ধর্ষণ ও আমাদের বিবেক
আজ ধর্শন একটা কমন ব্যাপার হয়ে গেছে আমাদের দেশে। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় কোথাও না কোথাও ধর্ষিত হচ্ছে দেশের কোন মেয়ে। ধর্ষিত হচ্ছে কখনো বকাটের হতে, আবার কখনো কোন শিক্ষকের হাতে কখনো কোন রাজনীতি নেতার হাতে কিংবা কখনো কোন বন্ধুর হাতে। সমাজ তখন চুপ হয়ে থাকে কেউ প্রতিবাদ করে না কেউ বলে না রাজনীতি বন্ধ করুন রাজনীতিবিদদের নিষিদ্ধ করা হোক রাজনীতিবিদরা ধর্ষণ করেছে এক মেয়েকে।পত্রিকার পাতা খুললে দেখুন শিক্ষক দ্বারা ধর্ষিত হচ্ছে ছাত্রী তখন আমাদের দেশের সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে সবাই চুপ থাকেন কেউ বলেন না শিক্ষকদের নিষিদ্ধ করা হোক স্কুল বন্ধ করা হোক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হোক কলেজ বন্ধ করে দেয়া হোক যখন ছাত্ররা প্রেমের নামে প্রতিদিন কোন মেয়ের দেহ ভোগ করে যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে বিবাহ ছাড়া সন্তানের জন্ম দিচ্ছে মেয়েরা তখন কেউ বলে না বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হোক যেখানে ১০০০টা টা ধর্শনের সংবাদ শুনলে হয়তো কয়েকটা শোনা যায় মাদ্রাসা ছাত্র, হুজুর দ্বারা ধর্ষিত হয়েছে।আর যখন হাজারে একটা খবর আসে কোন হুজুর কোন মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, কোন মাদ্রাসার ছাত্র কোন মেয়েকে ধর্ষণ করেছে তখন সারাদেশ উত্তাল হয়ে যায় মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হোক, হুজুররা খারাপ। তাদের উদ্দেশ্য আমি বলতে চাচ্ছি যে খারাপ তাকে খারাপ বলুন হুজুরদের নয় আর ইসলাম কখনো খারকপকে সমর্থন করে না। আর আপনি একজন খারাপ করছে বলে সবাইকে খারাপ বলতে পারেন না ১০০০ নিউজ এর মধ্যে একটা খবর দেখে আপনি বলতে পারেন না মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হোক, হুজুররা খারাপ আপনি কি জানেন প্রতিনিয়ত শিক্ষকদের হাতে ধর্ষিত হচ্ছে দেশে হাজার হাজার ছাত্রী, গৃহশিক্ষক, প্রাইভেট শিক্ষকদের হাতে প্রতিনিয়ত ধর্ষিত হচ্ছে ছাত্রীরা, এমনকি কোথাও দেখা যাচ্ছে ছাত্রীদের মা পর্যন্ত শিক্ষকদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা তখন আমরা কেন বলি না প্রাইভেট শিক্ষক নিষিদ্ধ করা হোক? তখন আমরা কেন বলিনক গৃহশিক্ষকদের নিষিদ্ধ করা হোক? যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন মেয়ে বিয়ে ছাড়া সন্তান জন্ম দিয়ে সে সন্তানকে হত্যা করে, তখন আমরা কেন বলি না বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হোক?
যখন দেখা যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দ্বারা ছোট্ট শিশু ধর্ষিত হয়েছে তখন কেউ বলেনা প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হোক। যখন প্রেমের নামে গার্লফ্রেন্ডকে ঘুরতে নিয়ে যায় পালাক্রমে ধর্ষণ করে তার বিএফ সহ তার অন্য বন্ধুরা মিলে তখন কেউ বলে না প্রেম নিষিদ্ধ করা হোক। যখন বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষিত হয় বন্ধুদের ধারা কোন মেয়ে তখন কেউ বলে না বন্ধুত্ব নিষিদ্ধ করা হোক। যখন বাসের মধ্যে ধর্ষিত হয় কোন মেয়ে, তখন কেউ বলে না বাস নিষিদ্ধ করা হোক। মেয়েরা নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পড়তে গিয়ে কারো হাতে ধর্ষিত হই, তখন কেউ বলে না উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হোক। যখন রাজনীতিবিদদের হাতে ধর্ষিত হয় কোন নারী তখন কেউ বলে না অমুক রাজনীতি দলকে নিষিদ্ধ করা হোক এই রাজনীতি দল খারাপ তখন সবার মুখে একটা কথায খারাপ সেই ব্যক্তি যে অপরাধ করেছে। ওকে দল থেকে ববহিষ্কার করা হয়েছে। আসলে আমরা অন্ধ হয়ে গেছে আমাদের চুলকানি শুধু ইসলাম নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করতে জানি না আমরা ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন করতে পারি না আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারি না। আমরা যেটা করি সেটা হলো ইসলামের বিরুদ্ধে আন্দোলন।
কোন একটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে যেটার পরিমাম বেশি হয় সেটাকে প্রাধান্য দিতে হয়। আর যেখানে হাজার হাজার ঘটনার মধ্যে ১-২টা মাদ্রাসা শিক্ষক বা ছাত্র দ্বারা হয় তার জন্য মাদ্রাসা বন্ধ করার কথা কোন সাহসে বলেন?
