
-নাহ, তুমি একটু আমার সাথে যাবে? ওকে একটু
খুঁজবো।
-ফোন দিয়েছেন?
-হ্যাঁ, রিং হয় কেউ ধরেনা।
-আচ্ছা চলেন।
চলবে…
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অ ২৮/০২/২০১৫চলুক ।
-
সবুজ আহমেদ কক্স ২৭/০২/২০১৫পরবর্তী অংশ ও পড়তে চাই............।
-
সহিদুল ইসলাম ২৭/০২/২০১৫করুন। মেরে ফেলবেন না কি?
-
নাহিদ হাসান ২৬/০২/২০১৫ভাল লেগেছে, লিখতে থাকুন।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ২৬/০২/২০১৫চলতে থাকুক। ভালো লাগবে অবশ্যই। আপনার লেখা বলে কথা......