www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

দৈববাণী

চ্যাং-মুড়ি-কাঁনি বলেছিলো সবে স্বজন উচ্চরবে
জ্যোতিষের দ্বারে গননার পরে সংশয় ঘোচে সবে।
কেহ পাথরের নকল 'হীরাটি' কেহ 'পোখরাজ' বলে
কেহ' গোমাদে' ফাঁরাটি কাটিবে কেহ' মুক্তার' ফলে।
ধীরে মেয়ে বাড়ে গননার পরে উঠা-বসা চলে নিত্য
খনা মা যা বলে সামনে আড়ালে অবনত এই চিত্ত।
এইভাবে ভবে দিনরাত যবে বছর পনেরো হলো
স্কুলের গন্ডী পার করে বেশ নাম যশ ফিরে এলো।
বাপ কয় বেড়ে.গনকের বরে পাথরে ফিরেছে ভাগ্য,
মায়ের আদরে মেয়ে শুধু বাড়ে পাথরেই আরোগ্য।
একবার তার কি যে বলি আর ফল হল বেশ মন্দ
জ্যোতিষ বাবাজী হল গররাজী যজ্ঞ নিয়েই দ্বন্দ।
মেয়ে বলে,"থামো",বাপ-মা তখনো গননায় বড় ব্যাস্ত
বৃহস্পতির ঘরেতে শনি কি সাংঘাতিক সন্ত্রাস তো,
বাবা কয় হেঁকে "'আরো ফর্দতে সমুখে মৃত্যু ফাঁদ
করে দেব সারা যজ্ঞের বারা এ ভূম সিংহনাদ।"
দিন যায় আর বারে পূজা-পাঠ একা মেয়ে অসহায়
চ্যাং-মুড়ি-কাঁনি কথাটি যেমনই তোলপার করে যায়।
সেবার কলেজে সেরার সেরা শিরোপা হল না তার
ক্ষোভ,অভিমানে মেয়ে সেইক্ষণে বাপ-মায়ে দুষে আর।
"ফেলে পূজা-পাঠ,গননা,যজ্ঞ আমার করিলে যত্ন
আজ এই সেরা পাথরে অধরা আমারে-ই সেই রত্ন"
এই বলে জলে ফেলিল পাথর বাপ-মায় নিশ্চুপ
এতকাল পরে স্বান্তনাভরে দেখে চেয়ে মেয়ে মুখ।
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৫৮২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৮/০৬/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • শিমুল শুভ্র ২৯/০৬/২০১৪
    বাপ্রে !!! হে সাহিত্যমানবী এত কবিতা লিখো কখন আর ভাবই বা কখন হিংসা হচ্ছে । সেই রকম একটি কবিতা ।
  • কবি মোঃ ইকবাল ২৮/০৬/২০১৪
    চমৎকার লিখেছেন দিদি। ভালো লাগা রেখে গেলাম।
    • মল্লিকা রায় ২৯/০৬/২০১৪
      অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে কবি।
 
Quantcast