হাবু ডাক্তার
গ্রামে হাবু ডাক্তারের খুব নামডাক।পেশায় সে একজন হাতুড়ে ডাক্তার।বাড়ির উপরেই একটা ঘর নিয়ে বসে থাকে সে।মাঝে মধ্যে গ্রামে গিয়ে দু একটা ঢু মারে সে।তবে তা নিত্যান্ত কমই হয়।এলাকায় ডাক্তার কম থাকায় রোগীও আসে বেশ।সে খুব বেশি শিক্ষিত নয়।সামান্য বাংলা আর অংক পড়তে জানে।অঙ্কের হিসাবে বিন্দুমাত্র ভুল হয় না হাবুর।সে মানুষের শরীর টিপে সর্দিজ্বর দেখে।যেকোন সাধারন রোগের ঔষুধ বিক্রি করে।তার বিখ্যাত হবার পেছনে যে কারনটা রয়েছে তা হচ্ছে সে তার বিলের টাকার প্রতি খুবই তৎপর।কারো কাছে পাইটি ছাড়ে না সে।ঠিক তেমনি কারো আটআনা মেরে খায় না।বয়স হয়েছে হাবুর।চেহারায় একটা বয়স্ক ভাব এসে গেছে এখন।কিন্তু বউ ছেলেপুলে কিছুই নাই তার। একদিন নৌকায় করে তার ঔষুধের ব্যাগ নিয়ে পার হচ্ছিল হাবু।নৌকার ভাড়া দুই টাকা।ভাড়া দিতে গিয়ে হাবু দেখল তার কাছে দুই টাকা খুচরা নেই। আছে পাঁচ টাকার নোট।সে নৌকার মাঝিকে জিজ্ঞাসা করলো, “পাঁচ টাকা খুচরা হবে?”
“না”,মাঝি জবাব দিল।ঝামেলাটা এখানেই বাধল।দুজনের কারো কাছেই খুচরা নেই।আর হাবু টাকা পরিষোধ না করে যাবেই না।আশেপাশে কোন দোকানপাট নেই যে সেখান থেকে খুচরা করে দেবে।মাঝি বলল, “পাঁচ টাকাই দিয়ে যান।ফেরার পথে বাকিটা নিয়ে যাবেন”।
হাবু বলল, “আমি ফিরতে ফিরতে যে আপনি বেচে থাকবেন তার নিশ্চয়তা কী?”
“তাহলে টাকা আপনি নিয়ে যান।ফেরার পথে দিয়ে দেবেন”।
তাতেও রাজি নয় হাবু।বলল, “ফেরার পথে যে আমি বেচে থাকব তার নিশ্চয়তা কী?”
“তাহলে এমনিই চলে যান।টাকা দিতে হবে না”।
এতেও সন্তুষ্ট নয় হাবু।বলল, “এতে আমার মৃত্যুর পরের জীবনে ঋণ থাকতে হবে।আমি ঋণী হয়ে মরতে চাই না”।
“তাহলে পাঁচ টাকাই দিয়ে যান”,একটু রেগেই বলল মাঝি।
হন্তদন্ত হয়ে ঝটপট জবাব দিল হাবু, “তা কী করে হয়।তিন টাকা আপনাকে বেশি দেব কেন?তিন টাকা আয় করতে কয়টা ঔষুধ বিক্রি করতে হয় জানেন?কম করে পাঁচ পাতা নাপা বিক্রি করতে হয়”।
“তাহলে করবেন কী?”
“আপনার ভাড়া না দিয়ে আমি নৌকা থেকে যাব না”।
“কিন্তু আপনার সাথে তো কোনভাবেই মিলাতে পারছি না”।
“এক কাজ করুন।আপনার ঔষুধ লাগবে? এই নাপা কিংবা হিস্টাসিন?না হয় দুই টাকার সিভিট নিয়ে নিন”।
“না,আমার কোন ঔষুধ লাগবে না”।
“তাহলে এখন উপায়?”