যাদের মাদ্রাসা নিয়ে এত চুলকানি তাদের বলছি ভাই চুলকানি বন্ধ করুন। মাদ্রাসা শিক্ষা যদি সবার মাঝে থাকতো তাহলে দেশে আজ দর্শন হতো না। কয়েক হাজার একটা হুজুর খারাপ করবে বলে হুজুররা খারাপ হয়ে যায় না। হ্যাঁ যে খারাপ করেছে সে খারাপ।
শুধু ইসলাম নিয়ে আপনাদের চুলকানি। ইসলাম নিয়ে আপনাদের এত চুলকানি কেন?
বন্ধ করুন এমন চুলকানি।
ইসলাম কখনো ধর্শন সমর্থন করে না। আর কখনো করবেও না। যারা অপরাধী তাদের শাস্তি চিন্তা করুন। মাদ্রাসা বন্ধ করার স্বপ্ন দেখবেন না। শুধুমাত্র নুসরাতের জন্য নয় দেশের প্রতিটি ধর্ষিতার জন্য প্রতিবাদ করুন।
যখন দেখা যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দ্বারা ছোট্ট শিশু ধর্ষিত হয়েছে তখন কেউ বলেনা প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হোক। যখন প্রেমের নামে গার্লফ্রেন্ডকে ঘুরতে নিয়ে যায় পালাক্রমে ধর্ষণ করে তার বিএফ সহ তার অন্য বন্ধুরা মিলে তখন কেউ বলে না প্রেম নিষিদ্ধ করা হোক। যখন বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষিত হয় বন্ধুদের ধারা কোন মেয়ে তখন কেউ বলে না বন্ধুত্ব নিষিদ্ধ করা হোক। যখন বাসের মধ্যে ধর্ষিত হয় কোন মেয়ে, তখন কেউ বলে না বাস নিষিদ্ধ করা হোক। মেয়েরা নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পড়তে গিয়ে কারো হাতে ধর্ষিত হই, তখন কেউ বলে না উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হোক। যখন রাজনীতিবিদদের হাতে ধর্ষিত হয় কোন নারী তখন কেউ বলে না অমুক রাজনীতি দলকে নিষিদ্ধ করা হোক এই রাজনীতি দল খারাপ তখন সবার মুখে একটা কথায খারাপ সেই ব্যক্তি যে অপরাধ করেছে। ওকে দল থেকে ববহিষ্কার করা হয়েছে। আসলে আমরা অন্ধ হয়ে গেছে আমাদের চুলকানি শুধু ইসলাম নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করতে জানি না আমরা ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন করতে পারি না আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারি না। আমরা যেটা করি সেটা হলো ইসলামের বিরুদ্ধে আন্দোলন।
কোন একটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে যেটার পরিমাম বেশি হয় সেটাকে প্রাধান্য দিতে হয়। আর যেখানে হাজার হাজার ঘটনার মধ্যে ১-২টা মাদ্রাসা শিক্ষক বা ছাত্র দ্বারা হয় তার জন্য মাদ্রাসা বন্ধ করার কথা কোন সাহসে বলেন?
যাদের মাদ্রাসা নিয়ে এত চুলকানি তাদের বলছি ভাই চুলকানি বন্ধ করুন। মাদ্রাসা শিক্ষা যদি সবার মাঝে থাকতো তাহলে দেশে আজ দর্শন হতো না। কয়েক হাজার একটা হুজুর খারাপ করবে বলে হুজুররা খারাপ হয়ে যায় না। হ্যাঁ যে খারাপ করেছে সে খারাপ।
শুধু ইসলাম নিয়ে আপনাদের চুলকানি। ইসলাম নিয়ে আপনাদের এত চুলকানি কেন?
বন্ধ করুন এমন চুলকানি।
ইসলাম কখনো ধর্শন সমর্থন করে না। আর কখনো করবেও না। যারা অপরাধী তাদের শাস্তি চিন্তা করুন। মাদ্রাসা বন্ধ করার স্বপ্ন দেখবেন না। শুধুমাত্র নুসরাতের জন্য নয় দেশের প্রতিটি ধর্ষিতার জন্য প্রতিবাদ করুন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জসিম বিন ইদ্রিস ২০/০৪/২০১৯
-
আশা মনি ১৭/০৪/২০১৯সেটাই ইসলাম নিয়ে কটুক্তি কখনই ঠিকনা।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৬/০৪/২০১৯মাদ্রাসার হুজুর আর ইসলাম এক নয়।
তাইতো ধর্ষণ হচ্ছে রাশিরাশি।