শেষ বিকেলের আলো
মোবাইলের ভাইব্রেশনে পুরো খাটটা কেপে উঠছে অথচ প্রলয়ের কোন হুশ নেই, মুখের দরজাটা খোলা রেখে গভীর ঘুমে উপড় হয় শুয়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছে ইশ! বেচারা হয়ত গত ৩ মাস যাবৎ ঘুমায়্না তাই এভাবে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে।
এই দিকে প্রায় ৩৭ বার কল করার পর প্রলয় মোবাইল না ধরায় মেজাজ খারাপ করে মোবাইলের সুইচটাই অফ করে রেখেছে নবনিতা। সকাল ১২ টা, সকাল বলছি কেননা প্রলয়ের কাছে ও যতক্ষন ঘুম থেকে না উঠবে ততক্ষন সকাল হবেনা। প্রলয় মনে করে সপ্তাহের এইতো একটা দিন যেদিন আয়েশ করে একটু বেলা করে ঘুমানো যায় কিন্ত তার এই স্বাদের ঘুমটাতে প্রতিবারেই ব্যাঘাত ঘটায় নবনিতা নামের দুষ্ট মেয়েটা। কলেজেতো জালায়-ই, বাসাতেও শান্তি দেয়না মেয়েটা ওর কারণেই ইদানিং মোবাইল সাইলেন্ট করে রাখে প্রলয়। হাত মুখ ধুয়ে এসে মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখে নবনিতা ৩৭টা মিসকল, আজকে অবস্থা খারাপ হবে প্রলয়ের শেষ গত রোববারে এমনটা হইছিল পরে অনেক কষ্টে রাগ ভাঙাতে হইছিলো নবনিতার।
-হ্যালো ভদ্র মেয়ে?
-কিরে ফাজিল মোবাইল কি চান্দে রাইখা ঘুমাস
-ছি! সামান্য চাদ? পৃথিবীর এই বিশাল জায়গা থাকতে চাদে কেন মোবাইল রাখমু বল? ও নিজেই তো সূর্য মামার থেকে ধার করে চলে আমারটা আর কি রাখবে? দেখা যাবে আমার মোবাইলটাও তার ধার করার কাজে লাগাবে...
-রাখ তোর প্যাচাল। শোন বিকেল ৪টার দিকে আমাদের বাড়ির পাশে যেই মাঠটা আছে ঐখানে আসিসতো।
-কেন কি দরকারে?
-আসতে বলছি আসবি, এতো কথা কিসের?
- না আসমু না…
-পিটাইয়া হাড্ডি ভাইঙা দিব ফাজিল পোলা।
-হে হে! ঐ চিকু তুই আমার হাড্ডি ভাঙবি? হেবি মজবুত হাড্ডি, ফেভিকলের মজবুতি…
-শুন মেজাজ খারাপ করবি না ৪টার একটু হেরফের হবে তো তোমার খবর আছে হরলিক্স বয়।
-অ্যা! এইটা আবার কি নতুন নাম যোগ করলি?
-আরে ফন্টে সব তোমার বুঝা লাগবে না!
-দারা আগে ঠিক কর আমি প্রলয় না হরলিক্স বয় না ফন্টে?
