রাঙামাটি ও কাপ্তাই লেক পর্ব - ৭
#পলওয়েল_পার্ক_এন্ড_কর্টেজ
ঝুলন্ত ব্রিজ ঘুরে দেখার পরে পলওয়েল পার্কের দিকে রওনা হয়। সেখানে মুখোসের আদলে তৈরি করা প্রবেশ পথ দিয়ে পলওয়েল পার্কে যখন পৌঁছায়। তখন মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। যার কারণে, ৩০ টাকা দিয়ে টিকেট কিনে প্রবেশ করি। অতঃপর অনেকক্ষণ ব্রেঞ্চের মধ্যে বসে থাকি। ততক্ষণে সূর্য প্রায় ডুবো ডুবো অবস্থা। যাইহোক বৃষ্টি থাৃমার পরে বেরিয়ে পরি পলওয়েল পার্ক ঘুরে দেখার ক্ষুদ্র প্রয়াস নিয়ে। পার্কটি কাপ্তাই লেকের কোল ঘেঁষে বিস্তীর্ণ জলাধারের কাছে অবস্থিত। যার আধুনিকায়নের সৃজনশীলতায় রাঙামাটির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠেছে।
পলওয়েল পার্কে ঢুকতেই প্রথমে চোখে পড়বে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি কতৃক পরিচালিত প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র। এখানে ঘুরার সময় দেখতে পেলাম পাহাড়িদের বুনন করা কাপড় সহ হাতের তৈরি বেশকিছু হস্তশিল্প। একটু সামনে এগুতেই চোখে পড়ে 3D স্কেনের হল রুম। যদিও আমি তা পাশ কাটিয়ে চলে আসছিলাম। এছাড়াও শিশুদের জন্য রয়েছে কিডস জোন। এর মধ্যে বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের রাইডে উঠার উচ্ছ্বাস পূর্ণ কোলাহল উপভোগ করি খানিকটা সময় ধরে।
কিডস জোনের ঠিক পিছনে বাঙালিদের গ্রাম্য ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরার লক্ষে পলওয়েল পার্কে তৈরি করা হয়েছে ঢেঁকিঘরের আদলে একটা স্থাপনা। ছোটবেলায় গ্রামে মা-চাচিদের ব্যবহার করতে দেখেছিলাম। যদিও এখন ঢেঁকি দেখা দুষ্কর বস্তুতে রূপান্তরিত হয়েছে। তবে এই ভাস্কর্যের স্থাপত্যকলা এতটাই বাস্তবিক যে প্রথম দেখাতেই সত্যিকারের দৃশ্য ভাবতে আপনাকে বাধ্য করবে।
কিডস জোনের পিছনে তৈরি করা হয়েছে কলসি কাঁকে নারীর ভাস্কর্য। কলসের মধ্যে দিয়ে গড়িয়ে পড়া জলের কলকাকলীতে তৈরি হয়েছে কৃত্তিম ঝর্ণা। রাত্রে বেলায় অন্ধকার নেমে এলে রঙিন আলোকসজ্জা ঝর্ণাটিকে আরো মোহনীয় করে তুলে। ঝর্ণা দেখে সামনে এগিয়ে গিয়ে একটা ঘরের মধ্যে কিছু হরিণ দেখতে পেলাম। তবে এখানে শুধু কিছু হরিণের বাচ্চা ছিলো।
এখান থেকে একটু সামনে গিয়ে পলওয়েল ক্যাফেটেরিয়া দেখতে পেলাম৷ সেখান থেকে কফি অর্ডার দিয়ে সিঁড়িবেয়ে খানিকটা উপড়ে উঠতেই কাপ্তাই লেকের অধরা সৌন্দর্য্যকে উপভোগ করে নিচে নেমে আসি। ক্যাফোটেরিয়ার থেকে সামনে দিকে এগিয়ে গেলেই দেখা মিলে ফিশিং পিয়ারের। সেখানে দাঁড়িয়ে কাপ্তাই লেকের নৈসর্গিক আকাশী-নীলের ছায়াখেলার মাঝে বিস্তৃত দিগন্ত রেখায় জলরাশির সাথে পাহাড়গুলো যেন আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকতে ছিলো আদিবাসীদের পল্লীতে।
