মায়াজাল (উপন্যাস)
হটাৎ কেন যেন লেখাটা লিখতে ইচ্ছে করলো তাই শুরু করে দিলাম কোন কিছু না ভেবেই। দেখা যাক কোথাকার পানি কোন দিকে গড়ায় কারন আমি নিজেও জানিনা গল্পটার কাহিনী কোন দিকে যেতে পারে। আপাদত শুরু করলাম একটা কিছু তো হবেই। তবে যে ধারনা নিয়ে লেখাটার শুরু, তাতে উপন্যাসটির কাহিনী বেশ সুন্দর হবে বলে আমার বিশ্বাস। গল্পে বেশ উচ্চ বিত্ত এক পরিবাবের কথা বলা হচ্ছে তারা সবাই ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করে। তাই ইংরেজী মাঝে মাঝে বেশী ব্যবাবর্হত হবে। কারন সমাজের উচু স্তরে এভাবেই জীবন বয়ে যায়। আমি চেষ্টা করবো যতটা ব্যাবহার না করা যায়। বাকীটা আপনারাই বলবেন। তবে সবার দোয়া চাই!!1 যেন শেষ করতে পারি। সবাইকে আমন্ত্রন নতুন লেখাটা পড়ে বলার জন্য কেমন হচ্ছে।
-------------------------------------------------------------------------------
-------------------------------------------------------------------------------
"মায়াজাল"
মোঃ মঞ্জুর হোসেন মৃদুল
মেরিনার বয়স পনের প্লাস চলছে। সামনে তার এক্জাম তাই পড়াশোনায় বিশাল চাপ। সে একটু বয়সের তুলনায় বেশ বেশী ম্যাচিউর তাই অন্য দশটা মেয়ের সাথে তার তুলনা চলেনা। তবে তার গ্রোথ খুব ভাল তাই বয়সের তুলনায় তাকে বেশ বড় দেখায়। খেলা ধুলো সে সবসময় করে বেশ ভাল দৌড়াতে পারে। সাতার কাটতে জানে। স্কিপিং করে বেশ ভাল এককথায় বেশ ভাল এথলেটিক্স। বাইরে এখন বেশ ফুটফুটে ভোর। অন্যান্য দিনে থেকে আজকের দিনটা বেশ আলাদা লাগছে যেন। এই ভোরে একটা কোকিল ডাকছে। আর একটা বাতাস- খুব অদ্ভুত ভুতুরে একটা বাতাস হু হু করে বয়ে যাচ্ছে। জানালায় পর্দাটা সরানো এক পাশে গ্লাসটা খোলা তাই বাতাস খেলছে যেন। ঠিক মনে হচ্ছে বাতাসের কিছু কথা আছে, বলতে চাইছে কিন্তু বোঝাতে পারছেনা। মেরিনার বাড়ীটি গুলশান লেকের সাথে ডুপ্লেক্স বাড়ী। তাদের নিজেস্ব বাড়ী। তার বাবা আফসার চৌধুরীর নিজে দাড়িয়ে এই বাড়ী করেছেন।
মেরিনা বুঝতে পারে এই ভোরটাকে সে ভালই টের পাচ্ছে। শুনতে পাচ্ছে কোকিলের ডাক। বিছানা ছেড়ে ব্যালকনিতে চলে এল বাতাসে তার চুল উড়ছে। তবে চুল বেশী লম্বা নয় অাবার ববকাটও নয়। বাতাস ঝাপটা মারছে। কি যেন বলতে চাইছে কেউ? ঘরে এসে ঢুকলো মেরিনা। টেবিলের সামনে এসে একটা কাগজের দিকে দৃষ্টি দিল। দমকা বাতাস দিচ্ছে কিন্তু মেরিনার সমস্থ মনপ্রান নিবন্ধ এই প্যাডের কাগজে লেখা কয়েক লাইন একটা চিঠিতে। ঠিক চিঠিও নয়। তার বাবা আফসার চৌধুরী বাংলা ভাল করে লিখতে পারতেন না। প্রচুর বানান ভুল হতো তাই ইংরেজীতেই বেশী লিখতেন। তেছড়া করে টানা হাতের লেখা লিখতো। এই হাতের লেখা চিনতে মেরিনার কোন অসুবিধা হচ্ছেনা কারন সে তার বাবার হাতের লেখা খুব ভাল চিনে। উপরে খুব অনুষ্ঠানিক ভাবে লেখা ইংরেজীতে "টু হোম ইট মে কনসার্ন" তার ঠিক নিচে সাংঘাতিক কিছু কথা লেখা যা মারাত্বক অর্থ বহন করে নো বডি- অ্যাবসোলিইটলি নো বডি ইজ রেসপনসিবল ফর মাই ডেথ। ইটস মাই ওউন ডিসিশন। লাইফ ইজ ফুল্লি অফ অল ফান, ইট ইজ ফানিয়ার টু টেক ইট অ্যাওয়ে। আই লিভড ওয়েল, কন্টেন্টেড। ডোন্ট বদার মাই ফ্যামেলি। বাই!!! আফসার চৌধুরী।" বাবার সই খুব ভাল চেনে মেরিনা। পরিষ্কার সই, কোন অস্পষ্ঠতা নেই। ঠিক যেমন মানুষ ছিল তার বাবা- স্পষ্ট মানুষ। কারও আগে পিছে নেই। তবুও সবাই যে কেন বুঝতে পারলনা এই লোকটাকে। সেটাই এক রহস্যা।
