তৃতীয় জীবন পর্ব তিন
উপন্যাস " তৃতীয় জীবন "
পর্ব তিন:
""""""""""""""""""""""'""""""""""""""""""""""""'""""
কুন্তলা,একসময়ের সংগীত জগতের মঞ্চ কাঁপানো মেয়ে অনেক তাবড় সঙ্গীতজ্ঞের হৃদয় কাঁপানো উচ্ছল তরুণী। যদিও বিবাহপূর্ব ও কিঞ্চিৎ বিবাহত্তীর্ণ ফ্রেমের অতীত মুখচ্ছবি। একটা সম্পূর্ণ অধ্যায়ের কিছু উত্থান পতনের দাগে সময়ের আবর্তন বিবর্তন শুধু। " হৃদয়ং তব হৃদয়ং মম" চ্চারণের মধ্যে জেগে ওঠা হঠাৎ করে পুরুষ কিংবদন্তির আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলার কৌশলে কোনভাবেই আমিত্ব ফলানোর অবকাশ মেলে না, মেলে না কাঁধের সমতা উচ্চতর স্পৃহা চলে যায় রসোই ঘরের অতিথি আপ্যায়নের উচ্চকিত প্রশংসায়, চা তৈরি, জলযোগের বিবিধ রেসিপি, মোচা ঘন্ট, মৌরলার টক,মোগলাই, বিরিয়ানির টেবিলে উছলে ওঠে কুন্তলা থুরি কুন্দের , লক্ষীমন্ত বৌ এর স্বীকৃতির বন্যা। শাশুড়ি মায়ের চৌকাঠ বড় পোক্ত বন্দোবস্তের আতিশয্যে আমন্ত্রিত বন্ধু বান্ধব তটস্থ। বৌ নামক যন্ত্রটির সময়সূচী কিংবা সীমানার দিনক্ষণের সবটাই প্রায় ঠাকুঘরে টাঙানো এক সংযোজন। অতিরিক্ত কন্ঠস্বর বহির্মুখী স্বাধীনতা এসব ঐ ঠাকুরেরই উপসংহার। অতএব কুন্তলা আরামের বিছানায় ও আয়েসের টেবিলে শিল্পী স্বত্ত্বার তাৎপর্য বিশ্লেষণে নেহাতই কুন্দ। অনেক জানার মাঝে এক বিয়োজিত অধ্যায়। নিজের স্বরচিত গানগুলির সুরারোপ করে নিজেই মঞ্চস্থ করায় অদ্ভুত রকমের পারদর্শিতা অনেককেই বিস্ময়াভিভূত করেছে, সেসব আজ চলে গেছে সময়ের হাত ধরে বিস্মৃতির অতলে। একসময় আবেগে ওকে পাঁজা কোলা করে তুলে ধরেছে তনুময় বলেছে ঠিক এমন একজনকেই ওর প্রয়োজন ছিল। ওঠা নামা শেষে মায়ের অলক্ষুনে পাথরে ঘরে ফিরেছে বৌ। সবেমাত্র এক উঠতি পরিচালক ফিল্মে ওর সুরে গান গাইবার জন্য হঠাৎ করে বাড়িতে এসে হাজির। একসাথে চলা যেত বহুদূর,গন্ডিটাকে ছড়িয়ে দেওয়া যেত সকলের মধ্যে। আসলে হাত ধরার ব্যাপারটা হয়তো মানুষের অবচেতনের এক গূঢ় নিজস্বতা অথবা প্রকারান্তরে অভিভাবকত্বের এক নিঁখুত দৃশ্যান্তর থাকে। কে কার হাত ধরেন এ বিষয়টি অতি সমালোচনা মূলক। শিশু কালে বাবা, মা, দাদা, ইত্যাদি স্বজনদের হাত ধরে বেড়ে ওঠার মধ্যে একপ্রকার স্নেহের প্রশ্রয় থাকে। যৌবনে প্রেমিকের ঘনিষ্ঠতা কিন্তু বৈবাহিক জীবনের হাত ধরা বিষয়টি যথেষ্টই বিতর্কিত। সেই হাত প্রকারান্তরে উর্দ্ধমুখী না নিম্নগামী তার যথেষ্ট অবকাশ থেকে যায়। হাতের সে সন্ধিতে স্থাপিত হয় মানবিক বন্ধন আর তাতেই পৃথিবী ছোঁয়ার আনন্দ। কিন্তু না কুন্তলার জীবনের সেই হাত ঘুরে গিয়েছে অযাচিত পর্যায়ে। এক্ষেত্রে তনুময় অবশ্য নিদারুণ ধূর্ততায় একপেশে কুন্দের যবনিকার পতন ঘটিয়ে দিয়েছে প্রায়। উক্ত পরিচালক এক বিশিষ্ট নাট্যকার দলে টেনে নিলেন তনুময়কে। সুশ্রী, সুন্দর চেহারার সুমধুর কন্ঠস্বরে আপ্লুত হয়ে উঠল মঞ্চ। ঝলসে উঠল ফ্ল্যাশ,ক্যামেরা।
