চাবি রহস্য
ফনিকোরা খুব গরিব । যদিও পরিবারের সদস্য সংখ্যা খুব কম । স্ত্রী আর দুই ছেলে । ছেলে দুটি খুব ছোট । একজনের বয়স আট আর অন্যজনের দশ । সংসার ঠিকমত চলে না । ফনিকো দিনমজুরের কাজ করে । তার ওপর অনেকসময় কোন কাজ পাওয়া যায় না । সুতরাং অনেকটা সময় বেকার থাকতে হয় । কিন্তু ফনিকো খুবই সৎচরিত্রবান মানুষ । ঝগড়া-ফ্যাসাদ কিংবা কোন অপকর্মের মধ্যে সে নেই । নিয়মিত ধর্ম-কর্ম করে ।
এক প্রতিবেশি হঠাৎ ওর কাছে কিছু টাকা ধার নেওয়ার জন্য আসল । ফনিকো পরল মহামুশকিলে । প্রতিবেশিকে সে ফিরিয়ে দিতেও পারছে না আবার তার কাছে এত টাকাও নেই যে অনায়াসে ধার দিতে পারবে । যা আছে তা দিয়ে দিলে নিজেদের চলবে কি করে? কিন্তু প্রতিবেশিকে ফিরিয়ে দিতে পারল না ফনিকো । ওই প্রতিবেশির একটি মাত্র ছেলে । তার আবার ভীষণ অসুখ । প্রতিবেশির ব্যথায় কেঁদে উঠল ফনিকোর মন । নিজের যা কিছু টাকা পয়সা ছিল সব দিয়ে দিল প্রতিবেশিকে । নিজেদের হয়তো কিছুদিন কষ্ট হবে কিন্তু এই টাকায় যদি প্রতিবেশির ছেলে ভালো হয়ে ওঠে তাহলে ফনিকোর চেয়ে আর খুশি কে হবে ।
ফনিকো সেদিন বাজার করতে গেল । হাতে টাকা খুবই কম । তারই মধ্যে অল্প কিছু কিনে শেষে মাছ কেনার জন্য গেল । যেই টাকা আছে তা দিয়ে সুবিধাজনক মাছ কেনা সম্ভব নয় । তাই বড় কোন মাছের দিকেই সে দৃষ্টিপাত করল না । কিন্তু এক মাছ বিক্রেতা হঠাৎ তাকে ডাকল, ‘এই যে এই মাছটা নিন ।’ বেশ বড়সড় একটা মাছ । ফনিকো বুঝল এই মাছ কেনা তার পক্ষে সম্ভব নয় । তারপরও জিজ্ঞেস করল, ‘কত দাম ভাই?’
ফনিকোর ধারণা ছিল মাছ বিক্রেতা মাছটির উচ্চ দাম হাকাবে । কিন্তু ফনিকোর ধারণা মিথ্যে হল ।
বিক্রেতা মাছটার দাম খুম কমই বলল । তারপরও ফনিকো যখন নিতে চাইল না তখন দাম আরো কমাল । এবার ফনিকো নিয়ে নিল মাছটি । খুশি মনে বাড়ি ফিরল ফনিকো । যাই হোক অনেকদিন পর এতবড় মাছ খাবে তারা । ছেলে দুটিও এতবড় মাছ দেখে খুব খুশি হল । কিন্তু ফনিকোর স্ত্রী খুশি হতে পারল না । সে ঘোষণা করল যে মাছটি পচা । ফনিকো এবার বুঝল বিক্রেতা কেন এত কমদামে মাছটি দিল । ফনিকোর খুশি ভাবটা কমে গেল ।
রাতে যখন খেতে এল তখন তার স্ত্রী বলল,’ ওহ হ্যা তোমাকে তো বলাই হয়নি মাছ কাটার সময় এর মধ্যে একটি চাবি পেয়েছি ।
‘চাবি!’ অবাক হল ফনিকো ।‘কই দেখি তো ।’
‘রান্নাঘরে রেখে দিয়েছি । কাল সকালে দেখো ।’
