লাল চাদর
চৈত্রের খাঁখাঁ করা রোদের মাঝে,
হালকা হা হুতাশ বাতাসের খাঁজে,
লাল চাদর পরে হেঁটে যাও তুমি,
কে তুমি?
মুখ ফিরিয়ে তাকিয়ে দেখে একপলক।
একটু দাড়ায় এদিক ওদিক তাকিয়ে
আবার হাটা ধরে চৈতা পাগলা।
জেব্রার চামড়ার ডোরাকাটা আকাশের মত সাজানো সংসারে,
মায়ার সরল রেখার দৃষ্টি পড়েছে যেখানে,
নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে তার বাড়ী, সংসার, সন্তান
তার একটা স্কুল ছিল সেথায় বাড়ীর পাশে।
একটা বড় তাল গাছ আছে, একসময় বাড়ীটা ছিল পাশে।
গাছটা আছে দাড়িয়ে, কিন্তু বাকি সব পানির নিচে।
সেখানটায় গিয়ে বসে থাকবে পাগলা।
সেটাই নাকি তার সংসার, ওখানেই বসে সে ছাত্র পড়ায়।
মাঝে মাঝে একা একা হাসে, কথা বলে, ছাএগুলো খুব ভাল সবাই চুপচাপ দেখা যায়না,
শুধু ফিসফাস এই সবই তার স্বপ্নের দুপুর, স্বপ্নের দিন।
মাঝে মাঝে হুংকার দেয়,
ওরে ময়না কই গেলি আইলিনা?
ওরে বছির কখন থাইক্কা দাওয়ায় বইসা আছি আহছ না কেরে বাজান?
কেউ সামনে গেলে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকায় চোখে তার নবিন দৃষ্টি সবসময় চিকচিক করে,
চোখের ভাষা যা অনেক কিছু বলে, কিন্তু কেউ বোঝেনা সে ভাষা।
মুখে খোচা খোচা দাড়ি, দাত বের করে হাসে,
দাঁত গুলোতে মনে হয় চর্বি জমেছে হলুদ বর্নের,
গায়ে দুগন্ধ গা ধোয়না বলে বহুবছর,
নদীতে ভয় তাই নামেনা কখনও।
গায়ে সারাবছর চাদর থাকে,
কি শীত কি বর্ষায় কি গরমে। নাম তার চৈতা পাগলা।
মাঝে মাঝে বিড়িতে লম্বা টান দেয়,
গল গল করে ধোয়া বের হয় নাক মুখ দিয়ে।
বুকের ভেতর থেকে জোরে দেয় টান,
গেয়ে উঠে গান,
ভালবাসি আমি তুর সোনার শরীরেরে,
যা ঢাকি রাখিছিস তুই আলোক চাদরে।
চোখে তার প্রদীপ্ত জলন্ত অঙ্গার,
করও কি সাধ্য আছে সে লাল চাদর সরাবার।
নদীর দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বলে,
আমি শুধু তারে কাছে চাই,
একবার তারে আনি দাও না ভাই।
হালকা হা হুতাশ বাতাসের খাঁজে,
লাল চাদর পরে হেঁটে যাও তুমি,
কে তুমি?
মুখ ফিরিয়ে তাকিয়ে দেখে একপলক।
একটু দাড়ায় এদিক ওদিক তাকিয়ে
আবার হাটা ধরে চৈতা পাগলা।
জেব্রার চামড়ার ডোরাকাটা আকাশের মত সাজানো সংসারে,
মায়ার সরল রেখার দৃষ্টি পড়েছে যেখানে,
নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে তার বাড়ী, সংসার, সন্তান
তার একটা স্কুল ছিল সেথায় বাড়ীর পাশে।
একটা বড় তাল গাছ আছে, একসময় বাড়ীটা ছিল পাশে।
গাছটা আছে দাড়িয়ে, কিন্তু বাকি সব পানির নিচে।
সেখানটায় গিয়ে বসে থাকবে পাগলা।
সেটাই নাকি তার সংসার, ওখানেই বসে সে ছাত্র পড়ায়।
মাঝে মাঝে একা একা হাসে, কথা বলে, ছাএগুলো খুব ভাল সবাই চুপচাপ দেখা যায়না,
শুধু ফিসফাস এই সবই তার স্বপ্নের দুপুর, স্বপ্নের দিন।
মাঝে মাঝে হুংকার দেয়,
ওরে ময়না কই গেলি আইলিনা?
ওরে বছির কখন থাইক্কা দাওয়ায় বইসা আছি আহছ না কেরে বাজান?
কেউ সামনে গেলে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকায় চোখে তার নবিন দৃষ্টি সবসময় চিকচিক করে,
চোখের ভাষা যা অনেক কিছু বলে, কিন্তু কেউ বোঝেনা সে ভাষা।
মুখে খোচা খোচা দাড়ি, দাত বের করে হাসে,
দাঁত গুলোতে মনে হয় চর্বি জমেছে হলুদ বর্নের,
গায়ে দুগন্ধ গা ধোয়না বলে বহুবছর,
নদীতে ভয় তাই নামেনা কখনও।
গায়ে সারাবছর চাদর থাকে,
কি শীত কি বর্ষায় কি গরমে। নাম তার চৈতা পাগলা।
মাঝে মাঝে বিড়িতে লম্বা টান দেয়,
গল গল করে ধোয়া বের হয় নাক মুখ দিয়ে।
বুকের ভেতর থেকে জোরে দেয় টান,
গেয়ে উঠে গান,
ভালবাসি আমি তুর সোনার শরীরেরে,
যা ঢাকি রাখিছিস তুই আলোক চাদরে।
চোখে তার প্রদীপ্ত জলন্ত অঙ্গার,
করও কি সাধ্য আছে সে লাল চাদর সরাবার।
নদীর দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে বলে,
আমি শুধু তারে কাছে চাই,
একবার তারে আনি দাও না ভাই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবু আফজাল মোহাঃ সালেহ ১৭/০৮/২০১৪বেশ বেশ
-
Shopnil Shishir(MD.Shariful Hasan) ১৬/০৮/২০১৪valo laglo
-
সফিউল্লাহ আনসারী ১৫/০৮/২০১৪valo lagloo..
-
আহমাদ সাজিদ ১৫/০৮/২০১৪সুন্দর।
-
সাইদুর রহমান ১৫/০৮/২০১৪আসরে আসেন না কেন,
মৃদুল ভাইয়া?
আজকের কবিতা খুবই ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা রইলো