মেঘের ছায়ায় সমূদ্র
মেঘ বাড়িয়েছে হাত,
সমূদ্র তুমি কত তুচ্ছ।
প্রশ্ন ছিল সমূদ্রর কাছে, তুমি কেমন আছ?
জবাবে সে বলেছিল, আমি বড়ই তৃষ্ণার্ত,
অবাক হয়েছিলাম বলেছিলাম এসব কি বলছ?
তোমার বুক ভরা জল, হাজার ঢেউ এর সমাহার,
দুনিয়ার দুই ভাগ জল একাই তো তোমার।
জবাবে বলেছিল জন্ম থেকেই আমি বিশাল,
এত জল আমার কিন্তু পান করার জলের যে অভাব।
সেই জন্ম থেকেই পিপাসার্ত আমি, খাবার পানি নাই,
তৃষ্ণার্ত আমি এক গ্লাস জল কি দিতে পার ভাই?
বৃষ্টি আসে মিষ্টি জলের কথা ভেবে ভীষন আনন্দ পাই,
সে জল আমার মিশে গেলেই মিষ্টতা হারায় তাই।
পানের উপায় নাই, হয়ত এটাই আমার শাস্তি,
কিন্তু কেন এমন বিচার তাই মাঝে মাঝে
রাগে মাথাটা বিগড়ে যায় তখন ফুলে ফেপে উঠি
পাহাড়ের মত হই বিশাল একাকার করে ফেলি,
লন্ডভন্ড করে দেই সব মিশিয়ে দেই, গুড়িয়ে দেই,
কত শত শহর কত হাজার মানুষ যে গ্রাস করেছি তার হিসাব নেই, আমার পেটে অনেক খিদে, উদর ভর্তি করি সব গিলে।
আমি বলেছিলাম তুমি অনেক বিশাল, অনেক বড়,
কিন্তু সে তুলনায় তোমার মনটা অনেক ছোট,
তুমি খুনি তুমি হত্যাকারী।
তাই জন্ম থেকেই তুমি বঞ্চিত,
বিশাল জলরাশি কিন্তু খাবার পানি নেই,
তোমার মাঝে অনেক দ্বীপ তাতে পান করার পানি আছে
অথচ তার জন্ম কিন্তু তোমার মাঝেই।
তোমাকে ভালবেসে কোন লাভ নেই।
প্রশ্ন ছিল মেঘের কাছে কেমন আছ তুমি?
সে বলেছিল, ভেসে বেড়াই ছায়া দিব বলে আমি,
কারও কষ্ট সহ্য করতে পারিনা তাইতো
কোথাও কষ্ট দেখলেই অঝোর ধারায় শুধু কাঁদি।
আমার কাঁদায় সিক্ত হয় মানুষ, সমাজ, সংসার।
আমি সবাইকে শীতল করি,
উপকার করতে করতে আমি নিজেই জানি না আমি কেমন আছি।
জানতে চেয়েছিলাম তুমি কি আমার বন্ধু হবে?
জবাবে বলেছিল আমি পৃথিবী তথা সবার বন্ধু
সৃষ্টি থেকেই সারাজীবন এভাবেই থাকতে চাই,
সব কষ্ট দুর করতে চাই, শান্তির দূত হয়ে থাকতে চাই,
ভিজিয়ে দিতে চাই সবার পাপ ধুয়ে পূর্ন করে দিতে চাই,
এই সমাজ, এই সংসার তথা সারা পৃথিবীকে।
আর তোমাকেও ভিজাতে চাই, ধর আমার হাতটা ধর।
মেঘের হাত ধরতে আমি হাত বাড়াই,
অনেক পবিত্র সেই হাত আর শীতল,
আমার সারা শরীর কেপে উঠে যেন পূর্ণ হচ্ছি আমি।
কি নরম সেই হাতটা। আর সমূদ্রকে বলতে থাকি,
মেঘ বাড়িয়েছে হাত,
সমূদ্র তুমি কত তুচ্ছ।
সমূদ্র তুমি কত তুচ্ছ।
প্রশ্ন ছিল সমূদ্রর কাছে, তুমি কেমন আছ?
জবাবে সে বলেছিল, আমি বড়ই তৃষ্ণার্ত,
অবাক হয়েছিলাম বলেছিলাম এসব কি বলছ?
