অধমের অঙ্গীকার
কুয়াশার একখানা শুভ্র চাদর ছিল তার গায়ে,
দুপায়ে বাজছিল হিমের নূপুর ;
স্তব্ধ আকাশে চাঁদ ছিল মাঝখানে,
আর জোনাকীরা তখন আলো জ্বালিয়েছিল মুক্তিকামী বাঙালিকে পথ দেখাবে বলে!
সেই নির্জন ধূ ধূ রাত্রির মধ্যখানে,
হয়ত কোন এক ঝোপের অন্তরালে,
রাইফেল লয়ে সজাগ দৃষ্টিতে তাকিয়ে!
সেই হিম যাদের শরীর স্পর্শ করে উপহাস করে,
অঙ্গে ছিল না তার,পোশাকের কোনো সুতো,
তবুও সে ছিল রক্ষার কাজে নিয়োজিত!
যুদ্ধ যখন প্রবলে চলে ভারী,
চারিদিক তখন জয় বাংলার ছড়াছড়ি!
হিমের নূপুর বাজছে দেশে হায়--
যুদ্ধ তখন স্বাধীনতার পথ দেখায়!
সেই কুয়াশা আর শিশিরকে ভেদ করে,
স্তদ্ধ প্রাণের নতুন দিগন্তে পতাকা উড়িয়ে,
কিছু অন্তরস্পর্শী বাণীকে আশ্রয় করে,
"জয় বাংলা" ধ্বনিতে আকুলিত হয়ে,
অর্জিত হয়েছিল সেদিন স্বাধীনতা!
ত্রিশ লক্ষ প্রাণের পবিত্র রক্তের প্রতিদানে,
বিন্দু বিন্দু আঁখির জলে সেদিন স্বাধীনতার সমুদ্র গঠিত হয়েছিল,
সেই রেসকোর্স আজও সাক্ষী হয়ে রয়েছে!
সাক্ষী আজও এই বাংলার মাটি!
এখনও এ মাটিতে মিশে আছে পবিত্র আত্নার পূত রক্ত!
আজও সেই লক্ষ প্রাণ গর্জন ছেড়ে কেঁদে ওঠে,
চিৎকার করে মাটির ভিতর থেকে বের হতে চায়,
হুঙ্কার ছেড়ে জানায়,
"আমরা শাস্তি চাই,শাস্তি চাই,শাস্তি চাই!"
সেই বিরোধী অপশক্তির দন্ডবিধান শুনতে চেয়েছে বলে,
আজও কানপেতে রয়েছে বাংলার মাটির কোলে,
সেই শহীদেরা আর্তনাদ করে আবেদন জানায়--
নতুন প্রজন্মের কাছে!
তারা যেন পূরণ করে তাদের দাবি! শাস্তি দেয় যেন সেই নরপশুদের!
আর তারা আবেদন করছে বারবার--
"তোমরা যেন ভুলোনা আমাদের!"
আর আজ সেই লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলা থেকে,
আমি এই এক অধম অঙ্গীকার করে বলতে চাই--
" আমরা তোমাদের ভুলব না! ভুলব না, ভুলব না!
আমাদের স্মৃতির পাতা হতে কখনও মুছে যাবে না তোমাদের পবিত্র রক্ত!
চিরকাল মনে রাখব তোমাদের,যতদিন বাংলার বুকে চাঁদ-সুরুজের উদয়-অস্ত হবে!"
১৮/১২/২০১৭,
মাহিদ সিদ্দিকী (আলিফ),
বগুড়া, বাংলাদেশ।
দুপায়ে বাজছিল হিমের নূপুর ;
স্তব্ধ আকাশে চাঁদ ছিল মাঝখানে,
আর জোনাকীরা তখন আলো জ্বালিয়েছিল মুক্তিকামী বাঙালিকে পথ দেখাবে বলে!
সেই নির্জন ধূ ধূ রাত্রির মধ্যখানে,
হয়ত কোন এক ঝোপের অন্তরালে,
রাইফেল লয়ে সজাগ দৃষ্টিতে তাকিয়ে!
সেই হিম যাদের শরীর স্পর্শ করে উপহাস করে,
অঙ্গে ছিল না তার,পোশাকের কোনো সুতো,
তবুও সে ছিল রক্ষার কাজে নিয়োজিত!
যুদ্ধ যখন প্রবলে চলে ভারী,
চারিদিক তখন জয় বাংলার ছড়াছড়ি!
হিমের নূপুর বাজছে দেশে হায়--
যুদ্ধ তখন স্বাধীনতার পথ দেখায়!
সেই কুয়াশা আর শিশিরকে ভেদ করে,
স্তদ্ধ প্রাণের নতুন দিগন্তে পতাকা উড়িয়ে,
কিছু অন্তরস্পর্শী বাণীকে আশ্রয় করে,
"জয় বাংলা" ধ্বনিতে আকুলিত হয়ে,
অর্জিত হয়েছিল সেদিন স্বাধীনতা!
ত্রিশ লক্ষ প্রাণের পবিত্র রক্তের প্রতিদানে,
বিন্দু বিন্দু আঁখির জলে সেদিন স্বাধীনতার সমুদ্র গঠিত হয়েছিল,
সেই রেসকোর্স আজও সাক্ষী হয়ে রয়েছে!
সাক্ষী আজও এই বাংলার মাটি!
এখনও এ মাটিতে মিশে আছে পবিত্র আত্নার পূত রক্ত!
আজও সেই লক্ষ প্রাণ গর্জন ছেড়ে কেঁদে ওঠে,
চিৎকার করে মাটির ভিতর থেকে বের হতে চায়,
হুঙ্কার ছেড়ে জানায়,
"আমরা শাস্তি চাই,শাস্তি চাই,শাস্তি চাই!"
সেই বিরোধী অপশক্তির দন্ডবিধান শুনতে চেয়েছে বলে,
আজও কানপেতে রয়েছে বাংলার মাটির কোলে,
সেই শহীদেরা আর্তনাদ করে আবেদন জানায়--
নতুন প্রজন্মের কাছে!
তারা যেন পূরণ করে তাদের দাবি! শাস্তি দেয় যেন সেই নরপশুদের!
আর তারা আবেদন করছে বারবার--
"তোমরা যেন ভুলোনা আমাদের!"
আর আজ সেই লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলা থেকে,
আমি এই এক অধম অঙ্গীকার করে বলতে চাই--
" আমরা তোমাদের ভুলব না! ভুলব না, ভুলব না!
আমাদের স্মৃতির পাতা হতে কখনও মুছে যাবে না তোমাদের পবিত্র রক্ত!
চিরকাল মনে রাখব তোমাদের,যতদিন বাংলার বুকে চাঁদ-সুরুজের উদয়-অস্ত হবে!"
১৮/১২/২০১৭,
মাহিদ সিদ্দিকী (আলিফ),
বগুড়া, বাংলাদেশ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহাম্মদ সফিউল হক ০৮/০১/২০১৮বেশ
-
সাঁঝের তারা ০৩/০১/২০১৮খুব ভালো
-
মধু মঙ্গল সিনহা ০৩/০১/২০১৮সুন্দর।
-
আলম সারওয়ার ২৫/১২/২০১৭চমত্কার উপহার
-
মনোবর ১৮/১২/২০১৭ভালো লেগেছে।
-
আরিফ নীরদ ১৮/১২/২০১৭বেশ লাগল!!
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৮/১২/২০১৭ভালো লাগলো।
-
আরিফ নীরদ ১৮/১২/২০১৭সুন্দর উপস্হাপনা