হে আমার প্রিয়
হে আমার প্রিয় শহর!
রমজান মোবারক,
তোমাকে কদম ফুল উপহার দিব বলে
শ্রাবনের বৃষ্টিভেজা সকালে রবির প্রতিক্ষায় থেকে থেকে
আমার যৌবনকে ক্ষয় করে চলেছি।
প্রিয় শহর নিস্পলক মমতার দৃষ্টিতে
চেয়ে আছে আমার অস্তিত্বের দিকে
নিজেই নিজের প্রদীপ হয়ে বেঁচে আছি
অবিশ্বাসী ঘাতক বাতাস নিভিয়ে দিতে চায়
আমার শহরের ঝিকমিক আলো
এই শহর ছেড়ে আমি যাবো কোথায়?
এই শহরের প্রিয় বাতাস রুমাল হয়ে
আমার চোখের পানিকে শুকিয়ে ফেলে
সকালের সপ্রতিভ সূর্যের ছটা
আমার দৈনন্দিন জীবনের সুচনা করে।
দুপুরের কোলাহলময় শহরের যাপিত কর্মকান্ড
আমার অস্থিমজ্জায় শিহরণ তোলে
জীবনেঁঁর রহস্যের দ্বার উম্মোচনে শহরের গলিঘুজিতে
অবিশ্বাস্য বিচরন আমার!
দীর্ঘদিনের বসবাসে অদ্ভুত জীবনের সাদা পাতা
রঙিন চকমকে হয়ে যায়
নিশিতে রংচটা টিনের চালে বৃষ্টির ঝমঝম শব্দ
নূপুরের মতো বেজে ওঠে ।
রােমান্টিক বৃষ্টি আলতোভাবে
আমার হাত স্পর্শ করে
বৃষ্টির রূপালি ফিতে ঘিরে রেখেছে অমার স্বপ্নকুঠিরকে
এই শহর ছেড়ে আমি যাব কোথায়?
এই শহরে মন্দির-মসজিদ, গীর্জা-প্যাগোডায়
স্বজনেরা আর্শিবাদের ডালা সাজিয়ে
পার্থনার চাদর বিছিয়ে এক কাতারে-
একসাথে দাড়ানোর জন্য আমাকে স্বাগত জানায়।
এই শহরের দক্ষিণা বাতাস
চোখের পাপড়িগুলোকে
মায়ামমতার স্পর্শে জাগিয়ে
ভোরের ঘুম ভাঙ্গা সকাল হাতছানি দিয়ে
আমার শৈশব-কৈশোর-যৌবনের আঙিনায় দ্যুতি ছড়ায়।
এই শহরের ইমারতের ভাঁজে ভাঁজে
আমার দুঃসময়ের স্মৃতিগুলো রক্ষিত আছে
বিনাশী আয়োজনের কলংকময় চিহ্নগুলো
পিচঢালা রাজপথে এখনো অম্লান
আমি কেমন করে ভুলে যাব দুর্দিনে এই শহরটিকে?
আসাদের আত্মত্যাগ, মুজিবের সাতই মার্চের স্বাধিকারের ভাষন,
জিয়াউর রহমানের সাফল্য তার রক্তের ঋণ।
বাংলার মুনীর চৌধুরী, জিসি দেবের রক্তের ঋণ
মতিউরের বীর বিক্রমের তেজস্বী আখ্যান,
কবি সামসুর রহমানের 'আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনি'
হুমায়ুন আজাদের 'ছাপান্ন হাড়ার বর্গমাইল'
আজও এই শহরের ইট-কাঠ-দালানের ভাঁজে ভাঁজে
আলোবাতাসে মাটির মমতায় মিশে আছে।
এই শহরের কবরস্থান-শ্মমান-স্মৃতিসৌধ,
শহীদমিনার, বধ্যভুমি হুইসেল বাজিয়ে
অনিবার্য অত্মত্যাগের কথা স্মরন করিয়ে দেয়।
রক্তের ঋণ শুধবার প্রচন্ড তাড়না
হৃদয়ের অনুভুতিকে উদ্দীপ্ত রাখে
জীবনপবাহ কে গতিশীল করে
এই শহর ছেড়ে যাওয়ার
আমার অন্য জায়গা কোথায়।
পালাবার পথ যে নেই।
রোদ ওঠা বৃষ্টি পড়ার মতই
স্বাভাবিক মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার
অনিবার্য আকাঙ্ক্ষায় এই শহরেই
আমি বেঁচে থাকব আদিঅন্ত।
রমজান মোবারক,
তোমাকে কদম ফুল উপহার দিব বলে
শ্রাবনের বৃষ্টিভেজা সকালে রবির প্রতিক্ষায় থেকে থেকে
আমার যৌবনকে ক্ষয় করে চলেছি।
প্রিয় শহর নিস্পলক মমতার দৃষ্টিতে
চেয়ে আছে আমার অস্তিত্বের দিকে
নিজেই নিজের প্রদীপ হয়ে বেঁচে আছি
অবিশ্বাসী ঘাতক বাতাস নিভিয়ে দিতে চায়
আমার শহরের ঝিকমিক আলো
এই শহর ছেড়ে আমি যাবো কোথায়?