-তুই হইলি অল ইন ওয়ান।
-ওকে জাদু মনি। হোহো (কৃত্তিম হাসি এটার একটা নাম আছে, পিত্তি জলানো হাসি এই নামটা নবনিতার দেয়া, নবনিতাকে প্রায় ক্ষেপাতে প্রলয় এই হাসি ব্যাবহার করে তবে সামনা সামনি না কেননা এতে মাইর খাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা আছে তাই মোবাইলটাই এই হাসির জন্যে শ্রেয়)
-শায়তান…
বন্ধুত্ত্বের প্রথম থেকেই প্রলয় নবনিতার প্রেমে হাবু ডুবি খাচ্ছে অথচ আজো বলেনি মনের কথাটা নবনিতাকে, পুরো ক্যাম্পাস জানে অথচ যার জানার কথা সেই মানুষটাই জানেনা, হয়ত জানে। জেনেও না জানার ভান করে। এতো ভালো বন্ধুত্তটাকে প্রলয় হারাতে চায় না তাই সেও বলেনা নবনিতাকে।
নবনিতার একটা শাড়ি আছে হালকা হলুদ রঙের। সেই শাড়িটাতে ওকে অপরুপার মতো লাগে, প্রলয় তো চোখ সরাতেই পারেনা। হালকা সাজাতেই এই মেয়েটাকে এতো সুন্দরী লাগে, না জানি সাজলে কেমন লাগে! একদিন সেজে গুজে আসতে বলতে হবে নবনিতাকে-ভেবে রাখে প্রলয়। অনেক্ষন ধরে নবনিতার মোবাইলটায় ফোন ঢুকাতে ট্রাই করছে প্রলয় কিন্তু ফোন অফ…
২.৩০ টার দিকে নবনিতা মোবাইল অন করে প্রথমেই প্রলয়কে ফোন দেয় কেননা নবনিতা জানে প্রলয় এতোক্ষন ওকে ট্রাই করেছে, এই ছেলেটা নবনিতাকে বুঝতে চেষ্টা করেনা, একটু বুঝতে চেষ্টা করেনা যে কেন নবনিতা তার এতো খেয়াল রাখে কেন এতো জালায় তাকে। কিছুদিন পরেই হয়ত নবনিতার বিয়ে হয়ে যাবে কিন্তু এই ছেলের কোন ভাবান্তর নেই, চেহারায় বিন্দু মাত্র চিন্তার ছাপ নেই। যখন ওকে বললো-বাড়িতে তো আমার বিয়ে নিয়ে খুব হৈ চৈ।
এইবার বোধহয় বিয়েটা করে ফেলতে হবে। প্রলয়ের সাধাসিধে জবাব-ভালোতো! তবে আমাকে কিন্তু সবার আগে দাওয়াত দিতে হবে হোহো(সেই পিত্তি জলানো হাসি)। সেদিনটা দুজনেই নিরব ছিলো। বাড়ি ফিরে নবনিতা খুব কেদেছে, কেন প্রলয় এমনটা বলল? কেন বলল না-" এই ভদ্র মেয়ে! তোমাকে কেবল আমি বিয়ে করব আর কেউ না, সুতরাং ঐ ক্যাবলাদের কথা ভুলে যাও আর এই আমাকে নিয়ে ভাবো, এখন তোমার হাতটা দাও আমি কিছুক্ষন ধরব" আর তখন নবনিতা প্রলয়ের কাধে মাথা রেখে অঝরে কেদে যাবে আর বলবে "ফাজিল তুই আমাকে এতো ভালোবাসিস কিন্তু বলিস না কেন?" কিন্তু এগুলো সবই কল্পনা! নবনিতা জানেনা এগুলো বাস্তবে হবে কিনা।
-হ্যালো
-হ্যা কিরে ভদ্র মেয়ে তোর ফোন অফ কেন?
-এখন একটু আমার বাসার সামনে আসবি?
-ঠিক আছে আসতেছি।
মাঠের বেঞ্চে বসে আছে নবনিতা হাতে লাল রঙের একটা খাম, সামনেই দাড়িয়ে আছে প্রলয়। নবনিতার চোখে পানি আর তা দেখে প্রলয় হতভম্ব! কারণ এর আগে নবনিতাকে প্রলয় এভাবে কাদতে দেখেনি, যেন একটি বাচ্চা মেয়ে ফুপিয়ে কাদতে চাচ্ছে অথচ পারছেনা। প্রলয় বুঝতে পারছেনা কি করবে, প্রলয় নবনিতার মাথায় হাত দিতেই নবনিতা জোরে কেদে উঠল…