ফিশিং পিয়ার থেকে বাহির হয়ে, ঝুলন্ত ব্রিজের আদলে তৈরি আরেকটা ব্রিজে ওঠে পড়ি সিঁড়িবেয়ে। সেখানে কিছু ছেলে একসাথে সজোরে ব্রিজটিকে ঝোলাচ্ছিলো। আমি অবশ্যই তেমন একটা ভয় পায়নি। তবে কিছু মেয়ে তখন ব্রিজ পাড়ি দিতে সঙ্কোচনবোধ করছিলো। ঝুলন্ত ব্রিজ পাড়ি দিয়ে পলওয়েল পার্কের একেবারে শেষপ্রান্তে লাভ পয়েন্টে চলে আসি। সেখানে কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দি করে ব্রেঞ্চে বসে কাপ্তাই লেকের নান্দনিক সৌন্দর্যে আমি বিমোহিত হয় বাহারি রঙ্গের আলোর ঝলকানিতে।
সবশেষে পলওয়েল পার্ক থেকে বেরিয়ে শহীদ মিনারটাকে একটু দেখে ঢাকার পথে রওনা হয় রাতের বেলায়। এর মধ্যে দিয়েই ইতিটানি অসাধারণ আর রোমাঞ্চে ভরপুর রাঙামাটি জেলার সৌন্দর্যে আবির্ভূত হওয়া আমার ভ্রমণ কাহিনির উপাখ্যান।
ঝুলন্ত ব্রিজ ঘুরে দেখার পরে পলওয়েল পার্কের দিকে রওনা হয়। সেখানে মুখোসের আদলে তৈরি করা প্রবেশ পথ দিয়ে পলওয়েল পার্কে যখন পৌঁছায়। তখন মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। যার কারণে, ৩০ টাকা দিয়ে টিকেট কিনে প্রবেশ করি। অতঃপর অনেকক্ষণ ব্রেঞ্চের মধ্যে বসে থাকি। ততক্ষণে সূর্য প্রায় ডুবো ডুবো অবস্থা। যাইহোক বৃষ্টি থাৃমার পরে বেরিয়ে পরি পলওয়েল পার্ক ঘুরে দেখার ক্ষুদ্র প্রয়াস নিয়ে। পার্কটি কাপ্তাই লেকের কোল ঘেঁষে বিস্তীর্ণ জলাধারের কাছে অবস্থিত। যার আধুনিকায়নের সৃজনশীলতায় রাঙামাটির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠেছে।
পলওয়েল পার্কে ঢুকতেই প্রথমে চোখে পড়বে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি কতৃক পরিচালিত প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র। এখানে ঘুরার সময় দেখতে পেলাম পাহাড়িদের বুনন করা কাপড় সহ হাতের তৈরি বেশকিছু হস্তশিল্প। একটু সামনে এগুতেই চোখে পড়ে 3D স্কেনের হল রুম। যদিও আমি তা পাশ কাটিয়ে চলে আসছিলাম। এছাড়াও শিশুদের জন্য রয়েছে কিডস জোন। এর মধ্যে বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের রাইডে উঠার উচ্ছ্বাস পূর্ণ কোলাহল উপভোগ করি খানিকটা সময় ধরে।
