অটোগ্রাফ
আমার মালিক আমাকে পুটরাজাইয়া এক পজেক্টে নিয়ে নামিয়ে দিয়ে গেল,৫০টা রুমের কারেন্টের কাজ করার জন্য। রুম গোলোর মাঝে তিনটা দোকান,দুইটা ইন্দুনশিয়ান্দের,অন্যটি মালিক মালশিয়ান।মাঝখানের ক্যান্টিনটায় ক্যাসবক্স সামনে নিয়ে বসে এক অসাধারন সুন্দর একটি মেয়ে মালাইউ মেয়ে,বয়স ১৭কি ১৮ হবে।৫-৭টা রুম তার টানার পরে ১২টা বাজল।খানার টাইম,এক ঘন্টা বিশ্রাম।আমি খেয়ে বোসে ফেসবুক টিপছিলাম।এরি মাজে আমার বস আবার এলো,সাথে করে দুজন কম্বুডিন ছেলে দিয়ে গেল আমাকে সহ যুগিতা করার জন্য।ছেলে গোলো নতুন এসছেএখন এক সপ্তা হয়নায়।বস যাবার সময়,সুন্দর মেয়েটা যে ক্যন্টিন্টায় বসা,সে দোকানটা দেখিয়ে দিয়ে বলল,ওদোকানের লাইনটা যেন বিশ্রামের পরেয যেন আগে টেনে দেয়।বিশাম শেষে ওদোকান্টাতে গিয়ে আমরা তিন জন ডোকলাম।ডোকে মেয়েটা কে জিজ্ঞাসা করলাম,কোথায় কোথায় লাইট ও সুইস গুলো দিতে হবে।মেয়েটা আমার সাথে থেকে দেখিয়ে দিচ্ছিল ।কাস্টমার আসলে গিয়ে সদায় দিয়ে আবার আসতো,।যখন তিনটা বাজল তখন মেয়েটা তিনতা গ্যালাস আইস সহ তিনাটা রেডবল এনে টেবিলে রেখে আমাকে ডাকল,বললল,খেয়ে নেয়েয়ার জন্য ।ওদুজন আমি রেডবল বরফের সাথে মিশিয়ে খাচ্ছি,আমি মেয়েটাকে জিজ্ঞাসা করললাম,দোকানকি তোদেরই,
মেয়েটি বলল,হ্যা আমাদেই।
দোকান কী তুয়ই চালাস,ল?
মেয়েটি বলল,আমি পড়া শোনা করি,এই দোকান আমার আব্বু নতুন খোলছে।আমি কয়েক দিন থাকব।আমার বাবা লোক খুজছেন,পেয়ে গেলে আমি চলে যাব।
খুব সুন্দর করে মেয়েটা কথা গুলো বলছিল।খুব ভাল লাগছিল মেয়েটার কথা।ভাল লাগলেত হবেনা,কাজওত করতে হবে,কারন,আমরাত প্রবাশি ,অন্যোউধিনে কাজ করি। টিক ছয়টায় আমার বস গাড়ি নিয়ে এসে হাজির আমাদের কে নেয়ার জন্য। পরদিন রবিবার ছুটি।সোম বারে আবার আমরা তিন জনকে নামিয়ে দিয়ে গেল।ও ক্যন্টিনটাতে ডোকলাম,শনি বারে রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ গোল করার জন্য। আজ মেয়ে টার সাথে বার তের বছরে একটি ছেলে।ছেলেটি সুন্দর গোল গাল চেখারা,ভাবছিলাম মেয়েটির ছোট ভাই।আমি চগমের উপরে উঠে লাইটের সাথে তার জুরা দিচ্ছ লাম।ছেলেটি নিছে দারিয়ে,আর মেয়েটি চেয়ারে বোসে।আমি তারটা জোরা দিতে দিতে,ছেলেটিকে মালশিয়ার ভাসায় বললাম,ছোট ভাই তোমার নাম কী?ছেলেটি বাংলায় বলল,আমার বাড়ী বারমা,আমি বাংলা বুজি ।অভাক হলাম!এবার চগম থেকে নেমে ছেলেটিকে বুকের কাছে টেনে,জিজ্ঞাসা করলাম এই বয়সে তুমি বিদেশ কেন,আর কিভাবে আইলা।
ছেলেটি বলল,আমি বোড দিয়া আইছি,আমার কাগা আমারে আনছে,
তোমার বাবা কী করেন?
আমার আব্বা বারমা লাইওডের সময় হারায়্যা গেছে ।বাইছা আছে কি না ময়রা গেছে যানিনা।আমি ও আমার মা কোন মতে বাইছা বাংলাদেশে আইসা ডোকছি,আমর মা এহন,কক্সবাজার থাহে,
এবার ওমেয়েটা বলতে থাকে ছেলেটার দুঃখের কথা।বারমা ছেলেটির বাড়ি ,তার বাবানেই,মাইয়ান মারের বে দিনরা তার বাবারে মেরে ফেলছে।ওদেশ থেকে মুসলিমরা একবার বেরিয়ে আসলে,আর যেতে পারে না,এই সব বলতে থাকে মালায় মেয়েটা,
আমি মেয়েটিকে জিজ্ঞাস করলাম তুই এতসব যানলি কি করে?
মেয়েটি বলল,আমার বাবা বলছে।
আমি মেয়েটির কথা মাঝে দেখতে ছিলাম,কতোযে মায়া,মমতার আভাস!
মেয়েটি আবার বলতে থাকে,বাবার কাছ থেকে শোনে আমার খুব মায়া হল ।আমি কালকে এরে ১০টাকা দিয়েছি ! আর বলছি,যখন যে টস মন চাইব তখন সেটা খাবি,।
মেয়েটার কথা শোনে অভাক হলাম,মায়া দেখে,থমকে গেলাম মমতাময়ি বোধ দেখে,
কম্বুডিয়ান ছেলেটার ডাক শোনে ওর কাছে চলে গেলাম ।
আবার এসে চগমের উপর উঠে লাইট লাগাতে লাগলাম, তিনটা সময় ছেলেটি আমাকে জিজ্ঞাসা করল, "ভাই সময় কী কয়ল এ মাইয়া।
আমি বললাম,কালকে কি তোমাকে এই মেয়েটি ১০টি টাকা দিছে?
ছেলেটি বলল,হ।খুব ভালা,আমার অনেক আদর করে।সমস্য আমি যে ভাসা বুজি না ।
আমি বললাম আস্তে আস্তে শিখে যাবে ।ভাবলাম ছেলেটিকে দশটা টাকা দেব ভেবে প্যান্টের পকেট থেকে মানিব্যাগটা বের করলাম। মানিব্যাগ খোলে দেখলাম দশটাকার নোট নেই,আছে একটি ৫০টাকা ও একটি২০টাকার নোট । পরে ২০টাকার নোটটি মেয়েটির কাছে দিয়ে বললাম,একটি কোকাকলা টিন দে।মেয়েটি কোকাকলার সাথে ১৮টাকা ফেরত দিল।আমি ১০টি টাকা ছেলে টির হাতে দিলাম,আর বাকি ৮টা পকেটে রাখলাম।টাকাটা দিয়েছি,দেখে মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে,এসব অসহায় ছেলেদের কে দিলে আল্লাই দিবে।
আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম কিযে অসাধারন মমতার ছাপ তার সুন্দর মুখটার মাঝে!
আমি মেয়েটিকে বললাম,তুই খুব ভাল।তুই যতটুকো সুন্দর,তার চেয়ে হাজার গুন সুন্দর তোর মনটা।আমার বাংলা দেশের এক লেখক লিখছেন,"রুপের পাশে যদি গুন, না থাকে তাখলে সে রুপকে ভাদদিতে হবে"তোর মাঝে দুটিই আছে,অসাধারন তুই ,
অসাধারন তোর মনটা।
মেয়েটা আমার কথ গুলো শোনে বলল,মানুষের মনটাইত আস ল,রুপতো দুদিনের।
আমি মেয়েটার কেছে কাগজ কলম চাইলাম,
মেয়েটি কাগজ আর কলম দিল, আমি কাগজ কলম হাতে নিয়ে ,খাতাটা খুলে,মেয়েটির দিকে বারিয়ে দিয়ে বলাম,প্লিজ,অটোগ্রাফ।
মেয়েটি বলল,আমার অটোগ্রাফ কেন?
তই এমনই একজন যার মাঝে রুপ গুন,দুটি আছে।প্লিগ দে।
মেয়েটি বলল,কি লিখব?
বলাম,তোর নামটা,আর নিছে,আগকের তারিখ।
মেয়েটা লিখে দিল, পরে আমাকে বলল,তইওত ভাল,তুই তোর নামটস লিখে দিয়েযা,
আমিও আমার নামটস লিখে, মেয়েটির নাম লিখা পাতাটা খাতাটা থেকে ছিড়ে রেখে আমার নাম লিখা সহ হাতাটা মেয়েটার হাতে দিলাম,এরি মাঝে আমার বস আমাদের কে নিতে এসে হাজির।বসের গাড়িতে বসের সাথে সামনের সিটে বোসলাম, বোস ছাড়ল গাড়ি বিষন ভেগে,আর আমি ভাবেতে থাকি সে মেয়েটির কথা
[email protected]
মেয়েটি বলল,হ্যা আমাদেই।
দোকান কী তুয়ই চালাস,ল?
মেয়েটি বলল,আমি পড়া শোনা করি,এই দোকান আমার আব্বু নতুন খোলছে।আমি কয়েক দিন থাকব।আমার বাবা লোক খুজছেন,পেয়ে গেলে আমি চলে যাব।
খুব সুন্দর করে মেয়েটা কথা গুলো বলছিল।খুব ভাল লাগছিল মেয়েটার কথা।ভাল লাগলেত হবেনা,কাজওত করতে হবে,কারন,আমরাত প্রবাশি ,অন্যোউধিনে কাজ করি। টিক ছয়টায় আমার বস গাড়ি নিয়ে এসে হাজির আমাদের কে নেয়ার জন্য। পরদিন রবিবার ছুটি।সোম বারে আবার আমরা তিন জনকে নামিয়ে দিয়ে গেল।ও ক্যন্টিনটাতে ডোকলাম,শনি বারে রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ গোল করার জন্য। আজ মেয়ে টার সাথে বার তের বছরে একটি ছেলে।ছেলেটি সুন্দর গোল গাল চেখারা,ভাবছিলাম মেয়েটির ছোট ভাই।আমি চগমের উপরে উঠে লাইটের সাথে তার জুরা দিচ্ছ লাম।ছেলেটি নিছে দারিয়ে,আর মেয়েটি চেয়ারে বোসে।আমি তারটা জোরা দিতে দিতে,ছেলেটিকে মালশিয়ার ভাসায় বললাম,ছোট ভাই তোমার নাম কী?ছেলেটি বাংলায় বলল,আমার বাড়ী বারমা,আমি বাংলা বুজি ।অভাক হলাম!এবার চগম থেকে নেমে ছেলেটিকে বুকের কাছে টেনে,জিজ্ঞাসা করলাম এই বয়সে তুমি বিদেশ কেন,আর কিভাবে আইলা।
ছেলেটি বলল,আমি বোড দিয়া আইছি,আমার কাগা আমারে আনছে,
তোমার বাবা কী করেন?
আমার আব্বা বারমা লাইওডের সময় হারায়্যা গেছে ।বাইছা আছে কি না ময়রা গেছে যানিনা।আমি ও আমার মা কোন মতে বাইছা বাংলাদেশে আইসা ডোকছি,আমর মা এহন,কক্সবাজার থাহে,
এবার ওমেয়েটা বলতে থাকে ছেলেটার দুঃখের কথা।বারমা ছেলেটির বাড়ি ,তার বাবানেই,মাইয়ান মারের বে দিনরা তার বাবারে মেরে ফেলছে।ওদেশ থেকে মুসলিমরা একবার বেরিয়ে আসলে,আর যেতে পারে না,এই সব বলতে থাকে মালায় মেয়েটা,
আমি মেয়েটিকে জিজ্ঞাস করলাম তুই এতসব যানলি কি করে?
মেয়েটি বলল,আমার বাবা বলছে।
আমি মেয়েটির কথা মাঝে দেখতে ছিলাম,কতোযে মায়া,মমতার আভাস!
