বাবার আত্মত্যাগ
হাসান সাহেবের একমত্র ছেলে রিহান, জন্মের ৩বছর পরে রিহানের মা মারা যান। মা মরে যাওয়ার পর হাসান সাহেব কখনো মায়ের অভাব বুঝতে দেননি রিহানকে। অনেকে বলেছিলেন ছেলেটার দেখাশুনা করার জন্য হলেও যেন আরেকটা বিয়ে করে নেন, কিন্তু হাসান সাহেব একটা কথা বলতেন ওর মায়ের অভাব পৃথিবীর আর কেউ পূরণ করতে পারবেনা, তাই আর কাউকে বিয়ে করার দরকার নেই। নিজের সব সুখ বিসর্জন দিয়ে হলেও ওকে আমি মানুষ করে তুলব। এইভাবে শুরু হয় হাসান সাহেবের ছেলেকে নিয়ে সংগ্রাম, তার স্বপ্ন রিহান একজন বড় ডাক্তার হবে, তিনি চাননা রিহানের মায়ের মত আর কেউ চিকিৎসার অভাবে মারা যাক, তাই ছেলেকে যেকোনোভাবে ডাক্তার বানাবে।
হাসান সাহেব রিহানকে একটা ভাল স্কুলে ভর্তি করে দিলেন, রিহান পড়ালেখায় খুব ভাল ছিল। হাজার ব্যাস্ততার মাঝেও হাসান সাহেব নিজে রিহানকে স্কুলে আসা নেওয়া করতেন। রিহান যখন যা ছাইত হাসান সাহেব তখন তা দিতেন, নিজে সারাদিন পরিশ্রম করার পরেও রাতে না ঘুমিয়ে ছেলের সাথে পড়ার টেবিলে বসে থাকতেন, ছেলে যতক্ষণ ঘুমাতনা তিনি ততক্ষণ জেগে থাকতেন, রিহানের পড়া শেষে তার বিছানা ঠিক করে দিয়ে তাকে ঘুম পারিয়ে তারপর তিনি ঘুমাতেন।
এইভাবে যেতে যেতে জীবনের অনেকটি বছর চলে যায়, এইবার রিহান এস.এস.সি পরীক্ষা দিবে পরীক্ষার আগের দিন হাসান সাহেব রিহানকে ডেকে এনে বলতে লাগলেন তার স্বপ্নের কথা, যেকোনোভাবে ভাল রেসাল্ট করতে হবে, রিহান বাবাকে আশ্বস্ত করেন তার স্বপ্ন পূরণ করবে বলে।
রিহানের পরীক্ষা শেষ হল আজ প্রায় ৩মাস হয়ে গেল, কাল রেসাল্ট দিবে। হাসান সাহেব খুব বেশি চিন্তিত কাল ছেলের রেসাল্ট তিনি আল্লাহর দরবারে ২টি হাত তুলে দিয়ে অঝর কান্না করতে থাকেন ছেলের রেসাল্ট টা যেন অনেক ভাল হয়, রিহান বাবার এমন কান্না দেখে নিজের অজান্তে সেও কাধতে লাগল বাবা এত বেশি ভালোবাসে তাকে সে কখনো ভাবতে পারেনি। অবশেষে রিহানের রেসাল্ট বাহির হল, রিহান তাদের স্কুলের মধ্যে সবছেয়ে ভাল রেসাল্ট করল। রিহান ভাল একটা কলেজে ভর্তি হল, এইভাবে ২টি বছর কেটে যায় আর রিহানের এইসএইসসি পরীক্ষা শেষ হয় তাতেও খুব ভাল রেসাল্ট। এইবার হাসান সাহেবের স্বপ্ন পূরনের ফালা, সামনে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা।
রিহান বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেস্টা করে যাচ্ছেন, পরীক্ষার আর মাত্র ১মাস বাকি আছে। একদিন সকালে
রিহান রাস্তা দিয়ে হেটে কোচিং এ যাচ্ছে, এমন সময় পিছন থেকে একটা বাস রিহান কে ধাক্কা মারে, রিহান সাথে সাথে মাটিতে পরে যায়, চারদিক থেকে লোকজন ছুটে আসে রিহান কে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রিহানের বাবা খবর পেয়ে কান্না করতে করতে হাসপাতালে ছুটে আসেন, এসে রিহানকে জড়িয়ে ধরে কাধতে থাকেন। রিহানের অবস্থা তেমন গুরুতর না দেখে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলেন, কিন্তু তিনি তখনো যানতেন না যে তার জন্য খারাপ কোন কিছু অপেক্ষা করতেছে। রিহান এখন সুস্থ আছে কিন্তু সে চারদিকে অন্ধকার দেখতেছে, অনেক চেস্টা করেও সে কিছু দেখতে পারতেছেনা, রিহান বাবাকে আলো জ্বালাতে বলে কিন্তু তার বাবা এইটা শুনে অবাক হয়ে যায় এত আলোর মধ্যে আবার কিসের আলো তারাতারি ডাক্তার কে ডাকলেন, ডাক্তার পরীক্ষা করে হাসান সাহেবকে একপাশে নিয়ে যান, আর বলেন তার সন্তান আর কখনো দেখতে পারবেননা। হাসান সাহেবের মাথায় যেন আকাশ ভেংগে পরল, তার সব স্বপ্ন বুঝি এইখানে শেষ, তার একমাত্র ছেলে আর চোখে দেখবেনা। তিনি এইটা কোনভাবে মেনে নিতে পারছেন না। তিনি ডাক্তার কে যেকনোভাবে চোখের ব্যাবস্থা করতে বলেন, কিন্তু শত চেস্টা করেও কোথাও চোখ পাওয়া গেলনা। হাসান সাহেব যেকোনোভাবে তার স্বপ্ন পূরণ করবেন , তার একমাত্র ছেলে চোখে দেখতে পারবেনা এইটা কোনভাবে তিনি মানতে পারবেন না। তাই তিনি তার চোখ দুটো তার ছেলেকে দিবেন বলেন সিদ্ধান্ত নিলেন আর পরিক্ষার আগে রিহানকে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে হবে। হাসান সাহেব ডাক্তার কে অপারেশন এর ব্যবস্থা করতে বলেন তারপর হাসান সাহেব রিহানের কাছে গেলেন আর তাকে বললেন তিনি কিছুদিনের জন্য চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে যাবেন,আর সে সুস্থ হয়ে যেন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেই আর যেকোনোভাবে মেডিকেল টিকতে হবে। রিহানকে এইভাবে রেখে কেন যাবে তা জানতে ছাইলে তিনি বলেন তার চাচাতো ভাই মারা গেছেন ওইখানে যেতে হবে তাকে। রিহান আর বাধা দিলনা, এরপর হাসান সাহেব তার চোখ দুটো দিয়ে দেন। আর সবাই কে বলে দেন তার চোখ দেওয়ার বিষয়টা রিহান যেন কোনভাবে জানতে না পারে। রিহান যেন পরিক্ষার আগে কোনভাবে জানতে না পারে তার বাবার চোখ দিয়ে সে দেখতে পাচ্ছে তাই তিনি রিহানের কাছ থেকে দূরে চলে যান। রিহানের অপারেশন শেষ হল এখন সে সবকিছু দেখতে পাচ্ছে, তার বাবাকে কল করে আর সে যে দেখতে পাচ্ছে তা জানাতে হাসান সাহেব খুশিতে কেধে ফেললেন তিনি রিহানকে বললেন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নাও। এইখানে কিছু সমস্যা হয়ছে, যেদিন তোমার রেসাল্ট দিবে সেদিন তোমার কাছে যাব এর আগে যেন আমাকে আর দেখতে না চাও। রিহান বাবাকে কথা দিল রেসাল্ট যেদিন দিবে সেদিন বাবাকে দেখবে।
রিহানের পরিক্ষা শেষ হল এখন রেসাল্ট এর অপেক্ষায়।
আগামীকাল রেসাল্ট তাই রিহান তার বাবাকে বাসায় চলে আসতে বলে কিন্তু তার বাবা বললো আগে রেসাল্ট আসুক তারপর। এইভাবে শত অপেক্ষার পর আজ হাসান সাহেবের স্বপ্ন পূরণের দিন, রিহানের রেসাল্ট বের বের হল, আর রিহান মেডিকেলে চাঞ্জ পেয়ে গেল, তার বন্ধুরা সবাই তাকে নিয়ে উচ্ছাসে মেথে উঠল কিন্তু রিহানের এইসব কিছু ভাল লাগছেনা, তার এখন শুধু একজন কে ছাই আর কিছু ছাইনা সে বাবাকে কখন দেখবে তার জন্য অস্থির, সে সবার মাঝ থেকে বের হয়ে খুব দ্রুত বাসায় ফিরে যায়। বাসায় ফিরে দৌড়ে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে বাবাও কান্না করতে থাকেন, এরপর রিহান তার বাবাকে একটা কাগজ দিয়ে পড়তে বলেন। তখন তার পাশে থেকে একজন বলে উঠল তোমার বাবা আর কোনদিন পড়তে পারবেনা, তোমার বাবার চোখ দুটো তোমাকে দিয়ে দেয় আর সেদিন যদি সেটা না করত তাহলে আজ তুমি মেডিকেল পরিক্ষা দিতে পারতেনা।
রিহান চিক্কার করে কাধতে থাকে বাবা তুমি কেন এইটা করলে, হাসান সাহেব তাকে জড়িয়ে ধরে কাধতে কাধতে বললেন আমার স্বপ্ন ছিল তুই ডাক্তার হবি, আর আমি যদি তোকে সেদিন চোখ না দিতাম তাহলে তুই চোখে দেখতে পারতিনা আর চোখে না দেখলে পরীক্ষাও দিতে পারতিনা আর আমার স্বপ্ন পুরন হতনা।
হয়তো সেদিন তুই যদি জানতি আমি নিজের চোখ দিয়েছি তোকে তাহলে তুই ওইসব নিয়ে চিন্তা করতি হয়তো তখন তোর রেসাল্ট ভাল হতনা তাই তোর থেকে দূরে সরে ছিলাম তুই যেন বুঝতে না পারিস। একটুপর তারা দেখতে পায় তাদের কে গিরে আছে তাদের আশেপাশের মানুষগুলো, সবার চোখের কোণে জল জমে আছে। সবাই আজ হাসান সাহেবের জন্য গর্ববোধ করতেছে। সে মা মরা ছেলেটাকে কখনো মায়ের অভাব বুঝতে দেয়নি,কখনো বিয়ের কথা ভাবেনি অবশেষে নিজের চোখ ও দিয়ে দিলেন ছেলের জন্য।
এইভাবে প্রতিটি বাবা নিজেদের সব সুখ বিস্রজন দিয়ে সন্তানের জন্য লড়াই করে যান, কিন্তু সে সন্তানগুলো একদিন ভুলে যায় এইসব বাবাদের।
হাসান সাহেব রিহানকে একটা ভাল স্কুলে ভর্তি করে দিলেন, রিহান পড়ালেখায় খুব ভাল ছিল। হাজার ব্যাস্ততার মাঝেও হাসান সাহেব নিজে রিহানকে স্কুলে আসা নেওয়া করতেন। রিহান যখন যা ছাইত হাসান সাহেব তখন তা দিতেন, নিজে সারাদিন পরিশ্রম করার পরেও রাতে না ঘুমিয়ে ছেলের সাথে পড়ার টেবিলে বসে থাকতেন, ছেলে যতক্ষণ ঘুমাতনা তিনি ততক্ষণ জেগে থাকতেন, রিহানের পড়া শেষে তার বিছানা ঠিক করে দিয়ে তাকে ঘুম পারিয়ে তারপর তিনি ঘুমাতেন।
এইভাবে যেতে যেতে জীবনের অনেকটি বছর চলে যায়, এইবার রিহান এস.এস.সি পরীক্ষা দিবে পরীক্ষার আগের দিন হাসান সাহেব রিহানকে ডেকে এনে বলতে লাগলেন তার স্বপ্নের কথা, যেকোনোভাবে ভাল রেসাল্ট করতে হবে, রিহান বাবাকে আশ্বস্ত করেন তার স্বপ্ন পূরণ করবে বলে।
রিহানের পরীক্ষা শেষ হল আজ প্রায় ৩মাস হয়ে গেল, কাল রেসাল্ট দিবে। হাসান সাহেব খুব বেশি চিন্তিত কাল ছেলের রেসাল্ট তিনি আল্লাহর দরবারে ২টি হাত তুলে দিয়ে অঝর কান্না করতে থাকেন ছেলের রেসাল্ট টা যেন অনেক ভাল হয়, রিহান বাবার এমন কান্না দেখে নিজের অজান্তে সেও কাধতে লাগল বাবা এত বেশি ভালোবাসে তাকে সে কখনো ভাবতে পারেনি। অবশেষে রিহানের রেসাল্ট বাহির হল, রিহান তাদের স্কুলের মধ্যে সবছেয়ে ভাল রেসাল্ট করল। রিহান ভাল একটা কলেজে ভর্তি হল, এইভাবে ২টি বছর কেটে যায় আর রিহানের এইসএইসসি পরীক্ষা শেষ হয় তাতেও খুব ভাল রেসাল্ট। এইবার হাসান সাহেবের স্বপ্ন পূরনের ফালা, সামনে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা।
রিহান বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেস্টা করে যাচ্ছেন, পরীক্ষার আর মাত্র ১মাস বাকি আছে। একদিন সকালে
রিহান রাস্তা দিয়ে হেটে কোচিং এ যাচ্ছে, এমন সময় পিছন থেকে একটা বাস রিহান কে ধাক্কা মারে, রিহান সাথে সাথে মাটিতে পরে যায়, চারদিক থেকে লোকজন ছুটে আসে রিহান কে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রিহানের বাবা খবর পেয়ে কান্না করতে করতে হাসপাতালে ছুটে আসেন, এসে রিহানকে জড়িয়ে ধরে কাধতে থাকেন। রিহানের অবস্থা তেমন গুরুতর না দেখে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলেন, কিন্তু তিনি তখনো যানতেন না যে তার জন্য খারাপ কোন কিছু অপেক্ষা করতেছে। রিহান এখন সুস্থ আছে কিন্তু সে চারদিকে অন্ধকার দেখতেছে, অনেক চেস্টা করেও সে কিছু দেখতে পারতেছেনা, রিহান বাবাকে আলো জ্বালাতে বলে কিন্তু তার বাবা এইটা শুনে অবাক হয়ে যায় এত আলোর মধ্যে আবার কিসের আলো তারাতারি ডাক্তার কে ডাকলেন, ডাক্তার পরীক্ষা করে হাসান সাহেবকে একপাশে নিয়ে যান, আর বলেন তার সন্তান আর কখনো দেখতে পারবেননা। হাসান সাহেবের মাথায় যেন আকাশ ভেংগে পরল, তার সব স্বপ্ন বুঝি এইখানে শেষ, তার একমাত্র ছেলে আর চোখে দেখবেনা। তিনি এইটা কোনভাবে মেনে নিতে পারছেন না। তিনি ডাক্তার কে যেকনোভাবে চোখের ব্যাবস্থা করতে বলেন, কিন্তু শত চেস্টা করেও কোথাও চোখ পাওয়া গেলনা। হাসান সাহেব যেকোনোভাবে তার স্বপ্ন পূরণ করবেন , তার একমাত্র ছেলে চোখে দেখতে পারবেনা এইটা কোনভাবে তিনি মানতে পারবেন না। তাই তিনি তার চোখ দুটো তার ছেলেকে দিবেন বলেন সিদ্ধান্ত নিলেন আর পরিক্ষার আগে রিহানকে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে হবে। হাসান সাহেব ডাক্তার কে অপারেশন এর ব্যবস্থা করতে বলেন তারপর হাসান সাহেব রিহানের কাছে গেলেন আর তাকে বললেন তিনি কিছুদিনের জন্য চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে যাবেন,আর সে সুস্থ হয়ে যেন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেই আর যেকোনোভাবে মেডিকেল টিকতে হবে। রিহানকে এইভাবে রেখে কেন যাবে তা জানতে ছাইলে তিনি বলেন তার চাচাতো ভাই মারা গেছেন ওইখানে যেতে হবে তাকে। রিহান আর বাধা দিলনা, এরপর হাসান সাহেব তার চোখ দুটো দিয়ে দেন। আর সবাই কে বলে দেন তার চোখ দেওয়ার বিষয়টা