ঘাসফুলের আত্মকথন
সকালের শিশির ভেজা ঘাসগুলো শুকোয়নি এখনও,
রোদ উঠেছে তেজ নেই তেমন, তাই কুয়াশায় আচ্ছন্ন।
খালি পায় ঘাসে ভেজা শিশিরে পা ভেজাতে ভাল লাগে,
গায়ে কেমন যেন আবছা অদ্ভুত নরম শিহরন জাগে।
পায়ে পায়ে হেটে যাওযার রাস্তাটা সোজা বাগানে,
অনেক পত্রপল্লবের মাঝে চেয়ারে বসার স্থান সেখানে।
অভ্যাস, এখানে বসে সকালে গরম দু কাপ চা খাওয়া,
সেই সাথে চলবে আজকের খবরের কাগজটা পড়া।
চেয়ারে বসে ঘাসের পানে তাকিয়ে দেখি অনেক ফুল,
মাথা তুলে আছে হলুদ বেগুনী বর্নের ছোট ছোট ফুল।
আহা! এ যে দেখি ঘাসফুল।
পিষে এসেছি মাড়িয়ে দিয়েছি অথচ এরাও জীবন্ত ফুল,
মনটা খারাপ হল, চোখে পড়েনি তার সৌন্দর্য, অবহেলা করছি তাকে,
তার রঞ্জিত বর্ন নিয়ে মাথা উঁচু করে তাকিয়ে সে আকাশের দিকে।
সবার থেকে একটু যেন আলাদা বড় একা,
তার কোমল তনুমন কেমন যেন কেঁপে উঠে রোদের পরশে,
বাতাসে দোল খেয়ে হালকা মাথা নাড়ায়, ভাবটা এমন যেন দুলছে।
ফুটেছে গোলাপ,বেলী,জুই,রজনীগন্ধা,অর্কিড সব মাতিয়েছে বর্ণ-গন্ধে-সৌন্দর্যে-বাহারে,
ওদের সৌন্দর্য দেখে অবহেলিত ঘাসফুল গুলো মুখ লুকায় তারই মার বুকে।
বাগানে পাখির কলতান পাখিরা খেলছে, কয়েকটা এসে আলতো ঠোকর দিল ঘাসফুলে,
হয়ত দেখল খাওয়ার উপযোগী কিনা, নাহ্ আহার্য না বিফল মনোরথে উড়ে যায় দুরে।
এরা তাহলে অবহেলিত সবার কাছেই,
কয়েকটি প্রজাপতি তার রং বেরং এর পাখা মেলে বসল ওদের বুকে,
কি দারুন সেই দৃশ্য, যেন ফুল গুলো গর্বে বুক ফুলিয়ে সবাইকে বলে চলেছে।
দেখ আমার সৌন্দর্য্যে ওরা মাতাল হয়েছে, রং-এ রং-এ রঙিন করেছে ঘাসের বুক,
আমদের জন্মটা বৃথা নয় এটা আমাদের ক্ষুদ্র প্রানের কথা আমাদেরও যে আছে সুখ।
বাতাস শিষ দিয়ে বলে যায় যেন আমার কানে কানে,
ছোট রঙের বিন্দু বুকে নিয়ে ফুটে থাকি তোমার বাগানে।
ঘাসফুল মোরা তোমরা কত অবহেলা ভরে আমাদের দলে যাও তোমাদের পদতলে,
আনন্দে ভুলে যাই আমি গোলাপ চামেলী বেলীর কথা হলুদ-বেগুনী বর্ণ ঘাসফুলের গন্ধহীন বাহারে।
রোদ উঠেছে তেজ নেই তেমন, তাই কুয়াশায় আচ্ছন্ন।
খালি পায় ঘাসে ভেজা শিশিরে পা ভেজাতে ভাল লাগে,
গায়ে কেমন যেন আবছা অদ্ভুত নরম শিহরন জাগে।
পায়ে পায়ে হেটে যাওযার রাস্তাটা সোজা বাগানে,
অনেক পত্রপল্লবের মাঝে চেয়ারে বসার স্থান সেখানে।
অভ্যাস, এখানে বসে সকালে গরম দু কাপ চা খাওয়া,
সেই সাথে চলবে আজকের খবরের কাগজটা পড়া।
চেয়ারে বসে ঘাসের পানে তাকিয়ে দেখি অনেক ফুল,
মাথা তুলে আছে হলুদ বেগুনী বর্নের ছোট ছোট ফুল।
আহা! এ যে দেখি ঘাসফুল।
পিষে এসেছি মাড়িয়ে দিয়েছি অথচ এরাও জীবন্ত ফুল,
মনটা খারাপ হল, চোখে পড়েনি তার সৌন্দর্য, অবহেলা করছি তাকে,
তার রঞ্জিত বর্ন নিয়ে মাথা উঁচু করে তাকিয়ে সে আকাশের দিকে।
সবার থেকে একটু যেন আলাদা বড় একা,
তার কোমল তনুমন কেমন যেন কেঁপে উঠে রোদের পরশে,
বাতাসে দোল খেয়ে হালকা মাথা নাড়ায়, ভাবটা এমন যেন দুলছে।
ফুটেছে গোলাপ,বেলী,জুই,রজনীগন্ধা,অর্কিড সব মাতিয়েছে বর্ণ-গন্ধে-সৌন্দর্যে-বাহারে,
ওদের সৌন্দর্য দেখে অবহেলিত ঘাসফুল গুলো মুখ লুকায় তারই মার বুকে।
বাগানে পাখির কলতান পাখিরা খেলছে, কয়েকটা এসে আলতো ঠোকর দিল ঘাসফুলে,
হয়ত দেখল খাওয়ার উপযোগী কিনা, নাহ্ আহার্য না বিফল মনোরথে উড়ে যায় দুরে।
এরা তাহলে অবহেলিত সবার কাছেই,
কয়েকটি প্রজাপতি তার রং বেরং এর পাখা মেলে বসল ওদের বুকে,
কি দারুন সেই দৃশ্য, যেন ফুল গুলো গর্বে বুক ফুলিয়ে সবাইকে বলে চলেছে।
দেখ আমার সৌন্দর্য্যে ওরা মাতাল হয়েছে, রং-এ রং-এ রঙিন করেছে ঘাসের বুক,
আমদের জন্মটা বৃথা নয় এটা আমাদের ক্ষুদ্র প্রানের কথা আমাদেরও যে আছে সুখ।
বাতাস শিষ দিয়ে বলে যায় যেন আমার কানে কানে,
ছোট রঙের বিন্দু বুকে নিয়ে ফুটে থাকি তোমার বাগানে।
ঘাসফুল মোরা তোমরা কত অবহেলা ভরে আমাদের দলে যাও তোমাদের পদতলে,
আনন্দে ভুলে যাই আমি গোলাপ চামেলী বেলীর কথা হলুদ-বেগুনী বর্ণ ঘাসফুলের গন্ধহীন বাহারে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আসগার এইচ পারভেজ ০৫/০৮/২০১৪অসাধারন একটি কবিতা, দারুন লাগলো
-
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ ০৫/০৮/২০১৪মৃদুল কেমন আছো ? বাংলা কবিতায় তোমাকে দেখছি না কেন ?
-
রামবল্লভ দাস ০৫/০৮/২০১৪ইতি কথার বাস্তবতা ; দারুণ হয়েছে । তবে কাব্যিকতার গুনমানে একটু কমতি লক্ষ্য করলাম ।