অপরপক্ষে একাধারে মাতৃবিয়োগ ও আসন্ন উত্তরাধিকার তনুময়ের জীবনকে সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন করে তুলল। কুন্তলা ধীরে আঁকড়ে ধরেছে চার দেওয়ালের গন্ডিটাকে, সম্ভাব্য ভবিষ্যতের সুন্দর একটি ছবি বসার ঘরের মাঝখানটাতে টাঙানো চোখ জুড়ে ঐ নগ্ন শিশুর নৈসর্গিক রুপে আচ্ছন্ন হতে হতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছে। ঘর জুড়ে, সংসার জুড়ে দামাল শিশুর ছোটাছুটি জীবনের অনেক শূণ্যতা ভরিয়ে তুলতে পারে যদিও সে সময় তনুময় যথেষ্ট দায়িত্ব শীল অভিভাবকের পরিচয় দিয়েছে। মঞ্চ,অভিনয় তাকে ভরিয়ে রেখেছে এক অকৃত্রিম বন্ধনে কুন্তলার চতুর্পাশ ফিকে হতে হতে ক্রমশঃ এক কেন্দ্র বিন্দুতে স্থির হয়ে পড়ে। শোবার সময় পুরোনো অভ্যাসটাকে ভুলতে পারেনি আজও রবীন্দ্র সংগীত তন্ত্রীর সুর বেয়ে পৌঁছে যায় সেই পুরোনো একাদেমির উচ্ছ্বল মঞ্চের একঝাঁক তরুণ তরুনীর উদ্দাম কন্ঠে। বৈশাখের অথৈ রোদ্দুরে এ গলি সে গলির বাঁক বেয়ে একবুক ঝিনুক খুঁজে ফেরা পুরোনো অসত্থ গাছটার তলায় কত কি যে আবিষ্কার ওর গলার বাঁ সাইডের তিলটা বেমালুম খুঁজে বার করার আনন্দের পাওনার সাথে বহুদিন লেপ্টে থাকা শুকনো গোলাপের অস্তিত্বের সাথে চলেছে আজকের বনাবনি। নিজেকে মেলে ধরার এ আনন্দ যেন পাঁহাড় ছোবার শিহরণ হয়ে মেলে ধরেছে গভীরের উষ্ণতা। হাঁটতে হাঁটতে সময়কে মুড়িয়ে অতীত চলে গেছে কঠিন বাস্তবে যেখানে জমে আছে শুধু ভালোবাসার ধূলো বালি। সেখানে উবু হয়ে আছে কিছু মন ভালো করা সংঘবদ্ধ সংলাপ। ওরাও আজ ভীষণ ক্লান্ত খুঁজে নিয়েছে অন্য পন্থা। কেউ আছে খুব সুখে কেউ ততটা ভালো নেই। খুউব সুখী? তেমন করে ভাবনার মধ্যে বাস্তবের মিল আছে কি নেই অথবা প্রকৃত সুখের তথ্যে সঠিক উদ্ভাবন আজও যেন মেলানো যায় না কোনমতেই। অবশ্য হঠাৎ করে জাপটে ধরে চোখ বুঁজতে বলে গলায় পরিয়ে দেওয়া সোনার চেন, কিংবা যত তুচ্ছই হোক একটুকরো ক্যটবেরির কোনটাই চরম সুখের সংজ্ঞা থেকে বাদ দেওয়া যায় নি। বাদ দেওয়া যায় নি মাছের ঝোলে একরাশ চিনি দিয়ে সরবত বানানোর ছেলেমানুষি গুলোও। ভাঙা রেকর্ড যেন জুড়ে বসেছে অবসরে। এর পরের অধ্যায়টি হয়তো অপেক্ষায় ছিল চরম বিভাজনের, বিয়োজনের। একরাশ অন্ধকারে নার্স, ডক্টরের উৎকন্ঠা, ছোটাছুটি বাচ্ছা আওয়াজ করছে না কেন ❓দামি ইঞ্জেকশন ওষুধ চিকিৎসা কিন্তু সকলকে স্তব্ধ করে দিয়ে ডক্টর ঘোষণা করলেন নির্মম সত্যটা। সরি মিস্টার হি কান্ট.......বলা শেষ হয় না ডক্টরের ঝটকায় রুম থেকে বেড়িয়ে গেলেন মিঃ তনুময় সঙ্গে কিছু স্বজন বন্ধুরাও |
ক্রমশঃ
উপন্যাস "তৃতীয় জীবন "- ৪র্থ পর্ব
"""""""""""""""""""""""""""""'""""""""'"""""""""""""""""""""""'"""""""""""""""
