প্রবাসীদের ঘৃণা না করে সম্মান করা যায়না কেন
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনীতির প্রধান দু’টি ভিত্তি হচ্ছে গার্মেন্টস এবং প্রবাসী রেমিটেন্স। এই দুটি শক্তিশালী ভিত্তিকে পুঁজি করে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নের শীর্ষ পাঁচটি দেশের একটি “বাংলাদেশ
প্রবাসী কিংবা বিদেশি বলতে বুঝায় তাদেরকে যারা দেশের বাহিরে থাকে অর্থাৎ যারা নিজ মাতৃভূমির বাহিরে অন্য কোন দেশে থাকে। নিজ দেশের বাহিরে একজন ব্যাক্তি যেকনো দেশে থাকুকনা কেন সে প্রবাসী। আর আজকাল আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত প্রবাসীর সংখ্য বেড়ে চলেছে।
আর বাংলাদেশের উন্নয়নের পিছনে প্রবাসীদের রেমিটেন্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
এরপরেও দেখা যায় আজকাল আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজের অনেকে প্রবাসীদের ঘৃণা করেন। দেশের অনেকের মুখে বলতে শুনেছি দেশে ভাত খেতে পারেনি আর এখন বিদেশে অন্যের গোলামি করে নিজেকে অনেককিছু ভাবে।
যারা প্রবাসীদের ঘৃণা করেন তাদেরকে আমি এইটা বলব আপনে যে পড়ালেখা করছেন, রাস্তা দিয়ে হাটছেন আপনারা কি জানেন এইসব রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিস্ঠান তৈরিতে প্রবাসীদের অবদান কতটুকু?
যে লোক দেশে ভাত খেতে পাইনি সে বিদেশে গিয়ে অন্যের গোলামি করে টাকা আয় করে বড় হয় সেটা লজ্জার নয় সেটা গর্বের। কারণ কেউ সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায়না, পরিশ্রম আর চেস্টা মানুষকে বড় করে তুলে আর সেটা প্রবাসীরা করতেছে।
যারা প্রবাসীদের গোলাম বলেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন আপনে বড় ডিগ্রি নিয়ে, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার হয়ে যখন চাকরির জন্য ঘুরাঘুরি করেন তখন আপনার মাথায় আসেনা চাকরি মানে গোলামি করা, আপনে যত বড় চাকরি করেন যত সম্মানি চাকরি করেন, যত টাকা বেতন পাননা কেন তবুও আপনে গোলাম।
তবে প্রবাসীর গোলামি আর আপনাদের গোলামির মধ্যে পার্থক্য হল প্রবাসীরা ৫০হাজার টাকা বেতন পেলে তা ৫০হাজারের বেশি হয়না কিন্তু আপনারা ৫০ হাজার টাকা বেতন পেলে তা ১লক্ষ কিংবা তার অধিক হয়ে যায়।
প্রবাসীরা আপনাদের মত ঘুষ খাওয়া, কাজে ফাকি দেওয়া এইসব করেনা।
মনে রাখবেন যে চাকরি করে সে চাকর সে যে পর্যায়ের চাকরি করুকনা কেন। আপনে দেশে ১লক্ষ টাকা বেতনের চাকরি করেন আর বিদেশে কেউ ২০হাজার টাকা বেতনের চাকরি করে দুজনে চাকর। নিজে চাকরামি করব আবার অন্য চাকরকে জ্ঞান দেব তা ঠিকনা। তবে রাস্তার পাশে অশিক্ষিত ফুসকা বিক্রতা বলতে পারবে বিদেশে গিয়ে অন্যের গোলামি না করে দেশে কিছু করেন।
কারণ সে কারো চাকর না,সে একজন ব্যবসায়ী।
অবশেষে বাংলাদেশের অর্থনীতি উন্নয়নে প্রবাসীদের কিছু অবদান তুলে ধরলাম-
সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি প্রবাসী বিশ্বের প্রায় ১৬০ টিরও অধিক দেশে কর্মরত আছেন। আর এই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১২ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদশে ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী রেমিটেন্স পাঠানোর পরিমাণ বছর বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের বর্তমান বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ৩১,৩৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশী। রিজার্ভের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। আমাদের অর্থনীতিতে প্রবাসী-আয়ের অবদান মোট জিডিপির প্রায় ১১ শতাংশের মতো। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে চীনের স্থান দখল করবে বলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা মনে করেন। প্রবাসী এসব শ্রমিক যে পরমিাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠাচ্ছেন, তা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় অর্ধেক। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২০১২-১৩ অর্থবছরে আমাদের মোট বার্ষিক রেমিটেন্স এক হাজার ৪৪৬ কোটি ডলারের ৬৩ শতাংশ এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে আমাদের মোট বার্ষিক রেমিটেন্স এক হাজার ৫৩১ কোটি ডলার এসেছে। অবশ্য ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরের জুন পর্যন্ত এই পরিমাণ কমে হয়েছে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার। গত ৬ বছরে এশিয়ার অন্যান্য দেশে রেমিটেন্সের পরিমাণ গড়ে যেখানে ছিল ৭.১ শতাংশ, সেখানে বাংলাদশে ছিল প্রায় ১১ শতাংশ। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শীর্ষ ১০টি রেমিটেন্স অর্জণকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অষ্টম অবস্থানে। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ১৬ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বিদেশ থেকে রেমিটেন্স বাবদ পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। রেমিটেন্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে বিশাল বৃদ্ধি ঘটিয়ে প্রায় ৩১,৩৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছে, যা দেশের নয় মাসেরও বেশি আমদানি ব্যয় মেটাতে সক্ষম। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে, ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে...।
প্রবাসী কিংবা বিদেশি বলতে বুঝায় তাদেরকে যারা দেশের বাহিরে থাকে অর্থাৎ যারা নিজ মাতৃভূমির বাহিরে অন্য কোন দেশে থাকে। নিজ দেশের বাহিরে একজন ব্যাক্তি যেকনো দেশে থাকুকনা কেন সে প্রবাসী। আর আজকাল আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত প্রবাসীর সংখ্য বেড়ে চলেছে।
আর বাংলাদেশের উন্নয়নের পিছনে প্রবাসীদের রেমিটেন্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
এরপরেও দেখা যায় আজকাল আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজের অনেকে প্রবাসীদের ঘৃণা করেন। দেশের অনেকের মুখে বলতে শুনেছি দেশে ভাত খেতে পারেনি আর এখন বিদেশে অন্যের গোলামি করে নিজেকে অনেককিছু ভাবে।
যারা প্রবাসীদের ঘৃণা করেন তাদেরকে আমি এইটা বলব আপনে যে পড়ালেখা করছেন, রাস্তা দিয়ে হাটছেন আপনারা কি জানেন এইসব রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিস্ঠান তৈরিতে প্রবাসীদের অবদান কতটুকু?
