নীলপরী
-ভাইয়া আপনাকে আমার খুব ভালো লাগে।
-তাই? তাহলে দুলাভাই ডাক।
-আমার তো কোন বোন নাই।
-ঐ যে সামনের ছয় তলা বিল্ডিংটা দেখছিস?
-হা দেখছি।
-এবার ছাদের দিকে তাকা, দেখ নীল জামা পরা একটা মেয়ে।
দেখছিস?
-হা দেখছি।
-ঐটা তোর বোন।
-কে বলল?
-আমি বলছি।
-বোন পছন্দ হয় নাই।
-কেন সমস্যা কি?
মেয়েটা তো দেখতে ভালই, পরীর মত।
-আমার বোন কিভাবে হবে বলেন! আমি হলাম শ্যামলা কালো আর ঐ মেয়েটা হচ্ছে ফর্সা, চলবেনা।
-আরে ও তো আর তোর সত্যিকারেরবোন না, শুধু আমাকে দুলাভাই ডাকার জন্যে ও তোর বোন।
-(হতাশ হয়ে) এভাবে যদি বড় ভাইয়েরা ছোট ভাইয়ের চয়েজে নযর দেয় তো কিভাবে চলব।
-ফুচুর ফুচুর করে কি বলিস? জোরে বল।
-ভাই একটা ত্যাগ করেন আমার জন্যে।
-কি ত্যাগ বল।
-ঐ নীল পরীকে ভুইলা যান।
-কেন?
-আমি গত ২ সপ্তাহ ধইরা মেয়েটার সাথে ভাব জমানোর ট্রাই করতাছি।
-কেন?
-আই এম ইন লাভ ভাইয়া।
-কস কী!! বয়স কতরে তোর?
-দারান হিসেব করে নেই, তেরো বছর ৮ মাস আর কিছুদিন পর ৯ আ পা দিব।
-ঐ মেয়ের বয়স কত জানিস?
-কত আর হবে, ১৭ বা ১৮।
-পুচকা তোর কত বড় দেখছস?
-তাতে কি! প্রেম মানেনা ছোট বড়।
এমন সময় পাশের বাড়ীর নীল পরী হাত
নেড়ে শোভনকে ডাকছে…
-শোভন, এ্যাই শোভন।
শোভন এক গাল হেসে আমাকে ইশারা দিতে দিতে বলল-
-ভাইয়া দেখছেন জান পাখি ডাকছে আমাকে…
আমি তো পুরাই থ! আমার কপালটাই
পুড়া, যে পুলাপাইন গো হইতে দেখলাম তারাও মাইয়া পটায়া ফেলায় আর আমি!!
এইসব ভাবতে ভাবতে ছাদ থেকে নেমে এলাম।
২দিন পর.…
হরতালে কলেজ আর কোচিং দুইটাই অফ তাই বিকেলটা ফ্রী থাকায় চলে এলাম ছাদে।
ছাদে উঠে দেখি শোভন চুপচাপ বসে আছে। আমি ওর পাশে বসতে বসতে বললাম
-কীরে তোর না এক্সাম চলছে? তা কেমন দিচ্ছিস?
হঠাৎ পাশ থেকে আমার নাম ধরে ডাকার আওয়াজ পেলাম, কেউ আমার নাম ধরে ডাকছে।স্বরটা খুব চেনা চেনা, আগেও শুনেছি। এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলাম নীলপরী ডাকছে। আজো নীল জামা পরা।
-এ্যাই যে, অমি ভাইয়া।
আমি বসা থেকে দাড়িয়ে জবাব দিলাম।
-বল নীলপরী।
-নীলপরীটা কে?
-কেন তুমি।
-হাহা।
ভাইয়া শোভনকে একটা জিনিস দিয়েছিলাম আপনাকে দিতে।
ঐটা পেয়েছেন?
-কি জিনিস?
-পাননি?
-না তো।
কোমরে দু হাত রেখে চিৎকার করে শোভনকে উদ্দেশ্য করে নীলপরী বলল।
-শোভন
তুমি দাওনি ওটা অমি ভাইয়াকে?
শোভন একটু উদাস হয়ে বলল-
-না ভুলে গেছিলাম, আমার পকেটেই আছে দিচ্ছি।
শোভন পকেট থেকে একটি রঙিন খাম বের করল আর নীলপরীকে বলল।
-তমা আপু চকলেট গুলি আমি খেয়ে ফেলছি আর কাচের যে গিফটটা ছিল ঐটা আমার স্কুলের বন্ধুর হাত থেকে পড়ে ভেঙ্গে গেছে।
খামটা হালকা খোলা অর্থ্যাৎ শোভন চিঠিটা খুলেছে এবং পড়েছে, খামটা আমার হাতে তুলে দিয়ে শোভন ভো দৌড়
দিল আর নীলপরীও এক ঝলক হাসি দিয়ে চলে গেল। খামের
ভিতর একটা কাগজ উকি দিচ্ছে।
শোভনের ভো মার্কা দৌড় আর নীলপরীর এত সুইট এক ঝলক হাসির রহস্যর সমাধান এই চিঠিতে আছে, এখন চিঠিটা খুলব নাকি না খুলেই ফেলে দিব?
কী লিখেছে নীলপরী এই কাগজ
নামক চিঠিতে? প্রেম প্রস্তাব?
আমি তো দেখতেও ততোটা ইয়ে না মানে স্মার্ট না।
তবে সব কথার এক কথা আমার হাতে নীলপরী কর্তৃক
দেয়া একটি কাগজ নামক চিঠি.…
-তাই? তাহলে দুলাভাই ডাক।
-আমার তো কোন বোন নাই।
-ঐ যে সামনের ছয় তলা বিল্ডিংটা দেখছিস?
