প্রমোশন
পরিচয় করিয়ে দেই –পরিবারের প্রধান মখলেস সাহেব। বেশ কৃপণ ।তার অগচরে তিনি যদি দেউলিয়া হয়ে যায় তাতে সমস্যা নেই কিন্তু চোখের সামনে তিনি কাউকে এক চুল ও ছাড় দেন না। সকালে অফিসে যাওয়ার সময় রাস্তায়-
জনৈক ভিখারি : আমার আল্লাহ নবীজির নাম ...।সকাল থাইকা
কিচ্ছু খাইনি,২ ডা টেকা দিবেন সাব।
মখলেস সাহেব :যা, ভাগ।
মখলেস সাহেব : (মনে মনে –এরা যে
কত্থেকে আসে)
জনৈক ভিখারি : সাব দেন না ,২ ডা টেকা।
মখলেস সাহেব : টাকা কি গাছে ধরে?
জনৈক ভিখারি : সাব, কৃপণের ধন পিঁপড়াই খায় ।
মখলেস সাহেব : শোন ,শকুনের দোয়ায় গরু মরে না!!!
মখলেস সাহেব পুনরায় অফিসের পথে হাঁটা শুরু করল। Oh my God! একটা পকেটমার মখলেস সাহেবের পকেট মেরে দিয়েছে । অফিসের ড্রয়ারে সবসময় তার আরেকটা মানিব্যাগ থাকে।আজকের দিনটা চলা যাবে। তিনি সারাবছর ফাঁকি দিয়ে কাজ করলেও আজ সব কাজ timely করতে চান! কেননা বছরের শেষ দিন গুলতে প্রমোশন হওয়ার একটা চান্স থাকে।
প্রমোশন ??
টেলিফোন বেজে উঠলো
বুয়া :হিলো, ক্যারে চান ভাই ?
মখলেস : ময়না, তোমার খালাম্মাকে দাও তো ।
বুয়া : খাড়ান , দিতাছি ।
(বুয়া,খালাম্মা মানে মখলেস সাহেবের স্ত্রী মমতাকে ডাকবে )
মমতা :তোমায় না কতবার বলেছি , আমাকে মমতা ডাকবেনা ।নামটা
বড্ড সেকেলে । আমার personality র সাথে যায় না। you
call me ' মমো 'ok ?
মখলেস : ও ' মমো ' আজ না বাড়ি তে রাতের বেলায় আমার সাথে
আমাদের অফিসের Boss আসবেন । ১৫ বছর আগে তোমার
তৈরি পিঠা খেয়েছিলেন ,সেই স্বাদ তিনি আজ ও ভুলতে
পারেন নি ।১৫ বছর পর তিনি আবার ঢাকা পোস্টিং এ
এসেছেন । (মখলেস এর মুখে একটা তৃপ্তির হাসি )
মমতা :আমি ওসব রান্না বান্না করতে পারবোনা । বাহির থেকে আনিয়ে
নিও ।
মখলেস :করোনা প্লিজ । আমার প্রমোশন হওয়ার একটা চান্স আছে ।
মমতা : ও প্রমোশন !!! ok , ' ম্যাক্স' ।
মখলেস : আহ ! 'ম্যাক্স 'না , বলো মখলেস ।
মমতা : ওসব সেকেলে নামধাম আজকাল আর চলে না। তোমার
নাম Max. Max মানেMaximum attachment.
মখলেস : ok,bye.
