রাঙামাটি ও কাপ্তাই লেক পর্ব -১
বাসা থেকে রওনা দেওয়া কথা ছিলো সন্ধ্যা আটটায়। কিছু আনুষঙ্গিক কাজর্কম সেরে ব্যাগ ঘুছিয়ে বের হতেহতে নয়টা বাজিয়ে ফেললাম। তাড়াহুড়োর মধ্যে দশটা বাজার পনেরো মিনিট আগে বাস স্টেশন পৌঁছলাম৷ যদিও বাস ছাড়ার কথা ছিলো দশটা বাজে। সেখানে সবাই আসতে আসতে সাড়ে দশটা বাজিয়ে ফেলে। অতঃপর বাস ছেড়েছে রাত্র এগারোটার খানিক পরে।
যাইহোক যাত্রাশুরু করতেই কিছু লোকজনের সাথে পরিচিত হয়ে নিলাম৷ উদ্দেশ্য ছিলো ভ্রমনটা উপভোগ্য করে তুলার। যে-ই ভাবা সেই কাজ। ফলে তাদের সাথে মিউজিকের সাথে মেতে ওঠা। হাইওয়েতে হোটেল নূর মহলে চলে চা আর চিপসের সাথে আড্ডাবাজি চলে ভ্রমণ পিপাসুদের নিয়ে।
বিরতি শেষে যাত্রা শুরু করি। খানিকক্ষণ মনের মধ্যে সংকোচন বাগড়া হয়ে দাঁড়ালো মুষলধারে বৃষ্টিকে ঘিরে। যার কারণে একটু চিন্তিত ছিলাম। পাশাপাশি জানালার কাছে বসে রিমঝিম বৃষ্টি পড়া উপভোগ করতে ছিলাম। এর মধ্যে দোকানের ব্যার্নার দেখে বুঝতে পারলাম সীতাকুণ্ড পেরিয়ে বাস এখন বন্দরনগরী চট্রগ্রামে। চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট অক্সিজেন মোড় পাশ কাটিয়ে বাস ছুটে চলছিলো রাঙামাটির উদ্দেশ্য। তখন সকাল ছয়টা বাজে সঙ্গে বৃষ্টির কারণে ঘুমঘুম একটা ভাব ছিলো।
সকাল আটটার দিকে রাঙামাটি রির্জাভ বাজারে হোটেল হিল সিটির সামনে এসে বাস থামানো হয়। গাইড আমাদেরকে নামার জন্য নির্দেশ দিলে ব্যাগ গুছিয়ে নেমে পড়ি। বৃষ্টি ফোঁটার সাথে হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ডিম খিচুড়ি দিয়ে সকালের নাস্তা শেষ করি।
খাওয়া দাওয়া শেষে, বৃষ্টির মধ্যে দিয়েই কাপ্তাই লেকের উদ্দেশ্য বের হয়ে যায়। সেখানে আমাদের জন্য আগে থেকেই ইঞ্জিন চালিত নৌকা বা টলার ঠিক করা ছিলো।
কাপ্তাই লেকের ইতিহাস ঘেটে জানতে পারলাম। ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার জল বিদুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষে কর্ণফুলী নদীর উপর কাপ্তাই বাঁধ তৈরি করেন। এর ফলে কাপ্তাই লেকের প্রায় ৫৪ হাজার একর জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়। সৃষ্টি হয় অপূর্ব এই কৃত্রিম লেক। এর আয়তন প্রায় ২৯২ বর্গমাইল। এটি দক্ষিণ এশিয়া সর্ববৃহত্ত কৃত্রিম লেক। বর্তমান কাপ্তাই লেকের বিদুৎ কেন্দ্রে পাঁচটি ইউনিট চালু আছে। যার মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট।
টলারে উঠার জন্য কাঠের সিঁড়ি দেওয়া ছিলো। নৌকার মধ্যে ওঠে গুটিসুটি হয়ে বসে পড়লাম। বৃষ্টির কারণে নৌকার উপরে প্রথমে সবাই উঠতে সংকোচন করলেও। নৌকার ইঞ্জিন চালিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতেই, কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বৃষ্টি দিয়ে আমরা কয়েকজন মিলে ডের্সচেঞ্জ করে নৌকার ছাদে ওঠে বসি। চলতে চলতে পাহাড়, নদী আর লেক, এই তিনের সৌন্দর্য দেখে রোমাঞ্চিত হচ্ছিলাম। আশেপাশে তাকাতেই চোখে পড়ে, ছোট-বড় চর্পিলাকার পাহাড়, আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা, ঝর্ণা, পানির সাথে চির সবুজের মেলবন্ধনের নৈসর্গিক দৃশ্যের হাতছানি। আমার কথা বলতে গেলে, প্রকৃতি সবসময় আমাকে রোমাঞ্চিত করে। তাইতো বারবার সবকিছু ফেলে ছুটে যাই নদী পাহাড় আর সবুজের অরণ্যের খুব কাছাকাছি হৃদয়ে তৃষ্ণা মিটাতে।