-হা দেখছি।
-এবার ছাদের দিকে তাকা, দেখ নীল জামা পরা একটা মেয়ে।
দেখছিস?
-হা দেখছি।
-ঐটা তোর বোন।
-কে বলল?
-আমি বলছি।
-বোন পছন্দ হয় নাই।
-কেন সমস্যা কি?
মেয়েটা তো দেখতে ভালই, পরীর মত।
-আমার বোন কিভাবে হবে বলেন! আমি হলাম শ্যামলা কালো আর ঐ মেয়েটা হচ্ছে ফর্সা, চলবেনা।
-আরে ও তো আর তোর সত্যিকারেরবোন না, শুধু আমাকে দুলাভাই ডাকার জন্যে ও তোর বোন।
-(হতাশ হয়ে) এভাবে যদি বড় ভাইয়েরা ছোট ভাইয়ের চয়েজে নযর দেয় তো কিভাবে চলব।
-ফুচুর ফুচুর করে কি বলিস? জোরে বল।
-ভাই একটা ত্যাগ করেন আমার জন্যে।
-কি ত্যাগ বল।
-ঐ নীল পরীকে ভুইলা যান।
-কেন?
-আমি গত ২ সপ্তাহ ধইরা মেয়েটার সাথে ভাব জমানোর ট্রাই করতাছি।
-কেন?
-আই এম ইন লাভ ভাইয়া।
-কস কী!! বয়স কতরে তোর?
-দারান হিসেব করে নেই, তেরো বছর ৮ মাস আর কিছুদিন পর ৯ আ পা দিব।
-ঐ মেয়ের বয়স কত জানিস?
-কত আর হবে, ১৭ বা ১৮।
-পুচকা তোর কত বড় দেখছস?
-তাতে কি! প্রেম মানেনা ছোট বড়।
এমন সময় পাশের বাড়ীর নীল পরী হাত
নেড়ে শোভনকে ডাকছে…
-শোভন, এ্যাই শোভন।
শোভন এক গাল হেসে আমাকে ইশারা দিতে দিতে বলল-
-ভাইয়া দেখছেন জান পাখি ডাকছে আমাকে…
আমি তো পুরাই থ! আমার কপালটাই
পুড়া, যে পুলাপাইন গো হইতে দেখলাম তারাও মাইয়া পটায়া ফেলায় আর আমি!!
এইসব ভাবতে ভাবতে ছাদ থেকে নেমে এলাম।
২দিন পর.…
হরতালে কলেজ আর কোচিং দুইটাই অফ তাই বিকেলটা ফ্রী থাকায় চলে এলাম ছাদে।
ছাদে উঠে দেখি শোভন চুপচাপ বসে আছে। আমি ওর পাশে বসতে বসতে বললাম
-কীরে তোর না এক্সাম চলছে? তা কেমন দিচ্ছিস?
হঠাৎ পাশ থেকে আমার নাম ধরে ডাকার আওয়াজ পেলাম, কেউ আমার নাম ধরে ডাকছে।স্বরটা খুব চেনা চেনা, আগেও শুনেছি। এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলাম নীলপরী ডাকছে। আজো নীল জামা পরা।
-এ্যাই যে, অমি ভাইয়া।
আমি বসা থেকে দাড়িয়ে জবাব দিলাম।
-বল নীলপরী।
-নীলপরীটা কে?
-কেন তুমি।
-হাহা।
ভাইয়া শোভনকে একটা জিনিস দিয়েছিলাম আপনাকে দিতে।
ঐটা পেয়েছেন?
-কি জিনিস?
-পাননি?
-না তো।
কোমরে দু হাত রেখে চিৎকার করে শোভনকে উদ্দেশ্য করে নীলপরী বলল।
-শোভন
তুমি দাওনি ওটা অমি ভাইয়াকে?
শোভন একটু উদাস হয়ে বলল-
-না ভুলে গেছিলাম, আমার পকেটেই আছে দিচ্ছি।
শোভন পকেট থেকে একটি রঙিন খাম বের করল আর নীলপরীকে বলল।
-তমা আপু চকলেট গুলি আমি খেয়ে ফেলছি আর কাচের যে গিফটটা ছিল ঐটা আমার স্কুলের বন্ধুর হাত থেকে পড়ে ভেঙ্গে গেছে।
খামটা হালকা খোলা অর্থ্যাৎ শোভন চিঠিটা খুলেছে এবং পড়েছে, খামটা আমার হাতে তুলে দিয়ে শোভন ভো দৌড়
দিল আর নীলপরীও এক ঝলক হাসি দিয়ে চলে গেল। খামের
ভিতর একটা কাগজ উকি দিচ্ছে।
শোভনের ভো মার্কা দৌড় আর নীলপরীর এত সুইট এক ঝলক হাসির রহস্যর সমাধান এই চিঠিতে আছে, এখন চিঠিটা খুলব নাকি না খুলেই ফেলে দিব?
কী লিখেছে নীলপরী এই কাগজ
নামক চিঠিতে? প্রেম প্রস্তাব?
আমি তো দেখতেও ততোটা ইয়ে না মানে স্মার্ট না।
তবে সব কথার এক কথা আমার হাতে নীলপরী কর্তৃক
দেয়া একটি কাগজ নামক চিঠি.…
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নাবিক ০৮/১১/২০১৪ভালো লাগলো।
-
রূপক বিধৌত সাধু ১৪/১০/২০১৪সুন্দর!
-
স্বপন রোজারিও(১) ০৩/১০/২০১৪সুন্দর হয়েছে।