ভাবতে ভাবতে খাও্য়া শেষ করল ফনিকো । মাছের পেটে চাবি ব্যাপারটা কেমন যেন ঠেকছে না ? এর মধ্যে কি কোন রহস্য আছে ? পরক্ষনেই ভাবনাটা মন থেকে উড়িয়ে দিল ফনিকো । একটি মাছের পেটে চাবি পাওয়া বিচিত্র কিছু নয়। হয়তো কোন কিছুর সাথে খেয়ে ফেলেছে মাছটি । কিন্তু ভাবনাটা কিছুতেই গেল না মন থেকে । বারবার মনে উঁকি দিতে লাগল ভাবনাটি । রাতে যখন ঘুমিয়ে পরল তখন অদ্ভুত এক স্বপ্ন দেখল ফনিকো । সৌম্য চেহারার একটি লোক দাঁড়িয়ে আছে । লোকটার চেহারায় অদ্ভুত এক দীপ্তি । হাসল লোকটা । হাতের মুঠো থেকে কিছু একটা ফনিকোর হাতের মুঠোয় রাখল । জিনিসটা কি দেখার আগেই ঘুম ভেঙ্গে গেল ফনিকোর । এই স্বপ্নের মানে কি? অদ্ভুত লোকটা কি দিল ওর হাতে ? ভাবতে লাগল ফনিকো । ভাবতে ভাবতে কোন কূল-কিনারা খুঁজে পেল না । কিছুক্ষন পর ‘পেয়েছি’ বলে চিৎকার করে উঠল ফনিকো । আচ্ছা ওই চাবির সাথে এই স্বপ্নের কোন মিল নেই তো ? হ্যা হ্যা ওই লোকটি নিশ্চয়ই আমার হাতে একটি চাবি দিয়েছিল । চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেল ফনিকোর স্ত্রীর । ‘কি হয়েছে এমন করছ কেন?’
‘আচছা চাবিটা না রান্নাঘরে রেখেছিলে ওটা একটু এনে দিবে ?’
‘কেন চাবি দিয়ে আবার কি করবে?’
‘না এমনি । একটু এনে দাও না ।’
‘এই মাঝরাতে ওটি দিয়ে কি করবে ? থাক ওটা তো আর চলে যাচ্ছে না কাল সকালে বরং দেখো ।’
কিন্তু কথাটা মনে ধরল না ফনিকোর । সে এখনই আনতে চাইল চাবিটা । ফনিকোর কথায় অবাক হল তার স্ত্রী । কুপি জ্বালিয়ে রান্নাঘরে গেল সে । ফনিকোও গেল পিছু পিছু । ভালো করে চাবিটি দেখল সে । মাঝারি আকারের চাবিটা । অনেকটা পুরনো আমলের চাবির মত । তার উপর খোদাই করা আছে তিনটি সমান দাগ ।
‘কি এমন দেখছ অমন করে?’ ফনিকোর স্ত্রী জিজ্ঞেস করল ।
‘না এমনিই ।’ জবাব দিল ফনিকো ।
‘এমনিই ! আশ্চর্য আমি বুঝতে পারছিনা কেন সাধারণ একটি চাবি নিয়ে তুমি এত আগ্রহ দেখাচ্ছ ?’
ফনিকো একজায়গায় যতন করে রেখে দিল চাবিটা । কয়েকদিন চলে গেল চাবিটা নিয়ে ভেবে । কিন্তু চাবি রহস্যের কোন কূল-কিনারা করতে পারল না ফনিকো ।
দুই বছর পরের কথা । চাবিটার কথা একরকম ভুলেই গিয়েছিল ফনিকো । ফনিকোর ছেলের ভীষণ অসুখ । কিন্তু ফনিকোর হাতে একটি টাকাও নেই । সুতরাং ফনিকো রাতদিন কঠোর পরিশ্রম করতে লাগল ।
সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যেবেলা নদীর ধার দিয়ে বাড়ি ফিরছিল ফনিকো । হঠাৎ দেখল নদীর পাড়ে একেবারে পানি ঘেষে কিছু একটা পরে রয়েছে । অনেকটা বাক্সের মত । জিনিসটা ধরে দেখল ফনিকো । বেশ ভারী । ধাতব পদার্থের তৈরি । পুরনো হলেও কিছুটা চকচক করছে । কি আছে এর মধ্যে?
বাক্সটি খুলতে চাইল ফনিকো । কিন্তু পারল না । শক্তভাবে আটকানো আছে এটি । এটা কি কারো কাছ থেকে হারানো গেছে ? ঠিক আছে কাল খোঁজখবর নেব ক্ষণ । এখন এটা বাড়িতে নিয়ে যাই । মনে মনে ভাবল ফনিকো ।
বাড়িতে যেতেই তার স্ত্রী অদ্ভুত বাক্সটি সম্পর্কে জানতে চাইল । ফনিকো সব খুলে বলল । তার স্ত্রী কিছুই বুঝতে পারল না । বলল, ‘এটার মধ্যে কি দামী কিছু আছে নাকি?’
