হিরের আংটি
অবশ্যই গল্পটি পড়ে দেখবেন। খুব র্হদয়বিদারক ঘটনা। তাই সবাইকে পড়ার আহবান রইল। একজন মানুষ আর একজন মানুষকে কতটা ভালবাসতে পারে এটা তার দৃষ্টান্ত। দুনিয়ায় প্রেমিক প্রেমিকা বলতে আমরা শুধু লাইলি মজনু সিরি ফরহাদ এদের বুঝি। বা এদের তুলনা দিই। কিন্তু আমরা ভুলে যাই পৃথিবীতে যুগে যুগে অনেক প্রেমিক প্রেমিকা এসেছে এবং ভালবেসে তারা তাদের নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে গেছে। অথচ তাদের মনে রাখে কজনা। আমরা কিন্তু এখন আর বলিনা তাদের যে ভালবেসে জীবন দিয়ে গেছে। আমরা বলি এটা অপমৃৃত্যু।
যাই হোক গল্পের প্রথমে আমি দুজনের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি যাদের নিয়ে আমার আজকের এই আয়োজন। এটা রূপক হিসাবে লিখা তবে এর চেয়ে চরম বাস্তব ঘটনা আছে আমাদের মাঝে।
গল্পের শুরুতেই বলি প্রেমিকার নাম রুকসানা আর প্রেমিকের নাম নির্ঝর। দুজনের মাঝে খুব ভাব। এদের এমন ভাব যেন কইতরের জোড়া যেখানেই যায় লেপ্টে থাকে ফেভিকলের মতো।
তা একবার রুকসানা তার প্রেমিক নির্ঝর কে বলল!! শোন তুমি কিন্তু আমাকে একটা জিনিষ কিনে দিবে আর তা না করতে পারবেনা। এটা আমার অনেক দিনের সখ।
নির্ঝর বলল হুকুম কর জান কি তুমি চাও। তোমার জন্য জীবন কোরবান আমার।
রুকসানা বলল জীবন কোরবান করতে হবে না। আমাকে একটা আংটি কিনে দিবে যা আমি তোমার বউ হিসাবে পেতে চাই এবং অবশ্যই তা হতে হবে হীরের।
নির্ঝর বলল অবশ্যই দিব জান। তুমি একটা জিনিষ চাইলে অার তা আমি দিব না তা কি হয়?
...
৩ দিন পর নির্ঝর এল দেখা করতে। তাদের দেখা হল বাস ষ্ট্যান্ডের সামনে। নির্ঝরের হাতটা পেছনে ছিল হাতে কিছু ধরা ছিল বলে লুকাতে চাইর সারপ্রাইজ দিবে বলে। তারপর হাতটা বাড়িয়ে ধরল এইটা তোমার জন্য জান।
রুকসানা দেখে নির্ঝরের হাতে একটা খেলনা পুতুল। এটা নিয়ে কি করবো।
-ওমা তুমি না উপহার চাইলে। তাই তো আনলাম। নাও ধর জান।
-আমি চেয়েছি হিরার আংটির তার বদলে তুমি এনেছো পুতুল। ফাইজলামি কর আমার সাথে। বলে রুকসানা বেশ রাগ করল।
সে চেয়েছিল তার নামে আংটি পড়বে বিয়ের হিসাবে আর নির্ঝর তাকে দিল পুতুল।
রাগের চোটে পুতুলটি ছুড়ে ফেলে দিলো এবং সেটি গিয়ে পড়লো রাস্তার মাঝখানে।
নির্ঝর বলল একি করলে জান। তুমি কেন এটা ছুড়ে মারলে বলে সে ভারাক্রান্ত মনে পুতুলটি আনতে গেলো দৌড়ে রাস্তার মাঝ খানে কোন দিকে না তাকিয়ে।
যখন-ই সে পুতুলটি ঊঠানোর জন্য নিচে ঝুঁকলো তখনি একটা বাস
এসে নির্ঝর কে সজোরে ধাক্কা দিল,
মুহুর্তেই মাঝে সব বদলে গেল। নির্ঝর কে নিয়ে আর হাসপাতালে যেতে হলনা কারন স্পট ডেড। মারা গেছে!
