জোৎস্না আজ নিষ্প্রভ - (৮)
ভাবতে ভাবতে এসে পৌঁছি আমার বাড়ির সামনে।বাড়ির বাহিরের লাইট ছাড়া আর সব কটা লাইটই নেভানো অর্থাৎ সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে।একটা দীর্ঘ শ্বাস নেওয়ার পর আমার মনে কেমন এক দুঃসাহস আসল। আর কোন কিছু চিন্তা না করেই মুহূর্তের মধ্যে গাড়ি ঘুরিয়ে আবারও হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।রাত তখন একটা বাজে।হাসপাতালের সিকিউরিটি এখন আর আমাকে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেনা-কারণ আমার সাথে এখন কোন রোগী নেই।এত রাত বিনা কারণে হাসপাতালে কেন? আমার একজন রোগী আছে!ঐ নিচের তলায় জোরে জোরে যে ভদ্রমহিলা কাঁশি দিচ্ছে তার জন্য এসেছি ইত্যাদি বিভিন্ন কথা বলে বুঝিয়ে টুঝিয়ে ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করছিলাম।সিকিউরিটি ততক্ষণে রাস্তা ছেড়ে দিয়ে বলে,"ও! মহিলা খুবই অসুস্থ, সঙ্গে কেউ নেই।যান,যান!"
আমি সোজা চলে গেলাম ওয়ার্ডের দরজায়।কিন্তু রুমে ঢুকতে কেমন কাচু মাচু খাচ্ছিলাম-মহিলাদের ওয়ার্ড বলে কথা; তার উপর রোগীকে
আমি জানি না কে সে?তবুও তার জন্য ছুটে এসেছি অতি নিকট আত্মীয় সেজে।বুকে সাহস নিয়ে ঢুকে পড়ি।ধীরে ধীরে এগুতে থাকি রোগীর দিকে,আশেপাশের অন্য রোগীরা সবাই গভীর তন্দ্রামগ্ন দু'চার জন ছাড়া।ততক্ষণে মহিলার আবারও জোরে কাঁশি শুরু হয়েছে।মনে হচ্ছিল আমার হৃদপিন্ডটা খুলে কোন বড়ো লোহার হাতুড়ি দিয়ে প্রাণপণ পেটাচ্ছে।তবুও এগিয়ে আসলাম মহিলার কাছে! আরো কাছে!নিজের অজান্তেই মহিলার মাথায় হাত দিয়ে দেখেছি, উনার প্রচন্ড জ্বর!আবারও কাঁশি;বারবার কাঁশি!এবার লাইটের আলোকে ভালো করে তাকিয়ে জানার চেষ্টা করছিলাম-আসলে ভদ্রমহিলা কে?সঙ্গে কেউ নেই!বারবার মনে হচ্ছিল আমি উনাকে জানি-শুধু মেলাতে পারছিলাম না।রোগীনির বয়স চল্লিশ পয়তাল্লিশ বছরের কম হবেনা অনুমান করেছি।মহিলার এক হাতে শাঁখা থাকলেও অন্য হাতটি খালি ছিল।আর বেশী ভাবার সুযোগ পাইনি-দেখছিলাম মহিলার দু'চোখের কিনারা বেয়ে কানের দুল থেকে বেডের সাদা চাদরে টপ্ টপ্ করে চোখের জল পরছিল।দেখে মনে হচ্ছিল মহিলার চোখের জল যেন শুকিয়ে গেছে আর বেশিক্ষন জল পড়বে না!
আমি সোজা চলে গেলাম ওয়ার্ডের দরজায়।কিন্তু রুমে ঢুকতে কেমন কাচু মাচু খাচ্ছিলাম-মহিলাদের ওয়ার্ড বলে কথা; তার উপর রোগীকে
আমি জানি না কে সে?তবুও তার জন্য ছুটে এসেছি অতি নিকট আত্মীয় সেজে।বুকে সাহস নিয়ে ঢুকে পড়ি।ধীরে ধীরে এগুতে থাকি রোগীর দিকে,আশেপাশের অন্য রোগীরা সবাই গভীর তন্দ্রামগ্ন দু'চার জন ছাড়া।ততক্ষণে মহিলার আবারও জোরে কাঁশি শুরু হয়েছে।মনে হচ্ছিল আমার হৃদপিন্ডটা খুলে কোন বড়ো লোহার হাতুড়ি দিয়ে প্রাণপণ পেটাচ্ছে।তবুও এগিয়ে আসলাম মহিলার কাছে! আরো কাছে!নিজের অজান্তেই মহিলার মাথায় হাত দিয়ে দেখেছি, উনার প্রচন্ড জ্বর!আবারও কাঁশি;বারবার কাঁশি!এবার লাইটের আলোকে ভালো করে তাকিয়ে জানার চেষ্টা করছিলাম-আসলে ভদ্রমহিলা কে?সঙ্গে কেউ নেই!বারবার মনে হচ্ছিল আমি উনাকে জানি-শুধু মেলাতে পারছিলাম না।রোগীনির বয়স চল্লিশ পয়তাল্লিশ বছরের কম হবেনা অনুমান করেছি।মহিলার এক হাতে শাঁখা থাকলেও অন্য হাতটি খালি ছিল।আর বেশী ভাবার সুযোগ পাইনি-দেখছিলাম মহিলার দু'চোখের কিনারা বেয়ে কানের দুল থেকে বেডের সাদা চাদরে টপ্ টপ্ করে চোখের জল পরছিল।দেখে মনে হচ্ছিল মহিলার চোখের জল যেন শুকিয়ে গেছে আর বেশিক্ষন জল পড়বে না!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোনালিসা ০৭/০৪/২০১৭ভাল
-
মধু মঙ্গল সিনহা ০৬/০৪/২০১৭স্বাগতম।