মমতা : ময়না, রাতে মেহমান আসবে ।মাছটা কেটে পরিস্কার করে
ভাজি করো ।আমি পার্লারে যাচ্ছি । Rocky (মমতার ছেলে
) ভার্সিটি থেকে ফিরলে আগে ফ্রেশ হতে বলবা তারপর
খেতে দিবা ।
Rocky ভার্সিটির পড়ুয়া ছাত্র । সে দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম knowledge আহরণ করে থাকে । এই যেমন কিভাবে ফিগার ঠিক রাখা যায় , চেহারা আকর্ষণীয় রাখা যায় । এই সব আর কি ! ভার্সিটিতে অবশ্য তার একটা নাম আছে – স্বাস্থ্যমন্ত্রী । সে অতিরিক্ত চিকন কিনা তাই !! তাতে অবশ্য কোনো সমস্যা নেই । সে ভার্সিটির প্রতিটা মেয়ের সাথে friendship করার চেষ্টা করেছে কিন্তু এই মেয়ে ঘটিত ব্যাপারে তার কোনো প্রমোশন হতে দেখা যায়নি ।
(গান-প্রেমি ও প্রেমি,দেখা দিলে তুমি; Rocky+7 girls with full of ছ্যাকা )
ভার্সিটির সুন্দরী মেয়ে পারু । বেশ মিশুক প্রকৃতির ।সবাই তার বন্ধু কিন্তু Rocky তার বন্ধু নয় ।
হঠাৎ Rocky আর পারুর রাস্তায় দেখা –
Rocky: পারু, এই পারু, হাই।
পারু :জি ভাইয়া,বলেন ।
Rocky: মানে বলছিলাম যে, কেমন আছো?
পারু :ভালই ছিলাম ,আগামীতেও ভাল থাকবো ।
Rocky: এভাবে কথা বলো কেনো?তোমাকে আমার কত্ত পছন্দ !!
পারু :নিজের চেহারা দেখছেন আয়নায় ? ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার
মতন আমার পিছন পিছন ঘুরেন কেন?যান রাস্তা মাপেন গিয়ে ।
Rocky সত্যি সত্যি ইঞ্চি ফিতা হাতে নিয়ে রাস্তা মাপা শুরু করলো ।ওদিকে পারু, তার প্রেমিক দেবদাসের হাত ধরে রকির জীবনের সীমা পরিসীমা পার করে চলে গেল দূর থেকে বহুদূরে!!!!
ঘড়িতে দুপুর ১:৩০ ।রকি একা একা রাস্তার একপাশ দিয়ে হেঁটে চলেছে । সাথে ছাতা ছিল কিন্তু ছাতা খুলতে ইচ্ছে হল না ।হঠাৎ সবকিছু অন্যরকম মনে হল ।শরীরটাও ভালো লাগছেনা ।ঠিককরলো, ডাক্তারের কাছে যাবে ।
দুপুর ১:৩০ ।মখলেস সাহেবের অফিসের Lunch time.আশু প্রমোশন উপলক্ষে কলিগদের treat দিলেন ।সবাইকে অবাক করে গরীবদের কিছু দান খয়রাত ও করলেন ।।মখলেস সাহেবের মত কৃপণ মানুষ এরূপ দানবীর হয়ে উঠবে এরূপ কেউ ভাবেনি আগে ।
মখলেস সাহেবের অফিসে দেখা হলো পিয়নের সাথে-
মখলেস : কেমন আছো ?
পিয়ন :ভালা ।
মখলেস :এটা ধরো । (২০০ টাকা পিয়নের হাতে দিলেন )
পিয়ন :আল্লা আপনের ভালা করুক ।
মখলেস সাহেবের অফিসে দেখা হলো ক্লার্কের সাথে-
মখলেস : কেমন আছো ?
ক্লার্ক : ভালো । আপনি ?
মখলেস : তুমি অফিসের জন্য এত কিছু করো । এই ৫০০ টাকা ধরো ।
একটা gift কিনে নিও।
ক্লার্ক :আপনাকে ধন্যবাদ ।
(গান- মানুষ মানুষের জন্য ,একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারে না ।ও বন্ন্ধু...। মখলেস সাহেবের অফিসে দেখা হবে ভিখারি, মালী ,সুইপার ও অন্যান্য অধীনস্থ কর্মচারীদের সাথে- মখলেস সাহেব উদারহস্থে পকেটের সব টাকা দান করবেন ।কারন – প্রমোশনের পর তিনি থাকবেন এসি রুমে । তখন এদের ছায়াও মাড়াতে হবেনা। আপাতত এসবে, boss খুশি হয়ে প্রমোশনটা যদি তাড়াতাড়ি হয় –ক্ষতি কি!)
মখলেস (মনে মনে) :oh no! boss এর driver কে তো টাকা দেয়া
হয়নি ।
ততক্ষনে money bag শূন্য। অবশেষে কলিগ-সুমনের কাছ থেকে ৩০০ টাকা ধার পাওয়া গেলো। মখলেস সাহেবের অফিসে দেখা হলো boss এর driver এর সাথে-
মখলেস : কেমন আছো ?
Driver : ভালো । ( দৃঢ় কণ্ঠ - Boss এর driver বলে কথা!!!)
মখলেস :এটা ধরো । (৩০০ টাকা driver এর হাতে দিলেন )
Driver :এটা কি ।( driver নাক ছিটকাবে )
মখলেস :এটা ধরোই না।
Driver :মানে ।( driver নাক ছিটকাবে ,যেন ৩০০ টাকা গাছে ধরে
types)
মখলেস টাকাটা driver এর শার্টের পকেটে ঢুকিয়ে দিল । বলল -
মখলেস : ধরোতো । have fun.
মখলেস অফিসে ঢুকল। ওদিকে মমতা পার্লারে ওয়েটিং রুমে বসে ঘামছেন আর পত্রিকা পড়ে সময় পার করছেন ।
মমতা ময়নাকে(বুয়াকে)ফোন করল-
ময়না : হিলো, ক্যারে চান ভাই ?
মমতা :আমি। মাছ কেটেছো ?
ময়না :না। তয় এখনি কুটবাম।
মমতা :আমার আসতে দেরি হবে। তুমি ভাল করে রান্না করো।
ময়না :আইচ্ছা। (ফোন রেখে দিবে। )
বাটিতে থাকা মাছের দিকে তাকিয়ে বলবে –
ময়না :মাছ তুমি রেয়াডি হও ,আমি তোমারে কুইটবো।
ময়না মাছ কুটতে থাকবে,
ওদিকে Rocky ডাক্তার খানায়-
Rocky : আসবো ?
ডাক্তার:আসুন।
Rocky : ডাক্তার সাহেব !!
ডাক্তার:জি বলেন, কি সমস্যা ?
(কাঁদো স্বরে ) Rocky : ডাক্তার সাহেব,আমার মনে অনেক কষ্ট
।আমার হবু girl friend আমারে দাম দেয়
না।সে আমারে দেখে নাক ছিটকায় ।( Rocky
কেঁদে দিবে )
ডাক্তার:কাঁদবেন না please. এই সিরাপটা লিখে দিচ্ছি।আধা ঘণ্টা
পর কিছু খেয়ে তারপর খাবেন।আপনিআজ বিকেলে আরেকবার
এখানে চেক আপ করিয়ে যাবেন।
Rocky k.(প্স্থান ত্যাগ করলো)
বিকেলে ডাক্তারের চেম্বারে-
Rocky : আসবো ?
ডাক্তার: আরে আসুন।কেমন আছেন এখন ? সিরাপটা ঝাঁকিয়ে খেয়েছেন
তো?
Rocky : সিরাপটাতো ঝাঁকায়তে মনে নাই ।
ডাক্তার:সর্বনাশ !!!
Rocky : (খুব চিন্তিত স্বরে )এখন উপায় ?
তখন ডাক্তার রকির কোমর ধরে ঝাকানো শুরু করলো। এতে রকি বিব্রত হলো এবং কক্ষ(ডাক্তারের চেম্বার) ত্যাগ করলো ।
বাড়িতে খাবারের সুগন্ধ ছড়িয়েছে ।হঠাৎ দরজার কলিংবেল বেজে উঠল ।মখলেস, Bossএবং Boss এরমেয়ে পারু আসলো রাতের নিমন্ত্রণে ।যথারীতি দরজা খুলল বুয়া।
ময়না মমতাকে বলল-
ময়না : খালাম্মা, মেহমান আইছে।
মমতা :তুই ওদের বসতে বল ।
ময়না : ওনারা বইছেন। খালাম্মা,সাহেবের Boss এর মাইয়াডা যা
সউন্দর!!! ছোট সাহেবের লগে মানাইবো ভালো।
মমতা :তুই চুপ থাক।যা রকিকে ডেকে আন ।মেহমানদের সাথে
আলাপ করিয়ে দিই।
ড্রয়িং রুমে-
মমতা :আপনার মেয়েটা তো দারুন মিষ্টি ।কি নাম মা তোমার ?
