নারীর স্থান সবার উপরে
বলা হয়ে থাকে - মা ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। আমরা এর ব্যখ্যা করতে পারি এইভাবে যে মা হল সবার শ্রেষ্ঠ। মায়ের তুলনা নেই এবং মা পরম শ্রদ্ধার।
আর এক ধাপ এগিয়ে বলা যেতে পারে সব নারীরাই সবার থেকে শ্রদ্ধার দাবী রাখে। কারণ নারী মাত্রেই মা - সব নারীই একদিন মা হবেন -সাধারণ যুক্তিতে তা ধরে নেওয়া যায়।
কিন্তু বাস্তবে আমরা কি নারীদের এই শ্রদ্ধার আসনে রেখেছি? সর্বত্র দেখতে পাই নারীদের প্রতি অবমাননা করা হয়, তাদের প্রতি অনেক দেশে অনেক ক্ষেত্রে অমানবিক ব্যবহার করা হয়। নারী বলে সব কিছুতে তাদের দোষ দেয়া হয়। নারী সন্তানের জন্ম দিলে মা ও মেয়ে উভয়কে লাঞ্ছনা ও গঞ্জনা সহ্য করতে হয় - এমন কি ভ্রুণ হত্যার মত নিকৃষ্ট কাজও করা হয়।
আমাদের সমাজে নারীকে সর্বক্ষেত্রে দোষারোপ করা হয়। যেমন ছেলের বিয়ে দিয়ে নতুন বৌ ঘরে এলে সব সময় তার দোষ্ত্রুটি ধরা হয় - এটা ঠিক হচ্ছে না, এটা করতে নেই, ইত্যাদি। একটা মেয়েকে আর মা-বাপের কাছে থেকে একটা নতুন পরিবেশ আনার পর তার প্রতি যে যত্ন ও ভালবাসা দেখানো দরকার সে কথা মনে না রেখে আশা নতুন পরিবারের সবার মন জুগিয়ে চলবে নতুন বৌ তেমন মনে করা হয়। অথচ ছেলেদের জন্য এ রকম কোন প্রত্যাশা নেই - বরং শ্বশুর বাড়ী গেলে উল্টে জামাইয়ের যত্ন করতে হবে তার মনতুষ্টির জন্য - নতুবা জামাই তুলকালাম কান্ড করে বসবে।
আবার ভালবাসার ক্ষেত্রেও তাই। কোন মেয়ের সাথে যদি কোন ছেলের একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে তবে তার জন্যো মেয়েটিকে সবাই দায়ী করে। কারো দিকে তাকালেই মেয়েদের দোষ, কোন ছেলে যদি কোন মেয়েকে জোর করে কিছু একটা করে তার দোষও মেয়েটির।পুরুষের পাশবিক লালসা চরিতার্থ করতে তারা কোন মেয়ের উপর অত্যাচার করলে সে দোষও দেয়া হয় মেয়েদের - মেয়েদের উপর একটা অপরাধবোধ চাপিয়ে দেয়ার প্রবনতা সর্বত্র।
মেয়েদের প্রতি এ আচরন নারীর উপর শ্রদ্ধাশীলতার পরিপন্থী। বই-পুস্তকে যা লেখা থাকুক না কেন বা কথায় যে ভাবে নারীকে তুলে ধরা হোক না কেন বাস্তবে তার উল্টা।
সভ্যতার এই নতুন দিনেও নারীর প্রতি অবমাননার ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত সারা পৃথিবী জুড়ে বিদ্যমান। শিক্ষা ও সভ্যতা এখনো পারে নি নারীদের প্রতি এই অবমানবিক আচরণের সমাপ্তি ঘটাতে। কোন কি উপায় আছে এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে?
