সিগারেট
রোযার মাস, সেহেরী খেয়ে বের হইছি। আমার বাসার পরের বাসা জামিলের, তারপরের বাসা সোহেল, এভাবে ধাপে ধাপে গেছে সবার। আমাদের সেহেরী খাবার পরের ভাবটা ছিল এরকম। সেহেরী খেয়ে বিরাট পরহেজগার হয়ে যেতাম। নামায পড়তে হবে তাড়াতাড়ি মসজিদে যেতে হবে। বাসায় বলতো এমনি পড়িস না সেহেরী খেয়ে ফযরের নামায পড়ার জন্য পাগল হয়ে যাস। আমরা তাই খেয়েই দৌড় আসল ঘটনা সিগারেট খেতে হবে। বাসা থেকে তো আর, এতরাতে বের হওয়া যায়না, তাই মসজিদের কথা বলে বাইরে এসে সবাই সিগারেট টানতাম। সেদিন খুব কুয়াশা দেখা যায়না কিছুই। জামিল, আমি, সোহেল, সিদ্দিক বের হয়ে পড়লাম। কুদরত না বিষ ফোড়া, এমন বিপদ সেদিন, ম্যাচ ড্যাম ঠান্ডায় পুরো এক সিগারেট ধরাতে এক ম্যাচ শেষ। সিগারেট অনেক কষ্টে একটা ধরিয়ে তারপর বাকী গুলো ধরালাম। ম্যাচ বক্স ডেম, পুরো বক্স নষ্ট, হয়ে গেল রেখে কি হবে ফেলে দিলাম। যাইহোক প্রথম পর্ব চলার পর তো ম্যাচ নাই। সিগারেট আছে ম্যাচ নাই। কেমন লাগে। রাস্তা ঘাটে লোকজন নাই এত রাতে শীতের মধ্যে কে বের হয়। আমরা রাস্তায় ঘুরছি কাউকে পাচ্ছিনা পেলেও ম্যাচ নাই। হটাৎ কুয়াশা ভেদ করে, এক লোককে দেখা গেল সিগারেট খেয়ে যাচ্ছে। আমরা তো ডাক ও ভাই, এই যে ভাই এক মিনিট। সে লোক থামেনা। চাদর মুড়িয়ে হাটছে। আমরা দৌড়ে গেলাম। পিছন থেকে ডাকলাম। এই যে ভাই আগুনটা একটু দেন না। লোকটা তাকায় না কিছু বলেনা হাটছেই। আমরা দৌড়ে সামনে গেলাম, ভাই কি হইছে শোনেন নাহ! একটু আগুনটা দেন। ভদ্রলোক কিছু বলেন না। চুপ করে আছেন। আমাদের মাঝে সিদ্দিক বেশ লম্বা, স্বাস্থ মাশাল্লাহ ভাল ছিল। সে এগিয়ে গিয়ে বলল ভাই আগুন টা দেন তো। সিগারেট একহাতে মুখে নিচ্ছে আর একহাত বাড়াইছে ঐ ভদ্রলোকের দিকে সিগারেট নেবার জন্য। হটাৎ শুনলাম 'ঠাস' একটা থাপ্পরের শব্দ, পরমুহুর্তেই সিংহের গর্জন সিদ্দিক, খালি শুনলাম আব্বা তুমি ব্যাস। আমরা দিছি দৌড়। জানপ্রান ছাইড়া দৌড়। আর শুধু শুনলাম, হারামজাদা বাসায় যা তারপর তোর সিগারেট খাওয়াইতাছি। তার পর তো সে দিন সে আর যায়না বাসায়। পরে ফিরছে বাসায় এমন মাইর দিছে যে ২ দিন বিছানায় ছিল। এখনও মনে হলে আমরা বেশ মজা পাই বেশ হাসি। কেমন লাগল জানাবেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সুরজিৎ সী ০৬/০৮/২০১৪শুভেচ্ছা রইল
-
আবু আফজাল মোহাঃ সালেহ ০৩/০৮/২০১৪ভাল লাগলো।
-
কবি মোঃ ইকবাল ০৩/০৮/২০১৪ভাই মজা পেলাম পড়ে।
-
দিপু ০২/০৮/২০১৪হাস্যকর
-
Mahfuza Sultana ০২/০৮/২০১৪মজা পেলাম ।