এই শহরের প্রিয় বাতাস রুমাল হয়ে
আমার চোখের পানিকে শুকিয়ে ফেলে
সকালের সপ্রতিভ সূর্যের ছটা
আমার দৈনন্দিন জীবনের সুচনা করে।
দুপুরের কোলাহলময় শহরের যাপিত কর্মকান্ড
আমার অস্থিমজ্জায় শিহরণ তোলে
জীবনেঁঁর রহস্যের দ্বার উম্মোচনে শহরের গলিঘুজিতে
অবিশ্বাস্য বিচরন আমার!
দীর্ঘদিনের বসবাসে অদ্ভুত জীবনের সাদা পাতা
রঙিন চকমকে হয়ে যায়
নিশিতে রংচটা টিনের চালে বৃষ্টির ঝমঝম শব্দ
নূপুরের মতো বেজে ওঠে ।
রােমান্টিক বৃষ্টি আলতোভাবে
আমার হাত স্পর্শ করে
বৃষ্টির রূপালি ফিতে ঘিরে রেখেছে অমার স্বপ্নকুঠিরকে
এই শহর ছেড়ে আমি যাব কোথায়?
এই শহরে মন্দির-মসজিদ, গীর্জা-প্যাগোডায়
স্বজনেরা আর্শিবাদের ডালা সাজিয়ে
পার্থনার চাদর বিছিয়ে এক কাতারে-
একসাথে দাড়ানোর জন্য আমাকে স্বাগত জানায়।
এই শহরের দক্ষিণা বাতাস
চোখের পাপড়িগুলোকে
মায়ামমতার স্পর্শে জাগিয়ে
ভোরের ঘুম ভাঙ্গা সকাল হাতছানি দিয়ে
আমার শৈশব-কৈশোর-যৌবনের আঙিনায় দ্যুতি ছড়ায়।
এই শহরের ইমারতের ভাঁজে ভাঁজে
আমার দুঃসময়ের স্মৃতিগুলো রক্ষিত আছে
বিনাশী আয়োজনের কলংকময় চিহ্নগুলো
পিচঢালা রাজপথে এখনো অম্লান
আমি কেমন করে ভুলে যাব দুর্দিনে এই শহরটিকে?
আসাদের আত্মত্যাগ, মুজিবের সাতই মার্চের স্বাধিকারের ভাষন,
জিয়াউর রহমানের সাফল্য তার রক্তের ঋণ।
বাংলার মুনীর চৌধুরী, জিসি দেবের রক্তের ঋণ
মতিউরের বীর বিক্রমের তেজস্বী আখ্যান,
কবি সামসুর রহমানের 'আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনি'
হুমায়ুন আজাদের 'ছাপান্ন হাড়ার বর্গমাইল'
আজও এই শহরের ইট-কাঠ-দালানের ভাঁজে ভাঁজে
আলোবাতাসে মাটির মমতায় মিশে আছে।
এই শহরের কবরস্থান-শ্মমান-স্মৃতিসৌধ,
শহীদমিনার, বধ্যভুমি হুইসেল বাজিয়ে
অনিবার্য অত্মত্যাগের কথা স্মরন করিয়ে দেয়।
রক্তের ঋণ শুধবার প্রচন্ড তাড়না
হৃদয়ের অনুভুতিকে উদ্দীপ্ত রাখে
জীবনপবাহ কে গতিশীল করে
এই শহর ছেড়ে যাওয়ার
আমার অন্য জায়গা কোথায়।
পালাবার পথ যে নেই।
রোদ ওঠা বৃষ্টি পড়ার মতই
স্বাভাবিক মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার
অনিবার্য আকাঙ্ক্ষায় এই শহরেই
আমি বেঁচে থাকব আদিঅন্ত।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রফছান খাঁন ১৮/০৭/২০১৪একই কবিতায় আবেগ, ভালবাসা, বাস্তবতা, বিদ্রোহ, তাড়না আর ক্রোধ মিশে আছে । অসাধারণ !
-
শিমুল শুভ্র ১৮/০৭/২০১৪তোমার এই কবিতা আমি আগে ও পড়েছি এবং বিশাল মন্তব্য করেছিলাম আমার মনে আছে এখনো সেই ভালো লাগার রেশ রয়ে গেলো কবিতায় , অসাধারণ ।
-
কবি মোঃ ইকবাল ১৭/০৭/২০১৪অসম্ভব সুন্দর ভাবনার লিখনী ভাই। শুভরাত্রি।
-
পিয়ালী দত্ত ১৭/০৭/২০১৪সত্যিই খুব ভাল...
-
মোঃ আল-আমিন ১৭/০৭/২০১৪জয় হোক ভাইজান। এ পর্যন্ত যতোগুলি কবিতা পড়েছি সবগুলিকে হার মানিয়ে দিয়েছে আজ। এতো আবেগ, এতো কষ্ট, এতো আনন্দ, এতো উচ্ছ্বাস, এতো আত্মতুষ্টি এর আগে আর কখনো হয়নি। সত্যিই মুগ্ধ হলাম। যেতে যেতে ভাইজান বলে যাই, সালাম তোমায়। (বানানগুলো একটু দেখবা ভাইজান)
-
মল্লিকা রায় ১৭/০৭/২০১৪আহ্ প্রাণ ভরে পান করলাম পিপাসার জল হে, বন্ধু এত পিপাসার্ত হইনি কখনও আগে----এত হৃদয় উদ্বেল হয়নি আগে এত ভালো লাগেনি কখনও কবিতা পড়ে----কি বলে যে মন্তব্য জানাবো ভাষাহীন আমি বাকরুদ্ধ। দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানালাম।