www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

অসহায় মায়ের কান্না।

রাহাতের
জন্মের আগে তার বাবা মারা যান।
অসহায় হয়ে পরেন রাহাতের
মা আয়শা বেগম।
কিভাবে সন্তানকে মানুষ করবেন
বুঝতে পারছিলেন না। শেষ পয্যন্ত
আয়শা বেগম কতগুলো মহিলার
সাথে মাটি কাটা কাজ করেন।
এইভাবে মা দিনের পর দিন পরিশ্রম
করে ছেলেকে পরাচ্ছেন।
অবশেষে ছেলে এস.এস.সি পাশ করল
আয়েশা বেগমের একটা সপ্ন পূরণ করল।
আয়েশা বেগম এখন পরিশ্রম আরও
বেশি করতে লাগলেন
ছেলেকে যে ডাক্তার বানাতে হবে।
সেই সপ্ন পূরণ হতে আর বেশি দেরি নেই
রাহাত এইস.এস.সি পাশ ও
করে পেলছে কৃতিত্তের সাথে। এখন
ডাক্তারি পরার পালা কিন্তু
ডাক্তারি পরতে হলে অনেক
টাকা দরকার। আয়শা বেগম তার সপ্ন পূরন
করতে টাকা যেইভাবে হউক যোগার
করবেন তাই তিনি বিভিন্ন এনজিও
সংস্থা থেকে টাকা নেন আর
ছেলেকে ডাক্তারি পরান।
এইদিকে আগের ছেয়ে দিগুণ পরিস্রম
করতে হয়
আয়শা বেগমকে টাকা গুলো শোধ
করতে হবে তাই। আর
ধিরে ধিরে আয়শা বেগমের সপ্ন পূরন
হতে লাগলো। রাহাত তার
মাকে বল্লো তোমার আর কোনদিন কষ্ট
করতে হবেনা কয়দিন পর তোমার
ছেলে ডাক্তার হবে। অবশেষ হতভাজ্ঞ
ছেলেটি ডাক্তারি পাশ করল। রাহাত
রেজাল্ট পেয়ে সব কিছু ভুলে সে তার
মায়ের কাছে ছুটে চলছে কারন তার
মা যে তার জীবনে সব। কিন্তু আর
কোনদিন তার
মাকে যে দেখা হলোনা রাহাতের।
যে গারিটিতে রাহাত যাচ্ছিল
সে গারিটিতে হটাত কিছু পিকেটার
এসে আগুন ধরিয়ে দিল আর রাহাত
আগুনে পুরে যাচ্ছিল বাছার জন্য
গাড়ি থেকে কোনভাবে নেমে পরে কিন্তু
বাছতে পারলোনা আমাদের রাজনীতির
কাছে গাড়ি থেকে নামার
সাথে সাথে রাহাতকে একের পর এক
আগাত করতে থাকে পিকেটাররা।
তাদের বার বার বল্লো আমাকে আমার
মায়ের কাছে নিয়ে যাও। কিন্তু কেউ
শুনলনা রাহাতের কথা।
অবশেষে চিক্কার করতে করতে রাস্তায়
অকাল জীবন দিতে হয় অসহায় মায়ের
সপ্নের ডাক্তারকে। সন্তান হারানোরর
কথা শুনে মায়ের কান্নার
চিক্কারে ঝরো হয়ে যায় হাজার হাজার
মানুষ। এই কান্না হওয়ার কথা ছিল সুখের
কিন্তু আমাদের রাজনীতির কারণে দুখের
কান্না হয়ে গেল।
আর কত অকাল জিবন
দিতে হবে আমাদের?
কে দেখবে রাহাতের অসহায় মাকে?
সন্তান হারানো মায়ের কান্না আর কত
শুনতে হবে?
কোনো এম.পি,
মন্ত্রী তো মরেনা কেনো মরতে হচ্ছে আমাদের
মত সাধারন মানুষদের?
রাহাত তো রাজনীতি করত না?
সে সাধীন দেশে জন্মেছিল এইটাই
কি তার অপরাধ?
ধিক্কার এমন রাজনীতির ধিক্কার
সারথো লোভী রাজনীতিবিদদের।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৯৩৯ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২১/১০/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • লেখাটা অনেক ভালো লাগলো।
    আপনাকে কিছু কথা বলি।
    ১. আপনি বলছেন লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, কিন্তু কেনাে যেখানে আপনার একাধিক বানান ভুল। একটু সচেতন হবেন।
    ২. আপনি বলছেন লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, আপনি কার কয়টি লেখা পড়েছেন। অন্যদের লেখা পড়ুন লেখার মান আরো বাড়বে।
    ৩.আপনি বলছেন লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, আপনি কি আদেশ করছেন? আপনি বলতে পারেন দয়া করে লেখাটি পড়ে দেখবেন।


    জাস্ট এমনি লিখলাম ডন্ট মাইন্ড। ভালো থাকবেন। চালিয়ে যান।
 
Quantcast