এ যুগের ডালিমকুমার ও ময়ুরাক্ষী রাজকন্যা
কালো বিশাল পালঙ্কের উপর, মেঘ চাদরটা ঘুমন্ত,
ধবধবে পরিপাটি সমুদ্রের সফেদ ফেনার মত জীবন্ত।
নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে এক অপরূপা সুন্দরী কন্যা,
নিষ্পাপ,নিটোল,স্নিগ্ধ, মায়াকাড়া ময়ুরাক্ষী রাজকন্যা।
রাজকুমার অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এল সেথায়,
রাজকন্যার মুখখানি দেখে তার বোধশক্তি হারায়।
অনেক ডাকাডাকি, অনেক ঝাঁকুনি, অনেক আকুতি,
নাহ্! অনেক গভীর সেই ঘুম ভাঙ্গছেনা, বৃথা কাকুতি।
ডাকতে ডাকতে তার হৃদয় আহত, ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত,
চোখের নিচে পড়ল কালি, মন হল তার বড় অশান্ত।
রাজপূত্র বাদ দিলনা কোন তরিকা, যা আছে তার জানা,
এত চেষ্ঠার পর সব গেল বৃথা, কিছুতেই যে কিছু হলনা।
তার শরীর যাচ্ছে যে শুকিয়ে, প্রানশক্তিও যায় যায়,
সামনে শোয়া অপরূপা সুন্দরী চোখ খুলেনা কেন হায়!
হটাৎ রাজপূত্র দেখল রাজকন্যার শিয়রে দুটি কাঠি,
একটি সোনার আর একটি রূপার, নিখাদ খাঁটি।
সোনার কাঠি হাতে নিয়ে দিল সজোড়ে এক ঝাকি,
ব্যাস ওমনি ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপালের মত বের হতে-
থাকল কবিতা, কাব্য, রচনা, অনুকাব্য আরও কতকি?
ছোট বড় পয়ারে পয়ারে স্বপ্ন, বিরহ, মিলন, যন্ত্রনা, লিখা,
আবৃতি হচ্ছে একের পর এক, কাউকে যাচ্ছেনা দেখা।
কবিতার এহেন স্পর্শে রাজকন্যার আঁখিদ্বয় খুলল,
ধড়ফড়িয়ে উঠে অবাক নয়নে তাকিয়ে দেখল।
কে তুমি? কোথা হতে, কিভাবে এলে আমার ঘরে?
আমি ডালিমকুমার এসেছি মটর সাইকেলে চড়ে।
ভাল করে তাকাল ময়ুরাক্ষী, এ যে এক রাজকুমার,
চকিত নয়নে বলে উঠল কিছুই তো সাথে নাই তোমার।
ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, রূপ নেই, অলংকার নেই
মুকুট নেই, পৌরুষ নেই, লোকলস্কর নেই,
হাতি নেই, ঘোড়া নেই,
দীপ্তি নেই, সৌরভ নেই, গৌরব নেই, তেজ নেই,
সম্মুখে দন্ডায়মান শুকনা,কৃশ,অস্থিচর্মসার এক কঙ্কাল,
তোমার ভিতর তো পাচ্ছি না, কোন জোশ কোন ঝঙ্কার।
কি ভাবে নিবে তুমি আমায়, কিছুই যে নেই তোমার?
বল কি চাও কন্যা,একমাত্র শক্তি ছ্বাড়া সব আছে আমার।
আছে সপ্তমাশ্চর্য! একটা জিনিষ নকিয়া মোবাইল ফোন,
কি বল? আমি তো সেই কবেই নিয়েছি লেটেষ্ট আইফোন।
আমার স্বপ্নের রাজকুমার, নিজে চালিয়ে আসবে রকেটে,
হীরাজহরত ভরা, আলখেল্লায় থাকবে শত হাজারো পকেট।
আমি এদেশের রাজকন্যা, নই কোন সাধারন মেয়ে,
আমাকে পাবার আশায় হাজারো ছেলে থাকে পথ চেয়ে।
যাও, এবার ভাগ, অনেক সময় নষ্ট করলাম আমি,
আহা শখ কত, সে হতে এসেছে আমার স্বামী।
আর কথা নয়, ভাগ তুমি, আমাকে এবার ঘুমুতে দাও
নয়ত দারোয়ান ডেকে গলাধাক্কা দিব, সেটাই কি চাও?