চলবে
মেরিনা বুঝতে পারে এই ভোরটাকে সে ভালই টের পাচ্ছে। শুনতে পাচ্ছে কোকিলের ডাক। বিছানা ছেড়ে ব্যালকনিতে চলে এল বাতাসে তার চুল উড়ছে। তবে চুল বেশী লম্বা নয় অাবার ববকাটও নয়। বাতাস ঝাপটা মারছে। কি যেন বলতে চাইছে কেউ? ঘরে এসে ঢুকলো মেরিনা। টেবিলের সামনে এসে একটা কাগজের দিকে দৃষ্টি দিল। দমকা বাতাস দিচ্ছে কিন্তু মেরিনার সমস্থ মনপ্রান নিবন্ধ এই প্যাডের কাগজে লেখা কয়েক লাইন একটা চিঠিতে। ঠিক চিঠিও নয়। তার বাবা আফসার চৌধুরী বাংলা ভাল করে লিখতে পারতেন না। প্রচুর বানান ভুল হতো তাই ইংরেজীতেই বেশী লিখতেন। তেছড়া করে টানা হাতের লেখা লিখতো। এই হাতের লেখা চিনতে মেরিনার কোন অসুবিধা হচ্ছেনা কারন সে তার বাবার হাতের লেখা খুব ভাল চিনে। উপরে খুব অনুষ্ঠানিক ভাবে লেখা ইংরেজীতে "টু হোম ইট মে কনসার্ন" তার ঠিক নিচে সাংঘাতিক কিছু কথা লেখা যা মারাত্বক অর্থ বহন করে নো বডি- অ্যাবসোলিইটলি নো বডি ইজ রেসপনসিবল ফর মাই ডেথ। ইটস মাই ওউন ডিসিশন। লাইফ ইজ ফুল্লি অফ অল ফান, ইট ইজ ফানিয়ার টু টেক ইট অ্যাওয়ে। আই লিভড ওয়েল, কন্টেন্টেড। ডোন্ট বদার মাই ফ্যামেলি। বাই!!! আফসার চৌধুরী।" বাবার সই খুব ভাল চেনে মেরিনা। পরিষ্কার সই, কোন অস্পষ্ঠতা নেই। ঠিক যেমন মানুষ ছিল তার বাবা- স্পষ্ট মানুষ। কারও আগে পিছে নেই। তবুও সবাই যে কেন বুঝতে পারলনা এই লোকটাকে। সেটাই এক রহস্যা।
চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
একনিষ্ঠ অনুগত ২৭/০৮/২০১৪দারুণ লাগলো শুরুটা... কিন্তু এতো গোড়াতেই রহস্য... সম্ভবত এটি একটি রহস্য উপন্যাস হতে চলেছে...
-
সহিদুল হক ২৬/০৮/২০১৪পাঠকদের কাছেও রহস্য।পরেরটুকু জানার আগ্রহ তৈরি হয়, এটাই মুন্সিয়ানা ......দারুন।
-
সৌমিতা ২৬/০৮/২০১৪খুব ভাল শুরু, বেশ লাগল, সকালের বিবরণ ও মেরিনার সৌন্দরযের বরণনা দুই-ই দারুণ ।। আর শেষের রহস্য টা পরের খন্ডের অপেক্ষায় রাখল ।। উপন্যাস শেষের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল ।।
-
বিজয় রায় ২৬/০৮/২০১৪চেয়ে রইলাম মৃদুল ভাই আপনার দিকে....কতটা আনন্দ দিতে পারেন আমার মত ব্যক্তিকে
-
সুব্রত সামন্ত (বুবাই) ২৬/০৮/২০১৪দেখি কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে থামে ?
-
শিমুদা ২৬/০৮/২০১৪সবার মত আমার ও একই মন্তব্য। শুরুটা ভাল বেশ ভাল হয়েছে। চালিয়ে যান।
তবে শুরুতেই একজনকে মেরে দিলেন দাদা!! -
ইশফাকুল মাজিদ ২৬/০৮/২০১৪আপনার কবিতাগুলো দারুন হয়...উপন্যাসের শুরুটাও চমৎকার হয়েছে...ভালো কিছুই আশা করছি|
-
মুস্তাকিম মান্না ২৬/০৮/২০১৪ভাল হয়েছে,চালিয়ে যান
-
নাবিক ২৬/০৮/২০১৪ভালো লাগলো...পরের অংশের অপেক্ষাই রইলাম|
-
Shopnil Shishir(MD.Shariful Hasan) ২৬/০৮/২০১৪english word r kisu misron ase ja ariya gele aro sundor hobe
-
Shopnil Shishir(MD.Shariful Hasan) ২৬/০৮/২০১৪apner notun lekha golpo tio kintu onek valo chaliye jan dekhi kothai giye darai
-
ইলিয়াস আহমেদ ২৬/০৮/২০১৪শুরুটা ভালোই হয়েছে । তবে কিছু কিছু শব্দের পরিবর্তন প্রয়োজন । বিশেষ করে অহেতুক ইংরেজি শব্দ গুলো । লেখা চালিয়ে যান ।
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ২৬/০৮/২০১৪এটা আমার নতুন উপন্যাস গতকাল থেকে শুরু করলাম। পড়ার আমন্ত্রন রইল সেই সাথে অনুরোধ রইল পড়ে বলার কেমন হচ্ছে।