পারু :পরিণীতা। ডাকনাম-পারু।
মমতা : (মনে মনে-এই মেয়ের সাথে আমার রকির বিয়ে হলে ,ছেলে
আমার সারাজীবন টাকায় শুয়ে থাকবে ।আর মাক্স(মখলেস)র
প্রমোশন নিশ্চিত!!!)
মখলেস :কই গো খাবার দাও।খিদায় যে পেট চোঁ চোঁ করছে।
মমতা : (মখলেসের Bossকে )ভাইসাহেব বলি কি ,আপনার মেয়েতো
দেখতে শুনতে ভালোই ।শিক্ষিতা।আমার ছেলেও
হ্যান্ডসাম।শিক্ষিত ।যদি আপনার,আমাদের মাঝে যদি একটা
সম্পর্ক তৈরি হয় আর কি......।
মখলেস মমতাকে ধীরস্বরে বলল-
মখলেস :তুমি এসব কি বল !!!
Boss :তা ছেলেকে ডাকেন। আজকালকার ছেলেমেয়ে ,ওদেরো তো একটা মতামত আছে।
পাশের রুম থেকে এসব শুনে Rockyর আবির্ভাব হয় ড্রয়িং রুমে। Rocky পারুকে দেখে আনন্দিত এবং পারু Rockyকে দেখে সমরুপ বিরক্ত ।
Rocky :আমি রাজি।(লাফিয়ে উঠে বলবে )
পারু :অসম্ভব। Rocky ক্লাসের সকল মেয়েদের পেছন পেছন ঘুরে
।ও একটা বেহায়া ।
Boss :কি!চল পারু চলে যাই। এ বাড়িতে আর এক মুহূর্ত ও নয় ।
Boss এবং পারু দুজনে না খেয়ে বাড়ি ত্যাগ করলো ।মখলেস রাত টা না খেয়েই কাটিয়ে দিল।সে আজকাল খুব চুপচাপ থাকে।
১০ বছর পরঃ
মখলেস সাহেব চাকরি হারিয়ে খুব মনে কষ্ট পেয়েছিলেন।তার সেদিনকেই প্রমোশন হয়েছিল-মানুষ হিসেবে । ব্যাংকের সব টাকা ভাঙিয়ে নিজের একটা বিসনেস গড়লেন। তিনি আর কৃপণতা করেন না।
অধীনস্থ কর্মচারীদের সাথে তার ভালো সম্পর্ক।
আর রকি –Engineer(established) .সেদিন বাবার অপমান সহ্য করতে পারে নি। সে আর মেয়েদের পেছনে ঘুরে না।আজকাল মেয়েদের বাবারা রকির পেছন পেছন ঘুরে ।রকির জন্য হাতে ভালো পাত্রী থাকলে জানাবেন Please.ডায়াল করুন -00420420420.
বিঃ দ্রষ্টব্য (এই নাটিকাটির সকল চরিত্র , স্থান্ , কাল কাল্পনিক)
জনৈক ভিখারি : আমার আল্লাহ নবীজির নাম ...।সকাল থাইকা
কিচ্ছু খাইনি,২ ডা টেকা দিবেন সাব।
মখলেস সাহেব :যা, ভাগ।
মখলেস সাহেব : (মনে মনে –এরা যে
কত্থেকে আসে)
জনৈক ভিখারি : সাব দেন না ,২ ডা টেকা।
মখলেস সাহেব : টাকা কি গাছে ধরে?
জনৈক ভিখারি : সাব, কৃপণের ধন পিঁপড়াই খায় ।
মখলেস সাহেব : শোন ,শকুনের দোয়ায় গরু মরে না!!!
মখলেস সাহেব পুনরায় অফিসের পথে হাঁটা শুরু করল। Oh my God! একটা পকেটমার মখলেস সাহেবের পকেট মেরে দিয়েছে । অফিসের ড্রয়ারে সবসময় তার আরেকটা মানিব্যাগ থাকে।আজকের দিনটা চলা যাবে। তিনি সারাবছর ফাঁকি দিয়ে কাজ করলেও আজ সব কাজ timely করতে চান! কেননা বছরের শেষ দিন গুলতে প্রমোশন হওয়ার একটা চান্স থাকে।
প্রমোশন ??
