রাঙামাটি ও কাপ্তাই লেক পর্ব - ৬
#ঝুলন্ত_ব্রিজ
পর্যটনপ্রেমী মানুষদের রাঙ্গামাটিতে ভ্রমণে আসা সকলের কাছে ‘সিম্বল অফ রাঙ্গামাটি’ হিসাবে খ্যাত ঝুলন্ত সেতুটি হচ্ছে অন্যতম আর্কষণের কেন্দ্রবিন্দু। তাই রাঙামাটিতে আসবো আর ঝুলন্ত ব্রিজ দেখবো না। তা তো আর হতে পার না।
তাইতো ঝুলন্ত ব্রিজ দেখার জন্য মনের মাঝে আসার পর থেকেই অন্যরকম এক উন্মাদনা বিরাজ করতে থাকে। সেই উদ্দেশ্য দুপুরে বেড়ান্নে লেক শো ক্যাফে থেকে খাওয়ার পর্ব শেষ করে নৌকায় চড়ে বসি। সেখান থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে কাপ্তাই লেকের দৃশ্যমান হ্রদের বিস্তীর্ণ জলরাশি আর দূরের নীল উঁচু-নীচু পাহাড়ের সারির নৈসর্গিক রূপ দেখতে দেখতে চলে আসি ঝুলন্ত ব্রিজের কাছাকাছি।
যেখান থেকে ব্রিজটি মোটামুটি দৃশ্যমান ছিলো। তখন যতই কাছে যাচ্ছিলাম মনের মাঝে ততবেশি আবেগ সঞ্চারিত হচ্ছিল। সাথে বৃষ্টি শেষ হওয়ার পড়ে, নৌকার দুরন্ত গতিতে ছুটে চলার ক্ষণে শীতল বাতাসে চোখের কোণে ঘুমঘুম জড়তা নেমে আসে। শান্ত শীতল পরিবেশে মাঝে হৃদয়ে আমার শিহরণ জাগরিত হয় পরম আবেশে। কোনমতে নিজেকে সামলে নিয়ে ঘাটে নেমে পড়ি ঝুলন্ত ব্রিজে যাবো বলে। সেখান থেকে কিছুটা পথ অতিক্রম করে চলে আসি ঐতিহাসিক ঝুলন্ত ব্রিজের কাছে। এখানে ঐতিহাসিক বলার কারণ হচ্ছে এযাবতকালে খুব কমসংখ্যক মানুষই খোঁজে পাওয়া যাবে। যারা কিনা এই সেতুটির ছবি দেখেননি। যাইহোক তারপর বিশটাকা মূল্যের টিকেট কেঁটে মূল সেতুতে প্রবেশ করি। চলার পথে ফটোসেশান চলে দীর্ঘক্ষণ ধরে। আনন্দে আহ্লাদিত হয়ে মেতে উঠি ভ্রমনপিপাসু বন্ধ বান্ধবদের সাথে নিয়ে।
আর যদি ব্রিজের অবকাঠামোর কথা বলতেই হয়। তাহলে সাদা লাল রঙে রঞ্জিত দুটি লোহার তৈরি পিলারের থেকে নীলচে আকাশী কালার ক্যাবলের মধ্যে কাঠের তৈরি ৩৩৫ ফুট লম্বা ব্রিজটি ঝুলিয়ে রাখার দৃশ্য ছিলো সত্যিই মনোমুগ্ধকর। কাপ্তাই লেকের বিচ্ছিন্ন দুই পাড়ের পাহাড়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে দিয়েছে এই রঙিন ঝুলন্ত সেতুটি। এই সেতুতে দাঁড়িয়ে কাপ্তাই লেকের নৈসর্গিক রূপ অবলোকন করার অনুভূতি দারুণ ছিলো। বারবার আমাকে রোমাঞ্চকর অনুভূতির শিহরণ জাগিয়েছে ব্রিজটি পাড়ি দেওয়ার সময়। ব্রিজটি পাড়ি দিয়ে অন্য পাড়ে গিয়ে এক অনাবিল বন্য পরিবেশ আমার মনকে ভরিয়ে তুলে। ব্রিজের এক পাশে পাহাড়ের উপর শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে দোলনা, স্লিপার ইত্যাদি।
পাশাপাশি সম্পূর্ণ সেতুটি একসাথে দেখার সুযোগ মিলে সেখান থেকে খুব সহজে। তাছাড়া ব্রিজের নিচে বাহারি রঙের বোটগুলো লেকের সৌন্দর্য যেন আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকেই সেখান থেকে বোট ঘন্টা হিসাবে ভাড়া নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে কাপ্তাই লেকের উন্মুক্ত সবুজ পরিবেশে। মনে হচ্ছিল, কিছুক্ষণের জন্য হলেও তখন আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম সৌন্দর্যের প্রেমের পূজারী হয়ে কর্ণফুলি হৃদের রূপ রেখাতে।
