রাঙামাটি ও কাপ্তাই লেক পর্ব - ৩
#আদিবাসি গ্রাম
বাংলাদেশের প্রায় ১৫আদিবাসীদের কোলাহলে মুখরিত যে জেলা শহর তার নাম রাঙ্গামাটি। বাংলাদেশ কে রিক্সার দেশ হিসেবে চিনলেও, রাঙ্গামাটি জেলা হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র রিকশাবিহীন জেলা। নানা মতান্তের এই আদিবাসীদের সবচেয়ে বেশী কালচারাল ডাইভার্সিটির শহর ও রাঙ্গামাটি। তাই বিচিত্রতার সমাহার দেখার জন্য রাঙামাটিতে আসা। সেই পথ ধরে নিরবান নগর বৌদ্ধ বিহার থেকে রওনা হয় আদিবাসী গ্রামের দিকে। যেখানে মেঘের দল ঘুরে বেড়ায় মানুষের সঙ্গে। পাহাড়ের চূড়ায় মনে হয় মেঘগুলো ভাসে মায়াবী উপমা দিয়ে সাজানো তুলোর মতো করে। কল্পনা বুঝি সেখানে সত্যি হয় বাস্তবতার নিরিখে। পানি আর পাহাড় ঘেরা স্বর্গভূমি, উঁচু সেই গ্রাম উপভোগ করতে ছুটে চলি প্রকৃতির ডাকে সারাদিয়ে গন্তব্য শুভলংয়ের গ্রামে। আনুমানিক পাঁচসাত মিনিট যাওয়া পরে আদিবাসী গ্রামের ঘাটে এসে আমাদের নৌকা ভিড়ে। সেখান থেকে নেমে কিছুটা পথ সমতলে হেঁটে আদিবাসী গ্রামে যাওয়ার সিঁড়ির কাছে পৌঁছি। আনুমানিক দশ-পনেরোটা সিঁড়ি ওঠার পরে একটা দোকানের মতো ছিলো। সেখানে কিছু আদিবাসী ছেলে বসে ছিলো। তারপাশে একটা ছেলে ডাব সাথে আচার বিক্রি করতে ছিলো। এরি মধ্যে আমাদের সাথের একজন ভ্রমণপিপাসু ছেলেটাকে বলে উঠলো "মে তুরে ওসপাং" আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম মানেটা কী? জবাবে বললো আমি তোমাকে ভালোবাসি এটার বার্মা শব্দ। এটা কি ঠিক ছিলো নাকি ভুল তা আমার জানা নেই। কারণ আমি আগে কখনো এই ভাষাভাষী মানুষের সাথে তেমন একটা কথা বলার সুযোগ হয়নি। অথবা এমন ভাষায় কিছু শুনিনি। যাইহোক, তারপর আবারো সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতেই কিছু দোকান সাথে খানিকটা দূরে ওদের ঘরগুলো দেখতে পেলাম। ঘরগুলো টিনের ছিলো। আমি অবশ্য আশা করছিলাম মাটির হবে। কিন্তু সবসময় অনুমান ঠিক হয় না। তার একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে, সেখানে আদিবাসী এক দোকানীর সাথে কথা বললাম। তাদের গ্রাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেই বলে উঠলো এটা হচ্ছে 'মাস্টার পাড়া'। এখানকার সবাই আদিবাসী। বৃষ্টির হচ্ছিল অনেক যাঁর কারণে কথা না বাড়িয়ে কিছু পাহাড়ি জামা-কাপড় দেখলাম। অতঃপর বৃষ্টিতে ঠান্ডা লাগার কথা চিন্তা করে একটা টুপি কিনে সেখান থেকে দ্রুত নেমে পড়ি। কারণটা একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে গাইড কতৃক সময় বেঁধে দেওয়া ছিলো। তাই আবারো নৌকায় চেপে আদিবাসী গ্রাম ত্যাগ করি। তবে আদিবাসী গ্রামের মানুষ তাদের কথাবার্তা পাহাড়ের সাথে মেঘের যে অসাধারণ মেলবন্ধন তা বহুকাল স্মৃতি স্মারক হয়ে থেকে যাবে মনের গহীন কোণে।
