জোৎস্না আজ নিষ্প্রভ - (৬)
গাড়ি ঘুরিয়ে একটু স্পীডে গাড়ি চালাতে থাকি।সাধারণত আমি গাড়ি বিশ পঁচিশ কিমি প্রতি ঘন্টায় চালায় কিন্তু,তখন প্রায় চল্লিশের কাছাকাছি।অনেক ক্ষণ ধরে কেউ কিছু না বলেই চলতে খাকি ছোট কালো পিচ রাস্তার আঁকে বাঁকে।শীতের রাতে গাড়ির সামনের আয়নাটা কুয়াশার চাদরে ডেকে যায় গামছা দিয়ে বার বার মুছে চলতে থাকি।পনের বিশ মিনিটের মাথায় ছনু মিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হলাম।দেখলাম ছনু মিয়ার অবস্থা সত্যিই খুবই খারাপ,ভদ্রলোকের শ্বাস প্রশ্বাসে খুবই কষ্ট হচ্ছিল।প্রস্রাব-পায়খানা বন্ধ হয়ে পেট ফুলে ফুটবলের মতো অবস্থা।দাদা চোখের ইসারায় ঘরের বাহিরে যেতে বলেন-আমি আস্তে বাড়ির উঠানে বের হয়েছিলাম।দাদা বাহিরে এসে আমার কানে কানে বলেন, "তারা খুব গরীব!ভদ্রলোক আগে রিক্সা চালাতেন-এক্ষন তাকে হাসপাতাল না নিলে লোকটা বাঁচবে না।" "ঠিক আছে!" বলে আমরা দুজনেই ঘরে ডুকে যায়।দাদা ছনু মিয়াকে হাসপাতালের জন্য তৈরি হতে বলেন।কিন্তু ভদ্রলোক হাসপাতাল যেতে রাজি নন।ছনু মিয়া দুহাত জোর করে বলছিলেন,"দাদা আমি হাসপাতাল যামুনা।আমি আমার বাড়িতে দম তোড়ব!বাড়িতে ইন্তেকাল করবো।"আসলে মনে হয় ভদ্রলোক তন-মন উভয় দিকেই ভেঙে পড়েছিলেন।যাইহোক অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে রাত্রি প্রায় সাড়ে এগারটায় ভদ্রলোককে হাসপাতাল নিয়ে আসাগেল-সঙ্গে আয়াজ মিয়া অর্থাৎ ছনু মিয়ার একমাএ ছেলেকে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালে ছনু মিয়াকে ভর্তি করে পেসক্সিপশন্ মোতাবেক ঔষধ পত্র কিনে দিয়ে দাদা ডাক্তারকে কি যেন বলেন শুনতে পাইনি।ডাক্তার
বললেন, "চিন্তার কারণ নেই!ইনজেক্সনটা লাগানোর পর সেলাইনের ব্যবস্থা করো থার্টি ড্রপ শিবানী।" শিবানী নার্সিং এসিস্টেন্ট।যথারীতি ইনজেক্সন্ দেওয়া হল আর সেলাইন চলতে লাগলো।কিছু ক্ষনের মধ্যেই ছনু মিয়া মন্ত্রমুগ্ধের মতো শান্ত হয়ে পড়লেন।দাদা জিজ্ঞাসা করলেন,"ছনু দা,কেমন লাগছে এখন?" উওরে ছনু মিয়া বললেন,"হায় আহ্লা!তার মেহেরবানিতে একটু ভালো।"ততক্ষণে রাত প্রায় সাড়ে বারোটা।
হাসপাতালে ছনু মিয়াকে ভর্তি করে পেসক্সিপশন্ মোতাবেক ঔষধ পত্র কিনে দিয়ে দাদা ডাক্তারকে কি যেন বলেন শুনতে পাইনি।ডাক্তার
বললেন, "চিন্তার কারণ নেই!ইনজেক্সনটা লাগানোর পর সেলাইনের ব্যবস্থা করো থার্টি ড্রপ শিবানী।" শিবানী নার্সিং এসিস্টেন্ট।যথারীতি ইনজেক্সন্ দেওয়া হল আর সেলাইন চলতে লাগলো।কিছু ক্ষনের মধ্যেই ছনু মিয়া মন্ত্রমুগ্ধের মতো শান্ত হয়ে পড়লেন।দাদা জিজ্ঞাসা করলেন,"ছনু দা,কেমন লাগছে এখন?" উওরে ছনু মিয়া বললেন,"হায় আহ্লা!তার মেহেরবানিতে একটু ভালো।"ততক্ষণে রাত প্রায় সাড়ে বারোটা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অপর্ণা পাল(দেবী) ১৫/০৪/২০১৭খুব ভালো
-
পরশ ০৪/০৪/২০১৭ভাল
-
ফয়জুল মহী ০২/০৪/২০১৭সুন্দর অনুভূতি
-
মধু মঙ্গল সিনহা ০২/০৪/২০১৭অভিনন্দন নেবেন।