গোলাপী চিঠি
প্রিয়ে সোনা,
মুখে বলার সাহস নেই তাই চিঠি লিখলাম,
এটা কিন্তু কবিতা নয় পড়ে নিও!
আমার ছাদের গোলাপটি হয়তোবা
ফোঁটেছিল সেই তোমারই জন্য!
যতো বার গেছি ছাদে গোলাপটির কাছে,
ততোবার ছিল তোমার কথাই মনে!
কিন্তু সেই আমার দেখা সবচেয়ে বড়ো,
গোলাপ ফুলে তোমার হাত শোভিতে পারিনি!
আজ সকালে কুয়াশায় ভেজে ঝরে পড়া
গোলাপ পাপড়ী গুলো হাতে নিয়ে- রাগে ,দুঃখে তোমার কথা গুলো ভাবছিলাম-
যা পরে তুমি অবশ্য একান্তে বলেছিলে,
"আমি ভেবে ছিলাম,তুমি হয়তো আমার জন্য, একটা লাল গোলাপ আনবে;
গোলাপ দিবসে!পরে অবশ্য বুঝেছি শয্যা সঙ্গীনি হলে গোলাপের প্রয়োজন হয় না"!
একটু অভিমান ভরা কন্ঠে,
ক্ষণিকের মধ্যেই আমার হৃয়টা চুরমার করে দিয়েছিল কথাগুলো সত্যিই তো বটে!
জানি না অনেক দিন পর গোলাপের
কথা আমারও মনে পড়েছিল।
কিন্তু, গোলাপ দিবস সে কথা
ভাবতে পারলাম না কেন আশ্চর্য ব্যাপার!
সবচেয়ে বড়ো গোলাপ ফুলটি হয়তো আমাকে নির্বোধ আর অযোগ্যই ভেবেছে!
করার কিছু নেই ভুল তো ভুলই,
নিশ্চয় হয়তো বা অনেকই তোমাকে গোলাপ
দিয়ে তোমার হৃদয় স্পর্শ করার চেষ্টা করেছে অনলাইনে; সেক্ষেত্রে আমি ব্যর্থ!
তবু ভালো লেগেছে কেউতো তোমায়
স্মরণ করিয়ে দিয়েছে!
আমার অন্তর আত্মা আমাকেও জাগাতে
চেয়েছিল, কিন্তু আমি জাগিনি।
আমি-তুমি বা অন্য কেউই আমাকে
গোলাপী দিনের কথা বলেনি!
তোমার-আমার অভিলাষ লুন্ঠিত হলো,
লজ্জা আর হীনমন্যতায় আমি যেন গোলাপী,
তোমার অঙ্গনে নূন্যত বছরের জন্য!
আশা রইল আগামীতে, আর তখনো যদি
ভুলে যাই স্মরণ করিয়ে দিও অভিমান করো
না। বয়স হয়ে গেছে তাই হয়তো ভালোবাসি তোমাকে তবুও- "ভোলাবাসি তোমাকে" বলতে কেমন জানি লজ্জা হয়;
তুমি যদি উপহাস করো প্রিয়ে!
তুমি চিরকাল ফোঁটা গোলাপ আমার হৃদয় আঙিনায়, ক্ষমা করে দিও কবিদের ভুল ভ্রান্তি হয়গো মনে রেখো না!
ইতি
তোমার সুনু।
*********
নিজ বাসভবন, ধর্মনগর
উত্তর ত্রিপুরা, ভারত
তাং: ০৮/০২/২০১৮ ইং
২৫ মাঘ,১৪২৪ বাং
রাত: ১০.১১
মুখে বলার সাহস নেই তাই চিঠি লিখলাম,
এটা কিন্তু কবিতা নয় পড়ে নিও!
আমার ছাদের গোলাপটি হয়তোবা
ফোঁটেছিল সেই তোমারই জন্য!
যতো বার গেছি ছাদে গোলাপটির কাছে,
ততোবার ছিল তোমার কথাই মনে!
কিন্তু সেই আমার দেখা সবচেয়ে বড়ো,
গোলাপ ফুলে তোমার হাত শোভিতে পারিনি!
আজ সকালে কুয়াশায় ভেজে ঝরে পড়া
গোলাপ পাপড়ী গুলো হাতে নিয়ে- রাগে ,দুঃখে তোমার কথা গুলো ভাবছিলাম-
যা পরে তুমি অবশ্য একান্তে বলেছিলে,
"আমি ভেবে ছিলাম,তুমি হয়তো আমার জন্য, একটা লাল গোলাপ আনবে;
গোলাপ দিবসে!পরে অবশ্য বুঝেছি শয্যা সঙ্গীনি হলে গোলাপের প্রয়োজন হয় না"!
একটু অভিমান ভরা কন্ঠে,
ক্ষণিকের মধ্যেই আমার হৃয়টা চুরমার করে দিয়েছিল কথাগুলো সত্যিই তো বটে!
জানি না অনেক দিন পর গোলাপের
কথা আমারও মনে পড়েছিল।
কিন্তু, গোলাপ দিবস সে কথা
ভাবতে পারলাম না কেন আশ্চর্য ব্যাপার!
সবচেয়ে বড়ো গোলাপ ফুলটি হয়তো আমাকে নির্বোধ আর অযোগ্যই ভেবেছে!
করার কিছু নেই ভুল তো ভুলই,
নিশ্চয় হয়তো বা অনেকই তোমাকে গোলাপ
দিয়ে তোমার হৃদয় স্পর্শ করার চেষ্টা করেছে অনলাইনে; সেক্ষেত্রে আমি ব্যর্থ!
তবু ভালো লেগেছে কেউতো তোমায়
স্মরণ করিয়ে দিয়েছে!
আমার অন্তর আত্মা আমাকেও জাগাতে
চেয়েছিল, কিন্তু আমি জাগিনি।
আমি-তুমি বা অন্য কেউই আমাকে
গোলাপী দিনের কথা বলেনি!
তোমার-আমার অভিলাষ লুন্ঠিত হলো,
লজ্জা আর হীনমন্যতায় আমি যেন গোলাপী,
তোমার অঙ্গনে নূন্যত বছরের জন্য!
আশা রইল আগামীতে, আর তখনো যদি
ভুলে যাই স্মরণ করিয়ে দিও অভিমান করো
না। বয়স হয়ে গেছে তাই হয়তো ভালোবাসি তোমাকে তবুও- "ভোলাবাসি তোমাকে" বলতে কেমন জানি লজ্জা হয়;
তুমি যদি উপহাস করো প্রিয়ে!
তুমি চিরকাল ফোঁটা গোলাপ আমার হৃদয় আঙিনায়, ক্ষমা করে দিও কবিদের ভুল ভ্রান্তি হয়গো মনে রেখো না!
ইতি
তোমার সুনু।
*********
নিজ বাসভবন, ধর্মনগর
উত্তর ত্রিপুরা, ভারত
তাং: ০৮/০২/২০১৮ ইং
২৫ মাঘ,১৪২৪ বাং
রাত: ১০.১১
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ১৪/০২/২০১৮সুন্দর চিঠি । ভাল লাগলো ।
-
রেজাউল রেজা (নীরব কবি) ১৩/০২/২০১৮ওয়াও! আমার যদি কেউ থাকত তাহলে এই চিঠিটা পাঠাতাম।