পর্যটনপ্রেমী মানুষদের রাঙ্গামাটিতে ভ্রমণে আসা সকলের কাছে ‘সিম্বল অফ রাঙ্গামাটি’ হিসাবে খ্যাত ঝুলন্ত সেতুটি হচ্ছে অন্যতম আর্কষণের কেন্দ্রবিন্দু। তাই রাঙামাটিতে আসবো আর ঝুলন্ত ব্রিজ দেখবো না। তা তো আর হতে পার না।
তাইতো ঝুলন্ত ব্রিজ দেখার জন্য মনের মাঝে আসার পর থেকেই অন্যরকম এক উন্মাদনা বিরাজ করতে থাকে। সেই উদ্দেশ্য দুপুরে বেড়ান্নে লেক শো ক্যাফে থেকে খাওয়ার পর্ব শেষ করে নৌকায় চড়ে বসি। সেখান থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে কাপ্তাই লেকের দৃশ্যমান হ্রদের বিস্তীর্ণ জলরাশি আর দূরের নীল উঁচু-নীচু পাহাড়ের সারির নৈসর্গিক রূপ দেখতে দেখতে চলে আসি ঝুলন্ত ব্রিজের কাছাকাছি।
যেখান থেকে ব্রিজটি মোটামুটি দৃশ্যমান ছিলো। তখন যতই কাছে যাচ্ছিলাম মনের মাঝে ততবেশি আবেগ সঞ্চারিত হচ্ছিল। সাথে বৃষ্টি শেষ হওয়ার পড়ে, নৌকার দুরন্ত গতিতে ছুটে চলার ক্ষণে শীতল বাতাসে চোখের কোণে ঘুমঘুম জড়তা নেমে আসে। শান্ত শীতল পরিবেশে মাঝে হৃদয়ে আমার শিহরণ জাগরিত হয় পরম আবেশে। কোনমতে নিজেকে সামলে নিয়ে ঘাটে নেমে পড়ি ঝুলন্ত ব্রিজে যাবো বলে। সেখান থেকে কিছুটা পথ অতিক্রম করে চলে আসি ঐতিহাসিক ঝুলন্ত ব্রিজের কাছে। এখানে ঐতিহাসিক বলার কারণ হচ্ছে এযাবতকালে খুব কমসংখ্যক মানুষই খোঁজে পাওয়া যাবে। যারা কিনা এই সেতুটির ছবি দেখেননি। যাইহোক তারপর বিশটাকা মূল্যের টিকেট কেঁটে মূল সেতুতে প্রবেশ করি। চলার পথে ফটোসেশান চলে দীর্ঘক্ষণ ধরে। আনন্দে আহ্লাদিত হয়ে মেতে উঠি ভ্রমনপিপাসু বন্ধ বান্ধবদের সাথে নিয়ে।
আর যদি ব্রিজের অবকাঠামোর কথা বলতেই হয়। তাহলে সাদা লাল রঙে রঞ্জিত দুটি লোহার তৈরি পিলারের থেকে নীলচে আকাশী কালার ক্যাবলের মধ্যে কাঠের তৈরি ৩৩৫ ফুট লম্বা ব্রিজটি ঝুলিয়ে রাখার দৃশ্য ছিলো সত্যিই মনোমুগ্ধকর। কাপ্তাই লেকের বিচ্ছিন্ন দুই পাড়ের পাহাড়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে দিয়েছে এই রঙিন ঝুলন্ত সেতুটি। এই সেতুতে দাঁড়িয়ে কাপ্তাই লেকের নৈসর্গিক রূপ অবলোকন করার অনুভূতি দারুণ ছিলো। বারবার আমাকে রোমাঞ্চকর অনুভূতির শিহরণ জাগিয়েছে ব্রিজটি পাড়ি দেওয়ার সময়। ব্রিজটি পাড়ি দিয়ে অন্য পাড়ে গিয়ে এক অনাবিল বন্য পরিবেশ আমার মনকে ভরিয়ে তুলে। ব্রিজের এক পাশে পাহাড়ের উপর শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে দোলনা, স্লিপার ইত্যাদি।
পাশাপাশি সম্পূর্ণ সেতুটি একসাথে দেখার সুযোগ মিলে সেখান থেকে খুব সহজে। তাছাড়া ব্রিজের নিচে বাহারি রঙের বোটগুলো লেকের সৌন্দর্য যেন আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকেই সেখান থেকে বোট ঘন্টা হিসাবে ভাড়া নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে কাপ্তাই লেকের উন্মুক্ত সবুজ পরিবেশে। মনে হচ্ছিল, কিছুক্ষণের জন্য হলেও তখন আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম সৌন্দর্যের প্রেমের পূজারী হয়ে কর্ণফুলি হৃদের রূপ রেখাতে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নাসিফ আমের চৌধুরী ২৭/০৬/২০২২সুন্দর লেখা
-
ফয়জুল মহী ২৫/০৬/২০২২চমৎকার লিখেছেন প্রিয়।