করোনা ভাইরাস আম্পান বার বার বন্যা ও আমাদের অর্থনীতি।
কোভিড-১৯ একটি বৈশ্বিক মহামারি। এই বৈশ্বিক মহামারি তে বিশ্বের অন্যান্য দেশ যেমন নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত তেমনি বাংলাদেশও এর ভয়াবহ থাবার বাইরে নয়। করোনা সমস্যাটা এখন আর শুধু স্বাস্থ্যগত ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়। মানুষের জীবন আর জীবিকার সাথে সংশ্লিষ্ঠ সকল খাতই করোনার আঘাতে ক্ষত বিক্ষত।
আমি করোনার বিস্তার ও এর প্রতিকার নিয়ে লিখছি না। কারণ এ বিষয়ে বিস্তর আলোচনা ও লেখালেখি হয়েছে, হচ্ছে অনেক গবেষণা। আমি এ লেখাতে শুধু একটি কথাই জোর দিয়ে বলতে চাই, আর তা হলো- করোনা কালীন সময়ে মানুষের দুর্নীতির ধরণ ও এর প্রতিকার এবং করোনা পরবর্তী সময়ে অর্থনীতির উপর এর প্রভাব।
আমরা দেখেছি করোনাকে কেন্দ্র করে প্রতারকদের প্রতারণার নানা ফাঁদ। একটি দেশের মানুষের কতটুকু নৈতিক অবক্ষয় হলে এমন হীন কাজ করতে পারে! সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মূল্যবোধ এর কতটুকু ভাঙল হলে এই রকম মহামারি নিয়েও মানুষ প্রতারণা করতে পারে।
সাহেদ, ডাঃ সাবরিনা, শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আরো নতুন করে সিল গালা করা অনেক হাসপাতাল করোনাকে নিয়ে অবৈধ ব্যবসা করেছে। এই লেখা লিখতে লিখতে হয় তো আরো কোন নতুন কৌশলে প্রতারণা করা নতুন প্রতারকের সন্ধান পেয়ে গেছে আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। শুধু কি উল্লেখিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করেছে?
আমার ধারণা সারা বাংলাদেশে এমন নাম না জানা আরো অসংখ্য প্রতারক রয়েছে। এদেরকে চিহ্নিত করে খোঁজে বের করা সরকারের পক্ষে একা সম্ভব না। এই জন্য চাই সকলের সর্বাত্বক সহযোগিতা। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকে আরো সজাগ থাকতে হবে পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
সত্যিকার অর্থে আমরা দুর্নীতির মাঝে ডুবে আছি। যে দিকে তাকাই শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি! মানুষ কতটুকু খারাপ হলে মহামারির ত্রাণের চাল চুরি করে এবং মহামারির নেগেটিভ ও পজিটিভ সার্টিফিকেট প্রদান করে৷ এরা কতটুকু অমানবিক, কতটুকু লস্কর, কতটুকু ধান্দা বাজ, বর্বর ও ভয়ংকর হলে এমন ঘৃণ্য অপরাধ করতে পারে। এদের কী মরণের ভয় নেই! এরা কী মরবে না? এরা কিসের আশায় ও নেশায় এত ধোঁকাবাজি করে? এদের কবে শুভবোধটুকু জন্মাবে? এই প্রতারকরা কবে মানুষ হবে?