তোমার বুক ভরা জল, হাজার ঢেউ এর সমাহার,
দুনিয়ার দুই ভাগ জল একাই তো তোমার।
জবাবে বলেছিল জন্ম থেকেই আমি বিশাল,
এত জল আমার কিন্তু পান করার জলের যে অভাব।
সেই জন্ম থেকেই পিপাসার্ত আমি, খাবার পানি নাই,
তৃষ্ণার্ত আমি এক গ্লাস জল কি দিতে পার ভাই?
বৃষ্টি আসে মিষ্টি জলের কথা ভেবে ভীষন আনন্দ পাই,
সে জল আমার মিশে গেলেই মিষ্টতা হারায় তাই।
পানের উপায় নাই, হয়ত এটাই আমার শাস্তি,
কিন্তু কেন এমন বিচার তাই মাঝে মাঝে
রাগে মাথাটা বিগড়ে যায় তখন ফুলে ফেপে উঠি
পাহাড়ের মত হই বিশাল একাকার করে ফেলি,
লন্ডভন্ড করে দেই সব মিশিয়ে দেই, গুড়িয়ে দেই,
কত শত শহর কত হাজার মানুষ যে গ্রাস করেছি তার হিসাব নেই, আমার পেটে অনেক খিদে, উদর ভর্তি করি সব গিলে।
আমি বলেছিলাম তুমি অনেক বিশাল, অনেক বড়,
কিন্তু সে তুলনায় তোমার মনটা অনেক ছোট,
তুমি খুনি তুমি হত্যাকারী।
তাই জন্ম থেকেই তুমি বঞ্চিত,
বিশাল জলরাশি কিন্তু খাবার পানি নেই,
তোমার মাঝে অনেক দ্বীপ তাতে পান করার পানি আছে
অথচ তার জন্ম কিন্তু তোমার মাঝেই।
তোমাকে ভালবেসে কোন লাভ নেই।
প্রশ্ন ছিল মেঘের কাছে কেমন আছ তুমি?
সে বলেছিল, ভেসে বেড়াই ছায়া দিব বলে আমি,
কারও কষ্ট সহ্য করতে পারিনা তাইতো
কোথাও কষ্ট দেখলেই অঝোর ধারায় শুধু কাঁদি।
আমার কাঁদায় সিক্ত হয় মানুষ, সমাজ, সংসার।
আমি সবাইকে শীতল করি,
উপকার করতে করতে আমি নিজেই জানি না আমি কেমন আছি।
জানতে চেয়েছিলাম তুমি কি আমার বন্ধু হবে?
জবাবে বলেছিল আমি পৃথিবী তথা সবার বন্ধু
সৃষ্টি থেকেই সারাজীবন এভাবেই থাকতে চাই,
সব কষ্ট দুর করতে চাই, শান্তির দূত হয়ে থাকতে চাই,
ভিজিয়ে দিতে চাই সবার পাপ ধুয়ে পূর্ন করে দিতে চাই,
এই সমাজ, এই সংসার তথা সারা পৃথিবীকে।
আর তোমাকেও ভিজাতে চাই, ধর আমার হাতটা ধর।
মেঘের হাত ধরতে আমি হাত বাড়াই,
অনেক পবিত্র সেই হাত আর শীতল,
আমার সারা শরীর কেপে উঠে যেন পূর্ণ হচ্ছি আমি।
কি নরম সেই হাতটা। আর সমূদ্রকে বলতে থাকি,
মেঘ বাড়িয়েছে হাত,
সমূদ্র তুমি কত তুচ্ছ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুদীপ্ত ভট্টাচায্য ২২/০৮/২০১৪SUNDOR EKTI KOBITA PATH KORLAM
-
সাইদুর রহমান ২২/০৮/২০১৪কিভাবে যে এতো সুন্দর
লিখেন, মৃদুল ভাইয়া ?
দারুণ হয়েছে। শুভেচ্ছা। -
পিয়ালী দত্ত ২১/০৮/২০১৪খুব ভাল লাগল কবি...ভাল থাকুন।
-
কবি মোঃ ইকবাল ২১/০৮/২০১৪এক কথায় অসাধারন।
-
শিমুদা ২১/০৮/২০১৪ভাললেগেছে। প্রশ্নের উত্তর ও হয়ত মিলেছে।
-
নাবিক ২১/০৮/২০১৪nice nice & nice...bro