প্রলয় ওকে সান্তনা দিতে দিতে বলল-" আমার ভদ্র মেয়েটা কাদছে কেন?কি হয়েছে?" নবনিতা কিছু না বলে লাল খাম আর একটা ভাজ করা সাদা পৃষ্টার চিঠি দিয়ে দ্রুত চলে গেলো। বেন্ঞ্জে বসে লাল খামটা আগে খুলো- খুলেই প্রলেয়ের মাথায় যেন বাজ পড়ল! এটা সাধারন খাম নয়! নবনিতার বিয়ের ইনভেটেশনের কার্ড! আসলে স্বপ্ন কিনা বুঝে উঠতে পারছেনা প্রলয়! ভাজ করা খামটা খুলল প্রলয়- সেখানে লেখা -
" প্রলয় জানিস আজ তকে জড়িয়ে ধরে খুব কাদতে ইচ্ছে করছে, আজ কেন জানি তোর কাধে মাথা রাখতে ইচ্ছে করছে, তোর হাতে হাত রেখে দুরে কোথাও চলে যেতে ইচ্ছে করছে! আচ্ছা বলত কেন এতো ভালোবাসলাম তোকে? কি আছে তোর মাঝে যা আমাকে এতো আকর্ষন করল? তুই তো কখনো বললিনা আমাকে ভালোবাসিস কিনা, পুরো ক্যাম্পাসের মানুষ জানল অথচ তুই জানাতে পারলিনা? খুব ভালোবাসি রে তোকে ফাজিল। তুই না আমার বিয়ের দাওয়াত আগে চেয়েছিলি? তাই সবার আগে তোকেই দিয়ে গেলাম। ভালো থাকিস"
রলয়ের পুরো দুনিয়া যেন ওলট পালট হয়ে গেল! কি হচ্ছে এসব! কেন হচ্ছে এসব! প্রলয় ভাবতেই পারছেনা নবনিতা অন্যকার হয়ে যাবে! চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসছে, চোখের পানি আর আটকে রাখতে পারলনা প্রলয়! শেষ বিকেলের অস্ত যাওয়া সুর্যের আলো এসে পরছে মাঠের পাশে থাকা পুকুরটায়…আসতে আসতে আলো নিভে যাচ্ছে, নামছে আধার শেষ বিকেলের আলো সাক্ষী হয়ে রইলো আরো একটি অব্যাক্ত করা ভালোবাসার!
এই দিকে প্রায় ৩৭ বার কল করার পর প্রলয় মোবাইল না ধরায় মেজাজ খারাপ করে মোবাইলের সুইচটাই অফ করে রেখেছে নবনিতা। সকাল ১২ টা, সকাল বলছি কেননা প্রলয়ের কাছে ও যতক্ষন ঘুম থেকে না উঠবে ততক্ষন সকাল হবেনা। প্রলয় মনে করে সপ্তাহের এইতো একটা দিন যেদিন আয়েশ করে একটু বেলা করে ঘুমানো যায় কিন্ত তার এই স্বাদের ঘুমটাতে প্রতিবারেই ব্যাঘাত ঘটায় নবনিতা নামের দুষ্ট মেয়েটা। কলেজেতো জালায়-ই, বাসাতেও শান্তি দেয়না মেয়েটা ওর কারণেই ইদানিং মোবাইল সাইলেন্ট করে রাখে প্রলয়। হাত মুখ ধুয়ে এসে মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখে নবনিতা ৩৭টা মিসকল, আজকে অবস্থা খারাপ হবে প্রলয়ের শেষ গত রোববারে এমনটা হইছিল পরে অনেক কষ্টে রাগ ভাঙাতে হইছিলো নবনিতার।
-হ্যালো ভদ্র মেয়ে?
-কিরে ফাজিল মোবাইল কি চান্দে রাইখা ঘুমাস
-ছি! সামান্য চাদ? পৃথিবীর এই বিশাল জায়গা থাকতে চাদে কেন মোবাইল রাখমু বল? ও নিজেই তো সূর্য মামার থেকে ধার করে চলে আমারটা আর কি রাখবে? দেখা যাবে আমার মোবাইলটাও তার ধার করার কাজে লাগাবে...
-রাখ তোর প্যাচাল। শোন বিকেল ৪টার দিকে আমাদের বাড়ির পাশে যেই মাঠটা আছে ঐখানে আসিসতো।
-কেন কি দরকারে?
-আসতে বলছি আসবি, এতো কথা কিসের?
- না আসমু না…
-পিটাইয়া হাড্ডি ভাইঙা দিব ফাজিল পোলা।
-হে হে! ঐ চিকু তুই আমার হাড্ডি ভাঙবি? হেবি মজবুত হাড্ডি, ফেভিকলের মজবুতি…
-শুন মেজাজ খারাপ করবি না ৪টার একটু হেরফের হবে তো তোমার খবর আছে হরলিক্স বয়।
-অ্যা! এইটা আবার কি নতুন নাম যোগ করলি?