‘যাই হোক এটা অন্যের সম্পদ । আসল মালিককে এটা ফেরত দিতে হবে ।’
রাতে যখন ঘুমোল তখন একটা স্বপ্ন দেখল ফনিকো । এক সৌম্য চেহারার লোক তার হাতে কিছু একটা দিল । ঘুম ভেঙ্গে গেল ফনিকোর । স্বপ্নটা কেমন জানি পরিচিত পরিচিত লাগছে । ভাবতে লাগল ফনিকো । কি দিল তাকে লোকটা? হঠাৎ দু’বছর আগের কথা মনে পড়ে গেল ফনিকোর । ভিতরে ভিতরে উত্তেজিত হয়ে পরল সে । সেই চাবির সাথে বাক্সটির কোন সম্পর্ক নেই তো?
উঠে পরল ফনিকো । কুপি জ্বালিয়ে বাক্সটা ভালভাবে দেখতে লাগল । হঠাৎ মাটিতে ঢেকে থাকা একটা অংশ খুটতেই একটা ছিদ্র চোখে পরল । চাবির ছিদ্র । সেই পুরনো চাবিটা ছিদ্রে ঢুকাল ফনিকো । কয়েকবার মোচড় দিতেই খুলে গেল বাক্সটা । হাত দিয়ে ঢাকনাটা খুলে ভিতরে যা দেখল তাতে চোখ চকচক করে উঠল ফনিকোর ।
কিছু কথাঃ সৎথাকুন, সৎভাবে বাঁচুন । মানুষের বিপদে এগিয়ে আসুন , সাহায্য করুন নিজের যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকু দিয়েই । জেনে রাখুন আরো অনেক বেশি ফেরত পাবেন । হয়তো আজ নয়তোবা কাল । হয়তো পৃথিবীর মানুষের কাছে নয়তো তাঁর কাছে যিঁনি দূর অন্তরীক্ষে বসে ভাগ্যচাকার কলকাঠি নাড়ছেন ।
এক প্রতিবেশি হঠাৎ ওর কাছে কিছু টাকা ধার নেওয়ার জন্য আসল । ফনিকো পরল মহামুশকিলে । প্রতিবেশিকে সে ফিরিয়ে দিতেও পারছে না আবার তার কাছে এত টাকাও নেই যে অনায়াসে ধার দিতে পারবে । যা আছে তা দিয়ে দিলে নিজেদের চলবে কি করে? কিন্তু প্রতিবেশিকে ফিরিয়ে দিতে পারল না ফনিকো । ওই প্রতিবেশির একটি মাত্র ছেলে । তার আবার ভীষণ অসুখ । প্রতিবেশির ব্যথায় কেঁদে উঠল ফনিকোর মন । নিজের যা কিছু টাকা পয়সা ছিল সব দিয়ে দিল প্রতিবেশিকে । নিজেদের হয়তো কিছুদিন কষ্ট হবে কিন্তু এই টাকায় যদি প্রতিবেশির ছেলে ভালো হয়ে ওঠে তাহলে ফনিকোর চেয়ে আর খুশি কে হবে ।
ফনিকো সেদিন বাজার করতে গেল । হাতে টাকা খুবই কম । তারই মধ্যে অল্প কিছু কিনে শেষে মাছ কেনার জন্য গেল । যেই টাকা আছে তা দিয়ে সুবিধাজনক মাছ কেনা সম্ভব নয় । তাই বড় কোন মাছের দিকেই সে দৃষ্টিপাত করল না । কিন্তু এক মাছ বিক্রেতা হঠাৎ তাকে ডাকল, ‘এই যে এই মাছটা নিন ।’ বেশ বড়সড় একটা মাছ । ফনিকো বুঝল এই মাছ কেনা তার পক্ষে সম্ভব নয় । তারপরও জিজ্ঞেস করল, ‘কত দাম ভাই?’