এ দিকে করোনা ভাইরাসের কারণে অর্থনীতির বারোটা বেজে গেছে। মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে। বেকারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সরকার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারছে না। বৈদেশিক আয় কমে যাচ্ছে, প্রবাসীরা দেশে ফেরত আসছে। বৈদেশিক বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তরা পুঁজি হারিয়ে দিশাহারা।
দেশের বেসরকারি স্কুলগুলো বন্ধ হওয়াতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ শিক্ষক কর্মচারী চরম আর্থিক সংকটে পড়ছে। শিক্ষকদের বেতন বন্ধ থাকাতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ ঘর বাড়া ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বহন করতে না পেরে বাধ্য হয়ে স্কুল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরা বিকল্প কোন কাজের সন্ধানও পাচ্ছে না। এই শ্রেণির মানুষ গুলো কোন সরকারি সাহায্য পাচ্ছে না। এদের জন্য সরকারের কিছু করা উচিত।
আমাদের দেশে বিশেষ করে শহরে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে মানুষের কাজ করার হারটা অনেক বেশি। এই খাতের অনেক শ্রমিক এখন শহর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। শহরে তাদের কোন কর্ম নেই। তারা বাধ্য হয়ে গ্রামে ফিরছে। আমাদের গ্রামীণ কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে তারা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে। আমাদের গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতিকে ভর্তুকি দিয়ে ঢেলে সাজাতে হবে। তবে যদি কিছুটা অর্থনৈতিক মুক্তি মিলে।
করোনা কালে ঘূর্ণিঝড় আম্পান ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হয়ে আসল। আম্পানের কারণে দক্ষিণ বঙ্গের অনেক ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট ও অফিস-আদালতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। অসংখ্য বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়, জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। আম্পানে মানুষ গৃহহারা হয়ে রাস্তায় আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
যখন দেশবাসি করোনা ও আম্পানে হত বিহ্বল হয়ে দিশাহারা ঠিক তখনি আসে সর্বনাশা অকাল বন্যা। তাও কি একবার না, তিন তিন বার! কোন একটি এলাকায় একবার বন্যা আঘাত হানলে এর ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খেতে হয়। আমাদের পক্ষে তিন বার বন্যার কবলের দখল সামলানো কি সম্ভব? বন্যার সীমাহীন জন দুর্ভোগ বর্ণনাতীত।
বানভাসি দের দুর্ভোগ দেখলে অন্তর আত্মা হু হু করে কেঁদে উঠে। ঘরের ভিতরে বুক সমান পানি। সব কিছু বানে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। গৃহপালিত পশুগুলো বানের পানিতে না খেয়ে ভাসছে। বানভাসিদের পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই, আহার নেই, নিদ্রা নেই, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। আছে সীমাহীন দুঃখ দুর্দাশা। কেউ কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়, কেউ নিজের ভিটাতেই থেকে যায়, চৌকিতে কোন রকম রাত্রি যাপন করে, অথবা কলার ভেলায়, সবশেষে টিনের চালের উপরে বা নিজস্ব শেষ সম্বল ছোট নৌকায়। এভাবেই বানভাসি দের নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত হয়।
বন্যা কবলিত একালাকর রাস্তা-ঘাট ও ফসলের অপূরনীয় ক্ষতি হয়। আমন ফসল পানির নীচে তলিয়ে যায়, রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে যায় কোথাও কোথাও ব্রীজ ও কালভার্ট ভেঙ্গে রাস্তা সম্পূর্ণ যোগাযোগের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়ে। কিছু এলাকা হয়ে পড়ে উপজেলা সদর থেকে যোগাযোগ বিছিন্ন।
বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। জনসংখ্যার দিক থেকে অনেক বেশি ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। আমাদের অর্থনীতি ততটা শক্তিশালী না যতটা বর্তমানে আমাদের প্রয়োজন। আমাদের এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে রুপান্তর করে বাংলাদেশেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এতসব সমস্যার সমাধান করে দুর্যোগ কাটিয়ে উঠা যেনতেন ব্যাপার না। অর্থনীতির যে দূরাবস্থা হবে তা আরো কিছু দিন পরে অনুধাবন করা যাবে।
বাংলাদেশের জন্য সামনে এক ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে। এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে হলে সরকারকে আগের মত কাজ করলে হবে না। সরকারের অনেক ক্ষেত্রেই পরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারনে পরিবর্তন আনতে হবে। অনেক কিছুই নতুন করে সাজাতে হবে। কারণ সামনে আমরা এক নতুন পৃথিবী দেখব। সে পৃথিবী এক অন্য রকম পৃথিবী। আগের পৃথিবীর সাথে অনেক ক্ষেত্রেই মিল খোঁজে পাওয়া যাবে না। আমাদের উচিত হবে এই নতুন পৃথিবীর সাথে খাপ খাইয়ে চলা।
নতুন পৃথিবীতে সার্বিকভাবে ঠিকে থাকা সরকারের পক্ষে একা সম্ভব না। সরকারের উচিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোক্তাকে নিয়ে এক সাথে কাজ করা। সকলে মিলেমিশে ঐক্য বদ্ধ হয়ে কাজ করলে আমরা জাতিগতভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারব। মহামারি কালে কেউ কাউকে দোষারোপ না করে কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করে অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চত করত হবে।
আমি করোনার বিস্তার ও এর প্রতিকার নিয়ে লিখছি না। কারণ এ বিষয়ে বিস্তর আলোচনা ও লেখালেখি হয়েছে, হচ্ছে অনেক গবেষণা। আমি এ লেখাতে শুধু একটি কথাই জোর দিয়ে বলতে চাই, আর তা হলো- করোনা কালীন সময়ে মানুষের দুর্নীতির ধরণ ও এর প্রতিকার এবং করোনা পরবর্তী সময়ে অর্থনীতির উপর এর প্রভাব।
আমরা দেখেছি করোনাকে কেন্দ্র করে প্রতারকদের প্রতারণার নানা ফাঁদ। একটি দেশের মানুষের কতটুকু নৈতিক অবক্ষয় হলে এমন হীন কাজ করতে পারে! সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মূল্যবোধ এর কতটুকু ভাঙল হলে এই রকম মহামারি নিয়েও মানুষ প্রতারণা করতে পারে।
সাহেদ, ডাঃ সাবরিনা, শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আরো নতুন করে সিল গালা করা অনেক হাসপাতাল করোনাকে নিয়ে অবৈধ ব্যবসা করেছে। এই লেখা লিখতে লিখতে হয় তো আরো কোন নতুন কৌশলে প্রতারণা করা নতুন প্রতারকের সন্ধান পেয়ে গেছে আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। শুধু কি উল্লেখিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করেছে?
আমার ধারণা সারা বাংলাদেশে এমন নাম না জানা আরো অসংখ্য প্রতারক রয়েছে। এদেরকে চিহ্নিত করে খোঁজে বের করা সরকারের পক্ষে একা সম্ভব না। এই জন্য চাই সকলের সর্বাত্বক সহযোগিতা। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকে আরো সজাগ থাকতে হবে পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
সত্যিকার অর্থে আমরা দুর্নীতির মাঝে ডুবে আছি। যে দিকে তাকাই শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি! মানুষ কতটুকু খারাপ হলে মহামারির ত্রাণের চাল চুরি করে এবং মহামারির নেগেটিভ ও পজিটিভ সার্টিফিকেট প্রদান করে৷ এরা কতটুকু অমানবিক, কতটুকু লস্কর, কতটুকু ধান্দা বাজ, বর্বর ও ভয়ংকর হলে এমন ঘৃণ্য অপরাধ করতে পারে। এদের কী মরণের ভয় নেই! এরা কী মরবে না? এরা কিসের আশায় ও নেশায় এত ধোঁকাবাজি করে? এদের কবে শুভবোধটুকু জন্মাবে? এই প্রতারকরা কবে মানুষ হবে?