“আর একটা কাজ করা যেতে পারে।আপনি আমাকে পাঁচ টাকাই দেন।আমি আপনাকে নদীতে নৌকায় করে বাকি তিনটাকার পথ ঘুরিয়ে আনি”।
“নিজের স্বার্থসিদ্ধি খুব ভালই শিখেছেন দেখছি।তিন টাকা আমি এভাবে উড়িয়ে দেব?”
“এত টাকা দিয়ে আপনি কী করবেন?বিয়ে সাদী তো করেন নাই”।
“আমি কী আমার বউ বাচ্চার জন্য আয় করি?আমি তো আমার নিজের জন্য আয় করি”।
“কিন্তু এখন কিছু তো করতে হবে।আপনার যা খুশি করেন।আমি আর পারছি না”।
“আমি এখানে বসে থাকব।আপনি আরো যাত্রী পার করবেন।তারা যেই ভাড়া দেবে তা দিয়ে আমার তিন টাকা পরিষোধ করবেন”।
“আপনি তাহলে নৌকায় বসতে পারবেন না।নিচে নেমে বসতে হবে।নৌকায় বসে থাকলে ততক্ষনে ভাড়া শোধ হয়ে যাবে”।
এরপর হাবু নৌকা থেকে নেমে পাড়ে জোড় হয়ে বসল।অনেক্ষন অপেক্ষার পর দুজন যাত্রী আসল।কিন্তু তারা দুজনেই এনেছে দুই টাকার নোট।তাই হাবুকে তিন টাকা ফেরত দিতে পারল না মাঝি।আরো কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর একজন যাত্রী আসল যে কিনা দুইটা একটাকার কয়েন নিয়ে এসেছে।তখন তার কাছ থেকে আগে টাকা নিয়ে হাবুর সাথে ঝামেলা মিটিয়ে নিল মাঝি।তবে যাবার সময় মাঝিকে হাবু বলল, “আপনি যে ওনার কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিলেন যদি নৌকা পাড় হওয়ার সময় নৌকা ডুবে উনি মারা যান।তখন তো আপনি ঋণী হয়ে যাবেন।তাই অগ্রিম টাকা নেবেন না”।
কথাটা শুনে নৌকার যাত্রী খানিকটা ঘাবড়ে গেল।একটা ঢেকুর গিললো সে।
পরদিন দুপুরে এক মহিলা হাপাতে হাপাতে আসছিল হাবু ডাক্তারের বাড়ির দিকে।হয়তো আগে কখনো আসে নি।তাই এখানে এসে এক বিধবাকে সামনে পেয়ে জিজ্ঞাসা করে নিল, “হাবু ডাক্তারের বাড়ি কোনটা?”
বিধবা হাত দিয়ে দেখিয়ে দিল হাবু মিয়ার বাড়ি।মহিলার সাথে তার ছেলে ছিল।ছেলেটি এতক্ষন তার কোলেই ছিল।এবার সে নামাল।ছেলেটির চেহারা রোগাটে।মনে হয় কতদিন খায় না!হাড়গোড় সব বেড়িয়ে গেছে।মনে হয় শরীরে রক্তও খুব বেশি নাই।মহিলাটিও রোগা।তবে দেখলে নিশ্চিতভাবে বলে দেয়া যায় ছেলেটির জন্যই ডাক্তারের কাছে এসেছে মহিলাটি।সে হাবু ডাক্তারের দোকানে গেল।সামনে পেতে রাখা বেঞ্চে বসল দুজনেই।হাবু জিজ্ঞাসা করলো, “কার সমস্যা?কী হয়েছে?”