টেলিফোন বেজে উঠলো
বুয়া :হিলো, ক্যারে চান ভাই ?
মখলেস : ময়না, তোমার খালাম্মাকে দাও তো ।
বুয়া : খাড়ান , দিতাছি ।
(বুয়া,খালাম্মা মানে মখলেস সাহেবের স্ত্রী মমতাকে ডাকবে )
মমতা :তোমায় না কতবার বলেছি , আমাকে মমতা ডাকবেনা ।নামটা
বড্ড সেকেলে । আমার personality র সাথে যায় না। you
call me ' মমো 'ok ?
মখলেস : ও ' মমো ' আজ না বাড়ি তে রাতের বেলায় আমার সাথে
আমাদের অফিসের Boss আসবেন । ১৫ বছর আগে তোমার
তৈরি পিঠা খেয়েছিলেন ,সেই স্বাদ তিনি আজ ও ভুলতে
পারেন নি ।১৫ বছর পর তিনি আবার ঢাকা পোস্টিং এ
এসেছেন । (মখলেস এর মুখে একটা তৃপ্তির হাসি )
মমতা :আমি ওসব রান্না বান্না করতে পারবোনা । বাহির থেকে আনিয়ে
নিও ।
মখলেস :করোনা প্লিজ । আমার প্রমোশন হওয়ার একটা চান্স আছে ।
মমতা : ও প্রমোশন !!! ok , ' ম্যাক্স' ।
মখলেস : আহ ! 'ম্যাক্স 'না , বলো মখলেস ।
মমতা : ওসব সেকেলে নামধাম আজকাল আর চলে না। তোমার
নাম Max. Max মানেMaximum attachment.
মখলেস : ok,bye.
মমতা : ময়না, রাতে মেহমান আসবে ।মাছটা কেটে পরিস্কার করে
ভাজি করো ।আমি পার্লারে যাচ্ছি । Rocky (মমতার ছেলে
) ভার্সিটি থেকে ফিরলে আগে ফ্রেশ হতে বলবা তারপর
খেতে দিবা ।
Rocky ভার্সিটির পড়ুয়া ছাত্র । সে দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম knowledge আহরণ করে থাকে । এই যেমন কিভাবে ফিগার ঠিক রাখা যায় , চেহারা আকর্ষণীয় রাখা যায় । এই সব আর কি ! ভার্সিটিতে অবশ্য তার একটা নাম আছে – স্বাস্থ্যমন্ত্রী । সে অতিরিক্ত চিকন কিনা তাই !! তাতে অবশ্য কোনো সমস্যা নেই । সে ভার্সিটির প্রতিটা মেয়ের সাথে friendship করার চেষ্টা করেছে কিন্তু এই মেয়ে ঘটিত ব্যাপারে তার কোনো প্রমোশন হতে দেখা যায়নি ।
(গান-প্রেমি ও প্রেমি,দেখা দিলে তুমি; Rocky+7 girls with full of ছ্যাকা )
ভার্সিটির সুন্দরী মেয়ে পারু । বেশ মিশুক প্রকৃতির ।সবাই তার বন্ধু কিন্তু Rocky তার বন্ধু নয় ।
হঠাৎ Rocky আর পারুর রাস্তায় দেখা –
Rocky: পারু, এই পারু, হাই।
পারু :জি ভাইয়া,বলেন ।
Rocky: মানে বলছিলাম যে, কেমন আছো?
পারু :ভালই ছিলাম ,আগামীতেও ভাল থাকবো ।
Rocky: এভাবে কথা বলো কেনো?তোমাকে আমার কত্ত পছন্দ !!
পারু :নিজের চেহারা দেখছেন আয়নায় ? ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার
মতন আমার পিছন পিছন ঘুরেন কেন?যান রাস্তা মাপেন গিয়ে ।
Rocky সত্যি সত্যি ইঞ্চি ফিতা হাতে নিয়ে রাস্তা মাপা শুরু করলো ।ওদিকে পারু, তার প্রেমিক দেবদাসের হাত ধরে রকির জীবনের সীমা পরিসীমা পার করে চলে গেল দূর থেকে বহুদূরে!!!!
