স্বপ্ন
"প্রফেসর সাহেব আপনি কই যাচ্ছেন?" মানুষের এখন এই প্রশ্ন, কই যে যাচ্ছি তা আমি বলি কি করে! মানুষের কাছে বললে হইতো কেউ হাসবে। আমি কি করে বলি, আমার এই জীবন যাপন ভালো লাগে না। এই পৃথিবীতে কেউ কারো না। হটাৎ শিমুর ফোন-
-- ওই কি করছ!
--- কিছু না, বসে আছি।
-- কাল একটু ডাক-বাংলা যেতে পারবা? একটু সপিং করবো। কিন্তু ওদিকে আমার কোন দিন যাওয়া হয়নি, চিনি না কিছু...
--- কাল তো যেতে পারবো না Important Task আছে।
-- ও কে, আগামি পরশু তো পারবা?
---হ্যাঁ, ট্রাই করবো... বাই।
-- ওকে, বাই।
কি বলব আগামি পরশুর আগেই তো চলে যাচ্ছি, একেবারে নেটওয়ার্কের বাইরে... আমাকে আর খুজেই পাবে না। সমস্যা নেই। কিন্তু ডাক্তার সাহেবকে নিয়ে পারা যাবে? সে তো সুপার গ্লু আঠার মত লেগে থাকবে। অসহ্য একটা আমার পাশের রুমের না হত তাহলে কবেই কিক মেরে বের করে দিতাম, কিন্তু ও তো আমার গ্রামের বাড়ির এলাকার। ডাক্তার আসলে মেডিকেলের ছাত্র তাই ওকে ডাক্তার ডাকি, আর আমাকে ও প্রোফেসর বলে ব্যাঙ্গ করে ডাকে।
যাই হোক এবার গোঁছানো শুরু করলাম, হ্যাঁ একটা চিরকুট লিখে নেই সবাই যাতে বুঝতে পারে; আমি না ফেরার জন্য চলে গেছি । আর কোন দিন আসব না। এই বৈষম্যিক জীবন ব্যবস্থা আমার আর ভালো লাগে না। চারিদিকে কোলাহল, মারামারি, স্বার্থপরতা, বিশ্বাস ঘাটকতা আর ভালো লাগে না। ভিরকুটটা হলো--
My Dears,
This world is not suitable for me. It is full of varies social inequalities. Now, I had gone to a place there have no impeach. I had gone to forever.
Your evers
MMR
তারপর গুছিয়ে নিয়ে বাহির হলাম। অনেক দুরের পথ তালপট্টি নদী পার হয়ে ও পারে সুন্দরবন। সুন্দর বনের ভীতরে একটা খুব উচু করে ঘর বানাতে হবে। সুন্দরবনে বাঘ আছে। যাতে বাঘ ও বন্য প্রাণী আক্রমণ করতে না পারে।
তিনদিন কেটে গেল সাথে আনা খাবার শেষ হবার পথে এখন। এখন লড়াই করে বেচে থাকতে হবে। বাঘ যদি হরিণ শিকার করে খেতে পারে আমি নিশ্চই পারবো। না হয় জ্বালিয়ে সিদ্ধ করে নিবো! আদিম মানুষের মত জীবন যাপন হলেও বেচে থাকা যাবে। অশান্তি তো পর থাকছে না।
খুব ভালো আছি রে ভাই আমার কোন সমস্যা নেই, এই বন যদি এত গুলো জন্তুর আহার দিতে পারে আমার বেলায় অক্ষম হবে না নিশ্চয়! কোন চিন্তা নেই রাতের ঘুম গুলো খুব ভালোই হচ্ছে, কোন সমস্যা নেই।
সমাজে যত গুলো ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে, তার মধ্যে চ্যাম্পিয়ণ হলো মেয়ে মানুষ। কোন এক সময় পড়ছিলাম বিশ্বে যত গুলো যুদ্ধ হয়, তার পিছনে তিন টি কারণ থাকে-
১. নারী
২. অর্থ
৩. ক্ষমতা
এখানে এই তিনটার একটাও নেই সুতরাং ঝামেলাও নেই।
অলরেডি হরিণ ধরে পুড়িয়ে খাওয়া ধরেছি। হাত পায়ের নখ গুলো বড় বড় হয়েছে। হ্যাঁ, নখ দিয়ে ছিড়ে খেতে সুবিধা হচ্ছে। ওই একটা হরিণ ওকে ধরতে হবে, কিছু কেওড়ার পাতা নিয়ে বসে আছি আড়াল হয়ে... ওমা এখানে কি বাঘ ছিল! আল্লায় জানে ভাগ্যে কি আছে...... তারপর ঝপাত করে একটা লাফ দিয়ে আমার ওপর আঁচড়ে পরলো......
আঃ হ্যাঁ, হা.. আমি খাতের নিচে কেন? কখন পড়ে গেছি? তাহলে কি এতক্ষণ স্বপ্ন ছিল?