ফনিকোর ধারণা ছিল মাছ বিক্রেতা মাছটির উচ্চ দাম হাকাবে । কিন্তু ফনিকোর ধারণা মিথ্যে হল ।
বিক্রেতা মাছটার দাম খুম কমই বলল । তারপরও ফনিকো যখন নিতে চাইল না তখন দাম আরো কমাল । এবার ফনিকো নিয়ে নিল মাছটি । খুশি মনে বাড়ি ফিরল ফনিকো । যাই হোক অনেকদিন পর এতবড় মাছ খাবে তারা । ছেলে দুটিও এতবড় মাছ দেখে খুব খুশি হল । কিন্তু ফনিকোর স্ত্রী খুশি হতে পারল না । সে ঘোষণা করল যে মাছটি পচা । ফনিকো এবার বুঝল বিক্রেতা কেন এত কমদামে মাছটি দিল । ফনিকোর খুশি ভাবটা কমে গেল ।
রাতে যখন খেতে এল তখন তার স্ত্রী বলল,’ ওহ হ্যা তোমাকে তো বলাই হয়নি মাছ কাটার সময় এর মধ্যে একটি চাবি পেয়েছি ।
‘চাবি!’ অবাক হল ফনিকো ।‘কই দেখি তো ।’
‘রান্নাঘরে রেখে দিয়েছি । কাল সকালে দেখো ।’
ভাবতে ভাবতে খাও্য়া শেষ করল ফনিকো । মাছের পেটে চাবি ব্যাপারটা কেমন যেন ঠেকছে না ? এর মধ্যে কি কোন রহস্য আছে ? পরক্ষনেই ভাবনাটা মন থেকে উড়িয়ে দিল ফনিকো । একটি মাছের পেটে চাবি পাওয়া বিচিত্র কিছু নয়। হয়তো কোন কিছুর সাথে খেয়ে ফেলেছে মাছটি । কিন্তু ভাবনাটা কিছুতেই গেল না মন থেকে । বারবার মনে উঁকি দিতে লাগল ভাবনাটি । রাতে যখন ঘুমিয়ে পরল তখন অদ্ভুত এক স্বপ্ন দেখল ফনিকো । সৌম্য চেহারার একটি লোক দাঁড়িয়ে আছে । লোকটার চেহারায় অদ্ভুত এক দীপ্তি । হাসল লোকটা । হাতের মুঠো থেকে কিছু একটা ফনিকোর হাতের মুঠোয় রাখল । জিনিসটা কি দেখার আগেই ঘুম ভেঙ্গে গেল ফনিকোর । এই স্বপ্নের মানে কি? অদ্ভুত লোকটা কি দিল ওর হাতে ? ভাবতে লাগল ফনিকো । ভাবতে ভাবতে কোন কূল-কিনারা খুঁজে পেল না । কিছুক্ষন পর ‘পেয়েছি’ বলে চিৎকার করে উঠল ফনিকো । আচ্ছা ওই চাবির সাথে এই স্বপ্নের কোন মিল নেই তো ? হ্যা হ্যা ওই লোকটি নিশ্চয়ই আমার হাতে একটি চাবি দিয়েছিল । চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেল ফনিকোর স্ত্রীর । ‘কি হয়েছে এমন করছ কেন?’
‘আচছা চাবিটা না রান্নাঘরে রেখেছিলে ওটা একটু এনে দিবে ?’
‘কেন চাবি দিয়ে আবার কি করবে?’
‘না এমনি । একটু এনে দাও না ।’
‘এই মাঝরাতে ওটি দিয়ে কি করবে ? থাক ওটা তো আর চলে যাচ্ছে না কাল সকালে বরং দেখো ।’
কিন্তু কথাটা মনে ধরল না ফনিকোর । সে এখনই আনতে চাইল চাবিটা । ফনিকোর কথায় অবাক হল তার স্ত্রী । কুপি জ্বালিয়ে রান্নাঘরে গেল সে । ফনিকোও গেল পিছু পিছু । ভালো করে চাবিটি দেখল সে । মাঝারি আকারের চাবিটা । অনেকটা পুরনো আমলের চাবির মত । তার উপর খোদাই করা আছে তিনটি সমান দাগ ।
‘কি এমন দেখছ অমন করে?’ ফনিকোর স্ত্রী জিজ্ঞেস করল ।
‘না এমনিই ।’ জবাব দিল ফনিকো ।
‘এমনিই ! আশ্চর্য আমি বুঝতে পারছিনা কেন সাধারণ একটি চাবি নিয়ে তুমি এত আগ্রহ দেখাচ্ছ ?’
