জোৎস্না আজ নিষ্প্রভ - (৩)
বিয়ের দিন জোৎস্নাকে বেশ সুন্দরী দেখাচ্ছিল।এমনিতেই সে ছিল অতি সুন্দরী তার উপর বিয়ের সাজ তাকের স্বপ্নের পরীর মতোই মনে হচ্ছিল।সেই দিন হয়তো জোৎস্নাকে নিজের অজান্তেই একটু ভালোবেসে ছিলাম।সে যখন আমাকে দেখা মাত্রই হাত বাড়িয়ে দিয়ে ছিল হাত মেলানোর জন্য জীবনে প্রথম বারের মতো।তখন আমি নিজেকে সামলাতে পারিনি-জোৎস্না সাথে হাত স্পর্শ করা সাথে সাথেই আমার দুটি চোখ ভরে নাক বেয়ে গরম নোন্তা জল দুজনের মুষ্টিবদ্ধ হাতে টপ্ টপ্ করে পড়ছিল।কন্যার সাঁজের ঘরে বসা সবাই আমাদের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রয়েছিল।জোৎস্না আমার চোখে চোখ রেখে কাঁদো কাঁদো স্বরে বলে,"তুই দেখি মেয়ের চেয়েও বাদ।হেয় চোখ মুছ!জামাই খুব ভালো, আমি সারা জীবন সুখে থাকবো।তোমারা আসবে আমার বাড়িতে।মনে হয়েছিল জোৎস্না আমার হৃদয়টাকে নতুন ছুরি দিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে নিচ্ছল।আবার মনে মনে বলছিলাম,"তোমরা মেয়েরা স্কার্ট-চুড়ীদার ফেলে যেমন সহজ ভাবে শাড়ি জড়িয়ে নিতে পার তেমনি তোমাদের জীবনকে আর সুন্দর করার জন্য খুব সহজেই নতুন পরিবেশকেও আঁকড়ে ধরেতে পার।..তুমি সুখী হও"! যাইহোক মুখ খুলে বীরের মতো বলার কিছু পাচ্ছিলাম না,খুব কষ্টেই বলেছিলাম,"জোৎস্না ! তুমি সারা জীবন ভালো থেকো,আর আমাদের ভুলে যেও না।প্লিজ"!
এমন সময় জোৎস্নার বাবা আমাদের টেনে টেনে নিয়ে গেলেন মিষ্টিমুখ করাবার জন্য।আমরা মিষ্টি খেয়ে জোৎস্নার আড়ালেই বাড়ি ফিরি-তবে, জোৎস্নার সাতপাক দেখা হলনা।পথে কেন জানি না;আমার মনটা জোৎস্নার জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছিল।
জোৎস্নার সাথে চলাফেরা ছিল ডঙ্ তামসা ছিল-মনের অজান্তেই সে যে আমার অনেক কাছের বান্ধবী হয়ে গিয়েছিল তা জানতাম না।সে যে আমাদের চিরদিনের মতো ছেড়ে যাচ্ছিল তা মানতে পারছিলাম না।নিজেকে শান্তি দেবার জন্যই সেই দিন বিয়ের আসর ছেড়ে দুই বন্ধু একটি হারকিউলিস্ সাইকেলে করে বাড়ি ফিরলাম। বাড়ি ফেরার পথে আমার বন্ধু আমাকে না কথ্য অকথ্য প্রশ্নবানে বিদ্ধ করেছিল।আমি নিশ্চুপ ছিলাম..(চলবে)।
এমন সময় জোৎস্নার বাবা আমাদের টেনে টেনে নিয়ে গেলেন মিষ্টিমুখ করাবার জন্য।আমরা মিষ্টি খেয়ে জোৎস্নার আড়ালেই বাড়ি ফিরি-তবে, জোৎস্নার সাতপাক দেখা হলনা।পথে কেন জানি না;আমার মনটা জোৎস্নার জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছিল।
জোৎস্নার সাথে চলাফেরা ছিল ডঙ্ তামসা ছিল-মনের অজান্তেই সে যে আমার অনেক কাছের বান্ধবী হয়ে গিয়েছিল তা জানতাম না।সে যে আমাদের চিরদিনের মতো ছেড়ে যাচ্ছিল তা মানতে পারছিলাম না।নিজেকে শান্তি দেবার জন্যই সেই দিন বিয়ের আসর ছেড়ে দুই বন্ধু একটি হারকিউলিস্ সাইকেলে করে বাড়ি ফিরলাম। বাড়ি ফেরার পথে আমার বন্ধু আমাকে না কথ্য অকথ্য প্রশ্নবানে বিদ্ধ করেছিল।আমি নিশ্চুপ ছিলাম..(চলবে)।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অপর্ণা পাল(দেবী) ১৫/০৪/২০১৭সত্যি সব চাওয়া তো পাওয়া যায় না
-
লীনা জাম্বিল ২৭/০৩/২০১৭প্রেম বিরহের কাহিনী, গভীর ভালবাসার অনুভুতি। বেদনার কাহিনী। শুভকামনা
-
পরশ ২৭/০৩/২০১৭ভাল
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ২৭/০৩/২০১৭আহঃ বড়ই হৃদয় বিদারক, বেদনাহত।।
তাইতো বলে-
কিছু প্রেম শুধু কাছেই টানে না
বরং দূরেও ঠেলিয়া ফেলে।
দুঃখ পেওনা বন্ধু, সব ঠিক হয়ে যাবে।। -
রাবেয়া মৌসুমী ২৭/০৩/২০১৭আর একটু যত্ন করুন।
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২৭/০৩/২০১৭সুপ্রভাত।