মোহরানা এবং যৌতুক
মানুষ। সমাজবদ্ধ জীব বা প্রাণী হইল মানুষ। প্রাণী বা জীবজগতে একমাত্র মানুষ প্রজাতিই সমাজবদ্ধ হইয়া বসবাস করিতে পছন্দ করে। এই মানব সমাজে দুইটি শ্রেণী তথা নারী ও পুরুষ একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হইয়া সারাজীবন একসাথে বসবাস করিবার প্রতিজ্ঞা করিয়া থাকে। যাহাকে প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী বিবাহ বলিয়া থাকে। একেক ধর্মের বিবাহের রীতি নীতি একেক ধরণের।
ইসলাম ধর্মের বিবাহের রীতি অনুযায়ী, বর কনেকে স্পর্শ করিবার পূর্বে দুই পরিবারের ধার্য্যকৃত মোহরানা আদায় করিতে হইবে। মোহরানা হইল কনে বা স্ত্রীর অধিকার বর বা স্বামীর উপর। মোহরানা আদায় না করিলে বিবাহ বা বর কর্তৃক কনেকে স্পর্শ শুদ্ধ হইবে না। আর বিবাহ শুদ্ধ না হইলে ঐ স্পর্শ কর্তৃক যে সন্তান হইবে তাহা অবৈধ বা জারজ বলিয়া গণ্য হইবে। এই ধরনের বিশ্রী সমস্যা এড়াইবার লাগিয়ে বিভিন্ন দেশের মুসলমান পাত্ররা মোহরানা পূর্ণভাবে আদায় করিবার যোগ্যতা অর্জন করিয়াই বিবাহের প্রস্তুতি লইয়া থাকে। আমার মনে হয়না, আমাদের বাংলাদেশে কেহই বিবাহ করবার সময় পরিপূর্ণ মোহরানা আদায় করিয়া বাসর ঘরে প্রবেশ করে। তবে আমাদের দেশে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া তথা মোহরানা পরে আদায় করিবে এই মর্মে প্রতিজ্ঞা করিয়া স্পর্শ করিবার নিয়ম আছে হয়তো।
যাহাই হউক, মোহরানা স্ত্রীর আবশ্যিক অধিকার স্বামীর উপর। স্পর্শ করিবার আগে হউক বা পরে হউক, স্ত্রীর অধিকার আদায় করিতেই হইবে। পক্ষান্তরে, শুধু স্ত্রীর অধিকার কেন, স্রষ্টার সৃষ্টি জগতে যদি অন্য কাহারো অধিকার পূর্ণ আদায় না করা হইলে ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী কোন প্রকার ইবাদত আল্লাহর দরবারে কবুল হইবেনা। অতএব ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী বিবাহও একটি পবিত্র ইবাদাত আর এ ইবাদতও আল্লাহর দরবারে কবুল করাইতে হইলে স্ত্রীর অধিকার সম্পূর্ণ রূপে আদায় করিয়া দিতে হইবে।
মোহরানা নিয়ে বর্তমান আমাদের বাংলাদেশের সমাজে ইসলামী বিবাহের ক্ষেত্রে যে প্রকট সমস্যা দেখা দিতেছে তাহা সামাজিক অন্যতম ভয়ঙ্কর ব্যাধি যৌতুককেও পরাজিত করিয়াছে। যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি যাহা সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম তিনটি দেশ তথা বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে অধিক হারে প্রচলিত আছে। ইসলামী বিধান অনুযায়ী বিবাহের ক্ষত্রে একজন পুরুষ যখন একজন নারীর জীবনের সমস্ত তথা খাওয়া, পরা, সম্ভোগসহ যাবতীয় দায়িত্ব নিতে পারিবে তখন পুরুষ একজন নারীকে তার জীবন সঙ্গিনী হিসাবে মোহরানা আদায় পূর্বক গ্রহণ করিতে পারিবে পক্ষান্তরে একজন নারী একজন পুরুষের সম্ভোগের উপযুক্ত হইয়া জীবন সংসার বুঝিয়া নিবার বোধশক্তি থাকিলেই বিবাহের যোগ্য বলিয়ে গণ্য। অতএব নারীর ক্ষেত্রে যৌতুক নামক প্রথাটি নিছক সামাজিক অথবা সাংস্কৃতিক ব্যাধি। ইসলামী বিধান কখনো যৌতুক প্রথা সমর্থন করেনাই বা করেনা।