ফনিকো একজায়গায় যতন করে রেখে দিল চাবিটা । কয়েকদিন চলে গেল চাবিটা নিয়ে ভেবে । কিন্তু চাবি রহস্যের কোন কূল-কিনারা করতে পারল না ফনিকো ।
দুই বছর পরের কথা । চাবিটার কথা একরকম ভুলেই গিয়েছিল ফনিকো । ফনিকোর ছেলের ভীষণ অসুখ । কিন্তু ফনিকোর হাতে একটি টাকাও নেই । সুতরাং ফনিকো রাতদিন কঠোর পরিশ্রম করতে লাগল ।
সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যেবেলা নদীর ধার দিয়ে বাড়ি ফিরছিল ফনিকো । হঠাৎ দেখল নদীর পাড়ে একেবারে পানি ঘেষে কিছু একটা পরে রয়েছে । অনেকটা বাক্সের মত । জিনিসটা ধরে দেখল ফনিকো । বেশ ভারী । ধাতব পদার্থের তৈরি । পুরনো হলেও কিছুটা চকচক করছে । কি আছে এর মধ্যে?
বাক্সটি খুলতে চাইল ফনিকো । কিন্তু পারল না । শক্তভাবে আটকানো আছে এটি । এটা কি কারো কাছ থেকে হারানো গেছে ? ঠিক আছে কাল খোঁজখবর নেব ক্ষণ । এখন এটা বাড়িতে নিয়ে যাই । মনে মনে ভাবল ফনিকো ।
বাড়িতে যেতেই তার স্ত্রী অদ্ভুত বাক্সটি সম্পর্কে জানতে চাইল । ফনিকো সব খুলে বলল । তার স্ত্রী কিছুই বুঝতে পারল না । বলল, ‘এটার মধ্যে কি দামী কিছু আছে নাকি?’
‘যাই হোক এটা অন্যের সম্পদ । আসল মালিককে এটা ফেরত দিতে হবে ।’
রাতে যখন ঘুমোল তখন একটা স্বপ্ন দেখল ফনিকো । এক সৌম্য চেহারার লোক তার হাতে কিছু একটা দিল । ঘুম ভেঙ্গে গেল ফনিকোর । স্বপ্নটা কেমন জানি পরিচিত পরিচিত লাগছে । ভাবতে লাগল ফনিকো । কি দিল তাকে লোকটা? হঠাৎ দু’বছর আগের কথা মনে পড়ে গেল ফনিকোর । ভিতরে ভিতরে উত্তেজিত হয়ে পরল সে । সেই চাবির সাথে বাক্সটির কোন সম্পর্ক নেই তো?
উঠে পরল ফনিকো । কুপি জ্বালিয়ে বাক্সটা ভালভাবে দেখতে লাগল । হঠাৎ মাটিতে ঢেকে থাকা একটা অংশ খুটতেই একটা ছিদ্র চোখে পরল । চাবির ছিদ্র । সেই পুরনো চাবিটা ছিদ্রে ঢুকাল ফনিকো । কয়েকবার মোচড় দিতেই খুলে গেল বাক্সটা । হাত দিয়ে ঢাকনাটা খুলে ভিতরে যা দেখল তাতে চোখ চকচক করে উঠল ফনিকোর ।
কিছু কথাঃ সৎথাকুন, সৎভাবে বাঁচুন । মানুষের বিপদে এগিয়ে আসুন , সাহায্য করুন নিজের যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকু দিয়েই । জেনে রাখুন আরো অনেক বেশি ফেরত পাবেন । হয়তো আজ নয়তোবা কাল । হয়তো পৃথিবীর মানুষের কাছে নয়তো তাঁর কাছে যিঁনি দূর অন্তরীক্ষে বসে ভাগ্যচাকার কলকাঠি নাড়ছেন ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইফতেখারুল আলাম বাঁধন ২৬/১১/২০১৪পুরো গল্পটাই সুন্দর । তবে শেষ কথা গুলো খুব দরকার ছিল ।
-
উদ্বাস্তু নিশাচর ২৬/১১/২০১৪মোড়ালটা ভীষণ প্রয়োজনীয় আমাদের সবার জীবনের জন্য। আপনার লেখাটি ভালো লেগেছে
-
জে এস সাব্বির ২০/১১/২০১৪কিছু কথা বলে কিছু উপদেশ দিলেন ।ধন্যবাদ আপনাকে ।চেষ্টা করব আপনার উপদেশ গুলি মানার জন্য ।
গল্পটিতে আধুনিকতা আর আধিযুগিতার একটা মিশ্রণ আমি খুজে পেয়েছি ,যা আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে । -
অনিরুদ্ধ বুলবুল ২০/১১/২০১৪গল্প বেশ ভাল লাগল
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ২০/১১/২০১৪আপনার শেষের কথা গুলো যেনো মেনে চলতে পারি আমিন................
-
একনিষ্ঠ অনুগত ২০/১১/২০১৪অনেক ভালো লাগলো গল্পটি......।