রাত বারোটা। স্মেল সহানুভূতির আদরে ভরিয়ে তোলেন কুন্তলাকে,পাশাপাশি রেখে কুন্দ কিছুতেই মেলাতে পারে না দু'জনকে, বাস্তবিকই বিদেশ বিঁভূইয়ের এই দম্পতির অমায়িক ভালোবাসার বন্ধনকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই,রক্তের বন্ধনহীন,অক্ষম একদল রোগগ্রস্ত শিশুর চিকিৎসায় উৎসর্গীত দুটি প্রাণ জীবনের সমস্ত বিলাসীতা,সুখ,ঐশ্বর্য সব ত্যাগ করে সুদূর আলো বাতাসহীন গ্রামে ছুটে এসেছেন এদের সেবার তাগিদে অপরপ্রান্তে রক্তের সম্পর্কের সাথে চলেছে অস্তিত্বের সংকট। মুখ ফিরিয়েছে পাশের আপনজনেরা। সামনের মাসেই চোখ প্রতিস্থাপনের আশ্বাস দেন মি. স্মেল এবং ওর ছেলেরও যে কান,গলা,জিভের পজিটিভ সেন্স রয়েছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত আশ্বস্ত করেন। বলবে তবে সময় লাগবে। ব্যয়বহুল চিকিৎসায় সেন্স কাজ করবেই তুমি অধৈর্য হয়ো না কুন্তলা। পরম আশ্বাসের কাছে নির্ভরতায় সঁপে দিতে হয় নিজেকে এ অভাবনীয় সৌভাগ্য সকলের আসে না। কুন্দ খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করেছে তা। এই কুন্তলা মাই লাভ কুন্তলা ভার্লিং কুন্তলা লেট মি টু ইয়োর হার্ট এন্ড স্কুইজড্ দ্য লাভ, এই হল স্মেলের ভালোবাসার ভঙ্গি বারংবার নামোচ্চারনের মধ্যে দিয়ে ভরিয়ে তোলেন সমস্ত না পাওয়ার যন্ত্রনাকে। জীবনের এক বিশেষ অংশ যখন আচ্ছন্ন হয়ে পরেছিল পরিণামহীন সমস্যায় ঠিক তখনই জীবন নিয়ে এল আরেক মানবিক পথে যে পথে উত্তরণ এক সহজ সুন্দর ও স্বাভাবিক চুক্তির নাম, ভালোবাসার নাম। বাস্তবিক এরা অর্থাৎ পাশ্চাত্যের শিক্ষা হিউম্যানিজম নীতির বিশেষ পদ্ধতির উপর প্রতিষ্ঠিত বলেই বোধয় সুন্দর ও সর্বজনীন। ভারতীয়দের সঙ্গে এক্ষেত্রে ওদের সমানুপাতিক শতকরা হার সর্বনিম্ন বাঙালীদের তো না বলাই ভালো এরা অর্থনৈতিক ভিতের উপর দাঁড়িয়ে গোটা মেরিকা দেখে নিলেও মন মানসিকতায় না ঘরকা না ঘাটকা। তনুময় একটি চরিত্র বটে তবে মানবিক মূল্যবোধহীন এক স্বার্থপর কপট প্রকৃতির তফাৎ এইখানে ঠিক এই শূন্যস্থানে। মানুষের জীবনে যত ঝড় ঝাপটা আসুক না কেন একসময় সেও বুঝে যায় প্রকৃতপক্ষে কোন পথটি তার পক্ষে উপযুক্ত ও সহায়ক। একেই বিজ্ঞানের ভাষায় বলে অভিযোজন।
অভিজ্ঞান ও অভিযোজন দুইই জীবের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির পরিপূরক। ঠিক তেমনই মানুষের স্বভাবজাত প্রকৃত স্বত্তা ও মেকীর পার্থক্যের সূক্ষ্মতা প্রায় ক্ষেত্রেই অধরা থেকে যায়। দুটো মানুষ আজ পরস্পর বিরোধী,জীবনের প্রতি অধ্যায়ের প্রতি ক্ষেত্রে। তাদের ওঠা বসা খাওয়া দেখা ভালোবাসা সবটাই প্রায় একে অন্যের বিপরীত এমনকি দেখবার ভাব ও ভঙ্গিও সম্পূর্ণ বিপরীত। অতএব এমন এক দম্পতির সান্নিধ্য কুন্তলাকে পরিণতই করেনি করেছে আত্মবিশ্বাসী। ফিরে পেয়েছে নিজের প্রতি বিশ্বাস। য়্যু হ্যভ এভরিথিং ট্যু কনকোর সো হোয়াই আর য়্যু সো আনফ্লেক্সিবেল প্লিজ এনজয় টুডে দ্যসট দ্য লাইফ। এমন এক