দোয়ায়ে ইউনুস

মালায়শিয়ায় সাতটি বছর কাটিয়ে দিকাম পাসপোট ছাড়া।পারমিটের চাঞ্চটাও কাজে লাগাতে পারলাম না।অনেক টাকা পয়সা নষ্ঠ করলাম দালালদের খপ্পরে পরে।লক্ষ লক্ষ লোক পারমিট পেলেও আমাদের মতো কিছু সুভাগ্যবান লোকগুলো পায়নায়।এখন মামাত ভায়ের পাসপোটের ফটো কপির উপরে ছবি বসিয়ে সাথে নিয়ে ঘুরি।পলিশে ধরলে নকল ফটো কপিটা দেখিয়ে দোয়ায়ে ইউনুস পড়ি,।পলিশের হাতে অনেক বারই ধরা পরছি,কখুনো টাকা দিয়ে ছুটছি,কখুনো গরিবের দোহায় দিয়ে ছুটছি ।আবার কখুনো কখুনো নকল ফটো কপিটা দেখিয়ে ছুটছি ।সাধারন পলিশ মালশিয়ায় কোন সমস্যনা,যদি পকেটে টাকা থাকে আরকি!তবে ইমাগ্রিশন পলিশের ব্লকে পড়লে ক্ষমা নেয়;যদি কাগজ পত্র সটিক না থাকে।এরা কোন ঘুশ খায়না।একদিন কাজশেষে বাসটপে বাসের অপেক্ষায় কোয়ালালোম পুর,আম্পাং রিসডা বসে আছি।বাস আসছে এবায়ে যাত্রী বুজায় বাসের বেতরে পা রাখার ও যায়গা নায়, বাস আসছে তবে রিসডা থামাচ্ছনা,একে একে কয়েকটা বাস চলে গেল। বাংলা,ইন্ডিয়াম,পাকিস্তানি, নেপালি,ইন্দুনশিয়া,কম্বোডীয় ,ভীয়েত নাম,মিয়ানমারের অনেক লোক বাসের অপেক্ষায় ।হঠাত দেখি একে একে অনেক গুলো মট্ররসাইকেল এসে বাসটপ ঘেরাও করে ফেল্য।পূতিটা মট্ররে দুজন ইমাগ্রিশন অফিসার ,সবার হাতে হকিটকি। সবায় ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়ল। তিন জন অফিসার পাসপোট চেক করা আরম্ব করল। তা দেখে আমি ভয়ে অস্তির হয়ে পড়লাম,পা দু'টি থর থর কাঁপছে ! শত চেস্টায়ও কাপনি থামাতে পারছিলাম না!মনে মনে দোআয়ে ইউনুস পাঠ করছি আর ভাবছি,কতদিন যে জেল খাটতে হবে, সাথে আবার ডব্লিগেট ফটো কপি।ধরা খায়লে জামিন নায়। যাদের ভিসা সঠিক তাদের কে হাতে লাল মোঠা কলম দিয়ে ওকে লিখে,ছেড়ে দিচ্ছে।যাদের দু নাম্বার তাদের কে ট্রাকের ভেতরে উঠাচ্ছে।আমি আল্লাকে ডাকছি আর পড়ছিলাম"লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুভানাকা ইন্নিকুমতো মিনায জোয়ালি মিন"স্বপ্নের মতো কেটে গেল আমার বিপদ!আমার ভিসা চেকতো দুরের কথা আমাকে কিছু জিজ্ঞসাই করল না।কাগজ পত্র সঠিক না থাকা মানুষ গুলোকে নিয়ে চলে গেল।পরে আর বাসের জন্য বসে থাক লাম না টেক্সসি নিয়ে বাসায় চলে এলাম,,,আর মহান আল্লাহ তালার শুকরি আদায় করতে থাকলাম,।