মেয়ে
যতটুকো ভাগ্যে ছিল আর কী!ততটুকো পড়াশোনা শেষে। লক্ষিপুর জেলাধীন,রায়পুর থানায়(পীর-বাড়ীতে) মেছ ভাড়া নিয়ে থেকে,চার বছরের ওবেশীসময় ফেরি করে কাপরের বেপাস্যা করেছি।পরে মাথায় ভূত চাপল বিদেশ যাব। আব্বার সাথে যুক্তি করে,বেপস্যা গুছিয়ে,টাকা জমা দিলাম বিদেশ (মালশিয়ায়) যাবার জন্য।বেপাস্যার মাঠে অনেক টাকা বাকী দেয়া ছিল।বিদেশ যাব,আর বেপস্যা করব না বলে,লোকদের কাছথেকে বাকি টাকা উঠাতে থাকলাম।কিছু কিছু লোক যখন শোন বেপস্যা ছেড়ে দেব,বিদেশ চলে যাব,এই কথা শোনে তারা যেন হাফছেড়ে বেচেছিল।তাদেরকে আর খুজে ও দেখা পাচ্ছলাম না।ঘরে থেকেও বাচ্চাদের দিয়ে পাঠাত,বাচ্চারা এসে বলতো,আমার আম্মা বাড়িতে নেয়।তারা মনে করত দূরের বেটা,বিদেশ চলে গেলেতো আর টাকা গুলো দিতে হবে না।ভুলেই গেছিল একদিন যে মরতে হবে! হাসর দিনে এঈ টাকার জন্য প্রভুর কাছে জবাব দেখি করতে হবে।বেপস্যা ছেড়ে চলে এলাম,তিন মসেরো বেশী হয়ে গেল।কিন্তু দালালের কথার কোন ঠিক পাচ্ছলাম না।এবার বলল,ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ সিউর।১৭তারিখের আরো ২০ দিন বাকি।তাই ভাবলাম,রায় পুর থেকে গিয়ে ঘুরে আসি,যে কয় টাকাই বাকি উঠাইতে পারি।সকালে রুয়ানা হলাম।সন্ধায় গিয়ে নামলাম রায়পুর। কুষ্ঠিয়ার এক বন্ধর বাসায় উঠলাম।পর দিন সকালে একটি সাইকেল নিয়ে বের হলাম বাকি টাকার উদ্দেশ্য। বিকেল চারটার দিকে একটি হিন্দু বাড়ীতে ডোককলাম।আসে পাশে কাউকে না দেখতে পেয়ে, সাইকেলের বেইল বাজালাম। একটি ছয় সাত বছরের একটি মেয়ে ঘরের দরজা থেকে আনাকে দেখেই পূজা দিদি পূজাদি বলে ডাকতে ডাকতে,ঘরের ভেতরে গিয়ে বলতে তাকে,দিদি হেই বেটা আইছে।পূজা মেয়েটির কথা শুনে বল ল,কোন বেটা?
তুমি যে বেটা থেকে কাপর লাখতে।
অভাক হল!বলল,হে বেটা কেমনে আয়ব,বেটাত বিদেশ গেছেগা।
বিশ্বাস না অইলে গিয়া দেখ।
পূজা দরজায় এসে বাহিরে চোখ রেখে অভাক,আমাকে লক্ষ করে ব লল, আরে ভাই আপনি।
আমি বলাম জ্বি।
পূজা বলল,আপনিত পরের স্পতাই আসবেন বলে গেলেন আরতো এলেন না।
আমি বললাম,সময় পারিনায়। তাছারা এ ক টাকার জন্য অলসতা করে আসা হয়নায়।
পূজা বলল,বিদেশ যান নাই?
যাব ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ।
পূজা বলল,কমতো একটা হয়াগেছে।
জিজ্ঞাসা করলাম কি কাম?
পোজা বলল,সবার কাছ থেকে টাকা উটিয়ে,আমার ১২০টাকা সহ,মোট ২৩০টাকা মসজিদে দিয়ে দিছি।ভাবছিলাম আপনি বিদেশ চলেগেছেন,আর আসবেন না মনে করে।
পূজার কথা শোনে অভাক হলাম,জিজ্ঞসা করলাম,আপনারাতো হিন্দু, মন্দিরে না দিয়ে মসজিদে কেন দিলেন?
পূজা বলল,মন্দিরে দেব কেন?টাকাটাত আপনার এই জন্য মসজিদে দিছি। কারণ,আপনি মুসলমান।
মনটা ভরে গেল পুজার কথাটি শোনে।অভাক হলাম তার ভিবেক বোধ দেখে।আজ ৮বছর পরেও সে কথাটি মনে করে থমকে যায়,কী দারুন ছিল তার ভেতরের রুপটা
তুমি যে বেটা থেকে কাপর লাখতে।
অভাক হল!বলল,হে বেটা কেমনে আয়ব,বেটাত বিদেশ গেছেগা।
বিশ্বাস না অইলে গিয়া দেখ।
পূজা দরজায় এসে বাহিরে চোখ রেখে অভাক,আমাকে লক্ষ করে ব লল, আরে ভাই আপনি।
আমি বলাম জ্বি।
পূজা বলল,আপনিত পরের স্পতাই আসবেন বলে গেলেন আরতো এলেন না।
আমি বললাম,সময় পারিনায়। তাছারা এ ক টাকার জন্য অলসতা করে আসা হয়নায়।
পূজা বলল,বিদেশ যান নাই?
যাব ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ।
পূজা বলল,কমতো একটা হয়াগেছে।
জিজ্ঞাসা করলাম কি কাম?
পোজা বলল,সবার কাছ থেকে টাকা উটিয়ে,আমার ১২০টাকা সহ,মোট ২৩০টাকা মসজিদে দিয়ে দিছি।ভাবছিলাম আপনি বিদেশ চলেগেছেন,আর আসবেন না মনে করে।
পূজার কথা শোনে অভাক হলাম,জিজ্ঞসা করলাম,আপনারাতো হিন্দু, মন্দিরে না দিয়ে মসজিদে কেন দিলেন?
পূজা বলল,মন্দিরে দেব কেন?টাকাটাত আপনার এই জন্য মসজিদে দিছি। কারণ,আপনি মুসলমান।
মনটা ভরে গেল পুজার কথাটি শোনে।অভাক হলাম তার ভিবেক বোধ দেখে।আজ ৮বছর পরেও সে কথাটি মনে করে থমকে যায়,কী দারুন ছিল তার ভেতরের রুপটা
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সহিদুল হক ০৮/০৩/২০১৪সুন্দর লেখা। খুব ভাল লাগলো।
-
রাশেদ আহমেদ শাওন ০৭/০৩/২০১৪খুব ভালো লাগলো