-আরে ফন্টে সব তোমার বুঝা লাগবে না!
-দারা আগে ঠিক কর আমি প্রলয় না হরলিক্স বয় না ফন্টে?
-তুই হইলি অল ইন ওয়ান।
-ওকে জাদু মনি। হোহো (কৃত্তিম হাসি এটার একটা নাম আছে, পিত্তি জলানো হাসি এই নামটা নবনিতার দেয়া, নবনিতাকে প্রায় ক্ষেপাতে প্রলয় এই হাসি ব্যাবহার করে তবে সামনা সামনি না কেননা এতে মাইর খাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা আছে তাই মোবাইলটাই এই হাসির জন্যে শ্রেয়)
-শায়তান…
বন্ধুত্ত্বের প্রথম থেকেই প্রলয় নবনিতার প্রেমে হাবু ডুবি খাচ্ছে অথচ আজো বলেনি মনের কথাটা নবনিতাকে, পুরো ক্যাম্পাস জানে অথচ যার জানার কথা সেই মানুষটাই জানেনা, হয়ত জানে। জেনেও না জানার ভান করে। এতো ভালো বন্ধুত্তটাকে প্রলয় হারাতে চায় না তাই সেও বলেনা নবনিতাকে।
নবনিতার একটা শাড়ি আছে হালকা হলুদ রঙের। সেই শাড়িটাতে ওকে অপরুপার মতো লাগে, প্রলয় তো চোখ সরাতেই পারেনা। হালকা সাজাতেই এই মেয়েটাকে এতো সুন্দরী লাগে, না জানি সাজলে কেমন লাগে! একদিন সেজে গুজে আসতে বলতে হবে নবনিতাকে-ভেবে রাখে প্রলয়। অনেক্ষন ধরে নবনিতার মোবাইলটায় ফোন ঢুকাতে ট্রাই করছে প্রলয় কিন্তু ফোন অফ…
২.৩০ টার দিকে নবনিতা মোবাইল অন করে প্রথমেই প্রলয়কে ফোন দেয় কেননা নবনিতা জানে প্রলয় এতোক্ষন ওকে ট্রাই করেছে, এই ছেলেটা নবনিতাকে বুঝতে চেষ্টা করেনা, একটু বুঝতে চেষ্টা করেনা যে কেন নবনিতা তার এতো খেয়াল রাখে কেন এতো জালায় তাকে। কিছুদিন পরেই হয়ত নবনিতার বিয়ে হয়ে যাবে কিন্তু এই ছেলের কোন ভাবান্তর নেই, চেহারায় বিন্দু মাত্র চিন্তার ছাপ নেই। যখন ওকে বললো-বাড়িতে তো আমার বিয়ে নিয়ে খুব হৈ চৈ।
এইবার বোধহয় বিয়েটা করে ফেলতে হবে। প্রলয়ের সাধাসিধে জবাব-ভালোতো! তবে আমাকে কিন্তু সবার আগে দাওয়াত দিতে হবে হোহো(সেই পিত্তি জলানো হাসি)। সেদিনটা দুজনেই নিরব ছিলো। বাড়ি ফিরে নবনিতা খুব কেদেছে, কেন প্রলয় এমনটা বলল? কেন বলল না-" এই ভদ্র মেয়ে! তোমাকে কেবল আমি বিয়ে করব আর কেউ না, সুতরাং ঐ ক্যাবলাদের কথা ভুলে যাও আর এই আমাকে নিয়ে ভাবো, এখন তোমার হাতটা দাও আমি কিছুক্ষন ধরব" আর তখন নবনিতা প্রলয়ের কাধে মাথা রেখে অঝরে কেদে যাবে আর বলবে "ফাজিল তুই আমাকে এতো ভালোবাসিস কিন্তু বলিস না কেন?" কিন্তু এগুলো সবই কল্পনা! নবনিতা জানেনা এগুলো বাস্তবে হবে কিনা।
-হ্যালো
-হ্যা কিরে ভদ্র মেয়ে তোর ফোন অফ কেন?
-এখন একটু আমার বাসার সামনে আসবি?