জটিল সময়ে কুন্তলা প্রায় ভুলেই গিয়েছিল শারিরীক কোন উষ্ণতা ওর মধ্যে আছে কি না। কিংবা সহজাত পদ্ধতিতে ওর সেক্স অরগ্যান ঠিকঠাক ব্যবহারের উপযোগী কি না? হয়তো এমনই হয় যখন জীবনের কাছের পুরুষটির কাছে কোন নারীর প্রকৃত স্বত্ত্বার কোন মূল্যায়ন হয় না অথবা বঞ্চিত হতে হতে একসময় কোথাও যেন অবলুপ্তি ঘটে নারী স্বত্ত্বার। মি স্মেল ভালোবাসেন কুন্তলাকে সাজিয়ে তোলেন বিভিন্ন রুচির কারুকার্যে ওর রুপ যৌবনকে, শেখান এনজয় ইয়োর লাইফ এন্ড ইয়োথ। প্রকৃতই কুন্দ পরিপূর্ণ যৌবনমদেমত্ত হয়ে পরিপূর্ণ চেয়ে থাকে আয়নায়। আবেগে স্মেলের গলা জড়িয়ে ভরিয়ে তোলে চুমুতে। ওর আর তনুময়ের শেষের দিকের সম্পর্কটায় না ছিল কোন ভালোবাসা না আবেগ না দায়িত্ব অবশ্য কাঙ্ক্ষিত বস্তুর অন্য কোথাও ঢালাও ব্যবস্থা থাকলে মানুষ অযথা উপোসী থাকবে কেন ❓ঘর নামক আচ্ছাদনে কেবল গোটা তিন মানুষের অসহায় সহাবস্থান। সেখানে কে কার মনের কথা ভাববে? যাই হোক একেবারে বিদ্ধস্ত চির্ ধরা জীবনে শুধুমাত্র মৃত্যু যেখানে পরম তৃপ্তির আসন প্রায় নিশ্চিত করে রেখেছে ঠিক তখনই দপ করে জ্বলে উঠল কুন্তলা। কাগজের এক কোনে একটি ক্ষুদ্র বিজ্ঞাপনে। বরাবর শোবার আগে খবরের কাগজের কর্মবিভাগ খুটিয়ে পড়ার অভ্যেস ওর আর এটাই কাজে লেগে গেল সঠিক সময়ে। গভীরের পরিতৃপ্তি স্মেলই ওকে দিয়েছে। জীবন থেকে সেক্স বিলুপ্ত হওয়াকে একসময় ভাগ্য বলে মেনে নিয়েছিল কুন্দ আজ কিন্তু অনেকটাই প্রত্যয়ী। আগামী কাল একজন স্পেশ্যাল এম ডি আসছেন মা ছেলের জন্য সাথে আরও দু'জন ফর এক্সট্রা ট্রিটমেন্ট। কুন্দ প্লিজ লুক ওভার ইয়োর ফিজিক্যাল ইমপ্রুভমেন্ট, খাও খাও হোয়াই ইয়্যু সো আনকনসাস অবশ্য শুধু কুন্তলার প্রতিই নয় কটেজের প্রতিটি সদস্যের প্রতি ফাদারের স্বভাবজাত পরিচর্চা শিশুদের মনেও অনবদ্য স্বজনের মহিমা স্থাপন করেছে। ওদেরকে সঙ্গ দেওয়া, খেলাধূলা, পড়াশোনা প্রভৃতি কাজগুলো দম্পতি একসাথেই করে থাকেন পরম সযত্নে। এছাড়া বাকি সময়ের জন্য কুন্দ ও আরো কিছু সহৃদয় সিস্টার রয়েছেন, আয়ারল্যান্ডের কয়েকজন আয়া মাসী উৎসর্গিত সেবা ব্রতী গোটা পরিবারটি নিয়ে এক সেবাশ্রম। যার মধ্যমনি স্মেল দম্পতি। অল্প সময়ে কুন্তলার ওদের মধ্যের একজন হয়ে ওঠার আন্তরিক কাহিনী যেন নাড়া দেয় সকলকেই। ভাবতে ভাবতে দু'চোখ টলমল করে আজও। এখানকার প্রায় প্রত্যেকেরই জীবন ট্র্যজিক কোন ঘটনার সাক্ষী। মরতে মরতে বেঁচে ফেরা কিংবা ধর্মচ্যুত, সমাজচ্যুত সভ্যতার মুখ ফেরানো অস্তিত্ব অথবা নিদারুণ আধুনিক শিক্ষার কদর্য বহিঃপ্রকাশের কিছু অসহায় ছেলে মেয়ের সামাজিক প্রতিস্থাপন কুন্তলাদের মতো অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলা কিছু মেয়ে।
ক্রমশঃ
*বাকি অংশ পড়তে গেলে প্রতিলিপি বাংলায় আসুন।
পর্ব তিন:
""""""""""""""""""""""'""""""""""""""""""""""""'""""
