ভাললাগার গল্পঃ যে গল্প মোবাইল যুগের আগের
আসাদুর রহমান আসাদ আমার মামাতো ভাই । ও আর আমি সমবয়সী ।আমাদের মধ্যে সম্পর্ক খুব গভীর । ও আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু । তবু বছরে দু’তিন বারের বেশি ওদের বাড়ি যাওয়া হত না ।২০০১ সালে ওদের বাড়ি যাওয়াটা ছিল সবচেয়ে বেশি ঘটনাবহুল । গিয়ে দেখি হুলস্থুল কান্ড । ওরা নাটকের রিহার্সেল করছে । কিন্তু অপু ঠিকমতো কিছুই করতে পারছে না । আসাদ জেকে ধরল আমাকে । আমি আবার কোনদিন এসব করিনি । কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাকে রাজি করিয়েই ছাড়ল । কি আর করব বাধ্য হয়ে অভিনয় করতে হল । আমার পার্টটা ছিল একজন সাধুর । রাজকুমারী ছিল রাকা সুলতানা (পলি) নামের একটি মেয়ে । আসাদদের গ্রামেই বাড়ি । যাই হোক রাজকুমারী যখন গভীর জঙ্গলে পথ হারিয়েছিল তখন আমিই তাকে আশ্রয় দেই । এই নাটকের সূত্র ধরেই ওর সাথে পরিচয় । শুধু পরিচয়ই না খানিকটা ভালোলাগার অনুভূতি যেন আচ্ছন্ন করে ফেলল আমার মনকে ।
আসাদের গ্রামের ওর সমবয়সী ছেলেরা আমাকে খুব ভালবাসত । ওদের সবাইকে নিয়ে খেলাধুলা করতাম , নদীতে গোসল করতাম । যেবার নাটকে অভিনয় করলাম সেবারই প্রথম বনভোজনে গিয়েছিলাম ।বান্দরবনে । ওখানের রূপ-সৌন্দর্যের কথা আগেই শুনছিলাম , তবে এত সুন্দর যা ছিল আমার কল্পনার বাইরে । একেবারে সত্যেন্দ্রনাথের “ঝর্ণা” কবিতার সাথে যেন সবকিছু মিলে যায় । কিন্তু যে একজন মনের ঝর্ণাতলায় গা ভেজাচ্ছে তাকে কি ভোলা যায় ।
আমি ওর কথা কাউকে বলিনি । তবে আসাদকে সামান্য আভাস দিয়াছিলাম , ব্যস ও আমার সব কথা বের করে নিল । কিন্তু আমি জানি , ও কারো কাছে একথা বলবে না উপরন্তু আমাকে সাহায্য করবে । সেবারের মতো বাড়ি চলে এলাম । কিন্তু আসাদকে চিঠি লিখতাম প্রায়ই । আমাকেও লিখতো । প্রায় সব চিঠিতেই লিখত ‘তোমার পলি ভাল আছে ।’
কয়েকমাস পর আবার ও একটা নাটক করার জন্য যেতে বলল । কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকলেও সামনে পরীক্ষা
থাকার কারনে যেতে পারলাম না । আমার চরিত্র দেওয়া হয়েছিল শান্তকে । কিন্তু ও নাকি ঠিকমত জমাতে পারেনি । আমার মনটা ছটফট করছিল কখন আবার যেতে পারব । আসাদ বাড়িয়ে বাড়িয়ে লিখল যে, “তোমার পলি তোমার চিন্তায় পাগল হয়ে গেছে ।”
একবার করলাম কি পলিকেই একটা চিঠি লিখে বসলাম ।দিয়েছি অবশ্য আসাদের কাছে । মানে এক খামে দুই চিঠি । অন্যটা পলিকে দিতে বললাম । রঙ্গিন কাগজে অপরুপ হাতের লেখায় একটি চিঠি আসল আমার কাছে । তবে কি আসাদ লিখল চিঠিটা ? কিন্তু আসাদ তো অমন ছেলে নয় । চিঠিটা বারবার পড়তে লাগলাম । পলির মনের সব কথাগুলো যেন চিঠিতে লেখা আছে ।
এরপর বেশ অনেকদিন পর আসাদের চিঠি পেলাম । আবার সেই নাটক । আগেরবার যাইনি বলে অনেক অনেক আগে বলে রাখল । কিছুদিনের মধ্যেই আমার পার্টটা পাঠিয়ে দিল ।