-- ওই কি করছ!
--- কিছু না, বসে আছি।
-- কাল একটু ডাক-বাংলা যেতে পারবা? একটু সপিং করবো। কিন্তু ওদিকে আমার কোন দিন যাওয়া হয়নি, চিনি না কিছু...
--- কাল তো যেতে পারবো না Important Task আছে।
-- ও কে, আগামি পরশু তো পারবা?
---হ্যাঁ, ট্রাই করবো... বাই।
-- ওকে, বাই।
কি বলব আগামি পরশুর আগেই তো চলে যাচ্ছি, একেবারে নেটওয়ার্কের বাইরে... আমাকে আর খুজেই পাবে না। সমস্যা নেই। কিন্তু ডাক্তার সাহেবকে নিয়ে পারা যাবে? সে তো সুপার গ্লু আঠার মত লেগে থাকবে। অসহ্য একটা আমার পাশের রুমের না হত তাহলে কবেই কিক মেরে বের করে দিতাম, কিন্তু ও তো আমার গ্রামের বাড়ির এলাকার। ডাক্তার আসলে মেডিকেলের ছাত্র তাই ওকে ডাক্তার ডাকি, আর আমাকে ও প্রোফেসর বলে ব্যাঙ্গ করে ডাকে।
যাই হোক এবার গোঁছানো শুরু করলাম, হ্যাঁ একটা চিরকুট লিখে নেই সবাই যাতে বুঝতে পারে; আমি না ফেরার জন্য চলে গেছি । আর কোন দিন আসব না। এই বৈষম্যিক জীবন ব্যবস্থা আমার আর ভালো লাগে না। চারিদিকে কোলাহল, মারামারি, স্বার্থপরতা, বিশ্বাস ঘাটকতা আর ভালো লাগে না। ভিরকুটটা হলো--
My Dears,
This world is not suitable for me. It is full of varies social inequalities. Now, I had gone to a place there have no impeach. I had gone to forever.
Your evers
MMR
তারপর গুছিয়ে নিয়ে বাহির হলাম। অনেক দুরের পথ তালপট্টি নদী পার হয়ে ও পারে সুন্দরবন। সুন্দর বনের ভীতরে একটা খুব উচু করে ঘর বানাতে হবে। সুন্দরবনে বাঘ আছে। যাতে বাঘ ও বন্য প্রাণী আক্রমণ করতে না পারে।
তিনদিন কেটে গেল সাথে আনা খাবার শেষ হবার পথে এখন। এখন লড়াই করে বেচে থাকতে হবে। বাঘ যদি হরিণ শিকার করে খেতে পারে আমি নিশ্চই পারবো। না হয় জ্বালিয়ে সিদ্ধ করে নিবো! আদিম মানুষের মত জীবন যাপন হলেও বেচে থাকা যাবে। অশান্তি তো পর থাকছে না।
খুব ভালো আছি রে ভাই আমার কোন সমস্যা নেই, এই বন যদি এত গুলো জন্তুর আহার দিতে পারে আমার বেলায় অক্ষম হবে না নিশ্চয়! কোন চিন্তা নেই রাতের ঘুম গুলো খুব ভালোই হচ্ছে, কোন সমস্যা নেই।
সমাজে যত গুলো ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে, তার মধ্যে চ্যাম্পিয়ণ হলো মেয়ে মানুষ। কোন এক সময় পড়ছিলাম বিশ্বে যত গুলো যুদ্ধ হয়, তার পিছনে তিন টি কারণ থাকে-
১. নারী
২. অর্থ
৩. ক্ষমতা
এখানে এই তিনটার একটাও নেই সুতরাং ঝামেলাও নেই।
অলরেডি হরিণ ধরে পুড়িয়ে খাওয়া ধরেছি। হাত পায়ের নখ গুলো বড় বড় হয়েছে। হ্যাঁ, নখ দিয়ে ছিড়ে খেতে সুবিধা হচ্ছে। ওই একটা হরিণ ওকে ধরতে হবে, কিছু কেওড়ার পাতা নিয়ে বসে আছি আড়াল হয়ে... ওমা এখানে কি বাঘ ছিল! আল্লায় জানে ভাগ্যে কি আছে...... তারপর ঝপাত করে একটা লাফ দিয়ে আমার ওপর আঁচড়ে পরলো......
আঃ হ্যাঁ, হা.. আমি খাতের নিচে কেন? কখন পড়ে গেছি? তাহলে কি এতক্ষণ স্বপ্ন ছিল?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০১/০৬/২০১৮অসাধারণ ............
-
পবিত্র চক্রবর্তী ০১/০৬/২০১৮বেশ অন্যরকম ভাবে প্রবন্ধের শুরু ভালো লাগলো । তবে বিশ্বাসঘাতকতা বানান হবে আর বাহির শব্দটি চলতি লেখ্য ভাষায় প্রয়োগ হবে ॥
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ৩১/০৫/২০১৮অনেক ভাল লেগেছে।