-ঠিক আছে আসতেছি।
মাঠের বেঞ্চে বসে আছে নবনিতা হাতে লাল রঙের একটা খাম, সামনেই দাড়িয়ে আছে প্রলয়। নবনিতার চোখে পানি আর তা দেখে প্রলয় হতভম্ব! কারণ এর আগে নবনিতাকে প্রলয় এভাবে কাদতে দেখেনি, যেন একটি বাচ্চা মেয়ে ফুপিয়ে কাদতে চাচ্ছে অথচ পারছেনা। প্রলয় বুঝতে পারছেনা কি করবে, প্রলয় নবনিতার মাথায় হাত দিতেই নবনিতা জোরে কেদে উঠল…
প্রলয় ওকে সান্তনা দিতে দিতে বলল-" আমার ভদ্র মেয়েটা কাদছে কেন?কি হয়েছে?" নবনিতা কিছু না বলে লাল খাম আর একটা ভাজ করা সাদা পৃষ্টার চিঠি দিয়ে দ্রুত চলে গেলো। বেন্ঞ্জে বসে লাল খামটা আগে খুলো- খুলেই প্রলেয়ের মাথায় যেন বাজ পড়ল! এটা সাধারন খাম নয়! নবনিতার বিয়ের ইনভেটেশনের কার্ড! আসলে স্বপ্ন কিনা বুঝে উঠতে পারছেনা প্রলয়! ভাজ করা খামটা খুলল প্রলয়- সেখানে লেখা -
" প্রলয় জানিস আজ তকে জড়িয়ে ধরে খুব কাদতে ইচ্ছে করছে, আজ কেন জানি তোর কাধে মাথা রাখতে ইচ্ছে করছে, তোর হাতে হাত রেখে দুরে কোথাও চলে যেতে ইচ্ছে করছে! আচ্ছা বলত কেন এতো ভালোবাসলাম তোকে? কি আছে তোর মাঝে যা আমাকে এতো আকর্ষন করল? তুই তো কখনো বললিনা আমাকে ভালোবাসিস কিনা, পুরো ক্যাম্পাসের মানুষ জানল অথচ তুই জানাতে পারলিনা? খুব ভালোবাসি রে তোকে ফাজিল। তুই না আমার বিয়ের দাওয়াত আগে চেয়েছিলি? তাই সবার আগে তোকেই দিয়ে গেলাম। ভালো থাকিস"
রলয়ের পুরো দুনিয়া যেন ওলট পালট হয়ে গেল! কি হচ্ছে এসব! কেন হচ্ছে এসব! প্রলয় ভাবতেই পারছেনা নবনিতা অন্যকার হয়ে যাবে! চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসছে, চোখের পানি আর আটকে রাখতে পারলনা প্রলয়! শেষ বিকেলের অস্ত যাওয়া সুর্যের আলো এসে পরছে মাঠের পাশে থাকা পুকুরটায়…আসতে আসতে আলো নিভে যাচ্ছে, নামছে আধার শেষ বিকেলের আলো সাক্ষী হয়ে রইলো আরো একটি অব্যাক্ত করা ভালোবাসার!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জাহিদুর রহমান ০৬/০২/২০১৫চমৎকার
-
রূপক বিধৌত সাধু ০৪/০২/২০১৫একটি ব্যর্থ প্রেমের কাহিনী । ব্যর্থতারও প্রকারভেদ আছে । শুরুটা সুন্দর হলেও শেষটা দুর্বল মনে হল । শুভ কামনা ।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০৩/০২/২০১৫কোনো কিছু বলবো না। শুধু বলি প্রিয়তে রেখে দিলাম। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
-
সবুজ আহমেদ কক্স ০৩/০২/২০১৫ভালো লাগলো..................
-
মোস্তফা মনোয়ার আকিব ০২/০২/২০১৫শুভেচ্ছা, ভাল লাগল
-
সবুজ আহমেদ কক্স ০২/০২/২০১৫শুভেচ্ছা.....................
-
ফাগুনের পলাশ ০২/০২/২০১৫গল্প ভাল হয়েছে।
-
সুব্রত দাশ আপন ০২/০২/২০১৫দারুন গল্প লিখেছেন বেশ ভালো লাগলো।