ঘড়িতে দুপুর ১:৩০ ।রকি একা একা রাস্তার একপাশ দিয়ে হেঁটে চলেছে । সাথে ছাতা ছিল কিন্তু ছাতা খুলতে ইচ্ছে হল না ।হঠাৎ সবকিছু অন্যরকম মনে হল ।শরীরটাও ভালো লাগছেনা ।ঠিককরলো, ডাক্তারের কাছে যাবে ।
দুপুর ১:৩০ ।মখলেস সাহেবের অফিসের Lunch time.আশু প্রমোশন উপলক্ষে কলিগদের treat দিলেন ।সবাইকে অবাক করে গরীবদের কিছু দান খয়রাত ও করলেন ।।মখলেস সাহেবের মত কৃপণ মানুষ এরূপ দানবীর হয়ে উঠবে এরূপ কেউ ভাবেনি আগে ।
মখলেস সাহেবের অফিসে দেখা হলো পিয়নের সাথে-
মখলেস : কেমন আছো ?
পিয়ন :ভালা ।
মখলেস :এটা ধরো । (২০০ টাকা পিয়নের হাতে দিলেন )
পিয়ন :আল্লা আপনের ভালা করুক ।
মখলেস সাহেবের অফিসে দেখা হলো ক্লার্কের সাথে-
মখলেস : কেমন আছো ?
ক্লার্ক : ভালো । আপনি ?
মখলেস : তুমি অফিসের জন্য এত কিছু করো । এই ৫০০ টাকা ধরো ।
একটা gift কিনে নিও।
ক্লার্ক :আপনাকে ধন্যবাদ ।
(গান- মানুষ মানুষের জন্য ,একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারে না ।ও বন্ন্ধু...। মখলেস সাহেবের অফিসে দেখা হবে ভিখারি, মালী ,সুইপার ও অন্যান্য অধীনস্থ কর্মচারীদের সাথে- মখলেস সাহেব উদারহস্থে পকেটের সব টাকা দান করবেন ।কারন – প্রমোশনের পর তিনি থাকবেন এসি রুমে । তখন এদের ছায়াও মাড়াতে হবেনা। আপাতত এসবে, boss খুশি হয়ে প্রমোশনটা যদি তাড়াতাড়ি হয় –ক্ষতি কি!)
মখলেস (মনে মনে) :oh no! boss এর driver কে তো টাকা দেয়া
হয়নি ।
ততক্ষনে money bag শূন্য। অবশেষে কলিগ-সুমনের কাছ থেকে ৩০০ টাকা ধার পাওয়া গেলো। মখলেস সাহেবের অফিসে দেখা হলো boss এর driver এর সাথে-
মখলেস : কেমন আছো ?
Driver : ভালো । ( দৃঢ় কণ্ঠ - Boss এর driver বলে কথা!!!)
মখলেস :এটা ধরো । (৩০০ টাকা driver এর হাতে দিলেন )
Driver :এটা কি ।( driver নাক ছিটকাবে )
মখলেস :এটা ধরোই না।
Driver :মানে ।( driver নাক ছিটকাবে ,যেন ৩০০ টাকা গাছে ধরে
types)
মখলেস টাকাটা driver এর শার্টের পকেটে ঢুকিয়ে দিল । বলল -
মখলেস : ধরোতো । have fun.
মখলেস অফিসে ঢুকল। ওদিকে মমতা পার্লারে ওয়েটিং রুমে বসে ঘামছেন আর পত্রিকা পড়ে সময় পার করছেন ।
মমতা ময়নাকে(বুয়াকে)ফোন করল-
ময়না : হিলো, ক্যারে চান ভাই ?
মমতা :আমি। মাছ কেটেছো ?
ময়না :না। তয় এখনি কুটবাম।
মমতা :আমার আসতে দেরি হবে। তুমি ভাল করে রান্না করো।
ময়না :আইচ্ছা। (ফোন রেখে দিবে। )
বাটিতে থাকা মাছের দিকে তাকিয়ে বলবে –
ময়না :মাছ তুমি রেয়াডি হও ,আমি তোমারে কুইটবো।
ময়না মাছ কুটতে থাকবে,
ওদিকে Rocky ডাক্তার খানায়-
Rocky : আসবো ?