বাংলাদেশের প্রায় ১৫আদিবাসীদের কোলাহলে মুখরিত যে জেলা শহর তার নাম রাঙ্গামাটি। বাংলাদেশ কে রিক্সার দেশ হিসেবে চিনলেও, রাঙ্গামাটি জেলা হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র রিকশাবিহীন জেলা। নানা মতান্তের এই আদিবাসীদের সবচেয়ে বেশী কালচারাল ডাইভার্সিটির শহর ও রাঙ্গামাটি। তাই বিচিত্রতার সমাহার দেখার জন্য রাঙামাটিতে আসা। সেই পথ ধরে নিরবান নগর বৌদ্ধ বিহার থেকে রওনা হয় আদিবাসী গ্রামের দিকে। যেখানে মেঘের দল ঘুরে বেড়ায় মানুষের সঙ্গে। পাহাড়ের চূড়ায় মনে হয় মেঘগুলো ভাসে মায়াবী উপমা দিয়ে সাজানো তুলোর মতো করে। কল্পনা বুঝি সেখানে সত্যি হয় বাস্তবতার নিরিখে। পানি আর পাহাড় ঘেরা স্বর্গভূমি, উঁচু সেই গ্রাম উপভোগ করতে ছুটে চলি প্রকৃতির ডাকে সারাদিয়ে গন্তব্য শুভলংয়ের গ্রামে। আনুমানিক পাঁচসাত মিনিট যাওয়া পরে আদিবাসী গ্রামের ঘাটে এসে আমাদের নৌকা ভিড়ে। সেখান থেকে নেমে কিছুটা পথ সমতলে হেঁটে আদিবাসী গ্রামে যাওয়ার সিঁড়ির কাছে পৌঁছি। আনুমানিক দশ-পনেরোটা সিঁড়ি ওঠার পরে একটা দোকানের মতো ছিলো। সেখানে কিছু আদিবাসী ছেলে বসে ছিলো। তারপাশে একটা ছেলে ডাব সাথে আচার বিক্রি করতে ছিলো। এরি মধ্যে আমাদের সাথের একজন ভ্রমণপিপাসু ছেলেটাকে বলে উঠলো "মে তুরে ওসপাং" আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম মানেটা কী? জবাবে বললো আমি তোমাকে ভালোবাসি এটার বার্মা শব্দ। এটা কি ঠিক ছিলো নাকি ভুল তা আমার জানা নেই। কারণ আমি আগে কখনো এই ভাষাভাষী মানুষের সাথে তেমন একটা কথা বলার সুযোগ হয়নি। অথবা এমন ভাষায় কিছু শুনিনি। যাইহোক, তারপর আবারো সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতেই কিছু দোকান সাথে খানিকটা দূরে ওদের ঘরগুলো দেখতে পেলাম। ঘরগুলো টিনের ছিলো। আমি অবশ্য আশা করছিলাম মাটির হবে। কিন্তু সবসময় অনুমান ঠিক হয় না। তার একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে, সেখানে আদিবাসী এক দোকানীর সাথে কথা বললাম। তাদের গ্রাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেই বলে উঠলো এটা হচ্ছে 'মাস্টার পাড়া'। এখানকার সবাই আদিবাসী। বৃষ্টির হচ্ছিল অনেক যাঁর কারণে কথা না বাড়িয়ে কিছু পাহাড়ি জামা-কাপড় দেখলাম। অতঃপর বৃষ্টিতে ঠান্ডা লাগার কথা চিন্তা করে একটা টুপি কিনে সেখান থেকে দ্রুত নেমে পড়ি। কারণটা একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে গাইড কতৃক সময় বেঁধে দেওয়া ছিলো। তাই আবারো নৌকায় চেপে আদিবাসী গ্রাম ত্যাগ করি। তবে আদিবাসী গ্রামের মানুষ তাদের কথাবার্তা পাহাড়ের সাথে মেঘের যে অসাধারণ মেলবন্ধন তা বহুকাল স্মৃতি স্মারক হয়ে থেকে যাবে মনের গহীন কোণে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২২/০৬/২০২২বেশ ভালো