জোৎস্না আজ নিষ্প্রভ - (৭)
এবার দাদা একটু কোমল সুরে বললেন,"আমরা এখন আসি ছনু দা! কোন অসুবিধা হলে আয়াজ তুমি ফোন করবে।আমরা প্রয়োজনে আবার আসব।" আয়াজ বলে ঠিক আছে আপনারা যান।আমরা দু'জন বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম-আর বাপ বেটা দু'জন রইল হাসপাতালে।
হাসপাতালের প্রথম করিডোর ছেড়ে যখন ফ্যামিল ওয়ার্ধের সামনে আসলাম-তখন দেখতে পেলাম একজন মহিলা খুব ঘন ঘন কাঁশি দিচ্ছে।অবশ্য এই কাঁশির শব্দ অনেক আগে থেকেই শুনছিলাম-তখন মহিলাটিকে দেখিনি।ওয়ার্ডের খোলা দরজার সামনেই একটা আলাদা করা বেডে মহিলা শুয়ে ছিলেন।একটু দাঁড়ালাম!কেন দাঁড়ালাম জানি না!মনে হচ্ছিল ঐ মহিলাকে আমি জানি।অনেক পরিচত মনে হচ্ছিল-কিন্তু, দাড়িয়ে দেখেও চিনতে পারিনি।দাদা হঠাৎ বলেন,"চলো!নাকি তুমি থাকবে!"দাদার কথায় একটু লজ্জা পেয়েছিলাম-কারণ আমি ফ্যামিল ওয়ার্ডের সামনে দাড়িয়ে ছিলাম।আমি আর কোন উত্তর না করে,আমরা দু'জনেই হাসপাতালের বাহিরে বেরিয়ে পড়লাম।আমি গাড়ির দরজা খুলে দিলাম;দাদা উঠেই গাড়ির মিউজিক সিস্টেম চালু করেন।আমি গাড়ি স্টার্ট করে বেরিয়ে পড়লাম।পাঁচ সাত মিনিটের মাথায় দাদার বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামালাম।দাদা গাড়ি থেকে নেমে,"কাল সকাল ছয়টা,গুড নাইট!"বলে বাড়িতে ডুকলেন।আমরা দাদা সহ প্রায় পঁচিশ ত্রিশ জন মিলে মর্ণিং ওয়াক করি।আমিও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম-কিন্তু বিবেক যেন আমাকে বার বার পেছনে টানছে হাসপাতালের ঐ রোগাক্রান্ত মহিলার দিকে।এক অজানা আকর্যন অনুভব করছিলাম ঐ রোগীর প্রতি যদিও আমি তখনও মহিলার চেহারা ঠিকমত দেখিনি।হাসপাতালে থাকা অবস্থায় তাকে দেখতে চেয়েছিলাম-কিন্তু মহিলা ওয়ার্ডে অপরিচিত পুরুষ মানুষ রাত সাড়ে-বারোটায় কি রকম বেমানান লাগছিল।তাই সাহস করতে পারিনি সঙ্গে দাদা বলে কথা, তিনি একটা হাস্যকৌতুক যোগ করে ফাইন করে দিতে পারেন।ফাইন মানে আমাদের মর্ণিং ওয়াক টিমকে খাওয়াতে হয় সাধ্যমত।কত জন এই ফাইনে পরেছেন তার ইয়ত্তা নেই, এতে আবার বেশ আনন্দও হয়।
হাসপাতালের প্রথম করিডোর ছেড়ে যখন ফ্যামিল ওয়ার্ধের সামনে আসলাম-তখন দেখতে পেলাম একজন মহিলা খুব ঘন ঘন কাঁশি দিচ্ছে।অবশ্য এই কাঁশির শব্দ অনেক আগে থেকেই শুনছিলাম-তখন মহিলাটিকে দেখিনি।ওয়ার্ডের খোলা দরজার সামনেই একটা আলাদা করা বেডে মহিলা শুয়ে ছিলেন।একটু দাঁড়ালাম!কেন দাঁড়ালাম জানি না!মনে হচ্ছিল ঐ মহিলাকে আমি জানি।অনেক পরিচত মনে হচ্ছিল-কিন্তু, দাড়িয়ে দেখেও চিনতে পারিনি।দাদা হঠাৎ বলেন,"চলো!নাকি তুমি থাকবে!"দাদার কথায় একটু লজ্জা পেয়েছিলাম-কারণ আমি ফ্যামিল ওয়ার্ডের সামনে দাড়িয়ে ছিলাম।আমি আর কোন উত্তর না করে,আমরা দু'জনেই হাসপাতালের বাহিরে বেরিয়ে পড়লাম।আমি গাড়ির দরজা খুলে দিলাম;দাদা উঠেই গাড়ির মিউজিক সিস্টেম চালু করেন।আমি গাড়ি স্টার্ট করে বেরিয়ে পড়লাম।পাঁচ সাত মিনিটের মাথায় দাদার বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামালাম।দাদা গাড়ি থেকে নেমে,"কাল সকাল ছয়টা,গুড নাইট!"বলে বাড়িতে ডুকলেন।আমরা দাদা সহ প্রায় পঁচিশ ত্রিশ জন মিলে মর্ণিং ওয়াক করি।আমিও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম-কিন্তু বিবেক যেন আমাকে বার বার পেছনে টানছে হাসপাতালের ঐ রোগাক্রান্ত মহিলার দিকে।এক অজানা আকর্যন অনুভব করছিলাম ঐ রোগীর প্রতি যদিও আমি তখনও মহিলার চেহারা ঠিকমত দেখিনি।হাসপাতালে থাকা অবস্থায় তাকে দেখতে চেয়েছিলাম-কিন্তু মহিলা ওয়ার্ডে অপরিচিত পুরুষ মানুষ রাত সাড়ে-বারোটায় কি রকম বেমানান লাগছিল।তাই সাহস করতে পারিনি সঙ্গে দাদা বলে কথা, তিনি একটা হাস্যকৌতুক যোগ করে ফাইন করে দিতে পারেন।ফাইন মানে আমাদের মর্ণিং ওয়াক টিমকে খাওয়াতে হয় সাধ্যমত।কত জন এই ফাইনে পরেছেন তার ইয়ত্তা নেই, এতে আবার বেশ আনন্দও হয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরশ ০৬/০৪/২০১৭ভাল
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০৬/০৪/২০১৭সুপ্রভাত বন্ধু,
চালিয়ে যান...
আমরা সাথে আছি। -
মধু মঙ্গল সিনহা ০৬/০৪/২০১৭সুপ্রভাত।