জোৎস্না আজ নিষ্প্রভ-(৯)
কিছুক্ষন চুপ করে দাড়িয়ে ছিলাম, কারণ আমি কি বলব খুজে পাচ্ছিলাম না।আর যারা জাগ্ৰত ছিল তারাও সবাই আমার দিকেই তাকাচ্ছিল।স্তব্ধতা ভঙ্গ করে মহিলা হঠাৎ ভাঁঙ্গা ভাঁঙ্গা স্বরে বলল, "তুমি মধুই তো! জয়নগরের......জোৎস্না আমি।"
তৎক্ষণাৎ আমার মাথায় যেন আকাশটা ভেঙে পড়ল।মুহূর্তে সমস্ত ধোয়াশা কেটে গেল,আমি যেন অন্ধকারে হাবুডুবু করতে করতে নদীর তীর খোঁজে পেলাম।আমি আর কোন কথা না বলে বেরিয়ে গেলাম ডিউটিরত মেডিক্যাল অফিসারের রুমে।গিয়ে দেখি ডাক্তার সপ্তম বাবু ডিউটি রুমে একটি পর্দার আড়ালে শুয়ে আছেন।রুমের দরজা খোলার শব্দে উনি তাকিয়ে আমাকে দেখে ভেতরে ডাকলেন। ডাক্তার বললেন,"এবার কাকে নিয়ে আসলেন? ডাক্তার সপ্তম বাবু খুব মেজাজি লোক।ঐ মহিলা যার কাঁশির শব্দ শোনা যাচ্ছে!ক্ষীণ কন্ঠে তিনি বলেন,"রোগী আপনার কে হন?"আমি বললাম,"আমার কেউ নয়!" "তবে এত রাতে কেন?"সপ্তম বাবুর জিজ্ঞাসা।এবার বললাম," আমার ক্লাসমেট!"ডাক্তার আমি কিছু বললার আগে ভ্রু'কুচকিয়ে বলতে লাগলেন,"রোগীর অবস্থা খুব খারাপ, আর হাসপাতালে রাখা ঠিক নয়।রোগটা খুবই খারাপ!বুঝলেন তো টিবি হয়েছে!টিবি!লাষ্ট স্টেজ।ইশ্বরই বাঁচাতে পারবে।পারলে আগরতলা নিলে হয়তো বা কাজে লাগতো।রোগীর সাথে কেউ নেই-আমরাও কিছু বলতে পারছিনা।" "ও আচ্ছা! ,"বলে আমি আবার জোৎস্নার কাছে চলে গেলাম।
জোৎস্নাকে আগে,"তুই" বলেই ডাকতাম;কিন্তু এবার আর ,"তুই" বলে ডাকতে বিবেক বাধা দিল।আমি জোৎস্নাকে জিজ্ঞাসা করলাম,"তোমার সাথে কে আছে?" কম্পিত কন্ঠে উওর এল,"উনি এসেছিলেন!"আমি বলি,"কিন্তু, কোথায়?"জোৎস্না আসহায়ের মতোই উত্তর করল,"আমার কাছে থাকতে চাই না!থাকতে চাই না,তারও যদি অসুখ হয়।"আবারও আঙ্গুল উচিয়ে বোঝাতে চাইল,স্বামী নাকি মদ্যপ;গিলে নিয়ে কোথায় পড়ে আছে নিশ্চয়!ঐ মুহূর্তে আমি আর পরামর্শ নেবার মতো কাউকে পাইনি।আমি সোজা ডাক্তার বাবুকে বলি,"পেশেন্ট রেফার করুন-আমি নিয়ে যাবো।"কাল বিলম্ব না করে ডাক্তার একটা কাগজে কি সব লেখে নার্সকে দুটো ইঞ্জেক্সন লাগাতে বলেন। ইঞ্জেক্সন দেওয়ার পর তিনি নিজের রোগীর হৃদগতি আর রক্তচাপ দেখে বিদায় দিলেন।.....(চলবে)৷
