জোৎস্না আজ নিষ্প্রভ-(১০)
দূরে বাজারের পাহাড়াদারের ঘন্টায় ডঙ্ ডঙ্ করে দুবার বেজে উঠল অর্থাৎ রাত দুটো বাজল।আমি জোৎস্নাকে সমস্ত বিষয়টি বুঝিয়ে বললাম।সে আমার কথায় কোন সন্মতি বা অসন্মতি কিছুই জানাল না;সে বরং একদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইল।ততক্ষণে আমার মনে হচ্ছিল, যে জোৎস্নার গাল ছিল গোলাপ পাপড়ীর মতো গোলাপী কোমল, মুখে ছিল মায়াবী হাসি; যৌবনে দূরন্ত গতির কাছে জোৎস্না আজ পরাজিত।এই লাবন্যহীন ফুলের জন্য আজ আর ভ্রমরের গুন্জন নেই, সে আজ একা শুয়ে আছে হাসপাতালের ময়লা চাঁদরে-এমনকি স্বামী পর্ষন্ত এড়িয়ে চলছে।
আমি নির্বাক হয়ে যায়-হে মানুষ সুসময়ে বন্ধু বটে!
এবার জোৎস্নাকে বাহিরে গাড়িতে তোলার পালা।মনে অনেক প্রশ্ন জাগে নিজেকে নিয়েই-"আমি অনধিকার চর্চা করছি না তো?"আবার নিজেকে শান্তনা দেয়,"জোৎস্নাকে এভাবে মৃত্যুর কোলে ফেলে যেতে পারি না!"স্কুলের দিন গুলোতে সে কত আপন করে টিফিন খাওয়াতো,গান গাইতো-শুধু আমার জন্য না হলেও সকলের জন্যই করতো।তখন প্রেম বা ভালোবাসা কি বুঝতাম না;হৃদয়ের ভেতর আজকের মতো গভীর আঘাত পেতাম না -হাসি ঠাট্টার মধ্যেই দিন কাটাতাম।আজ সেই ক্লাসমেটের বিনা চিকিৎসায় চোখের সামনে মৃত্যু দেখতে চাই না।তাই জোৎস্নাকে সাহস করে বলি-"জোৎস্না চল আগরতলা যাবে-ভালো চিকিৎসা করলে সুস্থ হয়ে উঠবে চিন্তা করো না।"
জোৎস্না আগরতলা যাবার প্রস্তাবে স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি কিছুই জানাল না,শুধু বলল-"বাঁচব কি?"জোৎস্নার ঐ কথা আরো ব্যথিত করেছিল।আমি আবারও সাহস জুগিয়ে বললাম,"চলো উঠ!বাহিরে গাড়ি আছে।"সে ইশারায় বুঝিয়ে দিল,সে উঠতে পারবে না।আমি পাশের বেডের মহিলাদের একজনকে বললাম,"দিদি একটু ধরুন না,বাহিরে গাড়ি পর্ষন্ত।"মহিলা কোন কিছু না বলেই আস্তে করে মুখ ঘুরিয়ে নিল।আমার খুব অভিমান হলো- এক মহিলা আরেক মহিলার জীবন বাঁচানোর জন্য একটু ধরলো না!অবাক লাগে, কি অবাক মানুষ; পৃথিবীর সব মানুষ বাঁচতে চায়,কিন্তু অন্য কাউকে বাঁচাবার জন্য একটু হাত বাড়িয়ে দেবে না এ কেমন কথা!মনে অনেক কষ্ট হয়,হৃদ্স্পন্দন যেন একেবারে স্তব্দ হয়ে যায় মানুষের আচরণে।.....(চলবে)
আমি নির্বাক হয়ে যায়-হে মানুষ সুসময়ে বন্ধু বটে!
এবার জোৎস্নাকে বাহিরে গাড়িতে তোলার পালা।মনে অনেক প্রশ্ন জাগে নিজেকে নিয়েই-"আমি অনধিকার চর্চা করছি না তো?"আবার নিজেকে শান্তনা দেয়,"জোৎস্নাকে এভাবে মৃত্যুর কোলে ফেলে যেতে পারি না!"স্কুলের দিন গুলোতে সে কত আপন করে টিফিন খাওয়াতো,গান গাইতো-শুধু আমার জন্য না হলেও সকলের জন্যই করতো।তখন প্রেম বা ভালোবাসা কি বুঝতাম না;হৃদয়ের ভেতর আজকের মতো গভীর আঘাত পেতাম না -হাসি ঠাট্টার মধ্যেই দিন কাটাতাম।আজ সেই ক্লাসমেটের বিনা চিকিৎসায় চোখের সামনে মৃত্যু দেখতে চাই না।তাই জোৎস্নাকে সাহস করে বলি-"জোৎস্না চল আগরতলা যাবে-ভালো চিকিৎসা করলে সুস্থ হয়ে উঠবে চিন্তা করো না।"
জোৎস্না আগরতলা যাবার প্রস্তাবে স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি কিছুই জানাল না,শুধু বলল-"বাঁচব কি?"জোৎস্নার ঐ কথা আরো ব্যথিত করেছিল।আমি আবারও সাহস জুগিয়ে বললাম,"চলো উঠ!বাহিরে গাড়ি আছে।"সে ইশারায় বুঝিয়ে দিল,সে উঠতে পারবে না।আমি পাশের বেডের মহিলাদের একজনকে বললাম,"দিদি একটু ধরুন না,বাহিরে গাড়ি পর্ষন্ত।"মহিলা কোন কিছু না বলেই আস্তে করে মুখ ঘুরিয়ে নিল।আমার খুব অভিমান হলো- এক মহিলা আরেক মহিলার জীবন বাঁচানোর জন্য একটু ধরলো না!অবাক লাগে, কি অবাক মানুষ; পৃথিবীর সব মানুষ বাঁচতে চায়,কিন্তু অন্য কাউকে বাঁচাবার জন্য একটু হাত বাড়িয়ে দেবে না এ কেমন কথা!মনে অনেক কষ্ট হয়,হৃদ্স্পন্দন যেন একেবারে স্তব্দ হয়ে যায় মানুষের আচরণে।.....(চলবে)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাঁঝের তারা ২৪/০৪/২০১৭ভাল লাগল...,,,
-
ফয়সাল রহমান ২৩/০৪/২০১৭খুব ভালো
-
জয়শ্রী রায় মৈত্র ২৩/০৪/২০১৭গল্প পড়ে খুব ভাল লাগল । বিষয়বস্তু খুব ভাল । একটু সম্পাদনা করে বাড়িয়ে লিখলে কিন্তু আরও ভালো হত ।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ২৩/০৪/২০১৭স্মৃতি বিজড়িত ভালবাসা
এবং ক্রন্দসী প্রিয়ার মনের ব্যাথায় ব্যাথাতুর
গল্পকার।
অনেক শুভকামনা ও স্বান্তনা রইল। -
মধু মঙ্গল সিনহা ২৩/০৪/২০১৭স্বাগতম!