ডাক্তার:আসুন।
Rocky : ডাক্তার সাহেব !!
ডাক্তার:জি বলেন, কি সমস্যা ?
(কাঁদো স্বরে ) Rocky : ডাক্তার সাহেব,আমার মনে অনেক কষ্ট
।আমার হবু girl friend আমারে দাম দেয়
না।সে আমারে দেখে নাক ছিটকায় ।( Rocky
কেঁদে দিবে )
ডাক্তার:কাঁদবেন না please. এই সিরাপটা লিখে দিচ্ছি।আধা ঘণ্টা
পর কিছু খেয়ে তারপর খাবেন।আপনিআজ বিকেলে আরেকবার
এখানে চেক আপ করিয়ে যাবেন।
Rocky k.(প্স্থান ত্যাগ করলো)
বিকেলে ডাক্তারের চেম্বারে-
Rocky : আসবো ?
ডাক্তার: আরে আসুন।কেমন আছেন এখন ? সিরাপটা ঝাঁকিয়ে খেয়েছেন
তো?
Rocky : সিরাপটাতো ঝাঁকায়তে মনে নাই ।
ডাক্তার:সর্বনাশ !!!
Rocky : (খুব চিন্তিত স্বরে )এখন উপায় ?
তখন ডাক্তার রকির কোমর ধরে ঝাকানো শুরু করলো। এতে রকি বিব্রত হলো এবং কক্ষ(ডাক্তারের চেম্বার) ত্যাগ করলো ।
বাড়িতে খাবারের সুগন্ধ ছড়িয়েছে ।হঠাৎ দরজার কলিংবেল বেজে উঠল ।মখলেস, Bossএবং Boss এরমেয়ে পারু আসলো রাতের নিমন্ত্রণে ।যথারীতি দরজা খুলল বুয়া।
ময়না মমতাকে বলল-
ময়না : খালাম্মা, মেহমান আইছে।
মমতা :তুই ওদের বসতে বল ।
ময়না : ওনারা বইছেন। খালাম্মা,সাহেবের Boss এর মাইয়াডা যা
সউন্দর!!! ছোট সাহেবের লগে মানাইবো ভালো।
মমতা :তুই চুপ থাক।যা রকিকে ডেকে আন ।মেহমানদের সাথে
আলাপ করিয়ে দিই।
ড্রয়িং রুমে-
মমতা :আপনার মেয়েটা তো দারুন মিষ্টি ।কি নাম মা তোমার ?
পারু :পরিণীতা। ডাকনাম-পারু।
মমতা : (মনে মনে-এই মেয়ের সাথে আমার রকির বিয়ে হলে ,ছেলে
আমার সারাজীবন টাকায় শুয়ে থাকবে ।আর মাক্স(মখলেস)র
প্রমোশন নিশ্চিত!!!)
মখলেস :কই গো খাবার দাও।খিদায় যে পেট চোঁ চোঁ করছে।
মমতা : (মখলেসের Bossকে )ভাইসাহেব বলি কি ,আপনার মেয়েতো
দেখতে শুনতে ভালোই ।শিক্ষিতা।আমার ছেলেও
হ্যান্ডসাম।শিক্ষিত ।যদি আপনার,আমাদের মাঝে যদি একটা
সম্পর্ক তৈরি হয় আর কি......।
মখলেস মমতাকে ধীরস্বরে বলল-
মখলেস :তুমি এসব কি বল !!!
