যোদ্ধা
বিচিত্র আলোকে
মন্দ মুখর বাতাসে
চিত্তের শত বিকাশ
শত সহস্র রঙ ঢং-এ প্রকাশ,
গ্রন্থে পঠিত কন্ঠে উচ্চারণ
জেনে না জেনে অসংখ্য কাহিনী
তবুও সে আলোকিত ফুল কানন।
শুধু আমি একা একাকী
অশ্রুসজল নয়ন,
আমি নাকি তখন হিংস্র ছিলাম
দেশ, মা ও দশের শত কর্মে,
আজ পলাতক শত অভিযোগে
পরিহাস, অভিযোগ চলছে মন্দ গতিতে,
দীর্ঘশ্বাস, চাই না আর
কেঁদে উঠে মন মুহূর্তের তরে
পদতলে উপহার জীবনের স্মৃতি
রয়েছে আপন নীড়ে ছবির মতো।
অন্ন চাই, আলো চাই
চাই মুক্তবায়ু
হাতে তালি ফুলের ঢালি
বদলে দেব বদলাতে চাই
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য
রাজপথে জনতার মাঝে
ছুড়ি কত বুলি।
দিন যায়, সন্ধ্যা আসে
বক্ষে জ্বলে অনল
মুহূর্তের তরে যারে চিনি না
জেগে তুলে অন্তরে লক্ষ তারার গান
শিরশির করে গা কেন এখন ?
জনশূণ্য পথে ডুবে যায় স্বর
কাঁপে বুক ব্যাকুল মুখ
অবাক কলরবে জমেছে মেঘ
তীব্র নেশায় ছিন্ন করে আপনসুর।
আমরা যোদ্ধা
নাড়ীতে নাড়ীতে নাকি টান
অর্থ কত অনর্থ রাখে না চিহ্ন
বিনীত নিঠুর ভাষ্যে
হাতে তোলে দস্যুবৃত্তি
বলে করি না ভিক্ষা
তবুও ধনজনমান খ্যাতি ও বিত্ত
পূর্ণ করেছে জীবন
এতো সব বুলি কেমন করে ভুলি ?
বলতে পারি না কথা
বলতে মুখে বাঁধা
আমি যোদ্ধা
কি তার প্রমান, আছে কি নথিপত্র ?
দিতে পারি ব্যাখা বলতে পারি নাম
আশেপাশে ছিল যত সহযোদ্ধা।
এসবে হবে না কাজ
খাতা কলমে থাকতে হবে আজ
সেদিনের কথা যদি মিথ্যা হয়
করি না ভয়
আমি যোদ্ধা।
ঘরে বসে লিপিব্ধ
হয় যদি এদেশে
কিসের যুদ্ধ কিসের সংগ্রাম
হয়েছিল আগে,
হয়নি শেষ রয়েছে রেশ
চলছে চলবে,
কত যুদ্ধ কত মৃত্যু
নেই তার শেষ,
সেদিনের সেই যোদ্ধা
আজ আর নেই
হবে পরাজয় অনিবার্য।
আমি নাকি রাজাকার
যুদ্ধ করে এ উপহার
আমার ভাই বোনদের
আমার হাতে তুলে দিয়ে
যতশত পুরস্কার আজ তাদের,
কে দেশদ্রোহী দেশ সেবক ?
আমি জানি না,
কত বর্ণে জগতের মাঝে
অসংখ্য কাহিনী
বিচিত্র বর্ণের রেখা
ম্লান মুখে লেখা
কত শত বেদনার কাহিনী।
ঘরের রাজাকার ঘরেই তৈরী
তবুও যতশত দোষ আজ পরের
আমরা ইতিহাস পড়ি
ইতিহাস গড়ি
জানি কতটুকু ?
হামিদ, নুর, মতিউর এর পাশে
ছিল না আর কেউ ?