পিতা স্বর্গ, অর্থাৎ পুরুষ স্বর্গ, কিন্তু নারী স্বর্গ অপেক্ষাও বড় - অর্থাৎ এ জগতে নারীর স্থান সবার উপরে। কবে হবে এই সত্য বোধ সবার চেতনায় জাগ্রত - সেদিনই এ জগৎ মহৎ হয়ে উঠবে।
আর এক ধাপ এগিয়ে বলা যেতে পারে সব নারীরাই সবার থেকে শ্রদ্ধার দাবী রাখে। কারণ নারী মাত্রেই মা - সব নারীই একদিন মা হবেন -সাধারণ যুক্তিতে তা ধরে নেওয়া যায়।
কিন্তু বাস্তবে আমরা কি নারীদের এই শ্রদ্ধার আসনে রেখেছি? সর্বত্র দেখতে পাই নারীদের প্রতি অবমাননা করা হয়, তাদের প্রতি অনেক দেশে অনেক ক্ষেত্রে অমানবিক ব্যবহার করা হয়। নারী বলে সব কিছুতে তাদের দোষ দেয়া হয়। নারী সন্তানের জন্ম দিলে মা ও মেয়ে উভয়কে লাঞ্ছনা ও গঞ্জনা সহ্য করতে হয় - এমন কি ভ্রুণ হত্যার মত নিকৃষ্ট কাজও করা হয়।
আমাদের সমাজে নারীকে সর্বক্ষেত্রে দোষারোপ করা হয়। যেমন ছেলের বিয়ে দিয়ে নতুন বৌ ঘরে এলে সব সময় তার দোষ্ত্রুটি ধরা হয় - এটা ঠিক হচ্ছে না, এটা করতে নেই, ইত্যাদি। একটা মেয়েকে আর মা-বাপের কাছে থেকে একটা নতুন পরিবেশ আনার পর তার প্রতি যে যত্ন ও ভালবাসা দেখানো দরকার সে কথা মনে না রেখে আশা নতুন পরিবারের সবার মন জুগিয়ে চলবে নতুন বৌ তেমন মনে করা হয়। অথচ ছেলেদের জন্য এ রকম কোন প্রত্যাশা নেই - বরং শ্বশুর বাড়ী গেলে উল্টে জামাইয়ের যত্ন করতে হবে তার মনতুষ্টির জন্য - নতুবা জামাই তুলকালাম কান্ড করে বসবে।
আবার ভালবাসার ক্ষেত্রেও তাই। কোন মেয়ের সাথে যদি কোন ছেলের একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে তবে তার জন্যো মেয়েটিকে সবাই দায়ী করে। কারো দিকে তাকালেই মেয়েদের দোষ, কোন ছেলে যদি কোন মেয়েকে জোর করে কিছু একটা করে তার দোষও মেয়েটির।পুরুষের পাশবিক লালসা চরিতার্থ করতে তারা কোন মেয়ের উপর অত্যাচার করলে সে দোষও দেয়া হয় মেয়েদের - মেয়েদের উপর একটা অপরাধবোধ চাপিয়ে দেয়ার প্রবনতা সর্বত্র।
মেয়েদের প্রতি এ আচরন নারীর উপর শ্রদ্ধাশীলতার পরিপন্থী। বই-পুস্তকে যা লেখা থাকুক না কেন বা কথায় যে ভাবে নারীকে তুলে ধরা হোক না কেন বাস্তবে তার উল্টা।
সভ্যতার এই নতুন দিনেও নারীর প্রতি অবমাননার ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত সারা পৃথিবী জুড়ে বিদ্যমান। শিক্ষা ও সভ্যতা এখনো পারে নি নারীদের প্রতি এই অবমানবিক আচরণের সমাপ্তি ঘটাতে। কোন কি উপায় আছে এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে?
পিতা স্বর্গ, অর্থাৎ পুরুষ স্বর্গ, কিন্তু নারী স্বর্গ অপেক্ষাও বড় - অর্থাৎ এ জগতে নারীর স্থান সবার উপরে। কবে হবে এই সত্য বোধ সবার চেতনায় জাগ্রত - সেদিনই এ জগৎ মহৎ হয়ে উঠবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এস এম আলমগীর হোসেন ২৭/০৪/২০১৭সত্য বলেছেন
-
তাবেরী ২৫/০৪/২০১৭বাস্তবচিত্র এখনও অবহেলিত আমাদের সমাজের নারীরা। কিন্তু মানুষের বোধশক্তি কখন যে জাগ্রত হবে বুঝি না।
-
মোনালিসা ২৪/০৪/২০১৭
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২৪/০৪/২০১৭শুভেচ্ছা নেবেন।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ২৪/০৪/২০১৭সবার উপর নারি সত্য তাহার উপর নাই (যদি হয় সত্যিকারের নারি)।
ধন্যবাদ