রাঙামাটি ও কাপ্তাই লেক পর্ব - ৫
#বেড়ান্নে_লেক_শো_ক্যাফে
সুবলং ঝর্ণা থেকে নৌকায় ফিরে ডের্সচেঞ্জ করি। ভিতরেই আটিশুঁটি হয়ে বসে পড়ি। কারণ তখনও প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল বাহিরে। অন্যদিকে সকালে নাস্তা খাওয়ার পরে আমাদের হালকা ফল খাওয়া-দাওয়া হয়েছিলো। ফলস্বরূপ তখন পেটে ক্ষুদায় হামাগুড়ি দিচ্ছিলো। এরিমধ্য গাইড এসে বেড়ান্নে লেক শো ক্যাফে দুপুরের খাবারের কথা বললো। আমি এমনিতেও ভোজন রসিক মানুষ খাবারের কথা শুনে লেকের সৌন্দর্য ভুলে পাহাড়ি ট্রেডিশনাল খাবারের বিষয়ে জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠলাম। দূর থেকে পাথুরে আছকাঁটা বরকুল উপজেলা নামের একটা সাইনবোর্ড দেখতে পেলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের নৌকা লেক শো ক্যাফের সামনে এসে ভিড়ে। নৌকাঘাটটি বৃষ্টির কারণে কাদামাটিতে অনেক পিচ্ছিল হয়ে ছিলো। যার ফলে খানিকটা পথ মাটিতে হেঁটে সাবধানতা অবলম্বন করে সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ের উপরে ওঠি। হোটেলের কাছে আসার পর জানতে পারলাম আমাদের আগে আরো দুইটা টুরিস্ট গ্রুপের এসে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পরে আমাদেরকে খাবার দেওয়া হবে। উপায়ন্তর না পেয়ে হোটেলের এক কোণে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম। মনে হচ্ছিল যেন সময় পার হচ্ছে না৷ প্রায় পনেরো বিশমিনিট পরে আমাদেরকে খাবারের জন্য টেবিলে জায়গা করে দেয়। এরমধ্যে আরেক দল এসে আমাদেরমতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, এতটুকু বুঝতে পারলাম, এখানে শৃঙ্খলা বজায় রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। এর মাঝে ওয়েটার আমাদেরকে ভাত,ডাল,সবজি,কাচকি ফ্রাই,সালাদ সাথে ব্যাম্বু চিকেন সার্ভ করে। আমি ততক্ষণে হুমড়ি খেয়ে পড়ি ট্রেডিশনাল খাবারের দিকে। খাবার শেষ করে চারদিকটা ভালো করে দেখে নিলাম। কাপ্তাই হ্রদের তীরে বাঁশ, বেত এবং কাঠ দিয়ে তৈরি ছোট ছোট ছাউনি বানিয়ে তৈরি করা এই ক্যাফেটাকে। বেড়ান্নেতে থাকার ব্যবস্থা না থাকলেও আদিবাসীদের মধ্যে প্রচলিত প্রায় সব খাবারই এখানে পাওয়া যাচ্ছিলো। বাঁশের তৈরি মাচায় কিছুক্ষণ বসে সৌন্দর্য অবলোকন করে নৌকার দিকে ছুটি। বৃষ্টিতে কাক ভেঁজা হয়ে নৌকায় উঠে তৃপ্তির ঢেকুর তুলি। সত্যি বলতে কি, প্রকৃতির ছোঁয়ায় লেকের সৌন্দর্যে বিমোহিত হতে হতে এখানে একবেলা ভোজন নিঃসন্দেহে সবার জন্য ছিলো তৃপ্তিদায়ক।
সুবলং ঝর্ণা থেকে নৌকায় ফিরে ডের্সচেঞ্জ করি। ভিতরেই আটিশুঁটি হয়ে বসে পড়ি। কারণ তখনও প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল বাহিরে। অন্যদিকে সকালে নাস্তা খাওয়ার পরে আমাদের হালকা ফল খাওয়া-দাওয়া হয়েছিলো। ফলস্বরূপ তখন পেটে ক্ষুদায় হামাগুড়ি দিচ্ছিলো। এরিমধ্য গাইড এসে বেড়ান্নে লেক শো ক্যাফে দুপুরের খাবারের কথা বললো। আমি এমনিতেও ভোজন রসিক মানুষ খাবারের কথা শুনে লেকের সৌন্দর্য ভুলে পাহাড়ি ট্রেডিশনাল খাবারের বিষয়ে জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠলাম। দূর থেকে পাথুরে আছকাঁটা বরকুল উপজেলা নামের একটা সাইনবোর্ড দেখতে পেলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের নৌকা লেক শো ক্যাফের সামনে এসে ভিড়ে। নৌকাঘাটটি বৃষ্টির কারণে কাদামাটিতে অনেক পিচ্ছিল হয়ে ছিলো। যার ফলে খানিকটা পথ মাটিতে হেঁটে সাবধানতা অবলম্বন করে সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ের উপরে ওঠি। হোটেলের কাছে আসার পর জানতে পারলাম আমাদের আগে আরো দুইটা টুরিস্ট গ্রুপের এসে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের পরে আমাদেরকে খাবার দেওয়া হবে। উপায়ন্তর না পেয়ে হোটেলের এক কোণে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম। মনে হচ্ছিল যেন সময় পার হচ্ছে না৷ প্রায় পনেরো বিশমিনিট পরে আমাদেরকে খাবারের জন্য টেবিলে জায়গা করে দেয়। এরমধ্যে আরেক দল এসে আমাদেরমতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, এতটুকু বুঝতে পারলাম, এখানে শৃঙ্খলা বজায় রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। এর মাঝে ওয়েটার আমাদেরকে ভাত,ডাল,সবজি,কাচকি ফ্রাই,সালাদ সাথে ব্যাম্বু চিকেন সার্ভ করে। আমি ততক্ষণে হুমড়ি খেয়ে পড়ি ট্রেডিশনাল খাবারের দিকে। খাবার শেষ করে চারদিকটা ভালো করে দেখে নিলাম। কাপ্তাই হ্রদের তীরে বাঁশ, বেত এবং কাঠ দিয়ে তৈরি ছোট ছোট ছাউনি বানিয়ে তৈরি করা এই ক্যাফেটাকে। বেড়ান্নেতে থাকার ব্যবস্থা না থাকলেও আদিবাসীদের মধ্যে প্রচলিত প্রায় সব খাবারই এখানে পাওয়া যাচ্ছিলো। বাঁশের তৈরি মাচায় কিছুক্ষণ বসে সৌন্দর্য অবলোকন করে নৌকার দিকে ছুটি। বৃষ্টিতে কাক ভেঁজা হয়ে নৌকায় উঠে তৃপ্তির ঢেকুর তুলি। সত্যি বলতে কি, প্রকৃতির ছোঁয়ায় লেকের সৌন্দর্যে বিমোহিত হতে হতে এখানে একবেলা ভোজন নিঃসন্দেহে সবার জন্য ছিলো তৃপ্তিদায়ক।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৪/০৬/২০২২চমৎকার
-
ফয়জুল মহী ২৪/০৬/২০২২চমৎকার
শুভেচ্ছা -
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৩/০৬/২০২২ভাল।