রুকসানা দৌড়ে নির্ঝরের লাশের কাছে এলো এবং বসে কাঁদতে লাগলো। কিছুক্ষন পর রুকসানা সেই পুতুলটি হাতে নিল এবং বুকে চেপে ধরে উচ্চ স্বরে কাঁদতে শুরু করলো
হঠাৎ পুতুলটির ভিতর থেকে আওয়াজ শুনতে পেলো, এবং সেই আওয়াজটি তার নির্ঝরের কন্ঠ। (আসলে পুতুলটি ভিতরে একটা ছোট টেপ রেকর্ডার ছিল, পুতুলটিকে জোরে চাপ দিলে সেটা বেজে উঠে অনেকটা বাচ্চাদের লাইটওয়ালা জুতার মত)
রুকসানা কান পেতে শুনলো পুতুলটি বলছে -
"জান আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি, তোমার জন্য আমি দুনিয়ার সকল সুখ এনে তোমার পায়ে লুটাতে পারি, তুমি যদি বল তোমার
জন্য আমি আমার জীবনটাও দিয়ে দিতে পারি! তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?
যদি রাজি থাকো তাহলে আমার প্যান্টের বাম পকেটে হাত দিয়ে দেখ একটি হিরার আংটি আছে তা তুমি নিজে বের করে নাও!" আমি তখন তা তোমার হাতে পড়িয়ে দিব। আই লাভ ইউ জান।
এই কথা শোনার পর রুকসানার সমস্ত শরীর কাপতে শুরু করলো, সে ভয়ে ভয়ে নির্ঝরের পকেটে হাত দিলো এবং সত্যি সত্যি সেখানে একটি হিরের আংটির অস্তিত্ব পেলো। অতঃপর বাধ ভাঙ্গা কান্না শুরু হয়ে গেল রুকসানার। কিন্তু কেঁদে আর কি হবে কারণ ততক্ষণে যে সব
শেষ হয়ে গেছে। এমনি করে আমাদের চারপাশে কতশত ঘটনাই তো ঘটছে তার কয়টাই বা আমরা মনে রাখি।
যাই হোক গল্পের প্রথমে আমি দুজনের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি যাদের নিয়ে আমার আজকের এই আয়োজন। এটা রূপক হিসাবে লিখা তবে এর চেয়ে চরম বাস্তব ঘটনা আছে আমাদের মাঝে।
গল্পের শুরুতেই বলি প্রেমিকার নাম রুকসানা আর প্রেমিকের নাম নির্ঝর। দুজনের মাঝে খুব ভাব। এদের এমন ভাব যেন কইতরের জোড়া যেখানেই যায় লেপ্টে থাকে ফেভিকলের মতো।
তা একবার রুকসানা তার প্রেমিক নির্ঝর কে বলল!! শোন তুমি কিন্তু আমাকে একটা জিনিষ কিনে দিবে আর তা না করতে পারবেনা। এটা আমার অনেক দিনের সখ।
নির্ঝর বলল হুকুম কর জান কি তুমি চাও। তোমার জন্য জীবন কোরবান আমার।
রুকসানা বলল জীবন কোরবান করতে হবে না। আমাকে একটা আংটি কিনে দিবে যা আমি তোমার বউ হিসাবে পেতে চাই এবং অবশ্যই তা হতে হবে হীরের।
নির্ঝর বলল অবশ্যই দিব জান। তুমি একটা জিনিষ চাইলে অার তা আমি দিব না তা কি হয়?
...