কুন্তলা,একসময়ের সংগীত জগতের মঞ্চ কাঁপানো মেয়ে অনেক তাবড় সঙ্গীতজ্ঞের হৃদয় কাঁপানো উচ্ছল তরুণী। যদিও বিবাহপূর্ব ও কিঞ্চিৎ বিবাহত্তীর্ণ ফ্রেমের অতীত মুখচ্ছবি। একটা সম্পূর্ণ অধ্যায়ের কিছু উত্থান পতনের দাগে সময়ের আবর্তন বিবর্তন শুধু। " হৃদয়ং তব হৃদয়ং মম" চ্চারণের মধ্যে জেগে ওঠা হঠাৎ করে পুরুষ কিংবদন্তির আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলার কৌশলে কোনভাবেই আমিত্ব ফলানোর অবকাশ মেলে না, মেলে না কাঁধের সমতা উচ্চতর স্পৃহা চলে যায় রসোই ঘরের অতিথি আপ্যায়নের উচ্চকিত প্রশংসায়, চা তৈরি, জলযোগের বিবিধ রেসিপি, মোচা ঘন্ট, মৌরলার টক,মোগলাই, বিরিয়ানির টেবিলে উছলে ওঠে কুন্তলা থুরি কুন্দের , লক্ষীমন্ত বৌ এর স্বীকৃতির বন্যা। শাশুড়ি মায়ের চৌকাঠ বড় পোক্ত বন্দোবস্তের আতিশয্যে আমন্ত্রিত বন্ধু বান্ধব তটস্থ। বৌ নামক যন্ত্রটির সময়সূচী কিংবা সীমানার দিনক্ষণের সবটাই প্রায় ঠাকুঘরে টাঙানো এক সংযোজন। অতিরিক্ত কন্ঠস্বর বহির্মুখী স্বাধীনতা এসব ঐ ঠাকুরেরই উপসংহার। অতএব কুন্তলা আরামের বিছানায় ও আয়েসের টেবিলে শিল্পী স্বত্ত্বার তাৎপর্য বিশ্লেষণে নেহাতই কুন্দ। অনেক জানার মাঝে এক বিয়োজিত অধ্যায়। নিজের স্বরচিত গানগুলির সুরারোপ করে নিজেই মঞ্চস্থ করায় অদ্ভুত রকমের পারদর্শিতা অনেককেই বিস্ময়াভিভূত করেছে, সেসব আজ চলে গেছে সময়ের হাত ধরে বিস্মৃতির অতলে। একসময় আবেগে ওকে পাঁজা কোলা করে তুলে ধরেছে তনুময় বলেছে ঠিক এমন একজনকেই ওর প্রয়োজন ছিল। ওঠা নামা শেষে মায়ের অলক্ষুনে পাথরে ঘরে ফিরেছে বৌ। সবেমাত্র এক উঠতি পরিচালক ফিল্মে ওর সুরে গান গাইবার জন্য হঠাৎ করে বাড়িতে এসে হাজির। একসাথে চলা যেত বহুদূর,গন্ডিটাকে ছড়িয়ে দেওয়া যেত সকলের মধ্যে। আসলে হাত ধরার ব্যাপারটা হয়তো মানুষের অবচেতনের এক গূঢ় নিজস্বতা অথবা প্রকারান্তরে অভিভাবকত্বের এক নিঁখুত দৃশ্যান্তর থাকে। কে কার হাত ধরেন এ বিষয়টি অতি সমালোচনা মূলক। শিশু কালে বাবা, মা, দাদা, ইত্যাদি স্বজনদের হাত ধরে বেড়ে ওঠার মধ্যে একপ্রকার স্নেহের প্রশ্রয় থাকে। যৌবনে প্রেমিকের ঘনিষ্ঠতা কিন্তু বৈবাহিক জীবনের হাত ধরা বিষয়টি যথেষ্টই বিতর্কিত। সেই হাত প্রকারান্তরে উর্দ্ধমুখী না নিম্নগামী তার যথেষ্ট অবকাশ থেকে যায়। হাতের সে সন্ধিতে স্থাপিত হয় মানবিক বন্ধন আর তাতেই পৃথিবী ছোঁয়ার আনন্দ। কিন্তু না কুন্তলার জীবনের সেই হাত ঘুরে গিয়েছে অযাচিত পর্যায়ে। এক্ষেত্রে তনুময় অবশ্য নিদারুণ ধূর্ততায় একপেশে কুন্দের যবনিকার পতন ঘটিয়ে দিয়েছে প্রায়। উক্ত পরিচালক এক বিশিষ্ট নাট্যকার দলে টেনে নিলেন তনুময়কে। সুশ্রী, সুন্দর চেহারার সুমধুর কন্ঠস্বরে আপ্লুত হয়ে উঠল মঞ্চ। ঝলসে উঠল ফ্ল্যাশ,ক্যামেরা।