Boss :তা ছেলেকে ডাকেন। আজকালকার ছেলেমেয়ে ,ওদেরো তো একটা মতামত আছে।
পাশের রুম থেকে এসব শুনে Rockyর আবির্ভাব হয় ড্রয়িং রুমে। Rocky পারুকে দেখে আনন্দিত এবং পারু Rockyকে দেখে সমরুপ বিরক্ত ।
Rocky :আমি রাজি।(লাফিয়ে উঠে বলবে )
পারু :অসম্ভব। Rocky ক্লাসের সকল মেয়েদের পেছন পেছন ঘুরে
।ও একটা বেহায়া ।
Boss :কি!চল পারু চলে যাই। এ বাড়িতে আর এক মুহূর্ত ও নয় ।
Boss এবং পারু দুজনে না খেয়ে বাড়ি ত্যাগ করলো ।মখলেস রাত টা না খেয়েই কাটিয়ে দিল।সে আজকাল খুব চুপচাপ থাকে।
১০ বছর পরঃ
মখলেস সাহেব চাকরি হারিয়ে খুব মনে কষ্ট পেয়েছিলেন।তার সেদিনকেই প্রমোশন হয়েছিল-মানুষ হিসেবে । ব্যাংকের সব টাকা ভাঙিয়ে নিজের একটা বিসনেস গড়লেন। তিনি আর কৃপণতা করেন না।
অধীনস্থ কর্মচারীদের সাথে তার ভালো সম্পর্ক।
আর রকি –Engineer(established) .সেদিন বাবার অপমান সহ্য করতে পারে নি। সে আর মেয়েদের পেছনে ঘুরে না।আজকাল মেয়েদের বাবারা রকির পেছন পেছন ঘুরে ।রকির জন্য হাতে ভালো পাত্রী থাকলে জানাবেন Please.ডায়াল করুন -00420420420.
বিঃ দ্রষ্টব্য (এই নাটিকাটির সকল চরিত্র , স্থান্ , কাল কাল্পনিক)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জেবা ১৮/০৮/২০১৪চরম
-
মোঃ আবদুস শাকুর ১৪/০৭/২০১৪আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
-
তাসমিয়াহ্_অনন্যা ১৬/০৬/২০১৪সুন্দর হয়েছে। আরো লিখতে থাকো।
-
প্রভা ১৫/০৬/২০১৪অনেক চমৎকার ভাবে মজাদার বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে, আমি অভিভূত!
-
কবি মোঃ ইকবাল ১৩/০৬/২০১৪আপনার লেখা পাচ্ছি না কেনো??
আপনার লিখা চাই। -
Toofun ahmed ০৫/০৬/২০১৪i am impressed .its a nice one that i have not read ever before.However,Keep it up.
Stay fine. -
কবি মোঃ ইকবাল ০৩/০৬/২০১৪ব্লগে আপনার পরবর্তী লেখাতো পাচ্ছি না।
-
রুমা চৌধুরী ২৯/০৫/২০১৪হা হা হা দারুন। অসাধারণ লাগল। পড়ালাম। তবে শুনতেও ভাল লাগবে। অনেক শুভেচ্ছা রইল। ( ফোন নম্বরটা পুলিশের নাতো? হা হা)।
-
কবি মোঃ ইকবাল ২৯/০৫/২০১৪ভাবছি আপনার লিখা দিয়ে নাটিকাটির ভিডিও চিত্র করবো।
খুব সুন্দর হবে। -
তাইবুল ইসলাম ২৯/০৫/২০১৪আপনার "নাটিকা"র বিষয় বস্তু অনেক সুন্দর
> তবে যদি বলি তাহলে বলতে হয়
> ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার ডিরেক্টর বন্ধু (জাহিদ, নাম হয়বা শুনতে পারেন-ওর "নায়িকা সংবাদ"নামের একটি নাটক Gtv তে চলে) -এর জন্যে একটাই স্ক্রিপ্ট লিখেছি মাত্র।
> আধুনিক নাটকের ধারাটা এমন হয়না , আপনি "সেলিম-আদ-দীন"এর নাটক পড়ে দেখতে পারেন । উপকার পাবেন ।
> আর আনপার নাটিকায় বুয়ার ময়মনসিংহের কথারীতি পুরোপুরি যায়নি , আমার নানুবাড়ি ঐ অঞ্চলের তো তাই
বতে আমার সর্বোপরি ভাল লেগেছ
শুভেচ্ছা নেবেন -
অমর কাব্য ২৯/০৫/২০১৪অসাধারণ লিখনি,শুভেচ্ছা নিবেন
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ২৯/০৫/২০১৪আপা সুন্দর লিখেছেন। আরও লিখে যান। তবে কষ্ট করে ভালো ভালো লেখকের লেখা পড়ার চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ।