রাঙামাটি ও কাপ্তাই লেক পর্ব - ৪
#সুবলং_ঝর্ণা
আদিবাসী গ্রাম থেকে আমাদের ইঞ্জিন চালিত নৌকা ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাহাড় আর নদীর অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখতে দেখতে পৌঁছে যায় সুবলং ঝর্ণার ঘাটে। নৌকা থেকে সবাই নেমে সুবলং ঝর্ণার অভিমুখে ছুটছিলাম। তখন লক্ষ্য করে দেখতে পেলাম পাশে ছোট একটা বাজার বসেছে। প্রথমে আমরা বাজারে গিয়ে দোকানগুলো দেখতে লাগলাম। একটা দোকানে দেখলাম পাহাড়ি আম,আনারস,কলা ও পেঁপে বিক্রি করছে। সেখান থেকে আমরা আটজনে আটটি আম নিয়ে ওজন করে ছুরি দিয়ে কেঁটে খাওয়া শুরু করলাম। আম খাওয়ার পরে দুইটি পেঁপে কিনি। সেখানে খাওয়া সম্পূর্ণ করে ঝর্ণার দিকে ছুটি। তখন দূর থেকে পানির শব্দে শুনে হৃদয়ে তৃষ্ণা জাগে পাহাড়ি কান্নার সাথে তাল মিলাবো বলে। তাইতো কাপ্তাই লেকের ফসলি জমির আলপথ ধরে ছুটে চলছিলাম বৃষ্টিতে পিচ্ছিল হওয়া কাঁদায় মাখানো সরু পথ ধরে। সর্তকতা অবলম্বন করে হাঁটছিলাম সবুজ ঘাসের উপর দিয়ে। যাওয়ার সময় সামনে একটা নালারমতো খাল পরেছিলো। সেখানে তিনটি বাঁশ দিয়ে সাঁকোর মতো করে দেওয়া ছিলো। সেই সাঁকো পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যায় পাহাড়ি খানিকটা পাথুরে পথ পেড়িয়ে ঝর্ণার একদম সন্নিকটে। ঝর্ণার এই নির্মল জলধারা দেখে প্রাণে আমার এক ভিন্ন অনুভূতির কাঁপন তুলে। ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির সহিত আলাপে সুবলং ঝর্ণার জলধারা প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে নিচুতে আছড়ে পরে। অপূর্ব সুরের মূর্ছনায় প্রানে আমার কম্পনের ধ্বনি জাগ্রত হয় মুগ্ধতার আবেশে। সকলে একসাথে ঝাপিয়ে পড়ি ঝর্নার জলধারার কলকাকলীতে। ফটোসেশন চলে দীর্ঘক্ষণ ধরে বিচিত্র বন্ধনে সকলের উল্লাসে উচ্ছ্বসিত হয়ে। এরিমধ্য একজন আপু পা পিচ্ছলিয়ে পড়ে যাওয়ার সময় আমি হাত ধরে ফেলি। ফলস্বরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে আমরা রক্ষা পায় সে যাত্রায়। তারপর আরো কিছুক্ষণ ঝর্ণার পানিতে ভিজে আনন্দে আহ্লাদিত হয়ে ফিরে আসি নৌকার নীড়ে। সর্বশেষে এতটুকু বলতে পারি নিরদ্বিধায় এখানকার পাহাড়ি লেক, ঝর্ণা, বিস্তীর্ণ নীল আকাশ, আদিবাসী মানুষের নিতান্ত সহজ-সরল জীবনযাপন আমাকে বিমোহিত করেছে। হলফ করে বলা যায়, যে কেউর অন্তরে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টান থেকে যাবে দীর্ঘদিন ধরে।
আদিবাসী গ্রাম থেকে আমাদের ইঞ্জিন চালিত নৌকা ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাহাড় আর নদীর অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখতে দেখতে পৌঁছে যায় সুবলং ঝর্ণার ঘাটে। নৌকা থেকে সবাই নেমে সুবলং ঝর্ণার অভিমুখে ছুটছিলাম। তখন লক্ষ্য করে দেখতে পেলাম পাশে ছোট একটা বাজার বসেছে। প্রথমে আমরা বাজারে গিয়ে দোকানগুলো দেখতে লাগলাম। একটা দোকানে দেখলাম পাহাড়ি আম,আনারস,কলা ও পেঁপে বিক্রি করছে। সেখান থেকে আমরা আটজনে আটটি আম নিয়ে ওজন করে ছুরি দিয়ে কেঁটে খাওয়া শুরু করলাম। আম খাওয়ার পরে দুইটি পেঁপে কিনি। সেখানে খাওয়া সম্পূর্ণ করে ঝর্ণার দিকে ছুটি। তখন দূর থেকে পানির শব্দে শুনে হৃদয়ে তৃষ্ণা জাগে পাহাড়ি কান্নার সাথে তাল মিলাবো বলে। তাইতো কাপ্তাই লেকের ফসলি জমির আলপথ ধরে ছুটে চলছিলাম বৃষ্টিতে পিচ্ছিল হওয়া কাঁদায় মাখানো সরু পথ ধরে। সর্তকতা অবলম্বন করে হাঁটছিলাম সবুজ ঘাসের উপর দিয়ে। যাওয়ার সময় সামনে একটা নালারমতো খাল পরেছিলো। সেখানে তিনটি বাঁশ দিয়ে সাঁকোর মতো করে দেওয়া ছিলো। সেই সাঁকো পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যায় পাহাড়ি খানিকটা পাথুরে পথ পেড়িয়ে ঝর্ণার একদম সন্নিকটে। ঝর্ণার এই নির্মল জলধারা দেখে প্রাণে আমার এক ভিন্ন অনুভূতির কাঁপন তুলে। ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির সহিত আলাপে সুবলং ঝর্ণার জলধারা প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে নিচুতে আছড়ে পরে। অপূর্ব সুরের মূর্ছনায় প্রানে আমার কম্পনের ধ্বনি জাগ্রত হয় মুগ্ধতার আবেশে। সকলে একসাথে ঝাপিয়ে পড়ি ঝর্নার জলধারার কলকাকলীতে। ফটোসেশন চলে দীর্ঘক্ষণ ধরে বিচিত্র বন্ধনে সকলের উল্লাসে উচ্ছ্বসিত হয়ে। এরিমধ্য একজন আপু পা পিচ্ছলিয়ে পড়ে যাওয়ার সময় আমি হাত ধরে ফেলি। ফলস্বরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে আমরা রক্ষা পায় সে যাত্রায়। তারপর আরো কিছুক্ষণ ঝর্ণার পানিতে ভিজে আনন্দে আহ্লাদিত হয়ে ফিরে আসি নৌকার নীড়ে। সর্বশেষে এতটুকু বলতে পারি নিরদ্বিধায় এখানকার পাহাড়ি লেক, ঝর্ণা, বিস্তীর্ণ নীল আকাশ, আদিবাসী মানুষের নিতান্ত সহজ-সরল জীবনযাপন আমাকে বিমোহিত করেছে। হলফ করে বলা যায়, যে কেউর অন্তরে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টান থেকে যাবে দীর্ঘদিন ধরে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২২/০৬/২০২২বেশ