যে লোক দেশে ভাত খেতে পাইনি সে বিদেশে গিয়ে অন্যের গোলামি করে টাকা আয় করে বড় হয় সেটা লজ্জার নয় সেটা গর্বের। কারণ কেউ সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায়না, পরিশ্রম আর চেস্টা মানুষকে বড় করে তুলে আর সেটা প্রবাসীরা করতেছে।
যারা প্রবাসীদের গোলাম বলেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন আপনে বড় ডিগ্রি নিয়ে, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার হয়ে যখন চাকরির জন্য ঘুরাঘুরি করেন তখন আপনার মাথায় আসেনা চাকরি মানে গোলামি করা, আপনে যত বড় চাকরি করেন যত সম্মানি চাকরি করেন, যত টাকা বেতন পাননা কেন তবুও আপনে গোলাম।
তবে প্রবাসীর গোলামি আর আপনাদের গোলামির মধ্যে পার্থক্য হল প্রবাসীরা ৫০হাজার টাকা বেতন পেলে তা ৫০হাজারের বেশি হয়না কিন্তু আপনারা ৫০ হাজার টাকা বেতন পেলে তা ১লক্ষ কিংবা তার অধিক হয়ে যায়।
প্রবাসীরা আপনাদের মত ঘুষ খাওয়া, কাজে ফাকি দেওয়া এইসব করেনা।
মনে রাখবেন যে চাকরি করে সে চাকর সে যে পর্যায়ের চাকরি করুকনা কেন। আপনে দেশে ১লক্ষ টাকা বেতনের চাকরি করেন আর বিদেশে কেউ ২০হাজার টাকা বেতনের চাকরি করে দুজনে চাকর। নিজে চাকরামি করব আবার অন্য চাকরকে জ্ঞান দেব তা ঠিকনা। তবে রাস্তার পাশে অশিক্ষিত ফুসকা বিক্রতা বলতে পারবে বিদেশে গিয়ে অন্যের গোলামি না করে দেশে কিছু করেন।
কারণ সে কারো চাকর না,সে একজন ব্যবসায়ী।
অবশেষে বাংলাদেশের অর্থনীতি উন্নয়নে প্রবাসীদের কিছু অবদান তুলে ধরলাম-
সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি প্রবাসী বিশ্বের প্রায় ১৬০ টিরও অধিক দেশে কর্মরত আছেন। আর এই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১২ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদশে ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী রেমিটেন্স পাঠানোর পরিমাণ বছর বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের বর্তমান বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ৩১,৩৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশী। রিজার্ভের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। আমাদের অর্থনীতিতে প্রবাসী-আয়ের অবদান মোট জিডিপির প্রায় ১১ শতাংশের মতো। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে চীনের স্থান দখল করবে বলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা মনে করেন। প্রবাসী এসব শ্রমিক যে পরমিাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠাচ্ছেন, তা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় অর্ধেক। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২০১২-১৩ অর্থবছরে আমাদের মোট বার্ষিক রেমিটেন্স এক হাজার ৪৪৬ কোটি ডলারের ৬৩ শতাংশ এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে আমাদের মোট বার্ষিক রেমিটেন্স এক হাজার ৫৩১ কোটি ডলার এসেছে। অবশ্য ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরের জুন পর্যন্ত এই পরিমাণ কমে হয়েছে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার। গত ৬ বছরে এশিয়ার অন্যান্য দেশে রেমিটেন্সের পরিমাণ গড়ে যেখানে ছিল ৭.১ শতাংশ, সেখানে বাংলাদশে ছিল প্রায় ১১ শতাংশ। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শীর্ষ ১০টি রেমিটেন্স অর্জণকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অষ্টম অবস্থানে। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ ১৬ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বিদেশ থেকে রেমিটেন্স বাবদ পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। রেমিটেন্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে বিশাল বৃদ্ধি ঘটিয়ে প্রায় ৩১,৩৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছে, যা দেশের নয় মাসেরও বেশি আমদানি ব্যয় মেটাতে সক্ষম। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে, ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে...।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আলম সারওয়ার ২৪/০৬/২০১৭অসাধারণ লেখালেখির জন্য শুভেচ্ছা থাকল আমার ।ঈদ মোবারক