এ দিকে করোনা ভাইরাসের কারণে অর্থনীতির বারোটা বেজে গেছে। মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে। বেকারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সরকার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারছে না। বৈদেশিক আয় কমে যাচ্ছে, প্রবাসীরা দেশে ফেরত আসছে। বৈদেশিক বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তরা পুঁজি হারিয়ে দিশাহারা।
দেশের বেসরকারি স্কুলগুলো বন্ধ হওয়াতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ শিক্ষক কর্মচারী চরম আর্থিক সংকটে পড়ছে। শিক্ষকদের বেতন বন্ধ থাকাতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ ঘর বাড়া ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বহন করতে না পেরে বাধ্য হয়ে স্কুল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরা বিকল্প কোন কাজের সন্ধানও পাচ্ছে না। এই শ্রেণির মানুষ গুলো কোন সরকারি সাহায্য পাচ্ছে না। এদের জন্য সরকারের কিছু করা উচিত।
আমাদের দেশে বিশেষ করে শহরে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে মানুষের কাজ করার হারটা অনেক বেশি। এই খাতের অনেক শ্রমিক এখন শহর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। শহরে তাদের কোন কর্ম নেই। তারা বাধ্য হয়ে গ্রামে ফিরছে। আমাদের গ্রামীণ কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে তারা অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে। আমাদের গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতিকে ভর্তুকি দিয়ে ঢেলে সাজাতে হবে। তবে যদি কিছুটা অর্থনৈতিক মুক্তি মিলে।
করোনা কালে ঘূর্ণিঝড় আম্পান ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হয়ে আসল। আম্পানের কারণে দক্ষিণ বঙ্গের অনেক ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট ও অফিস-আদালতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। অসংখ্য বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়, জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। আম্পানে মানুষ গৃহহারা হয়ে রাস্তায় আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
যখন দেশবাসি করোনা ও আম্পানে হত বিহ্বল হয়ে দিশাহারা ঠিক তখনি আসে সর্বনাশা অকাল বন্যা। তাও কি একবার না, তিন তিন বার! কোন একটি এলাকায় একবার বন্যা আঘাত হানলে এর ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খেতে হয়। আমাদের পক্ষে তিন বার বন্যার কবলের দখল সামলানো কি সম্ভব? বন্যার সীমাহীন জন দুর্ভোগ বর্ণনাতীত।
বানভাসি দের দুর্ভোগ দেখলে অন্তর আত্মা হু হু করে কেঁদে উঠে। ঘরের ভিতরে বুক সমান পানি। সব কিছু বানে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। গৃহপালিত পশুগুলো বানের পানিতে না খেয়ে ভাসছে। বানভাসিদের পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই, আহার নেই, নিদ্রা নেই, মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। আছে সীমাহীন দুঃখ দুর্দাশা। কেউ কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়, কেউ নিজের ভিটাতেই থেকে যায়, চৌকিতে কোন রকম রাত্রি যাপন করে, অথবা কলার ভেলায়, সবশেষে টিনের চালের উপরে বা নিজস্ব শেষ সম্বল ছোট নৌকায়। এভাবেই বানভাসি দের নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত হয়।
বন্যা কবলিত একালাকর রাস্তা-ঘাট ও ফসলের অপূরনীয় ক্ষতি হয়। আমন ফসল পানির নীচে তলিয়ে যায়, রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে যায় কোথাও কোথাও ব্রীজ ও কালভার্ট ভেঙ্গে রাস্তা সম্পূর্ণ যোগাযোগের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়ে। কিছু এলাকা হয়ে পড়ে উপজেলা সদর থেকে যোগাযোগ বিছিন্ন।
বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। জনসংখ্যার দিক থেকে অনেক বেশি ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। আমাদের অর্থনীতি ততটা শক্তিশালী না যতটা বর্তমানে আমাদের প্রয়োজন। আমাদের এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে রুপান্তর করে বাংলাদেশেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এতসব সমস্যার সমাধান করে দুর্যোগ কাটিয়ে উঠা যেনতেন ব্যাপার না। অর্থনীতির যে দূরাবস্থা হবে তা আরো কিছু দিন পরে অনুধাবন করা যাবে।
বাংলাদেশের জন্য সামনে এক ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে। এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে হলে সরকারকে আগের মত কাজ করলে হবে না। সরকারের অনেক ক্ষেত্রেই পরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারনে পরিবর্তন আনতে হবে। অনেক কিছুই নতুন করে সাজাতে হবে। কারণ সামনে আমরা এক নতুন পৃথিবী দেখব। সে পৃথিবী এক অন্য রকম পৃথিবী। আগের পৃথিবীর সাথে অনেক ক্ষেত্রেই মিল খোঁজে পাওয়া যাবে না। আমাদের উচিত হবে এই নতুন পৃথিবীর সাথে খাপ খাইয়ে চলা।
নতুন পৃথিবীতে সার্বিকভাবে ঠিকে থাকা সরকারের পক্ষে একা সম্ভব না। সরকারের উচিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোক্তাকে নিয়ে এক সাথে কাজ করা। সকলে মিলেমিশে ঐক্য বদ্ধ হয়ে কাজ করলে আমরা জাতিগতভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারব। মহামারি কালে কেউ কাউকে দোষারোপ না করে কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করে অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চত করত হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১৬/১০/২০২০খুবই প্রাসঙ্গিক লেখা