রাজকন্যা রূপার কাঠি হাতে নিয়ে দিল এক ঝাকি,
কবিতারা উড়তে থাকল, যেন একেকটা কবিতা,একেকটা পাখি,
শান্তির ছায়া নিয়ে মেঘেরা ঘুম হয়ে উড়ে আসছে ধিরে ধিরে।
ডালিম কুমার ছ্যাঁকা খেয়ে বাইক নিয়ে ফেনসিডিল, মদ,গাজা খুজে ফিরে,
তেমনি ঘুরতে ঘুরতে পেয়ে যায় এমনি আর এক সুন্দরী কন্যা,
সুন্দর,নিষ্পাপ,নিটোল,স্নিগ্ধ, মায়াকাড়া ঠিক যেন ময়ুরাক্ষী রাজকন্যা।
ধবধবে পরিপাটি সমুদ্রের সফেদ ফেনার মত জীবন্ত।
নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে এক অপরূপা সুন্দরী কন্যা,
নিষ্পাপ,নিটোল,স্নিগ্ধ, মায়াকাড়া ময়ুরাক্ষী রাজকন্যা।
রাজকুমার অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এল সেথায়,
রাজকন্যার মুখখানি দেখে তার বোধশক্তি হারায়।
অনেক ডাকাডাকি, অনেক ঝাঁকুনি, অনেক আকুতি,
নাহ্! অনেক গভীর সেই ঘুম ভাঙ্গছেনা, বৃথা কাকুতি।
ডাকতে ডাকতে তার হৃদয় আহত, ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত,
চোখের নিচে পড়ল কালি, মন হল তার বড় অশান্ত।
রাজপূত্র বাদ দিলনা কোন তরিকা, যা আছে তার জানা,
এত চেষ্ঠার পর সব গেল বৃথা, কিছুতেই যে কিছু হলনা।
তার শরীর যাচ্ছে যে শুকিয়ে, প্রানশক্তিও যায় যায়,
সামনে শোয়া অপরূপা সুন্দরী চোখ খুলেনা কেন হায়!
হটাৎ রাজপূত্র দেখল রাজকন্যার শিয়রে দুটি কাঠি,
একটি সোনার আর একটি রূপার, নিখাদ খাঁটি।
সোনার কাঠি হাতে নিয়ে দিল সজোড়ে এক ঝাকি,
ব্যাস ওমনি ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপালের মত বের হতে-
থাকল কবিতা, কাব্য, রচনা, অনুকাব্য আরও কতকি?
ছোট বড় পয়ারে পয়ারে স্বপ্ন, বিরহ, মিলন, যন্ত্রনা, লিখা,
আবৃতি হচ্ছে একের পর এক, কাউকে যাচ্ছেনা দেখা।
কবিতার এহেন স্পর্শে রাজকন্যার আঁখিদ্বয় খুলল,
ধড়ফড়িয়ে উঠে অবাক নয়নে তাকিয়ে দেখল।
কে তুমি? কোথা হতে, কিভাবে এলে আমার ঘরে?
আমি ডালিমকুমার এসেছি মটর সাইকেলে চড়ে।
ভাল করে তাকাল ময়ুরাক্ষী, এ যে এক রাজকুমার,
চকিত নয়নে বলে উঠল কিছুই তো সাথে নাই তোমার।
ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, রূপ নেই, অলংকার নেই
মুকুট নেই, পৌরুষ নেই, লোকলস্কর নেই,
হাতি নেই, ঘোড়া নেই,
দীপ্তি নেই, সৌরভ নেই, গৌরব নেই, তেজ নেই,
সম্মুখে দন্ডায়মান শুকনা,কৃশ,অস্থিচর্মসার এক কঙ্কাল,
তোমার ভিতর তো পাচ্ছি না, কোন জোশ কোন ঝঙ্কার।
কি ভাবে নিবে তুমি আমায়, কিছুই যে নেই তোমার?
বল কি চাও কন্যা,একমাত্র শক্তি ছ্বাড়া সব আছে আমার।
আছে সপ্তমাশ্চর্য! একটা জিনিষ নকিয়া মোবাইল ফোন,
কি বল? আমি তো সেই কবেই নিয়েছি লেটেষ্ট আইফোন।
আমার স্বপ্নের রাজকুমার, নিজে চালিয়ে আসবে রকেটে,
হীরাজহরত ভরা, আলখেল্লায় থাকবে শত হাজারো পকেট।
আমি এদেশের রাজকন্যা, নই কোন সাধারন মেয়ে,
আমাকে পাবার আশায় হাজারো ছেলে থাকে পথ চেয়ে।
যাও, এবার ভাগ, অনেক সময় নষ্ট করলাম আমি,
আহা শখ কত, সে হতে এসেছে আমার স্বামী।
আর কথা নয়, ভাগ তুমি, আমাকে এবার ঘুমুতে দাও
নয়ত দারোয়ান ডেকে গলাধাক্কা দিব, সেটাই কি চাও?
রাজকন্যা রূপার কাঠি হাতে নিয়ে দিল এক ঝাকি,
কবিতারা উড়তে থাকল, যেন একেকটা কবিতা,একেকটা পাখি,
শান্তির ছায়া নিয়ে মেঘেরা ঘুম হয়ে উড়ে আসছে ধিরে ধিরে।
ডালিম কুমার ছ্যাঁকা খেয়ে বাইক নিয়ে ফেনসিডিল, মদ,গাজা খুজে ফিরে,
তেমনি ঘুরতে ঘুরতে পেয়ে যায় এমনি আর এক সুন্দরী কন্যা,
সুন্দর,নিষ্পাপ,নিটোল,স্নিগ্ধ, মায়াকাড়া ঠিক যেন ময়ুরাক্ষী রাজকন্যা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শিমুল শুভ্র ১৬/০৭/২০১৪সাবাশ সাবাশ
-
এইচ রহমান ১৫/০৭/২০১৪bah...chorm
-
সুরজিৎ সী ১৫/০৭/২০১৪অনেক দিন পর ছন্দ দেখলাম কবিতায়।
এবং খুবই সুন্দর কাব্য ভাবনা।
বেশ ভালো লাগলো। -
কবি মোঃ ইকবাল ১৪/০৭/২০১৪অসাধারন ভাবনার লিখনী।