জোৎস্না আজ নিষ্প্রভ - (৫)
লোক মুখে শুনেছি ,চোখের আড়াল হওয়া মানেই নাকি মনের আড়ালে হওয়া।হয়তো একথাটা আমার ক্ষেত্রে সর্বাধিক সত্য ছিল।আমার সহপাঠী জোৎস্নার স্মৃতি ধীরে ধীরে তলিয়ে যায় অতল গহ্বরে।আমি প্রায় দীর্ঘ চব্বিশ বছর আর জোৎস্নাকে মনে করবার সুযোগ পায়নি।
ঐ দিন বৃহস্পতিবার ছিল সন্ধ্যা প্রায় নয়টা আমার এক ঘনিষ্ঠ দাদা,যিনি এক বড় মাপের
রাজনীতিবিদ্,আমরা দুজনে সন্ধ্যার পর একটু হাওয়া খাওয়ার জন্য আমার গাড়ি নিয়ে বের হই।উনার সন্ধ্যায় পর একটু বেড়োনোর শখ আছে-এ ক্ষেত্রে আমারও একদম কম নয়।দাদা আদিত্যের দোকান থেকে কুড়ি টাকার পকুড়া কিনে ষড়ষপুরের চা বাগানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই।আমি গাড়িতে এক বোতল খাবার জল রাখি।দাদা ঐ বোতল নিয়ে হাত ধুয়ে পকুড়ার ঠোঁঙা খুলে বলেন," মধু শুরু কর!" আমিও দেরী না করে গাড়ি থামিয়ে হাত ধুয়ে একটি পকুড়া মুখে দিয়েই আবারও গাড়ি চালাতে লাগলাম।এবার বাম হাতে গাড়ির স্টারিং আর ডান হাতে পকুড়া লুফে লুফে খেতে থাকি।আমার দাদাও মনের সুখে খেতে থাকেন আর মাঝে মধ্যে কাঁচা মরিচের জ্বালে হু-হা করছিলেন;আমি জ্বালটা কম খাই।দাদা আবার জল-টল পান করে বেশ খুশ মেজাজে হয়ে উঠেন।আমার এই দাদা নতুন করে গানের রেওয়াজ শুরু করেছেন অনেক বছর পর।সুযোগ পেলেই গাইতেন।গাড়িতে সেই দিন গলা ছেড়ে গান ধরেছিলেন,"আঁহ্! বাঁশি শুনে আর কাজ নাই,সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি।" গাড়ির সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ করে -আমি শুনতে থাকি।দাদা বেশ সুন্দর গানটি গাইতে পারেন।
এমন সময় হঠাৎ দাদার মোবাইলটা বেজে উঠল রাত তখন ১০টার কম নয়।"ব্যাপার কি দাদা?" "শাখাইবাড়ীর শ্রমিক নেতা সনু মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন-এখন কি করা?" সনু মিয়ার ছেলে আয়াজ মিয়া দাদাকে ফোন করেছিল।দাদা বল্লেন,"চলো,গাড়ি ঘুরাও দেখে আসি কি খবর।" আমি সাধারণত দাদার কোন কথাই অমত করি না দুটি কারণে -প্রথমতঃ উনি আমার বয়সে দেড় গুণ বড় হলেও আমার খুবই অন্তরঙ্গ মানুষ।আমাদের মধ্যে রঙ বেরঙের কথ কথাই হয়।দ্বিতীয় কারণটি হল এত বড় মাপের মানুষ হলেও তিনি কখনো আমার কাছে অহংকারের বহিপ্রকাশ করেননি।.
ঐ দিন বৃহস্পতিবার ছিল সন্ধ্যা প্রায় নয়টা আমার এক ঘনিষ্ঠ দাদা,যিনি এক বড় মাপের
রাজনীতিবিদ্,আমরা দুজনে সন্ধ্যার পর একটু হাওয়া খাওয়ার জন্য আমার গাড়ি নিয়ে বের হই।উনার সন্ধ্যায় পর একটু বেড়োনোর শখ আছে-এ ক্ষেত্রে আমারও একদম কম নয়।দাদা আদিত্যের দোকান থেকে কুড়ি টাকার পকুড়া কিনে ষড়ষপুরের চা বাগানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই।আমি গাড়িতে এক বোতল খাবার জল রাখি।দাদা ঐ বোতল নিয়ে হাত ধুয়ে পকুড়ার ঠোঁঙা খুলে বলেন," মধু শুরু কর!" আমিও দেরী না করে গাড়ি থামিয়ে হাত ধুয়ে একটি পকুড়া মুখে দিয়েই আবারও গাড়ি চালাতে লাগলাম।এবার বাম হাতে গাড়ির স্টারিং আর ডান হাতে পকুড়া লুফে লুফে খেতে থাকি।আমার দাদাও মনের সুখে খেতে থাকেন আর মাঝে মধ্যে কাঁচা মরিচের জ্বালে হু-হা করছিলেন;আমি জ্বালটা কম খাই।দাদা আবার জল-টল পান করে বেশ খুশ মেজাজে হয়ে উঠেন।আমার এই দাদা নতুন করে গানের রেওয়াজ শুরু করেছেন অনেক বছর পর।সুযোগ পেলেই গাইতেন।গাড়িতে সেই দিন গলা ছেড়ে গান ধরেছিলেন,"আঁহ্! বাঁশি শুনে আর কাজ নাই,সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি।" গাড়ির সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ করে -আমি শুনতে থাকি।দাদা বেশ সুন্দর গানটি গাইতে পারেন।
এমন সময় হঠাৎ দাদার মোবাইলটা বেজে উঠল রাত তখন ১০টার কম নয়।"ব্যাপার কি দাদা?" "শাখাইবাড়ীর শ্রমিক নেতা সনু মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন-এখন কি করা?" সনু মিয়ার ছেলে আয়াজ মিয়া দাদাকে ফোন করেছিল।দাদা বল্লেন,"চলো,গাড়ি ঘুরাও দেখে আসি কি খবর।" আমি সাধারণত দাদার কোন কথাই অমত করি না দুটি কারণে -প্রথমতঃ উনি আমার বয়সে দেড় গুণ বড় হলেও আমার খুবই অন্তরঙ্গ মানুষ।আমাদের মধ্যে রঙ বেরঙের কথ কথাই হয়।দ্বিতীয় কারণটি হল এত বড় মাপের মানুষ হলেও তিনি কখনো আমার কাছে অহংকারের বহিপ্রকাশ করেননি।.
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ৩০/০৩/২০১৭
-
মধু মঙ্গল সিনহা ৩০/০৩/২০১৭সুপ্রভাত।
সিরিজটাকে যদি আপনি অনেক বড় করতে চান তবে উপন্যাস হতে পারে কিন্তু!
ভালো থাকবেন আর লেখা চালিয়ে যাবেন।
আমাদের অনুপ্রেরণা আপনার সাথে রইল।