অপরপক্ষে একাধারে মাতৃবিয়োগ ও আসন্ন উত্তরাধিকার তনুময়ের জীবনকে সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন করে তুলল। কুন্তলা ধীরে আঁকড়ে ধরেছে চার দেওয়ালের গন্ডিটাকে, সম্ভাব্য ভবিষ্যতের সুন্দর একটি ছবি বসার ঘরের মাঝখানটাতে টাঙানো চোখ জুড়ে ঐ নগ্ন শিশুর নৈসর্গিক রুপে আচ্ছন্ন হতে হতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছে। ঘর জুড়ে, সংসার জুড়ে দামাল শিশুর ছোটাছুটি জীবনের অনেক শূণ্যতা ভরিয়ে তুলতে পারে যদিও সে সময় তনুময় যথেষ্ট দায়িত্ব শীল অভিভাবকের পরিচয় দিয়েছে। মঞ্চ,অভিনয় তাকে ভরিয়ে রেখেছে এক অকৃত্রিম বন্ধনে কুন্তলার চতুর্পাশ ফিকে হতে হতে ক্রমশঃ এক কেন্দ্র বিন্দুতে স্থির হয়ে পড়ে। শোবার সময় পুরোনো অভ্যাসটাকে ভুলতে পারেনি আজও রবীন্দ্র সংগীত তন্ত্রীর সুর বেয়ে পৌঁছে যায় সেই পুরোনো একাদেমির উচ্ছ্বল মঞ্চের একঝাঁক তরুণ তরুনীর উদ্দাম কন্ঠে। বৈশাখের অথৈ রোদ্দুরে এ গলি সে গলির বাঁক বেয়ে একবুক ঝিনুক খুঁজে ফেরা পুরোনো অসত্থ গাছটার তলায় কত কি যে আবিষ্কার ওর গলার বাঁ সাইডের তিলটা বেমালুম খুঁজে বার করার আনন্দের পাওনার সাথে বহুদিন লেপ্টে থাকা শুকনো গোলাপের অস্তিত্বের সাথে চলেছে আজকের বনাবনি। নিজেকে মেলে ধরার এ আনন্দ যেন পাঁহাড় ছোবার শিহরণ হয়ে মেলে ধরেছে গভীরের উষ্ণতা। হাঁটতে হাঁটতে সময়কে মুড়িয়ে অতীত চলে গেছে কঠিন বাস্তবে যেখানে জমে আছে শুধু ভালোবাসার ধূলো বালি। সেখানে উবু হয়ে আছে কিছু মন ভালো করা সংঘবদ্ধ সংলাপ। ওরাও আজ ভীষণ ক্লান্ত খুঁজে নিয়েছে অন্য পন্থা। কেউ আছে খুব সুখে কেউ ততটা ভালো নেই। খুউব সুখী? তেমন করে ভাবনার মধ্যে বাস্তবের মিল আছে কি নেই অথবা প্রকৃত সুখের তথ্যে সঠিক উদ্ভাবন আজও যেন মেলানো যায় না কোনমতেই। অবশ্য হঠাৎ করে জাপটে ধরে চোখ বুঁজতে বলে গলায় পরিয়ে দেওয়া সোনার চেন, কিংবা যত তুচ্ছই হোক একটুকরো ক্যটবেরির কোনটাই চরম সুখের সংজ্ঞা থেকে বাদ দেওয়া যায় নি। বাদ দেওয়া যায় নি মাছের ঝোলে একরাশ চিনি দিয়ে সরবত বানানোর ছেলেমানুষি গুলোও। ভাঙা রেকর্ড যেন জুড়ে বসেছে অবসরে। এর পরের অধ্যায়টি হয়তো অপেক্ষায় ছিল চরম বিভাজনের, বিয়োজনের। একরাশ অন্ধকারে নার্স, ডক্টরের উৎকন্ঠা, ছোটাছুটি বাচ্ছা আওয়াজ করছে না কেন ❓দামি ইঞ্জেকশন ওষুধ চিকিৎসা কিন্তু সকলকে স্তব্ধ করে দিয়ে ডক্টর ঘোষণা করলেন নির্মম সত্যটা। সরি মিস্টার হি কান্ট.......বলা শেষ হয় না ডক্টরের ঝটকায় রুম থেকে বেড়িয়ে গেলেন মিঃ তনুময় সঙ্গে কিছু স্বজন বন্ধুরাও |
ক্রমশঃ
উপন্যাস "তৃতীয় জীবন "- ৪র্থ পর্ব
"""""""""""""""""""""""""""""'""""""""'"""""""""""""""""""""""'"""""""""""""""