তৎক্ষণাৎ আমার মাথায় যেন আকাশটা ভেঙে পড়ল।মুহূর্তে সমস্ত ধোয়াশা কেটে গেল,আমি যেন অন্ধকারে হাবুডুবু করতে করতে নদীর তীর খোঁজে পেলাম।আমি আর কোন কথা না বলে বেরিয়ে গেলাম ডিউটিরত মেডিক্যাল অফিসারের রুমে।গিয়ে দেখি ডাক্তার সপ্তম বাবু ডিউটি রুমে একটি পর্দার আড়ালে শুয়ে আছেন।রুমের দরজা খোলার শব্দে উনি তাকিয়ে আমাকে দেখে ভেতরে ডাকলেন। ডাক্তার বললেন,"এবার কাকে নিয়ে আসলেন? ডাক্তার সপ্তম বাবু খুব মেজাজি লোক।ঐ মহিলা যার কাঁশির শব্দ শোনা যাচ্ছে!ক্ষীণ কন্ঠে তিনি বলেন,"রোগী আপনার কে হন?"আমি বললাম,"আমার কেউ নয়!" "তবে এত রাতে কেন?"সপ্তম বাবুর জিজ্ঞাসা।এবার বললাম," আমার ক্লাসমেট!"ডাক্তার আমি কিছু বললার আগে ভ্রু'কুচকিয়ে বলতে লাগলেন,"রোগীর অবস্থা খুব খারাপ, আর হাসপাতালে রাখা ঠিক নয়।রোগটা খুবই খারাপ!বুঝলেন তো টিবি হয়েছে!টিবি!লাষ্ট স্টেজ।ইশ্বরই বাঁচাতে পারবে।পারলে আগরতলা নিলে হয়তো বা কাজে লাগতো।রোগীর সাথে কেউ নেই-আমরাও কিছু বলতে পারছিনা।" "ও আচ্ছা! ,"বলে আমি আবার জোৎস্নার কাছে চলে গেলাম।
জোৎস্নাকে আগে,"তুই" বলেই ডাকতাম;কিন্তু এবার আর ,"তুই" বলে ডাকতে বিবেক বাধা দিল।আমি জোৎস্নাকে জিজ্ঞাসা করলাম,"তোমার সাথে কে আছে?" কম্পিত কন্ঠে উওর এল,"উনি এসেছিলেন!"আমি বলি,"কিন্তু, কোথায়?"জোৎস্না আসহায়ের মতোই উত্তর করল,"আমার কাছে থাকতে চাই না!থাকতে চাই না,তারও যদি অসুখ হয়।"আবারও আঙ্গুল উচিয়ে বোঝাতে চাইল,স্বামী নাকি মদ্যপ;গিলে নিয়ে কোথায় পড়ে আছে নিশ্চয়!ঐ মুহূর্তে আমি আর পরামর্শ নেবার মতো কাউকে পাইনি।আমি সোজা ডাক্তার বাবুকে বলি,"পেশেন্ট রেফার করুন-আমি নিয়ে যাবো।"কাল বিলম্ব না করে ডাক্তার একটা কাগজে কি সব লেখে নার্সকে দুটো ইঞ্জেক্সন লাগাতে বলেন। ইঞ্জেক্সন দেওয়ার পর তিনি নিজের রোগীর হৃদগতি আর রক্তচাপ দেখে বিদায় দিলেন।.....(চলবে)৷
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
০।।০ ১৭/০৪/২০১৭খুবই সুন্দর হচ্ছে ।। চলুক...
-
মোঃওবায় দুল হক ১৪/০৪/২০১৭ভালোলাগল
-
সোহান শরীফ ১৪/০৪/২০১৭ভালো লাগল। তবে শেষে আর একটু শৈল্পিক করে ইতি টানলে হত।
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৩/০৪/২০১৭সুপ্রভাত।