মেয়েটি আবার বলতে থাকে,বাবার কাছ থেকে শোনে আমার খুব মায়া হল ।আমি কালকে এরে ১০টাকা দিয়েছি ! আর বলছি,যখন যে টস মন চাইব তখন সেটা খাবি,।
মেয়েটার কথা শোনে অভাক হলাম,মায়া দেখে,থমকে গেলাম মমতাময়ি বোধ দেখে,
কম্বুডিয়ান ছেলেটার ডাক শোনে ওর কাছে চলে গেলাম ।
আবার এসে চগমের উপর উঠে লাইট লাগাতে লাগলাম, তিনটা সময় ছেলেটি আমাকে জিজ্ঞাসা করল, "ভাই সময় কী কয়ল এ মাইয়া।
আমি বললাম,কালকে কি তোমাকে এই মেয়েটি ১০টি টাকা দিছে?
ছেলেটি বলল,হ।খুব ভালা,আমার অনেক আদর করে।সমস্য আমি যে ভাসা বুজি না ।
আমি বললাম আস্তে আস্তে শিখে যাবে ।ভাবলাম ছেলেটিকে দশটা টাকা দেব ভেবে প্যান্টের পকেট থেকে মানিব্যাগটা বের করলাম। মানিব্যাগ খোলে দেখলাম দশটাকার নোট নেই,আছে একটি ৫০টাকা ও একটি২০টাকার নোট । পরে ২০টাকার নোটটি মেয়েটির কাছে দিয়ে বললাম,একটি কোকাকলা টিন দে।মেয়েটি কোকাকলার সাথে ১৮টাকা ফেরত দিল।আমি ১০টি টাকা ছেলে টির হাতে দিলাম,আর বাকি ৮টা পকেটে রাখলাম।টাকাটা দিয়েছি,দেখে মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে,এসব অসহায় ছেলেদের কে দিলে আল্লাই দিবে।
আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম কিযে অসাধারন মমতার ছাপ তার সুন্দর মুখটার মাঝে!
আমি মেয়েটিকে বললাম,তুই খুব ভাল।তুই যতটুকো সুন্দর,তার চেয়ে হাজার গুন সুন্দর তোর মনটা।আমার বাংলা দেশের এক লেখক লিখছেন,"রুপের পাশে যদি গুন, না থাকে তাখলে সে রুপকে ভাদদিতে হবে"তোর মাঝে দুটিই আছে,অসাধারন তুই ,
অসাধারন তোর মনটা।
মেয়েটা আমার কথ গুলো শোনে বলল,মানুষের মনটাইত আস ল,রুপতো দুদিনের।
আমি মেয়েটার কেছে কাগজ কলম চাইলাম,
মেয়েটি কাগজ আর কলম দিল, আমি কাগজ কলম হাতে নিয়ে ,খাতাটা খুলে,মেয়েটির দিকে বারিয়ে দিয়ে বলাম,প্লিজ,অটোগ্রাফ।
মেয়েটি বলল,আমার অটোগ্রাফ কেন?
তই এমনই একজন যার মাঝে রুপ গুন,দুটি আছে।প্লিগ দে।
মেয়েটি বলল,কি লিখব?
বলাম,তোর নামটা,আর নিছে,আগকের তারিখ।
মেয়েটা লিখে দিল, পরে আমাকে বলল,তইওত ভাল,তুই তোর নামটস লিখে দিয়েযা,
আমিও আমার নামটস লিখে, মেয়েটির নাম লিখা পাতাটা খাতাটা থেকে ছিড়ে রেখে আমার নাম লিখা সহ হাতাটা মেয়েটার হাতে দিলাম,এরি মাঝে আমার বস আমাদের কে নিতে এসে হাজির।বসের গাড়িতে বসের সাথে সামনের সিটে বোসলাম, বোস ছাড়ল গাড়ি বিষন ভেগে,আর আমি ভাবেতে থাকি সে মেয়েটির কথা
[email protected]
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এস,বি, (পিটুল) ১৭/০৫/২০১৪valo laglo ama'o
-
কবি মোঃ ইকবাল ০৬/০৫/২০১৪লাজাবাব কাহিনী।
ভালো লাগলো আমার।