রাত বারোটা। স্মেল সহানুভূতির আদরে ভরিয়ে তোলেন কুন্তলাকে,পাশাপাশি রেখে কুন্দ কিছুতেই মেলাতে পারে না দু'জনকে, বাস্তবিকই বিদেশ বিঁভূইয়ের এই দম্পতির অমায়িক ভালোবাসার বন্ধনকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই,রক্তের বন্ধনহীন,অক্ষম একদল রোগগ্রস্ত শিশুর চিকিৎসায় উৎসর্গীত দুটি প্রাণ জীবনের সমস্ত বিলাসীতা,সুখ,ঐশ্বর্য সব ত্যাগ করে সুদূর আলো বাতাসহীন গ্রামে ছুটে এসেছেন এদের সেবার তাগিদে অপরপ্রান্তে রক্তের সম্পর্কের সাথে চলেছে অস্তিত্বের সংকট। মুখ ফিরিয়েছে পাশের আপনজনেরা। সামনের মাসেই চোখ প্রতিস্থাপনের আশ্বাস দেন মি. স্মেল এবং ওর ছেলেরও যে কান,গলা,জিভের পজিটিভ সেন্স রয়েছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত আশ্বস্ত করেন। বলবে তবে সময় লাগবে। ব্যয়বহুল চিকিৎসায় সেন্স কাজ করবেই তুমি অধৈর্য হয়ো না কুন্তলা। পরম আশ্বাসের কাছে নির্ভরতায় সঁপে দিতে হয় নিজেকে এ অভাবনীয় সৌভাগ্য সকলের আসে না। কুন্দ খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করেছে তা। এই কুন্তলা মাই লাভ কুন্তলা ভার্লিং কুন্তলা লেট মি টু ইয়োর হার্ট এন্ড স্কুইজড্ দ্য লাভ, এই হল স্মেলের ভালোবাসার ভঙ্গি বারংবার নামোচ্চারনের মধ্যে দিয়ে ভরিয়ে তোলেন সমস্ত না পাওয়ার যন্ত্রনাকে। জীবনের এক বিশেষ অংশ যখন আচ্ছন্ন হয়ে পরেছিল পরিণামহীন সমস্যায় ঠিক তখনই জীবন নিয়ে এল আরেক মানবিক পথে যে পথে উত্তরণ এক সহজ সুন্দর ও স্বাভাবিক চুক্তির নাম, ভালোবাসার নাম। বাস্তবিক এরা অর্থাৎ পাশ্চাত্যের শিক্ষা হিউম্যানিজম নীতির বিশেষ পদ্ধতির উপর প্রতিষ্ঠিত বলেই বোধয় সুন্দর ও সর্বজনীন। ভারতীয়দের সঙ্গে এক্ষেত্রে ওদের সমানুপাতিক শতকরা হার সর্বনিম্ন বাঙালীদের তো না বলাই ভালো এরা অর্থনৈতিক ভিতের উপর দাঁড়িয়ে গোটা মেরিকা দেখে নিলেও মন মানসিকতায় না ঘরকা না ঘাটকা। তনুময় একটি চরিত্র বটে তবে মানবিক মূল্যবোধহীন এক স্বার্থপর কপট প্রকৃতির তফাৎ এইখানে ঠিক এই শূন্যস্থানে। মানুষের জীবনে যত ঝড় ঝাপটা আসুক না কেন একসময় সেও বুঝে যায় প্রকৃতপক্ষে কোন পথটি তার পক্ষে উপযুক্ত ও সহায়ক। একেই বিজ্ঞানের ভাষায় বলে অভিযোজন।
অভিজ্ঞান ও অভিযোজন দুইই জীবের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির পরিপূরক। ঠিক তেমনই মানুষের স্বভাবজাত প্রকৃত স্বত্তা ও মেকীর পার্থক্যের সূক্ষ্মতা প্রায় ক্ষেত্রেই অধরা থেকে যায়। দুটো মানুষ আজ পরস্পর বিরোধী,জীবনের প্রতি অধ্যায়ের প্রতি ক্ষেত্রে। তাদের ওঠা বসা খাওয়া দেখা ভালোবাসা সবটাই প্রায় একে অন্যের বিপরীত এমনকি দেখবার ভাব ও ভঙ্গিও সম্পূর্ণ বিপরীত। অতএব এমন এক দম্পতির সান্নিধ্য কুন্তলাকে পরিণতই করেনি করেছে আত্মবিশ্বাসী। ফিরে পেয়েছে নিজের প্রতি বিশ্বাস। য়্যু হ্যভ এভরিথিং ট্যু কনকোর সো হোয়াই আর য়্যু সো আনফ্লেক্সিবেল প্লিজ এনজয় টুডে দ্যসট দ্য লাইফ। এমন এক জটিল সময়ে কুন্তলা প্রায় ভুলেই গিয়েছিল শারিরীক কোন উষ্ণতা ওর মধ্যে আছে কি না। কিংবা সহজাত পদ্ধতিতে ওর