বাংলাদেশে ইসলামী সমাজে বিবাহের ক্ষেত্রে যেই যৌতুক প্রথা প্রচলিত তাহা মূলত অন্যান্য ধর্মীয় সংস্কৃতির সাথে মিশিয়া প্রচলন হইয়াছে। যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে শুধু ইসলামী মনীষীগণ নহে বরং ইসলাম ধর্ম প্রচারকারী তথা আলেম সমাজ, মানবাধিকার আন্দোলনকারী হইতে লইয়া নারী অধিকার আদায়কারীরা পর্যন্ত সকলেই সোচ্চার হইয়াছে। অধিক ক্ষত্রে সফলও হইয়াছে বলিতে হইবে। কারণ, বর্তমানে শিক্ষিত সমাজের অধিকাংশই যৌতুকবিহীন বিবাহ রীতিতে অভ্যস্ত হইতেছে যাহা পূর্বের তুলনায় উল্লেখ করিবার মতো। যৌতুকপ্রথা একেবারে নাই তাহা বলা যাইবেনা। তবে যৌতুকপ্রথা অবশ্যই বন্ধ করিতে বা একেবারে নিমূর্ল করিতে হইবে।
কিন্তু বিবাহের ক্ষত্রে বর্তমানে বাঁধ সাধিতেছে মোহরানা প্রথা। চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের সকল বিভাগীয় শহরাঞ্চলে যেইসব বিবাহ হইতেছে তাহাতে অধিকাংশ বিবাহের মোহরানা নিছক মোটা অংকের সংখ্যা বা শুধুমাত্র লৌকিক ফ্যাশন বৈ কিছুই নহে। যেইখানে একজন পাত্রের মাসিক বেতন ২০/৩০/৪০ হাজার টাকা সেইখানে ১০/১৫/২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মোহরানা ধার্য্য করা হইতেছে। মাসিক বেতন ২০ হাজার টাকা পাওয়া পাত্র পুরো জীবনে ১০ লক্ষ টাকা মোহরানা আদায় করিতে পারিবে কিনা আমার সন্দেহ জাগে। কারণ বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে এই ২০ হাজার টাকা অতি নগন্য যাহা দিয়া শহরাঞ্চলে ঘর ভাড়া লইয়া পুরো পরিবার তো দূরের কথা নিজে বসবাস করিতেও হিমশিম খাইতে হয়। সেই জায়গায় জীবন সঙ্গিনীর আবশ্যিক প্রদেয় মোহরানা কোত্থেকে দিবে আমার বোধগম্যের বাহিরে।
আবার অনেক ক্ষত্রে পরিলক্ষিত হইতেছে, বিবাহের কিছুদিন অতিবাহিত হইলে পাত্র-পাত্রীর দুই জনের মধ্যে ভালো বোঝাপড়ার অভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিতেছে। তাহাতে অধিকাংশ সময়ে পাত্রী পক্ষ পাত্র পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করিতেছে এবং ঐ অব্যশ্যিক প্রদেয় স্ত্রীর অধিকার মোহরানা আদায় করিবার লক্ষ্যে আইন আদালতের দ্বারস্থ হইলে পাত্র নিজের জীবন টিকাইয়া রাখিতে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করিতেছে বা ভয়ংকর সিদ্ধান্ত লইতে কুন্ঠাবোধ করিতেছেনা। দাম্পত্য জীবনে শান্তি আনিবার তরে যেই যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে সকলের অবস্থান আবার সেই প্রথার বৈশিষ্ট্য মোহরানার উপর আসিয়া জীবনের স্তরে স্তরে অশান্তি ঠিকই বিলাইতেছে। এখন আবারো আবশ্যক হইয়া দাঁড়াইয়াছে যে, যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে যেইভাবে সকলের অবস্থান ঠিক একইভাবে অধিক মোহরানা ধার্য্যের বিরুদ্ধে সকলকে অবস্থান করিতে হইবে এবং পাত্র-পাত্রীর সম্মতিতে পাত্রের অয়ের উপর বিবেচনা করিয়া মোহরানা যাহাই ধার্য্য করিবে স্ত্রীর আবশ্যিক অধিকার হেতু তাহাই আদায় করিয়া দিবার বিধান প্রচলন করা হউক।
© মাহতাব বাঙ্গালী
চট্টগ্রাম
২৩.০৬.২০২১