৩ দিন পর নির্ঝর এল দেখা করতে। তাদের দেখা হল বাস ষ্ট্যান্ডের সামনে। নির্ঝরের হাতটা পেছনে ছিল হাতে কিছু ধরা ছিল বলে লুকাতে চাইর সারপ্রাইজ দিবে বলে। তারপর হাতটা বাড়িয়ে ধরল এইটা তোমার জন্য জান।
রুকসানা দেখে নির্ঝরের হাতে একটা খেলনা পুতুল। এটা নিয়ে কি করবো।
-ওমা তুমি না উপহার চাইলে। তাই তো আনলাম। নাও ধর জান।
-আমি চেয়েছি হিরার আংটির তার বদলে তুমি এনেছো পুতুল। ফাইজলামি কর আমার সাথে। বলে রুকসানা বেশ রাগ করল।
সে চেয়েছিল তার নামে আংটি পড়বে বিয়ের হিসাবে আর নির্ঝর তাকে দিল পুতুল।
রাগের চোটে পুতুলটি ছুড়ে ফেলে দিলো এবং সেটি গিয়ে পড়লো রাস্তার মাঝখানে।
নির্ঝর বলল একি করলে জান। তুমি কেন এটা ছুড়ে মারলে বলে সে ভারাক্রান্ত মনে পুতুলটি আনতে গেলো দৌড়ে রাস্তার মাঝ খানে কোন দিকে না তাকিয়ে।
যখন-ই সে পুতুলটি ঊঠানোর জন্য নিচে ঝুঁকলো তখনি একটা বাস
এসে নির্ঝর কে সজোরে ধাক্কা দিল,
মুহুর্তেই মাঝে সব বদলে গেল। নির্ঝর কে নিয়ে আর হাসপাতালে যেতে হলনা কারন স্পট ডেড। মারা গেছে!
রুকসানা দৌড়ে নির্ঝরের লাশের কাছে এলো এবং বসে কাঁদতে লাগলো। কিছুক্ষন পর রুকসানা সেই পুতুলটি হাতে নিল এবং বুকে চেপে ধরে উচ্চ স্বরে কাঁদতে শুরু করলো
হঠাৎ পুতুলটির ভিতর থেকে আওয়াজ শুনতে পেলো, এবং সেই আওয়াজটি তার নির্ঝরের কন্ঠ। (আসলে পুতুলটি ভিতরে একটা ছোট টেপ রেকর্ডার ছিল, পুতুলটিকে জোরে চাপ দিলে সেটা বেজে উঠে অনেকটা বাচ্চাদের লাইটওয়ালা জুতার মত)
রুকসানা কান পেতে শুনলো পুতুলটি বলছে -
"জান আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি, তোমার জন্য আমি দুনিয়ার সকল সুখ এনে তোমার পায়ে লুটাতে পারি, তুমি যদি বল তোমার
জন্য আমি আমার জীবনটাও দিয়ে দিতে পারি! তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?
যদি রাজি থাকো তাহলে আমার প্যান্টের বাম পকেটে হাত দিয়ে দেখ একটি হিরার আংটি আছে তা তুমি নিজে বের করে নাও!" আমি তখন তা তোমার হাতে পড়িয়ে দিব। আই লাভ ইউ জান।
এই কথা শোনার পর রুকসানার সমস্ত শরীর কাপতে শুরু করলো, সে ভয়ে ভয়ে নির্ঝরের পকেটে হাত দিলো এবং সত্যি সত্যি সেখানে একটি হিরের আংটির অস্তিত্ব পেলো। অতঃপর বাধ ভাঙ্গা কান্না শুরু হয়ে গেল রুকসানার। কিন্তু কেঁদে আর কি হবে কারণ ততক্ষণে যে সব
শেষ হয়ে গেছে। এমনি করে আমাদের চারপাশে কতশত ঘটনাই তো ঘটছে তার কয়টাই বা আমরা মনে রাখি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অ ০৮/০৯/২০১৪অনেক কষ্ট পেলাম ।
-
কামরুল পাশা ০৭/০৯/২০১৪Mon suye gelo
-
ডিবেটার সাদ্দাম হোসেন ০৭/০৯/২০১৪মনে তো রাখি না। দুনিয়াটাই স্বার্থপর।
-
আবু সাহেদ সরকার ০৭/০৯/২০১৪সুন্দর লাগলো পড়ে।