শীতের হিমানী
শীতের হিমানী
মোঃ রায়হান কাজী
-------------------
শীতল হাওয়ায় স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার মৃদু আলোতে,
রাতের চাঁদনি উঠছে হেন ঝলমলিয়ে যামিনী।
একলা বসে নদীর ঘাটে দোদুল্যমান ঘোলাটে জলে
অর্ধনিমীলিত নয়নে দেখী কে যেন আঁকড়ে ধরছে আমাকে?
ভূতুড়ে আভা ছড়িয়ে আছে মনে হয় পরিবেশে,
ধূসররঙের কুয়াশার মাঝে দেহে কাঁপুনি ওঠে।
একাকীত্বের ছায়া গ্রাস করে সর্বঅঙ্গ জুড়ে।
বির্বন অবয়ব ভয়ঙ্করদর্শন জাগ্রত হয় বক্ষ দ্বারে,
তবু না হেরি মম বিষন্ন মানবরুপ বিদঘুটে অন্ধকারে।
উত্তরের ঠান্ডা বাতাসে ভাবুক মন ওঠছে শিহরিত হয়ে,
দেহের লোমগুলো কাঁটা দিয়ে ওঠে সশরীরে,
দূরের বাঁশ ঝারের পাতার ফাঁকে জোনাকীপোকা
বসেছে বুঝি ক্ষুদ্র পরিসরে আলোর নৃত্য মেলাতে।
শুভ্রকুহেলিরা ধীরে ধীরে জড়ো হচ্ছে ছায়ানটে,
আসমানী পরীর দল নেমে এসেছে মর্ত্যলোকে।
স্ফীত বক্ষের সুধাভরা স্তন দোদল, নৃত্য হেরিতেছে
ধবধবে সাদা নগ্ন দেহে হেম ডানা মেলে নিশাচরে।
কাঁচা হলুদের মতো রূপের আভাতে রাত্রি অভিসারে,
রুপো'র নুপুরের শব্দের সাথে সুরের সূচনা ঘটে,
শিখণ্ডীর নৃত্য পরিবেশনে নিতান্ত প্রাসঙ্গিক ভাবে।
নেশা ভরা আঁখি জোড়া মেলে পরীদের নৃত্য হেরী,
সরু মাজার আঁকানো বাঁকানো হরিণীচোখের চাহনিতে।
শীতের হিমানী মগ্ন মধুর আলাপে রাত্রি-দুপুর দিবসে,
শান্ত জলরাশির প্রাণে স্তব্ধতার সাথে স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে।
তরুবনের নিশাচর পতত্রীদের ঐশ্বরিক বীণা সুরে,
আকাশে-বাতাসে-পাহাড়-পর্বতে-স্রোতস্বিনী।
কবির কলমে কাব্যময়ী শীতের হিমানী ফুটে ওঠে,
বিবস্ত্র বাতায়নে জাগ্রত দ্বার আজি হেরী মস্তলোকে।
আনন্দধারা পূর্ণ করি শিশির জমা ঘাসের ডগার মুক্তা দিয়ে।
ঝর্ণাধারায় পাথরের বুকছিড়ে সুখপ্রবাহ নামে ধরনীর মাঝে।
মোঃ রায়হান কাজী
-------------------
শীতল হাওয়ায় স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার মৃদু আলোতে,
রাতের চাঁদনি উঠছে হেন ঝলমলিয়ে যামিনী।
একলা বসে নদীর ঘাটে দোদুল্যমান ঘোলাটে জলে
অর্ধনিমীলিত নয়নে দেখী কে যেন আঁকড়ে ধরছে আমাকে?
ভূতুড়ে আভা ছড়িয়ে আছে মনে হয় পরিবেশে,
ধূসররঙের কুয়াশার মাঝে দেহে কাঁপুনি ওঠে।
একাকীত্বের ছায়া গ্রাস করে সর্বঅঙ্গ জুড়ে।
বির্বন অবয়ব ভয়ঙ্করদর্শন জাগ্রত হয় বক্ষ দ্বারে,
তবু না হেরি মম বিষন্ন মানবরুপ বিদঘুটে অন্ধকারে।
উত্তরের ঠান্ডা বাতাসে ভাবুক মন ওঠছে শিহরিত হয়ে,
দেহের লোমগুলো কাঁটা দিয়ে ওঠে সশরীরে,
দূরের বাঁশ ঝারের পাতার ফাঁকে জোনাকীপোকা
বসেছে বুঝি ক্ষুদ্র পরিসরে আলোর নৃত্য মেলাতে।
শুভ্রকুহেলিরা ধীরে ধীরে জড়ো হচ্ছে ছায়ানটে,
আসমানী পরীর দল নেমে এসেছে মর্ত্যলোকে।
স্ফীত বক্ষের সুধাভরা স্তন দোদল, নৃত্য হেরিতেছে
ধবধবে সাদা নগ্ন দেহে হেম ডানা মেলে নিশাচরে।
কাঁচা হলুদের মতো রূপের আভাতে রাত্রি অভিসারে,
রুপো'র নুপুরের শব্দের সাথে সুরের সূচনা ঘটে,
শিখণ্ডীর নৃত্য পরিবেশনে নিতান্ত প্রাসঙ্গিক ভাবে।
নেশা ভরা আঁখি জোড়া মেলে পরীদের নৃত্য হেরী,
সরু মাজার আঁকানো বাঁকানো হরিণীচোখের চাহনিতে।
শীতের হিমানী মগ্ন মধুর আলাপে রাত্রি-দুপুর দিবসে,
শান্ত জলরাশির প্রাণে স্তব্ধতার সাথে স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে।
তরুবনের নিশাচর পতত্রীদের ঐশ্বরিক বীণা সুরে,
আকাশে-বাতাসে-পাহাড়-পর্বতে-স্রোতস্বিনী।
কবির কলমে কাব্যময়ী শীতের হিমানী ফুটে ওঠে,
বিবস্ত্র বাতায়নে জাগ্রত দ্বার আজি হেরী মস্তলোকে।
আনন্দধারা পূর্ণ করি শিশির জমা ঘাসের ডগার মুক্তা দিয়ে।
ঝর্ণাধারায় পাথরের বুকছিড়ে সুখপ্রবাহ নামে ধরনীর মাঝে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ২৭/১১/২০২০চমৎকার এভিনিউ।
-
শ.ম. শহীদ ২৬/১১/২০২০চমৎকার লিখেছেন কবি।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৬/১১/২০২০সমাজচিত্র!
-
ফয়জুল মহী ২৬/১১/২০২০Excellent