ইসলাম ধর্মের বিবাহের রীতি অনুযায়ী, বর কনেকে স্পর্শ করিবার পূর্বে দুই পরিবারের ধার্য্যকৃত মোহরানা আদায় করিতে হইবে। মোহরানা হইল কনে বা স্ত্রীর অধিকার বর বা স্বামীর উপর। মোহরানা আদায় না করিলে বিবাহ বা বর কর্তৃক কনেকে স্পর্শ শুদ্ধ হইবে না। আর বিবাহ শুদ্ধ না হইলে ঐ স্পর্শ কর্তৃক যে সন্তান হইবে তাহা অবৈধ বা জারজ বলিয়া গণ্য হইবে। এই ধরনের বিশ্রী সমস্যা এড়াইবার লাগিয়ে বিভিন্ন দেশের মুসলমান পাত্ররা মোহরানা পূর্ণভাবে আদায় করিবার যোগ্যতা অর্জন করিয়াই বিবাহের প্রস্তুতি লইয়া থাকে। আমার মনে হয়না, আমাদের বাংলাদেশে কেহই বিবাহ করবার সময় পরিপূর্ণ মোহরানা আদায় করিয়া বাসর ঘরে প্রবেশ করে। তবে আমাদের দেশে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া তথা মোহরানা পরে আদায় করিবে এই মর্মে প্রতিজ্ঞা করিয়া স্পর্শ করিবার নিয়ম আছে হয়তো।
যাহাই হউক, মোহরানা স্ত্রীর আবশ্যিক অধিকার স্বামীর উপর। স্পর্শ করিবার আগে হউক বা পরে হউক, স্ত্রীর অধিকার আদায় করিতেই হইবে। পক্ষান্তরে, শুধু স্ত্রীর অধিকার কেন, স্রষ্টার সৃষ্টি জগতে যদি অন্য কাহারো অধিকার পূর্ণ আদায় না করা হইলে ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী কোন প্রকার ইবাদত আল্লাহর দরবারে কবুল হইবেনা। অতএব ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী বিবাহও একটি পবিত্র ইবাদাত আর এ ইবাদতও আল্লাহর দরবারে কবুল করাইতে হইলে স্ত্রীর অধিকার সম্পূর্ণ রূপে আদায় করিয়া দিতে হইবে।
মোহরানা নিয়ে বর্তমান আমাদের বাংলাদেশের সমাজে ইসলামী বিবাহের ক্ষেত্রে যে প্রকট সমস্যা দেখা দিতেছে তাহা সামাজিক অন্যতম ভয়ঙ্কর ব্যাধি যৌতুককেও পরাজিত করিয়াছে। যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি যাহা সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম তিনটি দেশ তথা বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে অধিক হারে প্রচলিত আছে। ইসলামী বিধান অনুযায়ী বিবাহের ক্ষত্রে একজন পুরুষ যখন একজন নারীর জীবনের সমস্ত তথা খাওয়া, পরা, সম্ভোগসহ যাবতীয় দায়িত্ব নিতে পারিবে তখন পুরুষ একজন নারীকে তার জীবন সঙ্গিনী হিসাবে মোহরানা আদায় পূর্বক গ্রহণ করিতে পারিবে পক্ষান্তরে একজন নারী একজন পুরুষের সম্ভোগের উপযুক্ত হইয়া জীবন সংসার বুঝিয়া নিবার বোধশক্তি থাকিলেই বিবাহের যোগ্য বলিয়ে গণ্য। অতএব নারীর ক্ষেত্রে যৌতুক নামক প্রথাটি নিছক সামাজিক অথবা সাংস্কৃতিক ব্যাধি। ইসলামী বিধান কখনো যৌতুক প্রথা সমর্থন করেনাই বা করেনা।
বাংলাদেশে ইসলামী সমাজে বিবাহের ক্ষেত্রে যেই যৌতুক প্রথা প্রচলিত তাহা মূলত অন্যান্য ধর্মীয় সংস্কৃতির সাথে মিশিয়া প্রচলন হইয়াছে। যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে শুধু ইসলামী মনীষীগণ নহে বরং ইসলাম ধর্ম প্রচারকারী তথা আলেম সমাজ, মানবাধিকার আন্দোলনকারী হইতে লইয়া নারী অধিকার আদায়কারীরা পর্যন্ত সকলেই সোচ্চার হইয়াছে। অধিক ক্ষত্রে সফলও হইয়াছে বলিতে হইবে। কারণ, বর্তমানে শিক্ষিত সমাজের অধিকাংশই যৌতুকবিহীন বিবাহ রীতিতে অভ্যস্ত হইতেছে যাহা পূর্বের তুলনায় উল্লেখ করিবার মতো। যৌতুকপ্রথা একেবারে নাই তাহা বলা যাইবেনা। তবে যৌতুকপ্রথা অবশ্যই বন্ধ করিতে বা একেবারে নিমূর্ল করিতে হইবে।