যাইহোক যাত্রাশুরু করতেই কিছু লোকজনের সাথে পরিচিত হয়ে নিলাম৷ উদ্দেশ্য ছিলো ভ্রমনটা উপভোগ্য করে তুলার। যে-ই ভাবা সেই কাজ। ফলে তাদের সাথে মিউজিকের সাথে মেতে ওঠা। হাইওয়েতে হোটেল নূর মহলে চলে চা আর চিপসের সাথে আড্ডাবাজি চলে ভ্রমণ পিপাসুদের নিয়ে।
বিরতি শেষে যাত্রা শুরু করি। খানিকক্ষণ মনের মধ্যে সংকোচন বাগড়া হয়ে দাঁড়ালো মুষলধারে বৃষ্টিকে ঘিরে। যার কারণে একটু চিন্তিত ছিলাম। পাশাপাশি জানালার কাছে বসে রিমঝিম বৃষ্টি পড়া উপভোগ করতে ছিলাম। এর মধ্যে দোকানের ব্যার্নার দেখে বুঝতে পারলাম সীতাকুণ্ড পেরিয়ে বাস এখন বন্দরনগরী চট্রগ্রামে। চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট অক্সিজেন মোড় পাশ কাটিয়ে বাস ছুটে চলছিলো রাঙামাটির উদ্দেশ্য। তখন সকাল ছয়টা বাজে সঙ্গে বৃষ্টির কারণে ঘুমঘুম একটা ভাব ছিলো।
সকাল আটটার দিকে রাঙামাটি রির্জাভ বাজারে হোটেল হিল সিটির সামনে এসে বাস থামানো হয়। গাইড আমাদেরকে নামার জন্য নির্দেশ দিলে ব্যাগ গুছিয়ে নেমে পড়ি। বৃষ্টি ফোঁটার সাথে হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ডিম খিচুড়ি দিয়ে সকালের নাস্তা শেষ করি।
খাওয়া দাওয়া শেষে, বৃষ্টির মধ্যে দিয়েই কাপ্তাই লেকের উদ্দেশ্য বের হয়ে যায়। সেখানে আমাদের জন্য আগে থেকেই ইঞ্জিন চালিত নৌকা বা টলার ঠিক করা ছিলো।
কাপ্তাই লেকের ইতিহাস ঘেটে জানতে পারলাম। ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার জল বিদুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষে কর্ণফুলী নদীর উপর কাপ্তাই বাঁধ তৈরি করেন। এর ফলে কাপ্তাই লেকের প্রায় ৫৪ হাজার একর জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়। সৃষ্টি হয় অপূর্ব এই কৃত্রিম লেক। এর আয়তন প্রায় ২৯২ বর্গমাইল। এটি দক্ষিণ এশিয়া সর্ববৃহত্ত কৃত্রিম লেক। বর্তমান কাপ্তাই লেকের বিদুৎ কেন্দ্রে পাঁচটি ইউনিট চালু আছে। যার মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট।
টলারে উঠার জন্য কাঠের সিঁড়ি দেওয়া ছিলো। নৌকার মধ্যে ওঠে গুটিসুটি হয়ে বসে পড়লাম। বৃষ্টির কারণে নৌকার উপরে প্রথমে সবাই উঠতে সংকোচন করলেও। নৌকার ইঞ্জিন চালিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতেই, কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বৃষ্টি দিয়ে আমরা কয়েকজন মিলে ডের্সচেঞ্জ করে নৌকার ছাদে ওঠে বসি। চলতে চলতে পাহাড়, নদী আর লেক, এই তিনের সৌন্দর্য দেখে রোমাঞ্চিত হচ্ছিলাম। আশেপাশে তাকাতেই চোখে পড়ে, ছোট-বড় চর্পিলাকার পাহাড়, আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা, ঝর্ণা, পানির সাথে চির সবুজের মেলবন্ধনের নৈসর্গিক দৃশ্যের হাতছানি। আমার কথা বলতে গেলে, প্রকৃতি সবসময় আমাকে রোমাঞ্চিত করে। তাইতো বারবার সবকিছু ফেলে ছুটে যাই নদী পাহাড় আর সবুজের অরণ্যের খুব কাছাকাছি হৃদয়ে তৃষ্ণা মিটাতে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জামাল উদ্দিন জীবন ১৮/১০/২০২২সুন্দর
-
ফয়জুল মহী ১৯/০৬/২০২২আমাকে রোমাঞ্চিত করলো লেখা । মাধুর্যমণ্ডিত ও সুপ্রসন্ন লেখনী ।
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ১৯/০৬/২০২২কোথাও বেড়ানো খুব মজার।