কিডস জোনের ঠিক পিছনে বাঙালিদের গ্রাম্য ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরার লক্ষে পলওয়েল পার্কে তৈরি করা হয়েছে ঢেঁকিঘরের আদলে একটা স্থাপনা। ছোটবেলায় গ্রামে মা-চাচিদের ব্যবহার করতে দেখেছিলাম। যদিও এখন ঢেঁকি দেখা দুষ্কর বস্তুতে রূপান্তরিত হয়েছে। তবে এই ভাস্কর্যের স্থাপত্যকলা এতটাই বাস্তবিক যে প্রথম দেখাতেই সত্যিকারের দৃশ্য ভাবতে আপনাকে বাধ্য করবে।
কিডস জোনের পিছনে তৈরি করা হয়েছে কলসি কাঁকে নারীর ভাস্কর্য। কলসের মধ্যে দিয়ে গড়িয়ে পড়া জলের কলকাকলীতে তৈরি হয়েছে কৃত্তিম ঝর্ণা। রাত্রে বেলায় অন্ধকার নেমে এলে রঙিন আলোকসজ্জা ঝর্ণাটিকে আরো মোহনীয় করে তুলে। ঝর্ণা দেখে সামনে এগিয়ে গিয়ে একটা ঘরের মধ্যে কিছু হরিণ দেখতে পেলাম। তবে এখানে শুধু কিছু হরিণের বাচ্চা ছিলো।
এখান থেকে একটু সামনে গিয়ে পলওয়েল ক্যাফেটেরিয়া দেখতে পেলাম৷ সেখান থেকে কফি অর্ডার দিয়ে সিঁড়িবেয়ে খানিকটা উপড়ে উঠতেই কাপ্তাই লেকের অধরা সৌন্দর্য্যকে উপভোগ করে নিচে নেমে আসি। ক্যাফোটেরিয়ার থেকে সামনে দিকে এগিয়ে গেলেই দেখা মিলে ফিশিং পিয়ারের। সেখানে দাঁড়িয়ে কাপ্তাই লেকের নৈসর্গিক আকাশী-নীলের ছায়াখেলার মাঝে বিস্তৃত দিগন্ত রেখায় জলরাশির সাথে পাহাড়গুলো যেন আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকতে ছিলো আদিবাসীদের পল্লীতে।
ফিশিং পিয়ার থেকে বাহির হয়ে, ঝুলন্ত ব্রিজের আদলে তৈরি আরেকটা ব্রিজে ওঠে পড়ি সিঁড়িবেয়ে। সেখানে কিছু ছেলে একসাথে সজোরে ব্রিজটিকে ঝোলাচ্ছিলো। আমি অবশ্যই তেমন একটা ভয় পায়নি। তবে কিছু মেয়ে তখন ব্রিজ পাড়ি দিতে সঙ্কোচনবোধ করছিলো। ঝুলন্ত ব্রিজ পাড়ি দিয়ে পলওয়েল পার্কের একেবারে শেষপ্রান্তে লাভ পয়েন্টে চলে আসি। সেখানে কিছু ছবি ক্যামেরাবন্দি করে ব্রেঞ্চে বসে কাপ্তাই লেকের নান্দনিক সৌন্দর্যে আমি বিমোহিত হয় বাহারি রঙ্গের আলোর ঝলকানিতে।
সবশেষে পলওয়েল পার্ক থেকে বেরিয়ে শহীদ মিনারটাকে একটু দেখে ঢাকার পথে রওনা হয় রাতের বেলায়। এর মধ্যে দিয়েই ইতিটানি অসাধারণ আর রোমাঞ্চে ভরপুর রাঙামাটি জেলার সৌন্দর্যে আবির্ভূত হওয়া আমার ভ্রমণ কাহিনির উপাখ্যান।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শুভজিৎ বিশ্বাস ১৮/০৭/২০২২ভালো লিখছো, চালিয়ে যাও।
-
মেহেদী হাসান (দিশারী) ২৯/০৬/২০২২খুবই সুন্দর
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৬/০৬/২০২২ভালো বর্ণনা।
-
আলমগীর সরকার লিটন ২৬/০৬/২০২২শুভ কামনা
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ২৬/০৬/২০২২সুন্দর বর্ণনা।