কিন্তু বিবাহের ক্ষত্রে বর্তমানে বাঁধ সাধিতেছে মোহরানা প্রথা। চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের সকল বিভাগীয় শহরাঞ্চলে যেইসব বিবাহ হইতেছে তাহাতে অধিকাংশ বিবাহের মোহরানা নিছক মোটা অংকের সংখ্যা বা শুধুমাত্র লৌকিক ফ্যাশন বৈ কিছুই নহে। যেইখানে একজন পাত্রের মাসিক বেতন ২০/৩০/৪০ হাজার টাকা সেইখানে ১০/১৫/২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মোহরানা ধার্য্য করা হইতেছে। মাসিক বেতন ২০ হাজার টাকা পাওয়া পাত্র পুরো জীবনে ১০ লক্ষ টাকা মোহরানা আদায় করিতে পারিবে কিনা আমার সন্দেহ জাগে। কারণ বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে এই ২০ হাজার টাকা অতি নগন্য যাহা দিয়া শহরাঞ্চলে ঘর ভাড়া লইয়া পুরো পরিবার তো দূরের কথা নিজে বসবাস করিতেও হিমশিম খাইতে হয়। সেই জায়গায় জীবন সঙ্গিনীর আবশ্যিক প্রদেয় মোহরানা কোত্থেকে দিবে আমার বোধগম্যের বাহিরে।
আবার অনেক ক্ষত্রে পরিলক্ষিত হইতেছে, বিবাহের কিছুদিন অতিবাহিত হইলে পাত্র-পাত্রীর দুই জনের মধ্যে ভালো বোঝাপড়ার অভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিতেছে। তাহাতে অধিকাংশ সময়ে পাত্রী পক্ষ পাত্র পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করিতেছে এবং ঐ অব্যশ্যিক প্রদেয় স্ত্রীর অধিকার মোহরানা আদায় করিবার লক্ষ্যে আইন আদালতের দ্বারস্থ হইলে পাত্র নিজের জীবন টিকাইয়া রাখিতে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করিতেছে বা ভয়ংকর সিদ্ধান্ত লইতে কুন্ঠাবোধ করিতেছেনা। দাম্পত্য জীবনে শান্তি আনিবার তরে যেই যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে সকলের অবস্থান আবার সেই প্রথার বৈশিষ্ট্য মোহরানার উপর আসিয়া জীবনের স্তরে স্তরে অশান্তি ঠিকই বিলাইতেছে। এখন আবারো আবশ্যক হইয়া দাঁড়াইয়াছে যে, যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে যেইভাবে সকলের অবস্থান ঠিক একইভাবে অধিক মোহরানা ধার্য্যের বিরুদ্ধে সকলকে অবস্থান করিতে হইবে এবং পাত্র-পাত্রীর সম্মতিতে পাত্রের অয়ের উপর বিবেচনা করিয়া মোহরানা যাহাই ধার্য্য করিবে স্ত্রীর আবশ্যিক অধিকার হেতু তাহাই আদায় করিয়া দিবার বিধান প্রচলন করা হউক।
© মাহতাব বাঙ্গালী
চট্টগ্রাম
২৩.০৬.২০২১
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
একনিষ্ঠ অনুগত ২৯/০৬/২০২১আসলে অনেকে জানেই না মোহর বা মোহরানা কিংবা কাবিন এর টাকা আসলে কি জিনিস। অনেক মেয়ের পরিবার এটাকে 'সিকিউরিটি মানি' মনে করে, ফলে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় পাত্র পক্ষের জন্য। আবার অনেক পাত্র পক্ষও নামকা ওয়াস্তে মোহরানা লিখে নেয় কিন্তু আদায় করে না, ফলে পাত্রী বঞ্চিত হয়।
-
ফয়জুল মহী ২৭/০৬/২০২১অসাধারণ রচিলেন বন্ধু
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৭/০৬/২০২১চিন্তার বিষয়।