মহিলা বলল, “ছেলের।দিনদিন কেমন শুকিয়ে যাচ্ছে।ভিটামিন লাগবে মনে হয়”।
হাবু মিয়া এগিয়ে এল।সে ছেলেটির চোখের পাতার উপরের অংশ ধরে উচু করে চোখের রং দেখলো।হাত উচু করে হাতের ওজন দেখল।হা করিয়ে জিহবা দেখল।তারপর বলল, “একটা ভিটামিনের সিরাপ খাওয়াতে হবে।তাতেই ঠিক হয়ে যাবে।দাম মাত্র সত্তর টাকা”।
“সত্তর টাকা?বলেন কী?আমি তো এনেছি মাত্র চল্লিশ টাকা”।বিষ্মিত হয়ে বলল মহিলা।
“তাহলে আমি ভিটামিনের শিশি ভেঙ্গে অর্ধেক দেই।পয়ত্রিশ টাকা দেন”।
“না না।ভিটামিনের শিশি ভাঙ্গলে আমি নিব কীভাবে?আপনি সম্পূর্ন শিশিটা আমাকে দেন।আমি আজই কাউকে দিয়ে টাকা পাঠিয়ে দেব”।
“না।আমি বাকি বিক্রি করি না।নগদ টাকা দিতে হবে”।
বাধ্য হয়ে ঔষুধ না নিয়েই তখন ফিরতে হল মহিলাকে।সে অনেক পথ পেছনে ফিরে এল।তার চেনা এক বাড়িতে এসে তার ঘটনা খুলে বলল।তার স্বামী তাকে মাত্র চল্লিশ টাকাই দিয়েছে।ঔষুধের দাম সত্তর টাকা।কিন্তু হাবু ডাক্তার বাকী দেবে না।ঐ বাড়ির কর্ত্রী তখন তাকে ত্রিশ টাকা ধার দিল।ফিরে গিয়ে ঔষুধ আনল সে।বাড়ি ফিরে গিয়ে এক দুধ বিক্রেতার কাছে ত্রিশ টাকা পাঠিয়ে দিল সেই বাড়িতে পৌছে দেবার জন্য।দুধ বিক্রেতা পৌছে দিল।তার বছরখানেক পর গ্রামে একজন মেট্রিকপাশ ডাক্তারের আবির্ভাব ঘটল।তার দেখাদেখিতে আরো।পরে ক্রমেই অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন ডাক্তার।ক্রমেই হারিয়ে যেতে থাকল হাবু মিয়ার রাজ্য।তার একচ্ছত্র আধিপত্য।এখন তার মাসেও তিনটাকা আয় হয় না।বিয়ে না করে ভালোই করেছে সে।নয়তো এখন বউ বাচ্চাকে কী খাওয়াতো?ডাক্তারি ছাড়া তো আর কিছুই করে নি সে।কিছুদিন পর শোনা গেল হাবু ডাক্তার মারা গেছে।সে যেখানে ডাক্তারি করতো ঐ ঘরের সামনেই তার কবর দেয়া হয়।ঘরের সবই সরিয়ে ফেলা হয়েছে।তবে তার প্ল্যাকার্ডটা এখনও ঝুলছে।তাতে লেখা- “বাকি হবে না।খুচরা টাকা দিন।–হাবু ডাক্তার”।
“না”,মাঝি জবাব দিল।ঝামেলাটা এখানেই বাধল।দুজনের কারো কাছেই খুচরা নেই।আর হাবু টাকা পরিষোধ না করে যাবেই না।আশেপাশে কোন দোকানপাট নেই যে সেখান থেকে খুচরা করে দেবে।মাঝি বলল, “পাঁচ টাকাই দিয়ে যান।ফেরার পথে বাকিটা নিয়ে যাবেন”।
হাবু বলল, “আমি ফিরতে ফিরতে যে আপনি বেচে থাকবেন তার নিশ্চয়তা কী?”
“তাহলে টাকা আপনি নিয়ে যান।ফেরার পথে দিয়ে দেবেন”।
তাতেও রাজি নয় হাবু।বলল, “ফেরার পথে যে আমি বেচে থাকব তার নিশ্চয়তা কী?”
