www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলা পরিষদ হার্টিকালচার পার্ক

#খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলা পরিষদ হার্টিকালচার পার্ক
লেখক- মোঃ রায়হান কাজী

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড় আর ঝর্ণায় সমৃদ্ধ খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থিত হর্টিকালচার পার্ক। জেলা শহরের জিরোমাইল এলাকায় ২২ একর পাহাড় জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে এই হর্টিকালচার হ্যারিটেজ পার্ক। এই পার্কে রয়েছে অসাধারণ সুন্দর একটি ঝুলন্ত ব্রিজ এবং বড় একটি সুইমিং পুল। হর্টিকালচার পার্ক এর ভিতরের পরিবেশ বেশ মনোরম। পার্কের পশ্চিম পাশ থেকে খাগড়াছড়ি শহরে ভিউটা অসাধারণ। এছাড়াও পার্কের ভিতরে রয়েছে টয় ট্রেন, দোলনা, ওয়াচ টাওয়ার। এছাড়া রয়েছে ফুলের বাগান ও বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছ।

এতসবের মধ্যে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন কিংবা লোকজনের যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা জুগায় ঝুলন্ত ব্রিজটি। আমারও মনের মধ্যে ঝুলন্ত ব্রিজ দেখার আগ্রহ জমে ছিলো।যার কারণে সেখানে গেলাম ব্রিজ দেখলাম আর মুগ্ধ হলাম।

আমাদের হার্টিকালচার পার্ক ঘুরে দেখার জন্য মাত্র ৩০মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিলো।তারমধ্যে প্রথমে খাড়া ঢাল দিয়ে পায়ে হেঁটে খানিকটা উপরে ওঠতেই চোখে পড়ে "খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলা পরিষদ হার্টিকালচার পার্ক" লেখা গেইটি। সেখান থেকে টিকেট সংগ্রহ করে ঢুকতেই দেখলাম কিছু দোকান।যেখানে পার্বত্য অঞ্চলের লোকজনদের বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প বিক্রির জন্য রাখা ছিলো।দ্রুত এগুলোর পাশকাটিয়ে ছুটলাম ঝুলন্ত ব্রিজ দেখার অভিপ্রয়াস নিয়ে।একটু হাঁটতেই পৌঁছে গেলাম ঝুলন্ত ব্রিজের কাছে।তারপর এর সৌন্দর্য অবলোকন করতে থাকলাম।রশি আর কাঠের নির্মিত ব্রিজটি দেখে আমার খুশির অন্ত ছিলোনা। সেখানে সবাই একসাথে যাওয়ার সময় ব্রিজটি ঝুলতে ছিলো। যার কারণে অনেকেই ব্রিজের রশি ধরে অপর পাশে যেতে দেখলাম। হয়তোবা অনেকের মনের মধ্যে ব্রিজের দোলনের কারণে ভয় পেয়ে রশিগুলো আঁকড়ে ধরছিলো। ঝুলন্ত ব্রিজ পার হয়ে উপর থেকে ভালো মতো চারদিকে তাকালাম।

সেখান থেকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে পাহাড়ি লেকের পাশ দিয়ে হাঁটতেই দেখতে পেলাম সুইমিং পুল। ভাবছিলাম হয়তোবা মাছ জাতিয় কিছু দেখতে পাবো।কিন্তু বাস্তব সত্য হলো ওখানে তেমন পানি ছিলো না। তার পাশেই দেখতে পেলাম কলাগাছের খোল দিয়ে রাখা কিছু গাছের বীজ বপণ করা হয়েছে।যার কারণে বীজ বপণ করা স্থানের দিক অগ্রসর হলাম।কাছে গিয়ে ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম কিছু বীজ অঙ্কুরিত হয়ে হয়েছে। পাশেই কিছু ফুলের চারা দেখতে পেলাম। আকারে গাছগুলো অনেক ছোট ছিলো।

তারপর আবারও উপরে আসি, এসেই লাভ আকৃতি একটা লোহার তৈরি লাল রঙের শিল্পকলা দেখত পাই।যা কিনা অর্টিফিশিয়াল কিছু গোলাপ ফুল দিয়ে সজ্জিত ছিলো। সত্যি বলতে কী লালের প্রতি সবারি কমবেশি আকর্ষণ কাজ করে।সে ক্ষেত্রে কাপলের তো কথায় নেই। তাই কিছু কাপল গিয়ে ভালোবাসা নিবেদনের নানান অঙ্গভঙি করে ছবির তুলার কসরত দেখতে পেলাম। যার কারণে আমি ছুটলাম ছবি তুলার জন্য। আর সাথেসাথে ক্লিকেই ক্যমেরা বন্ধি হলাম।

পার্কে ঘুরার সময় এককোণে দেখলাম এক মহিলা পিঠা বানাচ্ছে প্রতি পিছ দশ টাকা করে।সেখান থেকে কিছু পিঠা খেলাপ।তারপর সময় স্বল্পতার কারণে তাড়াতাড়ি বাসে ছুটে আসি। কিন্তু সবাই না আসার কারণে নির্ধারিত সময়ের দশ মিনিট পর হার্টিকালচার পার্ক ত্যাগ করি।

তবে অল্পসময়ে জন্য হলেও হার্টিকালচার পার্কের সৌন্দর্য আমাকে আকৃষ্ট করছে। ফুলের বাগানের গন্ধ উষ্ণতা ছড়িয়েছে। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ্য ছিলো।
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৩৫৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১১/১২/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • অভিনব চম‍ৎকার
  • একনিষ্ঠ অনুগত ১৭/১২/২০২১
    ভ্রমণ কাহিনীতে ছবি সংযুক্ত করলে তা আরও তথ্যসমৃদ্ধ ও উপভোগ্য হয়ে উঠে।
  • সুন্দর বর্ণনা।
  • ফয়জুল মহী ১১/১২/২০২১
    অনবদ্য লেখনী
 
Quantcast