রিহান যেন কোনভাবে জানতে না পারে। রিহান যেন পরিক্ষার আগে কোনভাবে জানতে না পারে তার বাবার চোখ দিয়ে সে দেখতে পাচ্ছে তাই তিনি রিহানের কাছ থেকে দূরে চলে যান। রিহানের অপারেশন শেষ হল এখন সে সবকিছু দেখতে পাচ্ছে, তার বাবাকে কল করে আর সে যে দেখতে পাচ্ছে তা জানাতে হাসান সাহেব খুশিতে কেধে ফেললেন তিনি রিহানকে বললেন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নাও। এইখানে কিছু সমস্যা হয়ছে, যেদিন তোমার রেসাল্ট দিবে সেদিন তোমার কাছে যাব এর আগে যেন আমাকে আর দেখতে না চাও। রিহান বাবাকে কথা দিল রেসাল্ট যেদিন দিবে সেদিন বাবাকে দেখবে।
রিহানের পরিক্ষা শেষ হল এখন রেসাল্ট এর অপেক্ষায়।
আগামীকাল রেসাল্ট তাই রিহান তার বাবাকে বাসায় চলে আসতে বলে কিন্তু তার বাবা বললো আগে রেসাল্ট আসুক তারপর। এইভাবে শত অপেক্ষার পর আজ হাসান সাহেবের স্বপ্ন পূরণের দিন, রিহানের রেসাল্ট বের বের হল, আর রিহান মেডিকেলে চাঞ্জ পেয়ে গেল, তার বন্ধুরা সবাই তাকে নিয়ে উচ্ছাসে মেথে উঠল কিন্তু রিহানের এইসব কিছু ভাল লাগছেনা, তার এখন শুধু একজন কে ছাই আর কিছু ছাইনা সে বাবাকে কখন দেখবে তার জন্য অস্থির, সে সবার মাঝ থেকে বের হয়ে খুব দ্রুত বাসায় ফিরে যায়। বাসায় ফিরে দৌড়ে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে বাবাও কান্না করতে থাকেন, এরপর রিহান তার বাবাকে একটা কাগজ দিয়ে পড়তে বলেন। তখন তার পাশে থেকে একজন বলে উঠল তোমার বাবা আর কোনদিন পড়তে পারবেনা, তোমার বাবার চোখ দুটো তোমাকে দিয়ে দেয় আর সেদিন যদি সেটা না করত তাহলে আজ তুমি মেডিকেল পরিক্ষা দিতে পারতেনা।
রিহান চিক্কার করে কাধতে থাকে বাবা তুমি কেন এইটা করলে, হাসান সাহেব তাকে জড়িয়ে ধরে কাধতে কাধতে বললেন আমার স্বপ্ন ছিল তুই ডাক্তার হবি, আর আমি যদি তোকে সেদিন চোখ না দিতাম তাহলে তুই চোখে দেখতে পারতিনা আর চোখে না দেখলে পরীক্ষাও দিতে পারতিনা আর আমার স্বপ্ন পুরন হতনা।
হয়তো সেদিন তুই যদি জানতি আমি নিজের চোখ দিয়েছি তোকে তাহলে তুই ওইসব নিয়ে চিন্তা করতি হয়তো তখন তোর রেসাল্ট ভাল হতনা তাই তোর থেকে দূরে সরে ছিলাম তুই যেন বুঝতে না পারিস। একটুপর তারা দেখতে পায় তাদের কে গিরে আছে তাদের আশেপাশের মানুষগুলো, সবার চোখের কোণে জল জমে আছে। সবাই আজ হাসান সাহেবের জন্য গর্ববোধ করতেছে। সে মা মরা ছেলেটাকে কখনো মায়ের অভাব বুঝতে দেয়নি,কখনো বিয়ের কথা ভাবেনি অবশেষে নিজের চোখ ও দিয়ে দিলেন ছেলের জন্য।
এইভাবে প্রতিটি বাবা নিজেদের সব সুখ বিস্রজন দিয়ে সন্তানের জন্য লড়াই করে যান, কিন্তু সে সন্তানগুলো একদিন ভুলে যায় এইসব বাবাদের।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ১৪/০৩/২০১৭মুগ্ধ হলাম
-
রাবেয়া মৌসুমী ১৪/০৩/২০১৭ভুলে ভরা ফুল,আবেগের দুল..