“তাহলে এমনিই চলে যান।টাকা দিতে হবে না”।
এতেও সন্তুষ্ট নয় হাবু।বলল, “এতে আমার মৃত্যুর পরের জীবনে ঋণ থাকতে হবে।আমি ঋণী হয়ে মরতে চাই না”।
“তাহলে পাঁচ টাকাই দিয়ে যান”,একটু রেগেই বলল মাঝি।
হন্তদন্ত হয়ে ঝটপট জবাব দিল হাবু, “তা কী করে হয়।তিন টাকা আপনাকে বেশি দেব কেন?তিন টাকা আয় করতে কয়টা ঔষুধ বিক্রি করতে হয় জানেন?কম করে পাঁচ পাতা নাপা বিক্রি করতে হয়”।
“তাহলে করবেন কী?”
“আপনার ভাড়া না দিয়ে আমি নৌকা থেকে যাব না”।
“কিন্তু আপনার সাথে তো কোনভাবেই মিলাতে পারছি না”।
“এক কাজ করুন।আপনার ঔষুধ লাগবে? এই নাপা কিংবা হিস্টাসিন?না হয় দুই টাকার সিভিট নিয়ে নিন”।
“না,আমার কোন ঔষুধ লাগবে না”।
“তাহলে এখন উপায়?”
“আর একটা কাজ করা যেতে পারে।আপনি আমাকে পাঁচ টাকাই দেন।আমি আপনাকে নদীতে নৌকায় করে বাকি তিনটাকার পথ ঘুরিয়ে আনি”।
“নিজের স্বার্থসিদ্ধি খুব ভালই শিখেছেন দেখছি।তিন টাকা আমি এভাবে উড়িয়ে দেব?”
“এত টাকা দিয়ে আপনি কী করবেন?বিয়ে সাদী তো করেন নাই”।
“আমি কী আমার বউ বাচ্চার জন্য আয় করি?আমি তো আমার নিজের জন্য আয় করি”।
“কিন্তু এখন কিছু তো করতে হবে।আপনার যা খুশি করেন।আমি আর পারছি না”।
“আমি এখানে বসে থাকব।আপনি আরো যাত্রী পার করবেন।তারা যেই ভাড়া দেবে তা দিয়ে আমার তিন টাকা পরিষোধ করবেন”।
“আপনি তাহলে নৌকায় বসতে পারবেন না।নিচে নেমে বসতে হবে।নৌকায় বসে থাকলে ততক্ষনে ভাড়া শোধ হয়ে যাবে”।
এরপর হাবু নৌকা থেকে নেমে পাড়ে জোড় হয়ে বসল।অনেক্ষন অপেক্ষার পর দুজন যাত্রী আসল।কিন্তু তারা দুজনেই এনেছে দুই টাকার নোট।তাই হাবুকে তিন টাকা ফেরত দিতে পারল না মাঝি।আরো কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর একজন যাত্রী আসল যে কিনা দুইটা একটাকার কয়েন নিয়ে এসেছে।তখন তার কাছ থেকে আগে টাকা নিয়ে হাবুর সাথে ঝামেলা মিটিয়ে নিল মাঝি।তবে যাবার সময় মাঝিকে হাবু বলল, “আপনি যে ওনার কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিলেন যদি নৌকা পাড় হওয়ার সময় নৌকা ডুবে উনি মারা যান।তখন তো আপনি ঋণী হয়ে যাবেন।তাই অগ্রিম টাকা নেবেন না”।
কথাটা শুনে নৌকার যাত্রী খানিকটা ঘাবড়ে গেল।একটা ঢেকুর গিললো সে।
পরদিন দুপুরে এক মহিলা হাপাতে হাপাতে আসছিল হাবু ডাক্তারের বাড়ির দিকে।হয়তো আগে কখনো আসে নি।তাই এখানে এসে এক বিধবাকে সামনে পেয়ে জিজ্ঞাসা করে নিল, “হাবু ডাক্তারের বাড়ি কোনটা?”