সেক্স অরগ্যান ঠিকঠাক ব্যবহারের উপযোগী কি না? হয়তো এমনই হয় যখন জীবনের কাছের পুরুষটির কাছে কোন নারীর প্রকৃত স্বত্ত্বার কোন মূল্যায়ন হয় না অথবা বঞ্চিত হতে হতে একসময় কোথাও যেন অবলুপ্তি ঘটে নারী স্বত্ত্বার। মি স্মেল ভালোবাসেন কুন্তলাকে সাজিয়ে তোলেন বিভিন্ন রুচির কারুকার্যে ওর রুপ যৌবনকে, শেখান এনজয় ইয়োর লাইফ এন্ড ইয়োথ। প্রকৃতই কুন্দ পরিপূর্ণ যৌবনমদেমত্ত হয়ে পরিপূর্ণ চেয়ে থাকে আয়নায়। আবেগে স্মেলের গলা জড়িয়ে ভরিয়ে তোলে চুমুতে। ওর আর তনুময়ের শেষের দিকের সম্পর্কটায় না ছিল কোন ভালোবাসা না আবেগ না দায়িত্ব অবশ্য কাঙ্ক্ষিত বস্তুর অন্য কোথাও ঢালাও ব্যবস্থা থাকলে মানুষ অযথা উপোসী থাকবে কেন ❓ঘর নামক আচ্ছাদনে কেবল গোটা তিন মানুষের অসহায় সহাবস্থান। সেখানে কে কার মনের কথা ভাববে? যাই হোক একেবারে বিদ্ধস্ত চির্ ধরা জীবনে শুধুমাত্র মৃত্যু যেখানে পরম তৃপ্তির আসন প্রায় নিশ্চিত করে রেখেছে ঠিক তখনই দপ করে জ্বলে উঠল কুন্তলা। কাগজের এক কোনে একটি ক্ষুদ্র বিজ্ঞাপনে। বরাবর শোবার আগে খবরের কাগজের কর্মবিভাগ খুটিয়ে পড়ার অভ্যেস ওর আর এটাই কাজে লেগে গেল সঠিক সময়ে। গভীরের পরিতৃপ্তি স্মেলই ওকে দিয়েছে। জীবন থেকে সেক্স বিলুপ্ত হওয়াকে একসময় ভাগ্য বলে মেনে নিয়েছিল কুন্দ আজ কিন্তু অনেকটাই প্রত্যয়ী। আগামী কাল একজন স্পেশ্যাল এম ডি আসছেন মা ছেলের জন্য সাথে আরও দু'জন ফর এক্সট্রা ট্রিটমেন্ট। কুন্দ প্লিজ লুক ওভার ইয়োর ফিজিক্যাল ইমপ্রুভমেন্ট, খাও খাও হোয়াই ইয়্যু সো আনকনসাস অবশ্য শুধু কুন্তলার প্রতিই নয় কটেজের প্রতিটি সদস্যের প্রতি ফাদারের স্বভাবজাত পরিচর্চা শিশুদের মনেও অনবদ্য স্বজনের মহিমা স্থাপন করেছে। ওদেরকে সঙ্গ দেওয়া, খেলাধূলা, পড়াশোনা প্রভৃতি কাজগুলো দম্পতি একসাথেই করে থাকেন পরম সযত্নে। এছাড়া বাকি সময়ের জন্য কুন্দ ও আরো কিছু সহৃদয় সিস্টার রয়েছেন, আয়ারল্যান্ডের কয়েকজন আয়া মাসী উৎসর্গিত সেবা ব্রতী গোটা পরিবারটি নিয়ে এক সেবাশ্রম। যার মধ্যমনি স্মেল দম্পতি। অল্প সময়ে কুন্তলার ওদের মধ্যের একজন হয়ে ওঠার আন্তরিক কাহিনী যেন নাড়া দেয় সকলকেই। ভাবতে ভাবতে দু'চোখ টলমল করে আজও। এখানকার প্রায় প্রত্যেকেরই জীবন ট্র্যজিক কোন ঘটনার সাক্ষী। মরতে মরতে বেঁচে ফেরা কিংবা ধর্মচ্যুত, সমাজচ্যুত সভ্যতার মুখ ফেরানো অস্তিত্ব অথবা নিদারুণ আধুনিক শিক্ষার কদর্য বহিঃপ্রকাশের কিছু অসহায় ছেলে মেয়ের সামাজিক প্রতিস্থাপন কুন্তলাদের মতো অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলা কিছু মেয়ে।
ক্রমশঃ
*বাকি অংশ পড়তে গেলে প্রতিলিপি বাংলায় আসুন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ন্যান্সি দেওয়ান ৩০/০৬/২০১৯Bah Darun...
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ৩০/০৬/২০১৯বড়গল্প।