আমার তখন অনেক ক্ষমতা
চাইলেই সব হতো
হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ সবাই
মত্ত কলরবে।
আজ আমি রাজাকার
খাতা কলমে নাকি বলে।
বুকভরা আলিঙ্গনরাশি
পূর্ণিমার আকাশের মতো
আমার পদ আমার শত্রু
আমার ভালবাসা আমার বুকে
বেদনার কথা বলে।
মন্দ মুখর বাতাসে
চিত্তের শত বিকাশ
শত সহস্র রঙ ঢং-এ প্রকাশ,
গ্রন্থে পঠিত কন্ঠে উচ্চারণ
জেনে না জেনে অসংখ্য কাহিনী
তবুও সে আলোকিত ফুল কানন।
শুধু আমি একা একাকী
অশ্রুসজল নয়ন,
আমি নাকি তখন হিংস্র ছিলাম
দেশ, মা ও দশের শত কর্মে,
আজ পলাতক শত অভিযোগে
পরিহাস, অভিযোগ চলছে মন্দ গতিতে,
দীর্ঘশ্বাস, চাই না আর
কেঁদে উঠে মন মুহূর্তের তরে
পদতলে উপহার জীবনের স্মৃতি
রয়েছে আপন নীড়ে ছবির মতো।
অন্ন চাই, আলো চাই
চাই মুক্তবায়ু
হাতে তালি ফুলের ঢালি
বদলে দেব বদলাতে চাই
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য
রাজপথে জনতার মাঝে
ছুড়ি কত বুলি।
দিন যায়, সন্ধ্যা আসে
বক্ষে জ্বলে অনল
মুহূর্তের তরে যারে চিনি না
জেগে তুলে অন্তরে লক্ষ তারার গান
শিরশির করে গা কেন এখন ?
জনশূণ্য পথে ডুবে যায় স্বর
কাঁপে বুক ব্যাকুল মুখ
অবাক কলরবে জমেছে মেঘ
তীব্র নেশায় ছিন্ন করে আপনসুর।
আমরা যোদ্ধা
নাড়ীতে নাড়ীতে নাকি টান
অর্থ কত অনর্থ রাখে না চিহ্ন
বিনীত নিঠুর ভাষ্যে
হাতে তোলে দস্যুবৃত্তি
বলে করি না ভিক্ষা
তবুও ধনজনমান খ্যাতি ও বিত্ত
পূর্ণ করেছে জীবন
এতো সব বুলি কেমন করে ভুলি ?
বলতে পারি না কথা
বলতে মুখে বাঁধা
আমি যোদ্ধা
কি তার প্রমান, আছে কি নথিপত্র ?
দিতে পারি ব্যাখা বলতে পারি নাম
আশেপাশে ছিল যত সহযোদ্ধা।
এসবে হবে না কাজ
খাতা কলমে থাকতে হবে আজ
সেদিনের কথা যদি মিথ্যা হয়
করি না ভয়
আমি যোদ্ধা।
ঘরে বসে লিপিব্ধ
হয় যদি এদেশে
কিসের যুদ্ধ কিসের সংগ্রাম
হয়েছিল আগে,
হয়নি শেষ রয়েছে রেশ
চলছে চলবে,
কত যুদ্ধ কত মৃত্যু
নেই তার শেষ,
সেদিনের সেই যোদ্ধা
আজ আর নেই
হবে পরাজয় অনিবার্য।
আমি নাকি রাজাকার
যুদ্ধ করে এ উপহার
আমার ভাই বোনদের
আমার হাতে তুলে দিয়ে
যতশত পুরস্কার আজ তাদের,
কে দেশদ্রোহী দেশ সেবক ?
আমি জানি না,
কত বর্ণে জগতের মাঝে
অসংখ্য কাহিনী
বিচিত্র বর্ণের রেখা
ম্লান মুখে লেখা
কত শত বেদনার কাহিনী।
ঘরের রাজাকার ঘরেই তৈরী
তবুও যতশত দোষ আজ পরের
আমরা ইতিহাস পড়ি
ইতিহাস গড়ি
জানি কতটুকু ?
হামিদ, নুর, মতিউর এর পাশে
ছিল না আর কেউ ?
আমার তখন অনেক ক্ষমতা
চাইলেই সব হতো
হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ সবাই
মত্ত কলরবে।
আজ আমি রাজাকার
খাতা কলমে নাকি বলে।
বুকভরা আলিঙ্গনরাশি
পূর্ণিমার আকাশের মতো
আমার পদ আমার শত্রু
আমার ভালবাসা আমার বুকে
বেদনার কথা বলে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Înšigniã Āvî ১১/১০/২০১৩ভাল লাগল
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ১০/১০/২০১৩কবিতাটি সুন্দর। ভাষার ব্যবহার ও ভালো। কিন্তু আমার কাছে কেন জানি বক্তব্য অস্পষ্ট। আপনি বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তার জন্য ধন্যবাদ। হয়তো বা আমার বুঝতে অসুবিধা। ধন্যবাদ কবিকে।