বিধবা হাত দিয়ে দেখিয়ে দিল হাবু মিয়ার বাড়ি।মহিলার সাথে তার ছেলে ছিল।ছেলেটি এতক্ষন তার কোলেই ছিল।এবার সে নামাল।ছেলেটির চেহারা রোগাটে।মনে হয় কতদিন খায় না!হাড়গোড় সব বেড়িয়ে গেছে।মনে হয় শরীরে রক্তও খুব বেশি নাই।মহিলাটিও রোগা।তবে দেখলে নিশ্চিতভাবে বলে দেয়া যায় ছেলেটির জন্যই ডাক্তারের কাছে এসেছে মহিলাটি।সে হাবু ডাক্তারের দোকানে গেল।সামনে পেতে রাখা বেঞ্চে বসল দুজনেই।হাবু জিজ্ঞাসা করলো, “কার সমস্যা?কী হয়েছে?”
মহিলা বলল, “ছেলের।দিনদিন কেমন শুকিয়ে যাচ্ছে।ভিটামিন লাগবে মনে হয়”।
হাবু মিয়া এগিয়ে এল।সে ছেলেটির চোখের পাতার উপরের অংশ ধরে উচু করে চোখের রং দেখলো।হাত উচু করে হাতের ওজন দেখল।হা করিয়ে জিহবা দেখল।তারপর বলল, “একটা ভিটামিনের সিরাপ খাওয়াতে হবে।তাতেই ঠিক হয়ে যাবে।দাম মাত্র সত্তর টাকা”।
“সত্তর টাকা?বলেন কী?আমি তো এনেছি মাত্র চল্লিশ টাকা”।বিষ্মিত হয়ে বলল মহিলা।
“তাহলে আমি ভিটামিনের শিশি ভেঙ্গে অর্ধেক দেই।পয়ত্রিশ টাকা দেন”।
“না না।ভিটামিনের শিশি ভাঙ্গলে আমি নিব কীভাবে?আপনি সম্পূর্ন শিশিটা আমাকে দেন।আমি আজই কাউকে দিয়ে টাকা পাঠিয়ে দেব”।
“না।আমি বাকি বিক্রি করি না।নগদ টাকা দিতে হবে”।
বাধ্য হয়ে ঔষুধ না নিয়েই তখন ফিরতে হল মহিলাকে।সে অনেক পথ পেছনে ফিরে এল।তার চেনা এক বাড়িতে এসে তার ঘটনা খুলে বলল।তার স্বামী তাকে মাত্র চল্লিশ টাকাই দিয়েছে।ঔষুধের দাম সত্তর টাকা।কিন্তু হাবু ডাক্তার বাকী দেবে না।ঐ বাড়ির কর্ত্রী তখন তাকে ত্রিশ টাকা ধার দিল।ফিরে গিয়ে ঔষুধ আনল সে।বাড়ি ফিরে গিয়ে এক দুধ বিক্রেতার কাছে ত্রিশ টাকা পাঠিয়ে দিল সেই বাড়িতে পৌছে দেবার জন্য।দুধ বিক্রেতা পৌছে দিল।তার বছরখানেক পর গ্রামে একজন মেট্রিকপাশ ডাক্তারের আবির্ভাব ঘটল।তার দেখাদেখিতে আরো।পরে ক্রমেই অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন ডাক্তার।ক্রমেই হারিয়ে যেতে থাকল হাবু মিয়ার রাজ্য।তার একচ্ছত্র আধিপত্য।এখন তার মাসেও তিনটাকা আয় হয় না।বিয়ে না করে ভালোই করেছে সে।নয়তো এখন বউ বাচ্চাকে কী খাওয়াতো?ডাক্তারি ছাড়া তো আর কিছুই করে নি সে।কিছুদিন পর শোনা গেল হাবু ডাক্তার মারা গেছে।সে যেখানে ডাক্তারি করতো ঐ ঘরের সামনেই তার কবর দেয়া হয়।ঘরের সবই সরিয়ে ফেলা হয়েছে।তবে তার প্ল্যাকার্ডটা এখনও ঝুলছে।তাতে লেখা- “বাকি হবে না।খুচরা টাকা দিন।–হাবু ডাক্তার”।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১২/০৪/২০১৮খুব ভালো লাগল
-
সাঁঝের তারা ১০/০৪/২০১৮বেশ মজার