সেবার অবশ্য গিয়েছিলাম । নাটকও করেছিলাম । পলির সাথে এবার অনেক কথা হল । কিন্তু এবার যেন এর মাঝে একটা নতুনত্ব খুঁজে পেলাম । সেবার ওকে কিছু কথা দিতে হয়েছিল যা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি । একটা বিশেষ দিবস উপলক্ষে ওকে একটা বই উপহার দিলাম । ও দিয়েছিল একটা পার্কার কলম । যা আজও আমার কাছে সযত্নে সংরক্ষিত আছে । শুধু ওর কাছে চিঠি লিখতেই ওটা ব্যবহার করি । দুজনের অবস্থান বহুদূর হলেও কোন এক অদৃশ্য বাঁধনে ওকে আমার খুব কাছের মনে হয় ।
আসাদের গ্রামের ওর সমবয়সী ছেলেরা আমাকে খুব ভালবাসত । ওদের সবাইকে নিয়ে খেলাধুলা করতাম , নদীতে গোসল করতাম । যেবার নাটকে অভিনয় করলাম সেবারই প্রথম বনভোজনে গিয়েছিলাম ।বান্দরবনে । ওখানের রূপ-সৌন্দর্যের কথা আগেই শুনছিলাম , তবে এত সুন্দর যা ছিল আমার কল্পনার বাইরে । একেবারে সত্যেন্দ্রনাথের “ঝর্ণা” কবিতার সাথে যেন সবকিছু মিলে যায় । কিন্তু যে একজন মনের ঝর্ণাতলায় গা ভেজাচ্ছে তাকে কি ভোলা যায় ।
আমি ওর কথা কাউকে বলিনি । তবে আসাদকে সামান্য আভাস দিয়াছিলাম , ব্যস ও আমার সব কথা বের করে নিল । কিন্তু আমি জানি , ও কারো কাছে একথা বলবে না উপরন্তু আমাকে সাহায্য করবে । সেবারের মতো বাড়ি চলে এলাম । কিন্তু আসাদকে চিঠি লিখতাম প্রায়ই । আমাকেও লিখতো । প্রায় সব চিঠিতেই লিখত ‘তোমার পলি ভাল আছে ।’
কয়েকমাস পর আবার ও একটা নাটক করার জন্য যেতে বলল । কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকলেও সামনে পরীক্ষা
থাকার কারনে যেতে পারলাম না । আমার চরিত্র দেওয়া হয়েছিল শান্তকে । কিন্তু ও নাকি ঠিকমত জমাতে পারেনি । আমার মনটা ছটফট করছিল কখন আবার যেতে পারব । আসাদ বাড়িয়ে বাড়িয়ে লিখল যে, “তোমার পলি তোমার চিন্তায় পাগল হয়ে গেছে ।”
একবার করলাম কি পলিকেই একটা চিঠি লিখে বসলাম ।দিয়েছি অবশ্য আসাদের কাছে । মানে এক খামে দুই চিঠি । অন্যটা পলিকে দিতে বললাম । রঙ্গিন কাগজে অপরুপ হাতের লেখায় একটি চিঠি আসল আমার কাছে । তবে কি আসাদ লিখল চিঠিটা ? কিন্তু আসাদ তো অমন ছেলে নয় । চিঠিটা বারবার পড়তে লাগলাম । পলির মনের সব কথাগুলো যেন চিঠিতে লেখা আছে ।
এরপর বেশ অনেকদিন পর আসাদের চিঠি পেলাম । আবার সেই নাটক । আগেরবার যাইনি বলে অনেক অনেক আগে বলে রাখল । কিছুদিনের মধ্যেই আমার পার্টটা পাঠিয়ে দিল ।
সেবার অবশ্য গিয়েছিলাম । নাটকও করেছিলাম । পলির সাথে এবার অনেক কথা হল । কিন্তু এবার যেন এর মাঝে একটা নতুনত্ব খুঁজে পেলাম । সেবার ওকে কিছু কথা দিতে হয়েছিল যা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি । একটা বিশেষ দিবস উপলক্ষে ওকে একটা বই উপহার দিলাম । ও দিয়েছিল একটা পার্কার কলম । যা আজও আমার কাছে সযত্নে সংরক্ষিত আছে । শুধু ওর কাছে চিঠি লিখতেই ওটা ব্যবহার করি । দুজনের অবস্থান বহুদূর হলেও কোন এক অদৃশ্য বাঁধনে ওকে আমার খুব কাছের মনে হয় ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
একনিষ্ঠ অনুগত ২১/০৯/২০১৪অসমাপ্ত... :/ পরিনতি কি জানতে মন চায়... ৪/১০।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ২০/০৯/২০১৪একি প্রেম নাকি এলো দিন কিছু না পাওয়ার, একি প্রেম নাকি এলাে রাত জেগে কাটাবার। ভালো প্রেমের ভালো গল্প।
-
আহমাদ সাজিদ ১৮/০৯/২০১৪সুন্দর।